মহম্মদ এই নাতিনীর বয়সী বালিকার প্রতি নজর দিলেন কেন? অনেকেরই ধারণা যে আবু-বকর এর সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপনের প্রয়োজন ছিল। প্রথমতঃ তো আবু বকর মহম্মদের ধর্মের প্রতি আগেই বিশ্বাস আনিয়াছিলেন এবং তাঁহাকে খোদার রসুল স্বীকার করিয়া লইয়াছিলেন, অর্থাৎ মহম্মদের বাক্যকে তিনি ঈশ্বরের বাক্য মানিতেন। কাজেই এই ধরণের ব্যক্তিগত আত্মীয়তার কোনো প্রয়োজনই ছিল না। তবুও ধরা যাক, কখনো যদি এই বিশ্বাসের সম্পর্ক দুর্বল হইয়াও পড়িত তবে তাহা মজবুত করিবার সর্বাধিক সভ্য পন্থা এই ছিল যে মহম্মদ আবুবকর এর কন্যাকে নিজ কন্যা করিয়া লইতেন, নিজহস্তে তাহার বিবাহ দিতেন, তাহার বিবাহে যৌতুক প্রদান করিয়া পিতার স্থান গ্রহণ করিতেন। কিন্তু আরববাসীরা এই প্রকার মোটাদাগের সম্পর্ক ব্যতীত আর কোনো ভদ্রসভ্য সম্পর্কের খবর রাখিত না।
"সৈয়দ আমীর আলি" লিখিয়াছেন যে আরবে কোনো নারী কেবল পত্নী সম্পর্ক ব্যতীত কোনো পরপুরুষের নিকট বাস করিতে পারিত না। মহম্মদ তাঁহার রাজনৈতিক প্রয়োজনে বাধ্য হইয়া ধারাবাহিক বিবাহ করিয়াছিলেন। আহা! প্রিয় ভারত!! পবিত্রতার নক্ষত্র ভারত!!! প্রাচীন আর্যদের প্রাচীন সভ্যতার ভারত!!!! ঔরঙ্গজেব এর পৌত্রী সফিউন্নীসাকে দুর্গাদাস আপন কন্যা হিসাবে গ্রহণ করিয়াছিলেন, গোলেদারীর আসীর শাহজ়াদী, যিনি লুটের মাল হিসাবে আসিয়াছিলেন, তাঁহাকে শিবাজী আপন কন্যা মানিতেন।
তবে ইহাও মনে রাখিতে হইবে যে আয়েশা অতি কোমল ও লঘুশরীর ছিলেন, তাই পালকী তুলিবার সময় তিনি ভিতরে আছেন কিনা তাহা বুঝিতেই পারা যায় নাই। আয়েশা সেখানেই অসহায় বসিয়া রহিলেন। এই বুঝি কেহ লইতে আসিল, এই বুঝি কেহ আসে, এই প্রতীক্ষায় প্রভাত হইয়া গেল, কেহই আসিল না। ভাগ্যক্রমে সাফবান তাহার ঊট লইয়া সেই পথে যাইতেছিল। আয়েশাকে দেখিয়াই সে চিনিতে পারিল এবং কোনো কথাবার্তায় না গিয়া আয়েশার সামনে নিজের ঊট বসাইয়া দিল। আয়েশাও একলাফে তাহাতে চড়িয়া বসিলেন। এইভাবে একরাত্রি পার করিয়া তিনি প্রিয় মহম্মদের সহিত মিলিত হইলেন।
এখন এই অবস্থায় কে কাহার মুখ বন্ধ করিত! নানাপ্রকার কথাবার্তা শুরু হইয়া গেল। ধীরে-ধীরে মহম্মদও আয়েশার প্রতি বিরক্ত হইয়া উঠিলেন। এ অবস্থায় বেচারী আয়েশা আর কোনো উপায় না দেখিয়া আপন পিতা-মাতার নিকট চলিয়া গেলেন। মাতা তাঁহাকে ভুলাইয়া রাখিবার যন্য যত্ন করিতেন, কিন্তু তাহাতে আয়েশার মনের দুঃখকষ্ট দূর হইত না।
"সৈয়দ আমীর আলি" লিখিয়াছেন যে আরবে কোনো নারী কেবল পত্নী সম্পর্ক ব্যতীত কোনো পরপুরুষের নিকট বাস করিতে পারিত না। মহম্মদ তাঁহার রাজনৈতিক প্রয়োজনে বাধ্য হইয়া ধারাবাহিক বিবাহ করিয়াছিলেন। আহা! প্রিয় ভারত!! পবিত্রতার নক্ষত্র ভারত!!! প্রাচীন আর্যদের প্রাচীন সভ্যতার ভারত!!!! ঔরঙ্গজেব এর পৌত্রী সফিউন্নীসাকে দুর্গাদাস আপন কন্যা হিসাবে গ্রহণ করিয়াছিলেন, গোলেদারীর আসীর শাহজ়াদী, যিনি লুটের মাল হিসাবে আসিয়াছিলেন, তাঁহাকে শিবাজী আপন কন্যা মানিতেন।
তবে ইহাও মনে রাখিতে হইবে যে আয়েশা অতি কোমল ও লঘুশরীর ছিলেন, তাই পালকী তুলিবার সময় তিনি ভিতরে আছেন কিনা তাহা বুঝিতেই পারা যায় নাই। আয়েশা সেখানেই অসহায় বসিয়া রহিলেন। এই বুঝি কেহ লইতে আসিল, এই বুঝি কেহ আসে, এই প্রতীক্ষায় প্রভাত হইয়া গেল, কেহই আসিল না। ভাগ্যক্রমে সাফবান তাহার ঊট লইয়া সেই পথে যাইতেছিল। আয়েশাকে দেখিয়াই সে চিনিতে পারিল এবং কোনো কথাবার্তায় না গিয়া আয়েশার সামনে নিজের ঊট বসাইয়া দিল। আয়েশাও একলাফে তাহাতে চড়িয়া বসিলেন। এইভাবে একরাত্রি পার করিয়া তিনি প্রিয় মহম্মদের সহিত মিলিত হইলেন।
এখন এই অবস্থায় কে কাহার মুখ বন্ধ করিত! নানাপ্রকার কথাবার্তা শুরু হইয়া গেল। ধীরে-ধীরে মহম্মদও আয়েশার প্রতি বিরক্ত হইয়া উঠিলেন। এ অবস্থায় বেচারী আয়েশা আর কোনো উপায় না দেখিয়া আপন পিতা-মাতার নিকট চলিয়া গেলেন। মাতা তাঁহাকে ভুলাইয়া রাখিবার যন্য যত্ন করিতেন, কিন্তু তাহাতে আয়েশার মনের দুঃখকষ্ট দূর হইত না।