আজকাল বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার ইসলামীকরণের যুগ। সব কিছুই ছাগুদের মত হতে চলেছে। কিন্তু ছাগুদের দ্বারা কোনো কিছু ক্রিয়েটিভ হওয়া সম্ভব নয়। তাই আমাকেই হাত লাগাতে হল।
সালমা বহিন (কাজলা দিদি)
খেজুর গাছের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
আম্মু আমার নামাজ পড়া সালমা বহিন কই?
মসজিদের অই কুয়ার ধারে
হুজুর বুড়ো ওয়াজ পড়ে
সেই আওয়াজে ঘুম আসে না একলা জেগে রই।
আম্মু আমার কোলের কাছে সালমা বহিন কই?
সেদিন হতে আম্মু কেন সালমা নাহি ডাকো
তার কথাতে হিজাব দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?
নাস্তা খেতে আসি যখন
বহিন বলে ডাকি যখন
ও-ঘর থেকে আম্মু কেন বহিন আসে নাকো?
আমি ডাকি, তুমি কেন খামোশ হয়ে থাকো?
বল না বহিন কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে হুজুর বুড়োর সাথে আমার বিয়ে হবে
হুজুর বুড়োর কোলে চড়ে
যাব যখন শ্বসুরঘরে
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে?
মোল্লাসাবের সাথেই তখন তোমার নিকা হবে।
ঝরা ফুলে ভরিয়ে গেছে খেজুর তলা খানি
মাড়াস নে তুই আম্মু যখন আনতে যাবি পানি
খেজুর পাতার ফাঁকে ফাঁকে
বুববুলিটা লুকিয়ে থাকে
ডাল ধরে তাই তুই যেন না করিস টানাটানি
বহিন এসে শুনতে পেলে কি বলবে কি জানি!
খেজুর গাছের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
এমন সময় আম্মু আমার সালমা বহিন কই?
আসতে যেতে কুয়োর পাড়ে
বুড়ো হুজুর তাকায় আড়ে
মনের ধন্দে ঘুম আসে না তাইতো জেগে রই—
রাত্রি হোলো, আম্মু আমার সালমা বহিন কই?