Page -13
(অপমানজনক জিজিয়া)
একদিন মুঘিসুদ্দীন নামে এক কাজী আলাউদ্দীন খিলজির রাজ সভায় আসে। আলাউদ্দিন তখন সেই কাজীকে জিজ্ঞাসা করল, 'খরজ গৌজার' (বা জিজিয়া প্রদানকারী) এবং 'খরজ দিহ্' (বশ্যতার নিদর্শন স্বরূপ কর প্রদানকারী) হিন্দুদের সঙ্গে ইসলামী শাস্ত্র মুসলমানদের কি রকম ব্যবহার করতে নির্দেশ করে?" জবাবে মুঘিসুদ্দিন বলে, 'তারা হল জিজিয়া প্রদানকারী জিম্মী। জিজিয়া আদায়কারী মুসলমান কর্মচারী তাদের কাছে রৌপ্যমুদ্রা দাবি করলে তাদের উচিত হবে সসম্মানে ও বিনয়ের সাথে স্বর্ণমূদ্রা প্রদান করা। সেই কর আদায়কারী যদি রেগে গিয়ে তাদের দিকে নোংরা বা ধুলো ছুঁড়ে,মারে তবে তাদের উচিত হবে হাঁ করে তা গিলে ফেলা। এভাবেই তারা সেই কর আদায়কারীকে সম্মান দেখাবে। এইভাবে বিনয়ের সাথে কর দিয়ে এবং বিনা প্রতিবাদে নোংরা গিলে তারা বশ্যতার প্রমাণ দেবে এবং এর মধ্য দিয়েই ইসলামের গৌরব ও মেকি ধর্মের (অর্থাৎ হিন্দুধর্মের) হীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে। স্বয়ং আল্লা তাদের ঘৃণা করেন এবং বলেন, 'তাদের সবর্দা পরাধীন করে রাখ"। হিন্দুদের এইভাবে সদা সর্বদা হীন করে রাখাই আমাদের ধর্মীয় কর্তব্য, কারণ তারা আল্লার রসুলের অর্থাৎ নবী মহম্মদের চিরস্থায়ী শক্র। তা ছাডা আল্লার রসুল আমাদের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন, "তাদের হত্যা কর, লুন্ঠন কর এবং তাদের ক্রীতদাসে পরিণত কর। তিনি বলে গিয়েছেন "তাদের হত্যা কর অথবা ধর্মান্তরিত কর, তাদের যথাসর্বস্ব লুঠ কর এবং দাসত্ব করতে বাধ্য কর।"
ইসলামের মহান ঢীকাকার হানিফার মত হল, "হিন্দুদের উপর জিজিয়া। চাপিয়ে দাও"(অর্থাৎ তাদের জিম্মি করে রাখো।)। আমরা সেই মহান হানিফাকেই অনুসরণ করি। অন্যান্য টীকাকারদের মতে হিন্দুদের সামনে দুটো রাস্তা, হয় ইসলাম, নয় মৃত্যু। " জিয়াউদ্দিন বারনী, তারিখ-ই-ফিরোজশাহী। বিগত ৭০০/৮০০ বছরের মুসলমান পরাধীনতার আমলে হিন্দুরা কি বিড়ম্বনাময় জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়েছে, উপরিউক্ত কথোপকথন তার একটি প্রামান্য দলিল। অধিক জানতে হলে কৌতুহলী পাঠক এই লেখকের 'মিথ্যার আবরণে দিল্লী আগ্রা ফতেপুর সিক্রি" দেখতে পারেন।
(অপমানজনক জিজিয়া)
একদিন মুঘিসুদ্দীন নামে এক কাজী আলাউদ্দীন খিলজির রাজ সভায় আসে। আলাউদ্দিন তখন সেই কাজীকে জিজ্ঞাসা করল, 'খরজ গৌজার' (বা জিজিয়া প্রদানকারী) এবং 'খরজ দিহ্' (বশ্যতার নিদর্শন স্বরূপ কর প্রদানকারী) হিন্দুদের সঙ্গে ইসলামী শাস্ত্র মুসলমানদের কি রকম ব্যবহার করতে নির্দেশ করে?" জবাবে মুঘিসুদ্দিন বলে, 'তারা হল জিজিয়া প্রদানকারী জিম্মী। জিজিয়া আদায়কারী মুসলমান কর্মচারী তাদের কাছে রৌপ্যমুদ্রা দাবি করলে তাদের উচিত হবে সসম্মানে ও বিনয়ের সাথে স্বর্ণমূদ্রা প্রদান করা। সেই কর আদায়কারী যদি রেগে গিয়ে তাদের দিকে নোংরা বা ধুলো ছুঁড়ে,মারে তবে তাদের উচিত হবে হাঁ করে তা গিলে ফেলা। এভাবেই তারা সেই কর আদায়কারীকে সম্মান দেখাবে। এইভাবে বিনয়ের সাথে কর দিয়ে এবং বিনা প্রতিবাদে নোংরা গিলে তারা বশ্যতার প্রমাণ দেবে এবং এর মধ্য দিয়েই ইসলামের গৌরব ও মেকি ধর্মের (অর্থাৎ হিন্দুধর্মের) হীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে। স্বয়ং আল্লা তাদের ঘৃণা করেন এবং বলেন, 'তাদের সবর্দা পরাধীন করে রাখ"। হিন্দুদের এইভাবে সদা সর্বদা হীন করে রাখাই আমাদের ধর্মীয় কর্তব্য, কারণ তারা আল্লার রসুলের অর্থাৎ নবী মহম্মদের চিরস্থায়ী শক্র। তা ছাডা আল্লার রসুল আমাদের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন, "তাদের হত্যা কর, লুন্ঠন কর এবং তাদের ক্রীতদাসে পরিণত কর। তিনি বলে গিয়েছেন "তাদের হত্যা কর অথবা ধর্মান্তরিত কর, তাদের যথাসর্বস্ব লুঠ কর এবং দাসত্ব করতে বাধ্য কর।"
ইসলামের মহান ঢীকাকার হানিফার মত হল, "হিন্দুদের উপর জিজিয়া। চাপিয়ে দাও"(অর্থাৎ তাদের জিম্মি করে রাখো।)। আমরা সেই মহান হানিফাকেই অনুসরণ করি। অন্যান্য টীকাকারদের মতে হিন্দুদের সামনে দুটো রাস্তা, হয় ইসলাম, নয় মৃত্যু। " জিয়াউদ্দিন বারনী, তারিখ-ই-ফিরোজশাহী। বিগত ৭০০/৮০০ বছরের মুসলমান পরাধীনতার আমলে হিন্দুরা কি বিড়ম্বনাময় জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়েছে, উপরিউক্ত কথোপকথন তার একটি প্রামান্য দলিল। অধিক জানতে হলে কৌতুহলী পাঠক এই লেখকের 'মিথ্যার আবরণে দিল্লী আগ্রা ফতেপুর সিক্রি" দেখতে পারেন।