ওরে সুশীল, কলম হাতে নিয়ে
শুধুই যদি করিস লেখালেখি,
ভাবিস মনে যত পাঠক গিয়ে
উঠবে নেচে তোদের দেখাদেখি,
অপরাধীর ফাঁসির দাবী তুলে
নিজ গলায় লাগাস টাইয়ের ফাঁস,
গরম দিনে পাখার হাওয়া খুলে
বোতল থেকে শীতল পানি খাস,
জগৎটাকে বদলে দিতে রোজই
অফিস বাড়ি করিস আসা যাওয়া,
মধ্যে মাঝে আটকে গেলে পথে
ভদ্র ভাবে শুদ্ধ গালি দেওয়া।
ট্রেণে বাসে যাওয়া আসার পথে
দুঃখ নিয়ে লক্ষ আলোচনা—
সব সমাধান আলমারিতে রেখে
আবার চলে অফিস আনাগোনা,
কেমন করে কাটানো যায় ছুটি
কাজের মাঝে হিসাব চলে তার,
খরচ কিসে কমানো যায় ভেবে
করে চলিস দেশের উপকার,
টিপিন বেলা খাওয়ার খেলা সেরে
শুদ্ধ জলে হস্ত দুটি ধোওয়া—
মাসের শেষে বিলের দেখা পেলে
ভদ্র ভাবে শুদ্ধ গালি দেওয়া।
এমনি করে অতীত কেটে গেছে
এমন করেই হয় যদি শেষ দিন,
রক্ত ঢেলে শক্তি দিল যারা
শুধবি কবে তাদের মহাঋণ?
তোদের পরে আসছে যারা কাঁচা
তাদের ঘাড়ে ঋণের বোঝা ফেলে—
নিজের মত বিজন ঘরে বাঁচা
কেমন করে কাটাস হেসে খেলে?
সমস্যাকে দেখেই মনে আসে
সুযোগ খুঁজে বিদেশ চলে যাওয়া—
সেখান থেকে আরাম লাগে বেশি
ভদ্র ভাবে শুদ্ধ গালি দেওয়া
খোলোস খুলে আসবি কবে তোরা
পথের মাঝে কাজ রয়েছে বাকি,
দেখিস না কি মহান কত চোরা
দুবেলা রোজ দিচ্ছে তোকে ফাঁকি।
অনেক হল তত্ব আলোচনা
আকাশ ছোঁয়া চিন্তা বহু হল
সেই সময়ে নেপোয় মেরে দই
মালসা হাতে ধরিয়ে দিয়ে গেল।
এখন তোদের পথ রয়েছে দুটি
ভদ্র হয়ে মালসা চেটে খাওয়া—
কিম্বা নেপোর চুলের মুঠি ধরে
ঠ্যাং টি ভেঙ্গে ল্যাংড়া করে দেওয়া।।