কাছিম কাহিনী প্রথম বার্তা
ছোট্ট কাছিম করল যবে জাস্ট বিয়া
মনের মত মাঠ দিলনা পাগলাতে
করত কি সে শুকিয়ে যাওয়া ক্ষেত নিয়া!
লাঙলটা তার চলত না হায় সেই ক্ষেতে।
কাছিম ছিল বেজায় মনোকষ্টেতে
শষ্যক্ষেতে হৈতনা তার বৃষ্টিপাত
ক্লান্ত হল দুম্বা এবং ঊষ্ট্রেতে!
ব্যথা করে উঠল তাহার দুইটি হাত।
পাগলা তখন ওপেন করে সেফটি ভল্ট
পাঠিয়ে দিল উড়নদূতের হাত দিয়ে
যে বইখানা এই দুনিয়ার সবচে' হট
বললে - যা, তোর প্রভুর নামে পড় গিয়ে।।
কাছিম কাহিনীঃ অলৌকিক অঙ্গীকার
ছোট্ট কাছিম হৈল যবে জাস্ট বড়
তারে একখান লাঙ্গল দিল পাগলাতে
লাঙ্গলখানা সত্যি ছিল বেশ দড়
ছোট্ট কাছিম পারছিলনা সামলাতে।
কাছিম ছিল বড়ই মনোকষ্টেতে
লাঙ্গল কাজে লাগল না তার একদিনও
পাগলা তখন লাগিয়ে দিল তার সাথে
উনতিরিশ ম্যান-পাওয়ারের ইঞ্জিনও।
তারপরে যা হৈল তাহা ঐতিহাস
টেম্পারেচার এমনি ছিল বেশ গরম
তার উপরে তিরিশ পাওয়ার এক্সট্রাতে
পড়ল কাছিম অ-সুবিধায় বেশ চরম।
পাগলা তখন জগত জুড়ে শষ্যক্ষেত
বানিয়ে দিল সেই প্রব্লেম করতে দূর
বললে এখন যা জোটে তাই চালিয়ে নাও
মরার পরে তোমায় দেবো লক্ষ হূর।
কাছিম কাহিনী - মূর্তি হারাম
ছোট্ট কাছিম হইয়া গেল আধবুড়া
নিজের চেয়েও বৃদ্ধ বিবি সামলাতে।
অন্যদিকে আবুতালিব (তার খুড়া)
লাগায় তারে মূর্তি সাফাই কামলা-তে।।
কাছিম ছিল বেজায় মনোকষ্টেতে
কাবার ভেট-এর হইত না সে অংশীদার।
মাগনা কেবল সাফাই করার চেষ্টাতে
এলার্জিতে বাজত নাকে বংশী তার ।।
তাইত কাছিম রইত বিবির ঘরজামাই
চাচার কাছে মোটেও যেতে চাইত না
গুহায় গিয়ে দুম্বা নিয়ে খেলত তাই
সেখানে কেউ বাগড়া দিতে যাইত না।।
মনের দুখে কাছিম শুধু করত ধ্যান
বকরী নিয়ে পালিয়ে যেত পর্বতে।
পাগলা তখন মূর্তিপূজাই করল ব্যান
নতুন করে পাঠানো তার ধর্মতে।
কাছিম কাহিনীঃ কুত্তা খারাপ!
দামড়া কাছিম যাইতেছিল মাঝরাতে
চাচাত বোন উম্মে-হানীর ঘরপানে
একলা কেন? নেই কেন তার কেউ সাথে?
মতলব তার কী ছিল তা সেই জানে।
কুত্তা ছিল অনেক গুলি সেই দেশে
মধ্যরাতে কাছিম দেখে করল ঘেউ
কাছিম ভাবে এবার বুঝি যাই ফেঁসে
ঘুম ভেঙে এই লাফিয়ে বুঝি ধরল কেউ।।
বল্ল কাছিম "পাগলা এবার সামলা রে!
এমন করে দিন চালানো হয়না আর
পড়লে ধরা খেতেই হবে মামলা রে
কোথায় পাবো মধ্যরাতে ময়না আর"।।
পাগলা তখন চুলকে মাথা রুল আজীব
বানিয়ে দিল সেই প্রব্লেম করতে দূর
এবার থেকে কুত্তা গুলো হারাম জীব
কুত্তা তাড়াও, মরার পরে মিলবে হূর।।
কাছিম কাহিনী। সুদ হারাম।।
-----------------------
দামড়া কাছিম ধর্ম নিয়ে খুব খোঁচায়
ছাড়তে হল জন্মভূমি মক্কা যে
তাই মদীনায় পরের খেয়ে প্রাণ বাঁচায়
খোদার দয়ায় পকেট তাহার ফক্কা যে
কাছিম ছিল বেজায় মনোকষ্টেতে
যুদ্ধ করে দেশ দখলের খুব খোয়াব
দেরি কেবল মস্ত সেনার দল পেতে
অস্ত্র পেলেই উঠবে বেড়ে ঠিক রোয়াব
তাইত কাছিম ঋণ করে যায় সবখানে
সত্তর গুণ সুদ দেবে তার আল্লাতে
ফেরেস্তারা হিসাব কিতাব সব জানে
ভুল হবেনা তাদের দাঁড়িপাল্লাতে
ঋণের টাকায় জোগাড় করে সৈন্যদল
করল কাছিম অনেকগুলি যুদ্ধ যে
জায়গাজমি তঙ্কা এবং দেশ দখল
দাস বানালো মানুষগুলো শুদ্ধ যে
এমনি করে হৈল কাছিম মস্ত লোক
কিন্তু তাহার ঋণের কোনো অন্ত নেই
যুদ্ধ জিতেও কাছিম করে দুঃখশোক
পাওনাদারের তাড়ায় জীবন শান্ত নেই।
বল্ল কাছিম "আল্লা এবার সামলা রে
এমন করে দ্বীন চালানো হয়না আর
পড়লে ধরা, খেতেই হবে মামলা রে
সুদ মিটিয়ে ফকির হওয়া সয়না আর"
আল্লা তখন বল্ল হেসে "কর আরাম
বকরি কেটে আয়েশ করে ধর বোতল
এখন থেকে সুদের টাকা সব হারাম
সুদ চাইলেই আমার নামে কর কোতল।"