কেমনে হইবেন ডিজিটাল (টালমাটাল) পীর
ডিজিটাল (টালমাটাল) পীর হইতে হইলে প্রথমেই একটি ব্লগ খুঁজে নিন যেখানে বাংলা ভাষায় ইচ্ছেমতন লেখা যায়, যেখানের অধিকাংশ ব্লগার খাতা কলমে মুসলিম (থার্টিফাস্টে মদের বোতল, বৈশাখে পান্তা-ইলিশ, বোগলে গার্লফ্রেন্ড, শুধু শুক্রবারে জুম্মা পড়ে মুসলমানিত্বের পরকাষ্ঠা দেখানো মুসলিম, আরবী অক্ষর দেখলেই এদের ঈমান দাঁড়িয়ে যায়, সেটাতে আসলে কি লেখা বুঝবার ক্ষমতাটুকু নেই)। স্যাম্পল, সামহ্যয়ারইন ব্লগ।
এবারে একটা খাঁটি আরবী নাম খুলে বসুন, যেমন আল্লামা হয়রান, মুফতি ক্লান্ত ব্রাকেটে গরুর ডাক্তার, সম্ভব হলে নামের মধ্যে "মুসলিম" শব্দটা রেজিষ্টার করে ফেলুন (ইংরেজী অক্ষরে হলেও চলবে)।
এবারে আপনার মুরিদ হিসেবে ধামা ধরার জন্য কিছু নিক খুলে ফেলুন, যেসব নিক থেকে আপনি সর্বদাই আপনার "গ্যয়ানগব্ব" টাইপ থিসিসে "অত্যন্ত সুন্দর লিখেছেন", "নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান" "সত্যের জয় হবেই" "আপনি থামবেন না, লিখে যান" ইত্যাদী টেমপ্লেট কপিপেষ্ট কমেন্ট দিবেন এবং মানুষ ভাববে আপনি একজন উন্নত মানের গোবেষক, নেহাৎই ভাগ্য দোষে কিম্বা বিবর্তনবাদী বান্দরের বাচ্চাদের ষড়যন্ত্রের কারণে নোবেলটা জুটছে না।
এবারে কিছু "গ্যয়ানগব্ব" টাইপ থিসিস লিখে ফেলুন। কষ্ট করার কোনো দরকার নেই, "পুরুষের চার বৌ হলে রোগ প্রতিরোধ ঘটে আর মেয়ের একের বেশী স্বামী থাকলে এইডস-সিফিলিস-গনোরিয়া নিশ্চিৎ" অথবা "বাবা আদম হাতে করে একটি ডালিম গাছ এনেছিলেন, তাই বিবর্তন মিথ্যা", স্টিফেন হকিং একটা মানুষ মাত্র তার উপরে সে মুস্লিম নয়, (অর্থাৎ তার অন্তরে মোহর মারা আছে) তাই তার কথা কখনো কোরানের আয়াতের চাইতে বেশি সঠিক হতে পারে না। অথবা "ইসলামি রাজনীতি না করলে বেহেস্ত লাভ হবে না, দেশে একামত্র জামাতই খাঁটি ইসলামী দল" অথবা "মোল্লা সাহেব ভালো যাই করেন সব আল্লাহর ইচ্ছায়, কেবল নাবালিকা ধর্ষন করেছেন শয়তানের ধোকায়, তাই মোল্লা সাব নিশ্পাপ, ইহা ছহি এছলাম নহে এবং শয়তানের নামে মামলা ঠোকা হোক" অথবা "আসলে মোল্লা সাব ভালু লোক, পাঁচ বচ্ছরের মাইয়াটাই তারে ধর্ষক হইতে উস্কানি দিছে, পাঁচ বছরের ঐ মাইয়াটা যৌনবিকৃতিতে আক্রান্ত এবং সন্দেহাতীত ভাবেই ইহা য়্যাহুদি-নাছারার ষড়যন্ত্র"
যেকোনো বিরুদ্ধ যুক্তির সহজ উত্তর আছে। মন দিয়ে কোরান পড়তে বলবেন। পড়তে পড়তে একদিন বেকুবেরা বুড়ো হয়ে মারা যাবে। সেদিন পারলে তার কবরে একটা কোরান গিফট করতে পারেন। কেয়ামত অবধি কবরের মধ্যে অপেক্ষা করার সময় একটু পড়াশুনা করে নিতে পারবে।
এমন আরো অনেক কিছুই আছে, সব দিতে গেলে পোস্ট লম্বা হবে।, কেউ পড়বে না। না পড়ে কমেন্ট ভাল্লাগেনা বলেই অল্প লিখে ছেড়ে দিলাম।
ডিজিটাল (টালমাটাল) পীর হইতে হইলে প্রথমেই একটি ব্লগ খুঁজে নিন যেখানে বাংলা ভাষায় ইচ্ছেমতন লেখা যায়, যেখানের অধিকাংশ ব্লগার খাতা কলমে মুসলিম (থার্টিফাস্টে মদের বোতল, বৈশাখে পান্তা-ইলিশ, বোগলে গার্লফ্রেন্ড, শুধু শুক্রবারে জুম্মা পড়ে মুসলমানিত্বের পরকাষ্ঠা দেখানো মুসলিম, আরবী অক্ষর দেখলেই এদের ঈমান দাঁড়িয়ে যায়, সেটাতে আসলে কি লেখা বুঝবার ক্ষমতাটুকু নেই)। স্যাম্পল, সামহ্যয়ারইন ব্লগ।
এবারে একটা খাঁটি আরবী নাম খুলে বসুন, যেমন আল্লামা হয়রান, মুফতি ক্লান্ত ব্রাকেটে গরুর ডাক্তার, সম্ভব হলে নামের মধ্যে "মুসলিম" শব্দটা রেজিষ্টার করে ফেলুন (ইংরেজী অক্ষরে হলেও চলবে)।
এবারে আপনার মুরিদ হিসেবে ধামা ধরার জন্য কিছু নিক খুলে ফেলুন, যেসব নিক থেকে আপনি সর্বদাই আপনার "গ্যয়ানগব্ব" টাইপ থিসিসে "অত্যন্ত সুন্দর লিখেছেন", "নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান" "সত্যের জয় হবেই" "আপনি থামবেন না, লিখে যান" ইত্যাদী টেমপ্লেট কপিপেষ্ট কমেন্ট দিবেন এবং মানুষ ভাববে আপনি একজন উন্নত মানের গোবেষক, নেহাৎই ভাগ্য দোষে কিম্বা বিবর্তনবাদী বান্দরের বাচ্চাদের ষড়যন্ত্রের কারণে নোবেলটা জুটছে না।
এবারে কিছু "গ্যয়ানগব্ব" টাইপ থিসিস লিখে ফেলুন। কষ্ট করার কোনো দরকার নেই, "পুরুষের চার বৌ হলে রোগ প্রতিরোধ ঘটে আর মেয়ের একের বেশী স্বামী থাকলে এইডস-সিফিলিস-গনোরিয়া নিশ্চিৎ" অথবা "বাবা আদম হাতে করে একটি ডালিম গাছ এনেছিলেন, তাই বিবর্তন মিথ্যা", স্টিফেন হকিং একটা মানুষ মাত্র তার উপরে সে মুস্লিম নয়, (অর্থাৎ তার অন্তরে মোহর মারা আছে) তাই তার কথা কখনো কোরানের আয়াতের চাইতে বেশি সঠিক হতে পারে না। অথবা "ইসলামি রাজনীতি না করলে বেহেস্ত লাভ হবে না, দেশে একামত্র জামাতই খাঁটি ইসলামী দল" অথবা "মোল্লা সাহেব ভালো যাই করেন সব আল্লাহর ইচ্ছায়, কেবল নাবালিকা ধর্ষন করেছেন শয়তানের ধোকায়, তাই মোল্লা সাব নিশ্পাপ, ইহা ছহি এছলাম নহে এবং শয়তানের নামে মামলা ঠোকা হোক" অথবা "আসলে মোল্লা সাব ভালু লোক, পাঁচ বচ্ছরের মাইয়াটাই তারে ধর্ষক হইতে উস্কানি দিছে, পাঁচ বছরের ঐ মাইয়াটা যৌনবিকৃতিতে আক্রান্ত এবং সন্দেহাতীত ভাবেই ইহা য়্যাহুদি-নাছারার ষড়যন্ত্র"
যেকোনো বিরুদ্ধ যুক্তির সহজ উত্তর আছে। মন দিয়ে কোরান পড়তে বলবেন। পড়তে পড়তে একদিন বেকুবেরা বুড়ো হয়ে মারা যাবে। সেদিন পারলে তার কবরে একটা কোরান গিফট করতে পারেন। কেয়ামত অবধি কবরের মধ্যে অপেক্ষা করার সময় একটু পড়াশুনা করে নিতে পারবে।
এমন আরো অনেক কিছুই আছে, সব দিতে গেলে পোস্ট লম্বা হবে।, কেউ পড়বে না। না পড়ে কমেন্ট ভাল্লাগেনা বলেই অল্প লিখে ছেড়ে দিলাম।