মুসলিম জঙ্গীর সঙ্গে কমিউনিস্টের ব্যাপক মিল লক্ষ্য করা যায়। পৃথিবীতে এত মুসলিম দেশ থাকতেও কখনো দেখা যায়নি যে বিধর্মী কাফেরের দেশ ত্যাগ করে মুসলমানেরা তাদের স্বপ্নের দেশে চলে গেছে। বরং সেইসব পরম শান্তির দেশ থেকে দলে দলে মুসলমান লাইন দিয়ে থাকে কাফেরের দেশে ভিসা পাওয়ার জন্য। যারা জন্মসূত্রেই কাফের দেশের নাগরিক তাদের ত কথাই নেই। লাথি মেরেও তাড়ানো যাবে না।
কমিউনিস্ট ঠিক একই ধর্মের। তারা ঠিক ইসলামী জঙ্গীদের মতই যেখানেই ক্ষমতা হাতে পেয়েছে সেখানেই গণহত্যা চালিয়ে সব রকমের সমালোচনা শেষ করে দিয়েছে। কিন্তু এর পরেও আজ পর্যন্ত কোথাও তারা উন্নতি করে দেখাতে পারেনি। নিজেদের ব্যর্থতা চেপে রাখার জন্য সেন্সরশিপের মাধ্যমে সত্য গোপন করতেও তারা ওস্তাদ। নিজেদের দেশে সমালোচনা করলেই যারা খুন করে ফেলে তারাই আবার গণতান্ত্রিক দেশে বসে বসে গণতন্ত্রের গুষ্টি উদ্ধার করবে। দুনিয়ার সব ধরণের ব্যবস্থাকেই তারা ফালতু প্রমাণ করে দিতে পারে কেবল কমিউনিস্ট দেশের মাটিতে ঢুকে কমিউনিজমের একটা কিছু নিয়ে প্রশ্ন করলেই যে মুন্ডুটি হারাতে হবে সে ব্যাপারে কোনো সমালোচনা এদের মুখে শোনা যায় না। ইসলামী জঙ্গীদের মতই তাদেরও যুক্তিপ্রমাণের প্রয়োজন হয় না। সমালোচকের মুন্ডু কেটে নিতে পারলেই তাদের বক্তব্য সত্যি হয়ে যাবে বলে তাদের অন্ধ বিশ্বাস।
এইসব কট্টর বিরোধীদের সমান অধিকার দিয়ে রেখেও পৃথিবীর সমস্ত দেশই উন্নতিই করছে। কিন্তু অন্যদিকে কমিউনিস্ট দেশের মাটিতে একটা সমালোচক পর্যন্ত বেঁচে না থাকলেও সে দেশগুলো টিকে থাকতে পারে না। এমন একটা কাল্পনিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে এরা শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা বলে দাবী করে, ঠিক মুসলিম জঙ্গীদের মতই। আর মুসলিম জঙ্গীদের মতই কাল্পনিক স্বর্গীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার নামে লুটপাট চালিয়ে খেতে এরা খুবই অভ্যস্ত।
কমিউনিস্ট এবং জঙ্গী মুসলিম, দুইয়েরই মূল ভিত্তি হল এক অবাস্তব তত্ব। যে তত্বকে সত্যি প্রমাণ করার একমাত্র উপায় হল প্রতিপক্ষের মাথাটি কেটে নেওয়া। এই কারণেই এই দুই আপাত বিরোধী দলের মধ্যে কাজকর্মে প্রচন্ড মিল দেখা যায়। ইসলামী দেশগুলোতে কমিউনিজমের কোনো গন্ধ না পাওয়া গেলেও কমিউনিস্ট সরকার মাত্রেই ইসলামী জঙ্গীদের সমর্থক। পাকিস্তানের উপর আক্রমণের সম্ভাবনা দেখলে সবার আগে চীনের গদী টলে ওঠে। ফিলিস্তিনে জঙ্গীদের উপর আক্রমণ হতে দেখলে রাশিয়া লাফালাফি শুরু করে দেয়। কিন্তু মুসলিম জঙ্গীদের হাতে যতবড় খুনোখুনিই হোক না কেন এরা কিছুতেই সে সম্পর্কে মুখ খোলে না।
কমিউনিস্টদের এত বেশি মুসলিম প্রীতির আরেকটা কারণ হল কমিউনিস্টের রাজনীতি প্রায় মুসলিমের ধর্মের মতই। মুসলমান যেমন রাষ্ট্রের সমস্ত স্তরেই শুধুমাত্র মুসলমান দেখতে চায় তেমনই কমিউনিস্ট চায় রাষ্ট্রের সমস্ত ব্যবস্থার মধ্যে পার্টির লোক ঢুকিয়ে রাখতে। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট থেকে ঝাড়ুদার অবধি সকলেই হতে হবে পার্টির লোক। নিরপেক্ষতা জিনিসটা মুসলমান এবং কমিউনিস্ট দুজনের কাছেই হারাম।
এই দুই কাল্পনিক ব্যবস্থার দালালেরাই নিজেদের সেরা সিস্টেম হিসাবে দেখার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু আজ অবধি মানুষকে মানুষ করে তোলার ব্যাপারে এই দুটি ব্যবস্থাই একেবারে নিচের তলায় রয়ে গেছে। এইসব প্র্যাক্টিক্যালি হ্যাভ-নটস দের সেরা হবার একটাই পথ, তা হল অন্য সব ব্যবস্থা গুলোকে নষ্ট করে দেওয়া। আর এই কাজে মুসলিম জঙ্গীর মত পেয়াদা আর কোথাও পাওয়া যায় না। তাই মুসলিম জঙ্গীরা যখনই কোনো উন্নত দেশের ক্ষতি করতে গিয়ে মারা পড়ে তখনই কমিউনিস্টের চোখে বান ডেকে যায়। এই মুসলিমরাই আবার নিজেদের মধ্যে মারামারি করলে কিম্বা কমিউনিস্টদের হাতে মারা পড়লে সেই মানবতার 'মা'কে খুঁজে পাওয়া যায় না।
22 July 2014
কমিউনিস্ট ঠিক একই ধর্মের। তারা ঠিক ইসলামী জঙ্গীদের মতই যেখানেই ক্ষমতা হাতে পেয়েছে সেখানেই গণহত্যা চালিয়ে সব রকমের সমালোচনা শেষ করে দিয়েছে। কিন্তু এর পরেও আজ পর্যন্ত কোথাও তারা উন্নতি করে দেখাতে পারেনি। নিজেদের ব্যর্থতা চেপে রাখার জন্য সেন্সরশিপের মাধ্যমে সত্য গোপন করতেও তারা ওস্তাদ। নিজেদের দেশে সমালোচনা করলেই যারা খুন করে ফেলে তারাই আবার গণতান্ত্রিক দেশে বসে বসে গণতন্ত্রের গুষ্টি উদ্ধার করবে। দুনিয়ার সব ধরণের ব্যবস্থাকেই তারা ফালতু প্রমাণ করে দিতে পারে কেবল কমিউনিস্ট দেশের মাটিতে ঢুকে কমিউনিজমের একটা কিছু নিয়ে প্রশ্ন করলেই যে মুন্ডুটি হারাতে হবে সে ব্যাপারে কোনো সমালোচনা এদের মুখে শোনা যায় না। ইসলামী জঙ্গীদের মতই তাদেরও যুক্তিপ্রমাণের প্রয়োজন হয় না। সমালোচকের মুন্ডু কেটে নিতে পারলেই তাদের বক্তব্য সত্যি হয়ে যাবে বলে তাদের অন্ধ বিশ্বাস।
এইসব কট্টর বিরোধীদের সমান অধিকার দিয়ে রেখেও পৃথিবীর সমস্ত দেশই উন্নতিই করছে। কিন্তু অন্যদিকে কমিউনিস্ট দেশের মাটিতে একটা সমালোচক পর্যন্ত বেঁচে না থাকলেও সে দেশগুলো টিকে থাকতে পারে না। এমন একটা কাল্পনিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে এরা শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা বলে দাবী করে, ঠিক মুসলিম জঙ্গীদের মতই। আর মুসলিম জঙ্গীদের মতই কাল্পনিক স্বর্গীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার নামে লুটপাট চালিয়ে খেতে এরা খুবই অভ্যস্ত।
কমিউনিস্ট এবং জঙ্গী মুসলিম, দুইয়েরই মূল ভিত্তি হল এক অবাস্তব তত্ব। যে তত্বকে সত্যি প্রমাণ করার একমাত্র উপায় হল প্রতিপক্ষের মাথাটি কেটে নেওয়া। এই কারণেই এই দুই আপাত বিরোধী দলের মধ্যে কাজকর্মে প্রচন্ড মিল দেখা যায়। ইসলামী দেশগুলোতে কমিউনিজমের কোনো গন্ধ না পাওয়া গেলেও কমিউনিস্ট সরকার মাত্রেই ইসলামী জঙ্গীদের সমর্থক। পাকিস্তানের উপর আক্রমণের সম্ভাবনা দেখলে সবার আগে চীনের গদী টলে ওঠে। ফিলিস্তিনে জঙ্গীদের উপর আক্রমণ হতে দেখলে রাশিয়া লাফালাফি শুরু করে দেয়। কিন্তু মুসলিম জঙ্গীদের হাতে যতবড় খুনোখুনিই হোক না কেন এরা কিছুতেই সে সম্পর্কে মুখ খোলে না।
কমিউনিস্টদের এত বেশি মুসলিম প্রীতির আরেকটা কারণ হল কমিউনিস্টের রাজনীতি প্রায় মুসলিমের ধর্মের মতই। মুসলমান যেমন রাষ্ট্রের সমস্ত স্তরেই শুধুমাত্র মুসলমান দেখতে চায় তেমনই কমিউনিস্ট চায় রাষ্ট্রের সমস্ত ব্যবস্থার মধ্যে পার্টির লোক ঢুকিয়ে রাখতে। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট থেকে ঝাড়ুদার অবধি সকলেই হতে হবে পার্টির লোক। নিরপেক্ষতা জিনিসটা মুসলমান এবং কমিউনিস্ট দুজনের কাছেই হারাম।
এই দুই কাল্পনিক ব্যবস্থার দালালেরাই নিজেদের সেরা সিস্টেম হিসাবে দেখার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু আজ অবধি মানুষকে মানুষ করে তোলার ব্যাপারে এই দুটি ব্যবস্থাই একেবারে নিচের তলায় রয়ে গেছে। এইসব প্র্যাক্টিক্যালি হ্যাভ-নটস দের সেরা হবার একটাই পথ, তা হল অন্য সব ব্যবস্থা গুলোকে নষ্ট করে দেওয়া। আর এই কাজে মুসলিম জঙ্গীর মত পেয়াদা আর কোথাও পাওয়া যায় না। তাই মুসলিম জঙ্গীরা যখনই কোনো উন্নত দেশের ক্ষতি করতে গিয়ে মারা পড়ে তখনই কমিউনিস্টের চোখে বান ডেকে যায়। এই মুসলিমরাই আবার নিজেদের মধ্যে মারামারি করলে কিম্বা কমিউনিস্টদের হাতে মারা পড়লে সেই মানবতার 'মা'কে খুঁজে পাওয়া যায় না।
22 July 2014