Menu

Show posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.

Show posts Menu

Messages - Jupiter Joyprakash

#121
পাঠক অনুমান করিতে পারেন যে নবযুবতী বিবিকে পশ্চাতে ছাড়িয়া যাইতে মুহম্মদের কিরূপ টেনশন হইতেছিল। কিন্তু হায়! এই বাস্তব জগত বড়ই কঠোর, নিষ্ঠুর, হৃদয়হীন। মসজিদের আঙিনায় বিশ বৎসরের পত্নী তাহার ৬২ বৎসরের পতির মস্তক কোলে লইয়া বসিয়া আছেন। মুহম্মদ তাহার চিবাইয়া দেওয়া দাঁতন মুখে লইতে লইতে এই ক্ষণিকের শরীর ত্যাগ করিলেন। এর পর আবুবকর আয়েষাকে বলিয়াছিলেন "মহম্মদের জন্য আমার দুঃখ নাই, কিন্তু মাত্র ২০ বৎসরে বিধবার রূপ যৌবন, আশা ভরসা সকলই শেষ হইল। ইহাতে কোন পিতা অশ্রুপাত না করিয়া থাকিতে পারে!"

#122
Collection / Re: The spaceship of Ezekiel in Bengali
December 11, 2013, 01:08:54 PM
সূচনা একটা টেলিফোন। ছেলে 'ক্রিস্তফ' লং আইল্যান্ড থেকে হান্টসভিল এ ফোনে আমায় বললে, সে একটা অদ্ভূত বই পড়েছে, বহির্বিশ্ববাসী মানুষের পৃথিবীতে পদার্পণ সম্পর্কে। বইটার নাম 'দেবতা কি গ্রহান্তরের মানুষ?' লেখক, কে এক দানিকেন।

আমি যন্ত্রবিৎ। জীবন শুরু করেছি ১৯৩৪ সালে বিমানের নকশা দিয়ে। আজ আমার কাজ হচ্ছে প্রকান্ড প্রকান্ড রকেট আর মহাকাশযান নিয়ে। এসব বই আমার কাছে সাময়িক চিত্তবিনোদনের উপাদান বৈ আর কিছু নয়। জানি, ওসব বইয়ে থাকে অদ্ভূত বিশ্ময়কর নানা ঘটনার বিবরণ। কিন্তু সে ঘটনা কবে ঘটেছে, কোথায় ঘটেছে তার কোনো হদিশ কখনো মেলে না। তাই 'দানিকেন' যখন হাতে এলো তখন খানিকটা উন্নাসিকতা নিয়েই পড়তে শুরু করলুম। পড়তে পড়তে হেসেছি, মজা পেয়েছি। মাঝে মাঝে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেছে। শেষকালে এসে পড়লুম সেইখানে, যেখানে দানিকেন ঋষি ইজেকিয়েল এর প্রসঙ্গ তুলেছেন। ইজেকিয়েলের উদ্ধৃতিসমূহের ভেতর প্রযুক্তি সংক্রান্ত অস্পষ্ট বয়ানগুলোকে তিনি মনে করেছেন, মহাকাশযানের বর্ণনা। সে সম্পর্কে তিনি যেসব বক্তব্য রেখেছেন, যেসব দাবী করেছেন সে সম্পর্কে, তা আমার এলাকার অন্তর্ভূক্ত। মেজাজ চড়ে গেল। মনে মনে বল্লুম, দাঁড়াও বাইবেল খুলে দেখিয়ে দিচ্ছি, কোথায় তোমার ভূল। বুকে তখন সত্যি কত সাহস!

কিন্তু বাইবেল খুলে দু'পাতা ওল্টাতে না ওল্টাতেই হাসি মিলিয়ে গেল। ব্যঙ্গ পর্যবসিত হল অসীম কৌতূহলে। তারপর যে অভিজ্ঞতা লাভ করলুম, তা অপূর্ব, অদ্ভূত, অভূতপূর্ব। সে অভিজ্ঞতা আমার অবসর সময়ের গবেষণার ফল—আমার নিয়োগকর্তা 'নাসা' (NASA) যে সে ব্যাপারে মাথা ঘামান না।

এমন চরম পরাজয় যে এমন পরম পুরষ্কার, এমন পরম আনন্দের ডালি আমার হাতে তুলে দেবে তা আমার স্বপ্নের অগোচর ছিল।

য়োসেফ এফ্ ব্লুমরিশ

#123
আপনি কি ধর্মীয় জগতে বিপ্লব করে একজন ধর্মপ্রণেতা হতে চান? তাহলে এই রেসিপি আপনার জন্য। কিন্তু এই রেসিপি সফলভাবে প্রয়োগ করার জন্য আগে হিউম্যন সাইকোলজি নামক একটি মজার বিষয়ে কিছু জ্ঞান লাগবে। আসুন তবে, জ্ঞান দেওয়া শুরু করি।প্রত্যেক মানুষের সাধারণ স্বভাব হল: ১. তারা এখন এখন যে অবস্থায় আছে তার চেয়ে ভাল অবস্থায় থাকতে চায়।
২. তারা শর্টকাট ভালবাসে। কম পরিশ্রমে বেশি ফল পেতে চায়। অন্য কেউ তার কাজ করে দিলে আরো খুশি হয়।

৩. তারা প্রশংসা পছন্দ করে। নিজেকে বুদ্ধিমান মনে করে।
৪. তারা বাড়িয়ে গল্প বলতে ভালোবাসে।
৫. অজানা জিনিষের প্রতি তাদের মনে ভয় এবং কৌতূহল দুইই থাকে। তারা নিজে নিরাপদে থেকে জ্ঞান চায়।
এইবারে আসুন দেখি কিভাবে এই মানবিক ধর্মগুলোকে কাজে লাগিয়ে তাদের কাছে ভাল হবেন: ১. প্রথমেই আপনাকে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে। তবেই তারা আপনার কাছে জড়ো হবে। মনোযোগ আকর্ষণের একটা পথ হল, কোনো প্রচলিত বিশ্বাসের উপরে প্রশ্ন তোলা। যেমন "মূর্তিপূজা করে কী হয়?" ইত্যাদি। বা জ্ঞানগর্ভ কথা, কিম্বা মানুষের উপকার করা এইসব। সাহিত্য, গান, ইত্যাদিও চলবে। দেখবেন, কিছু কিছু করে মানুষ আপনার দিকে মনযোগ দেবে।২. এবারে প্রচার করতে হবে যে, মানুষের বড় দুঃখ। আপনি সেই দুঃখ দূর করার উপায় তালাশ করছেন। যেহেতু সব মানুষই নিজের বর্তমান অবস্থাকে আরো ভাল করতে চায় কাজেই তারা আপনাকে ভালবেসে ফেলবে।৩. কিছু কিছু মানুষ আপনার কাছে আসবে। আপনাকে তাদের দুঃখে গলে যেতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে যে, তারা না জেনে ভুল করে এসেছে বলেই তাদের এত দুঃখ।৪. আপনি যখনই তাদের বলবেন যে, ঈশ্বরকে ভক্তি করে ডাকলে তিনি তাদের দুঃখ দূর করবেন, তখনই কথাটা তাদের দারুণ পছন্দ হবে। (কারণ তারা শর্টকাট ভালবাসে। অন্য কেউ কাজটা করে দিলে খুশি হয়।)৫. চুরি, ঘুষ, মাতলামি ইত্যাদি কাজ, যেগুলো সবাই খারাপ বলে জানে, সেগুলোর ব্যাপক নিন্দা করতে হবে। এতে আপনার খ্যাতি আম পাব্লিকের মধ্যে ছড়াবে। সকলেই আপনাকে একজন সৎ মানুষ বলে জানবে।৬. আপনি তাদের প্রশংসা করলে তারা সহজে আপনার নিন্দা করবে না।৭. তারা যখন আপনাকে পছন্দ করবে তখন অন্যের কাছে বাড়িয়ে গল্প করবেই। (কারণ এতে সে নিজেকে বুদ্ধিমান প্রমাণ করার সুযোগ পাবে) । এতে আপনার প্রচার হবে।৮. এই সময়ে সকলের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে। অন্য ধর্মকে খারাপ বলা চলবে না। বললে ইঁটের জবাবে পাটকেল খাবেন। দ্বিতীয় ধাপ হল যে, তারা আপনার প্রতিটি কথা বিশ্বাস করবে। ১. আপনাকে সোজা কথাকে একটু ঘুরিয়ে বলতে হবে। এমন কথা বলতে হবে যেটা সকলেই জানে। কিন্তু এমন ভাবে বলতে হবে যাতে প্রথমে শুনে নতুন কিছু মনে হয়। এতে লোকে আপনাকে জ্ঞানী ব্যক্তি বলে মনে করবে।২. এই পর্যায়ে আপনার কিছু চামচা দরকার হবে। যারা আপনাকে ঘিরে বসে আপনার পছন্দমত প্রশ্ন করবে। আপনি তার উত্তর দেবেন। তারা জয়দ্ধ্বনি করবে। তারা যে আপনার কথা নির্বিচারে বিশ্বাস করে দারুণ লাভবান হয়েছে এই কথা প্রচার করবে।৩. আপনার সাথে যে ঈশ্বরের যোগাযোগ আছে, সেই কথা এই সময়ে ইশারায় জানাতে হবে। কোনো প্রশ্ন শুনে মাঝে মাঝে চোখ বুঁজে বসে থাকবেন, কিছুক্ষণ পরে চোখ খুলে উত্তর দেবেন। কখনো অজ্ঞান হয়ে যেতে হবে। কখনো বা "প্রভু হে... সকলই তোমারই ইচ্ছা' বলে স্লোগান দিতে হবে।৪. লুকিয়ে কিছু পড়াশুনা করা লাগবে। কিছু লোক লাগিয়ে খবর যোগাড় করতে হবে। পরে আপনার জানা (অন্যের অজানা) কথাগুলো এমন কায়দা (আগেরটা দেখুন) করে বলতে হবে যাতে আম লোকের মনে হয় সেগুলো সোজা ঈশ্বরের কাছে থেকে পেলেন।৫. কিছু ভাড়াটে লোক রাখতে হবে যারা এসে আপনাকে চ্যালেঞ্জ করবে। আগে থেকে শিখিয়ে রাখা অদ্ভুত প্রশ্ন করবে (যেমন বলতে পারে যে, আমার কয়টা পোলা? কিম্বা আমার পকেটে কয় টাকা আছে?) আপনি তার উত্তর দিয়ে সবাইকে চমকে দেবেন।৬. গোটা কয় লোককে কানা খোঁড়া সাজিয়ে নিয়ে আসতে হবে। আপনার বিশেষ চেলা বাহিনী বেছে বেছে তাদের আপনার কাছে আনবে। যাতে কোনো আসল কানা-খোঁড়া না এসে যায়। তার পরেও যদি কেউ এসেই পড়ে তাদের ইমান যে অতি দুর্বল তাতে সন্দেহ করা চলবে না। খুব বেশি ঠেকায় পড়লে অজ্ঞান হয়ে ঈশ্বরের সাথে মিটিং শুরু করে দিন।৭. বড় করে সভা করুন। আপনার ঈশ্বরের মহিমা নিয়ে লেকচার দিন। সব যে আপনার নিজের অভিজ্ঞতা সেই কথা জোর গলায় প্রচার করুন।৮. আপনার অলৌকিক ক্ষমতার কথা বাজারে ছড়াতে হবে। কিছু লোক রাখুন যারা নিজের চোখে এইসব দেখেছে বলে দাবী করবে। বাস্তবে এই ঘটনা ঘটানোর কোনো দরকার নাই। কেবল কয়েকজন সাক্ষী আর ব্যাপক প্রচার চাই। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে, দর্শকদের ঘড়ির সময় বদলে দেওয়ার ম্যাজিকের গল্প অনেকেই বিশ্বাস করেন। কিন্তু বাস্তবে এমন ম্যাজিক কেউ কখনোই দেখান নাই।৯. কোনো ঘটনা ঘটার পরে প্রচার করতে হবে যে আপনি সেই বিষয়ে অভ্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এই অভ্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী প্রমাণ করার জন্য আপনার 'হয়রাণ ভাই' বা 'মাহফুজ ভাই' বা 'ইয়াজিদ সিকান্দার ভাই' এর মত কিছু ভক্ত লাগবে। এছাড়া জনাদশেক সাধারণ চামচা লাগবে যারা তাদের জীবনে আপনার কথা এক্কেবারে মিলে যাবার কথা বলে বেড়াবে।১০. নিজেই ভবিষ্যদ্বাণী  করা শুরু করুন। তার জন্য আগে নস্ট্রাডামুস মশাইয়ের লেখাগুলো পড়তে পারেন। এই বিষয়ে অনেক সাইট আছে।উপরের সব কাজগুলি সঠিক ভাবে করতে পারলে আপনার সম্পর্কে মানুষের ধারণা হবেই যে, আপনি কারো খারাপ চাইতেই পারেন না। আপনি কখনো ভুল বলতেই পারেন না। আপনার সঙ্গে ঈশ্বরের সরাসরি যোগাযোগ আছে বলেও অনেকে মনে করবে।তৃতীয় ধাপ হল কিছু ধর্মীয় বিধান চালু করা: ১. আপনি যা করেন বা বলেন তা সবই ঈশ্বরের নির্দেশে, আপনার কথা শুনে যারা চলে তাদের যে বেহেস্ত নিশ্চিত এই কথা সরাসরি বলে ফেলুন।২. যারা আপনার মতের বিরুদ্ধে যায় তারা যে ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই বেকুবি করে সেটাও বলে ফেলুন। তবে সেটা করার আগে তাদের ক্ষমতার মাপ নিতে হবে। পাটকেল খাবার ভয় থাকলে বলুন যে, তাদের ঈশ্বর আর আপনার ঈশ্বর আসলে একই। কিন্তু তার পরেও ইশারায় জানান যে আপনারটা বেশি সহজ।৩. যেভাবে ছেলেপিলের নাম দেয় সেভাবেই আপনার ঈশ্বরের একটা নাম ঠিক করুন, যেটা ইউনিক হবে (পরম দয়াল, সর্বশক্তিমান ইত্যাদি)।৪. একটি উপাসনা পদ্ধতি বানান। ইউনিক না হলেও চলবে। আপনার অনুগামীদের নেচার বুঝে সেটা বানাতে হবে।৫. আপনার বিধানগুলো যে মানুষের ভালোর জন্য, এগুলো না মানলে যে মহা সর্বনাশ নিশ্চিত, সেই কথা পরিষ্কার করে বলুন। যারা মেনে চলবে তাদের জন্য দারুণ পুরষ্কার এবং বাকিদের জন্য বেদম শাস্তি অপেক্ষা করছে, এই কথাও বলে দিন।আপনার ধর্মীয় বিধানগুলো কেমন হবে? ১. প্রথমেই দিন একটা লম্বা লিস্ট, চুরি, ডাকাতি, খুন, মিথ্যাকথা, নেশা আরো কী কী কাজ খারাপ। আর একটা লিস্ট দিন ভালো কাজের, এতে সততা, পরোপকার, জ্ঞান অর্জন, অন্যকে সম্মান, হিংসা না করা ইত্যাদি ভালো জিনিস দিন। এতে আপনি ভালো লোকেদের দলে পাবেন।২. নারীজাতির অধিকার, সুরক্ষা ইত্যাদি নিয়ে কিছু বুলি ছাড়ুন। এতে ভদ্রলোকেরা এবং মেয়েরা আপনার দলে এসে যাবে।৩. বলুন 'আপনার ধর্মে ধনী-গরিব সমান।' এতে গরিবেরা আপনার দলে এসে যাবে। গরিবদের না হলে যেহেতু ধনীদের চলেনা, তারাও নিজেরাই এসে যাবে।৪. এবারে বলুন যে, সত্যকে রক্ষার জন্য সংগ্রামে রক্ত ঝরাতে ভয় পাওয়া উচিত না। এই বুলি শুনে সংগ্রামী বীরের দল আপনার দলে এসে যাবে।৫. বলুন ক্ষমাই পরম ধর্ম। এতে যারা দায়ে পড়ে অপরাধী তারা আপনার দলে এসে যাবে।৬. বলুন অসাধুর সঙ্গে (মানে যারা আপনার দলে নয়) যুদ্ধ করা ভাল কাজ। এতে লড়াইবাজ লুটেরার দল আপনার দলে এসে যাবে।৭. বলুন আপনার ধর্মে পাপীদের পাপ দূর করে তাদের বেহেস্তে পাঠাবার ব্যবস্থা আছে। এতে দলে দলে বদলোক আপনার দলে এসে যাবে।এইভাবে এমন একটা ধর্ম বানান, যাতে সকলের সুবিধা হয়। দল ভারি হওয়ার পর আপনি সেই দলের মেজাজ বুঝে দেখুন যে, কাদের মন জোগালে আপনার লাভ। যদি দেখেন লড়াইবাজ লোকের দাম বেশি তবে জেহাদ লাগান। যদি মর্দ জোয়ানের দাম মেয়েদের চেয়ে বেশি বোঝেন তবে বৌ পিটানোর বিধান দিন। দুবলারা ঝামেলায় জিততে না পেরে মাথা নামিয়ে মেনে নেবে।কিন্তু যতদিন দল ভারি না করতে পারেন, ততদিন শান্তির বুলি ছাড়া অন্য কিছু মুখে আনবেন না। অবশ্য মুখে শান্তির বুলি সারা জীবনই চালাতে হবে।এইভাবেই আপনি হয়ে যাবেন একটি নতুন ধর্মের প্রবর্তক। যাতে বিজ্ঞানী থেকে অজ্ঞানী সবার জন্য সস্তায় পুষ্টিকর খাদ্যের ব্যবস্থা থাকবে।আপাততঃ এই পর্যন্তই থাক। আশা করি কারো বুঝতে অসুবিধা হলে জানাবেন। তাঁর জন্য আরো ডিটেলে দেওয়া যাবে।
#124
আসলে মহম্মদ তাঁহার পত্নীদের উপর জোর জুলুম, বকুনি ইত্যাদির বিরুদ্ধে ছিলেন। আল্লামিঞা সকলের গুরুজন ছিলেন। তাঁহাকেই মধ্যে টানিয়া আনিলেন এবং নিজে যাহা চাহিয়াছিলেন তাহা আল্লাকে দিয়া ঐশ্বরিক বচন হিসাবে বলাইলেন। ইহাতে আয়েষা ও মুহম্মদের আবার মিল হইয়া গেল আর আয়েষার তো গৃহে রাজত্ব চলিতে লাগিল। কিন্তু ইহার পরে আর কোনো যুদ্ধের বেলায় আয়েষাকে সঙ্গে লইয়া যাওয়া হয়নাই।

ইহার পরে আয়েষার দর্শন শেষ দর্শন ছিল। যাহা তাঁহার পতির মৃত্যুশয্যায় হইয়াছিল। মুহম্মদ তাঁহার শেষবারের রোগশয্যায়; যাহা মারণরোগ প্রমাণিত হইয়াছিল, আয়েষার নিকট থাকিবার অনুমতি বিবিদের নিকট আদায় করিয়া লইয়াছিলেন। সেই গৃহেই প্রায়ই ঐশ্বরিক আয়াত অবতীর্ণ হইত। সেই খাটিয়া ছিল, সেই বিছানা-বালিশ। এই গৃহ মুহম্মদের সবচেয়ে প্রিয় ছিল।

রোগ্রস্ত অবস্থায় মুহম্মদ কবরস্থান গেলেন এবং মৃত্যু নিশ্চিত জানিয়া ঘরে ফিরিলেন। আয়েষাও সেই সময়ে শিরঃপীড়ায় আক্রান্ত হইয়াছিলেন এবং 'মাথা গেল, মাথা গেল' বলিয়া ক্রন্দন করিতেছিলেন।

মুহম্মদ বলিয়া উঠিলেন, "আয়েষা, ইহা তো আমার বলার কথা।" এ শুনিয়াই আয়েষা চুপ হইয়া গেলেন। মুহম্মদের তখন তামাশা করার ইচ্ছা হইল। তিনি কহিলেন, "আয়েষা! তোমার মৃত্যু আমার আগে হইলে কি তোমার ভাল মনে হয় না? থা হইলে আমি তোমাকে নিজহস্তে কবর দিয়া তোমার জন্য প্রার্থনা করিতে পারি।" আয়েষা নাক উঁচু করিয়া উত্তর করিলেন- "এসব অন্য কোথাও শুনাইও। আমি জানি, তুমি আরো সুন্দর পুতুল (বিবি) আনিবার মতলব করিতেছ।"

বেচারা মুহম্মদ আর কি বলিতেন! তর্ক করার শক্তি ছিল না, মুচকি হাসিয়া চুপ থাকিতে হইল।

"হায়াত মোহম্মদী ম্যোরসাহেব কৃত"
#125
ছিটগ্রস্ত হওয়াতে বিশেষ সমস্যা হয়নাই। পরিবারের সকলের নিকট তিনি বড়ই প্রিয় ছিলেন। এমন কি তিনি যখন নিজের জন্য শষ্যক্ষেত্র পছন্দ করিলেন তখনও তাঁহার পরিবারের সকলেই অতিশয় দুঃখ পাইলেও সম্মতি প্রদাণ করিয়াছিলেন। দুঃখ পাইবার প্রধান কারণ অবশ্য অন্যস্থানে নিহিত ছিল; দেশে বিদেশে আরও অনেক উন্নত মানের শষ্যক্ষেত্র পাওয়া গিয়াছিল। যেগুলির সহিত উপজাত (অথবা গিফট ভাউচার) হিসাবে ভালমতন  প্রাপ্তিযোগের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তাহার পরেও আবুলের বাপের সিদ্ধান্তের প্রতি তাঁহার পরিবারের আস্থা কম হয়নাই।

সমস্যা হইল অন্যদিকে। আবুলের বাপ যে শষ্যক্ষেত্রটিকে পছন্দ করিয়াছিলেন তাহার রক্ষকবৃন্দ রীতিমত বিচলিত হইয়া পড়িলেন। যে অকালপক্ব তরুণ আদৌ শষ্যক্ষেত্রকে শষ্যক্ষেত্র বলিয়াই স্বীকার করে না তাহার হস্তে এতদিনের সযত্নলালিত শষ্যক্ষেত্রটিকে প্রদান করিতে তাঁহাদের ভীষণ আপত্তি ছিল। অবশ্য তাঁহারাই যে কেবল বিচলিত হইয়াছিলেন এমন নহে। শষ্যক্ষেত্রটির চতুর্দিকে যে চীনের প্রাচীরের ন্যায় মহান ও অত্যাশ্চর্য্য নির্মাণ স্থাপনা করা হইয়াছিল তাহা যদি বিনাশ প্রাপ্ত হয়; এই আশঙ্কায় গ্রামের সকলেই বিচলিত হইয়া পড়িয়াছিল।
#126
ডাঃ আবুল দিওয়ানা কবে কোথায় জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন সে কথা কেহই মনে রাখে নাই। সেদিন যদি লোকে বুঝিতে পারিত যে তিনি একদিন জগতে বিখ্যাত হইবেন তবে নিশ্চয় তাহা ইতিহাসে কোথাও লিখিয়া রাখা হইত। তবে ডঃ আবুল যে শষ্যক্ষেত্রে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন সেটির বিস্তারিত বিবরণ দলীলে লিখিত আছে। কিভাবে পরমপ্রভূর সৃষ্ট একটি দ্বিপদ জীব মানব রচিত একটি সনদে সম্মতি প্রদান করিয়া সহসা শষ্যক্ষেত্রে পরিণত হইল সে কথা গ্রামের বয়স্ক মানুষ মাত্রেই জানেন।

সবচেয়ে আশ্চর্য্য ব্যাপার হইল এই দ্বিপদ শষ্যক্ষেত্রটিও আবার আরেকটি দ্বিপদ শষ্যক্ষেত্রে উৎপন্ন হইয়াছিল। শষ্যক্ষেত্রে কিভাবে শষ্য জন্মায় তাহা মানব জাতির জ্ঞানের সীমানায় অবস্থিত হইলেও এক শষ্যক্ষেত্রে আরেক শষ্যক্ষেত্র ফলাইবার জ্ঞান এখনও একমাত্র স্বপ্নযোগে আকাশ হইতেই আসিয়া থাকে। বিজ্ঞান এখনো সেই পরিমাণে উন্নত হইতে পারেনাই।

ডঃ আবুল যে শষ্যক্ষেত্রে জন্মাইয়াছিলেন সেটি যখন আরেকটি শষ্যক্ষেত্রে উৎপন্ন হইয়াছিল তখন তাহা শষ্যক্ষেত্র ছিল না। কিন্তু নেহাত মরিয়া না গেলে শুঁয়োপোকার যেমন গুটি হওয়া অবধারিত, তেমনই উহাও একদিন শষক্ষেত্রে পরিণত হইবেক তাহা সকলেই জানিত। সেজন্য উন্নত রেশমের জন্য আমরা যেমন শুঁয়োপোকাকে যধাসাধ্য যত্নে সুন্দর গুটিতে পরিণত হইতে সহায়তা করি, তেমনই উহাকেও সর্বপ্রকার যত্নসহকারে একটি সুন্দর ও উর্বর শষ্যক্ষেত্রে পরিণত করার জন্য সকলেই যথাসাধ্য প্রচেষ্টা করিয়াছিলেন। তাঁহাদের সমবেত প্রচেষ্টার ফলেই যে ডঃ আবুল এর ন্যায় অমৃতফলের সৃষ্টি সম্ভব হইয়াছে সে কথা তাঁহারা জোর গলায় বলিতেও ছাড়েন না।

উক্ত শষ্যক্ষেত্রটি যখন শিশু ছিল তখন বিভিন্ন শষ্যক্ষেত্রে খেলা করিয়া বেড়াইত। অবশ্যই যে শষ্যক্ষত্র কর্ষণের যোগ্য নহে তাহার প্রতি মালিকের তেমন নজর থাকে না। কিন্তু যখনই সেটি চাষযোগ্য হইয়া পড়ে তখনই তাহার মূল্য। অবশ্য আজকাল চহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় জ্ঞানীরা ছয়মাসের শষ্যক্ষত্রেও চাসবাস করা হালাল করিয়াছেন, কিন্তু সেকালে এত বেশি জ্ঞানীর অভাব ছিল। তবে শষ্যক্ষেত্রের চাহিদা এত বেশি না থাকিলেও রেশম অতি মূল্যবান ছিল। তাই শুঁয়োপোকা ও গুটির রক্ষার জন্য সকলেরই চিন্তা ছিল।

যাহা হউক, শষ্যক্ষেত্রটি ধীরে ধীরে ব্যবহারযোগ্য হইয়া উঠিতে আরম্ভ করা মাত্রই বিভিন্ন প্রজাতির জীবের নজর পড়া শুরু হইল। আকাশ হইতে পতিত জ্ঞানভান্ডারে বলা হইয়াছে যে ঈশ্বরের সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টিখানি মক্ষিকা, গরুছাগল চোর ইত্যাদির সমবায়ে গঠিত। তাই যেভাবে খাদ্যে মক্ষিকা বসিলে মক্ষিকাকে বেগন দিয়া মারা অনুচিত, যেভাবে বাগানে গরুছাগল ঢোকা স্বাভাবিক, যেমন ধনী ব্যক্তির গৃহে চোর প্রবেশের অধিকার থাকে তেমনই এইসব নিয়ম দ্বিপদ শষ্যক্ষত্রের জন্যও প্রযোজ্য। তাই গরুছাগলের দোষ না দিয়া শষ্যক্ষেত্র রক্ষার জন্য তাহার চারিদিকে চীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণ করা কর্তব্য। এ বিষয়ে প্রাচীন কাহিনী আছে-

একবার চোরেরা যখন মহামানবের ঊট চুরি করিয়াছিল তখন মহামানব এই নীতি অনুসারে সিদ্ধান্ত করিয়াছিলেন যে সুন্দর ঊট দেখিয়া চোরেদের লোভ হইবার ইচ্ছা স্বাভাবিক। খোলা খাদ্যে তো মক্ষিকা আসিয়া বসিবেই, বৃক্ষে পক্ব ফল ঝুলিতে দেখিলে কে না খাইতে চায়! অতএব মহামানব সেই সকল সুন্দর ঊটেদের চক্ষুতে শলাকা প্রবেশ করিয়া অন্ধ করিয়া দিতে আদেশ করিলেন এবং সেগুলিকে মরুভূমিতে ছাড়িয়া দিলেন। ফলে আর তাহারা মনুষ্যের মনে লোভ জাগাইতে পারিল না।

এইরূপে একদিকে দ্বিপদ শষ্যক্ষেত্রটি উপযুক্ত হইতছিল, সেই সময়ে 'আবুলের বাপ' সেটিকে পছন্দ করিয়া ফেলিলেন। অবশ্য তিনি এইটিকে শষ্যক্ষেত্র হিসাবে পছন্দ করেন নাই। আবুলের বাপ একজন সদবংশীয় তরুণ ছিলেন। ধর্মেকর্মে ও পরোপকারে তাঁহার অতিশয় মতি ছিল। আকাশ হইতে অবতীর্ণ বচনসমূহকে তিনি অতিশয় মান্য করিতেন। তথাপি কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তিনি দ্বিপদ শষ্যক্ষেত্রগুলিকে শষ্যক্ষেত্র বলিয়াই গণ্য করিতেন না। যদি তিনি এরিস্টটল, ল্যামার্ক, ডারুইন, ম্যান্ডেল, ক্রীক, খুরানা ইত্যাদিদের পুস্তক পাঠ করিয়া থাকিতেন তবে হয়ত তাঁহার এই মানসিকতার কারণ বুঝা যাইত কিন্তু তিনি এইসব কুখ্যাতদের নামও জানিতেন না। তবুও তিনি এইসব দ্বিপদ শষ্যক্ষেত্রগুলিকে মনুষ্যপ্রজাতীর অন্তর্গত বলিয়া বিশ্বাস করিতেন। যদিও রেশমকীট যেমন গুটিবেষ্টিত হইবার পর সম্পুর্ণ নূতন হইয়া উড়ন্ত পতঙ্গে পরিণত হয় তেমনই তাঁহার চারিদিকে প্রত্যহই এই দ্বিপদ প্রজাতিটি চীনের প্রাচীরে বেষ্টিত হইয়া শষ্যক্ষেত্রে পরিণত হইত তথাপি এইসকল প্রত্যক্ষ দৃষ্টান্ত ও প্রমাণ দেখার পরেও তাঁহার অদ্ভূত ধারণার কোনো পরিবর্তন হয়নাই। এজন্য সকলেই তাঁহাকে ছিটগ্রস্ত বলিয়া মনে করিত।
#127
ডঃ আবুল দিওয়ানাকে মহারাণী তলব করিয়াছেন। তাঁহার নাকি মারাত্মক সমস্যা। সূর্যোদয়কালেই একেবারে তাঁহার নিজের সুপারফাস্ট গরুর গাড়িখানি লইয়া নিজের খাস বান্দাদিগকে পাঠাইয়াছেন। সঙ্গে তাঁহার স্বহস্তলিখিত সিলমোহর করা পত্র। সর্বোচ্চ গোপনীয় এক সমস্যা সমাধানে তিনি অবিলম্বে ডঃ আবুলের সহায়তা প্রার্থনা করেন।
ডঃ আবুল দেশভক্ত বিজ্ঞানী। তাছাড়া দেরী করিলে মাথাপাগল মহারাণী হয়ত রাষ্ট্রদ্রোহী ভাবিয়া বসিবেন। অতএব তাঁহার আপত্তি করার কোনো পথ ছিল না। গামছা পরা অবস্থাতেই তিনি সুপারফাস্ট গরুগাড়িতে উঠিয়া বসিতে বাধ্য হইলেন। মহারাণীর খাস বান্দারা নিজেদের দেশপ্রেম প্রমাণ করিবার জন্য যথাসাধ্য দ্রুত গাড়ি চালাইয়া দিল। দেশের পথঘাট বড়ই মনোহর, লাঙল দেওয়া ধানক্ষেত অপেক্ষা পথের অবস্থা অনেক গুণে ভাল। তাই সারা পথটুকু তাঁহাকে গামছা সামলাইতে ব্যস্ত থাকিতে হইল। অন্য কিছু ধরার উপায় না থাকায় বার দুই ডিগবাজিও খাইলেন। মহারাণীর প্রতি তাঁহার ভক্তি আরো বাড়িয়া গেল।

রাজমহলে প্রবেশ করার পর অবশ্য তিনি বিশেষ আদর যত্ন পাইলেন। অন্য পোষাক আনিবার মত সময়ের অভাব থাকায় মহারাণী ডঃ আবুলের জন্য রাজপুত্রের আলমারী হইতে ভোটযুদ্ধের সাজসজ্জা আনিয়া দিলেন। যদিও তাহা মাপে মেলেনাই, তবু ভালই মানাইয়াছিল। উহা পরিধান করিয়া ড; আবুল আরো বেশি দেশপ্রেম অনুভব করিলেন। সাজসজ্জায় ন্যাপথালিনের সুগন্ধ পাইয়া তাঁহার মন আরো প্রফুল্ল হইয়া উঠিল।

অতঃপর মহারাণী তাঁহার সমস্যা বর্ণনা করিলেন। সে সমস্যা নিম্নরূপ: মহারাণী একদা একটি খাটাল খুলিয়াছিলেন। সেখানে অতি উন্নত প্রজাতির গরু-ছাগল রাখা হইয়াছিল। উদ্দেশ্য ছিল রাজমহলের জন্য খাঁটি দুধের জোগান অব্যাহত রাখা। একদা একদিন তিনি দুগ্ধপান করিয়া সন্দেহ করিলেন তাহাতে জল মিশ্রিত করা হইয়াছে। তাই তিনি খাটালের প্রধান গোয়ালার উপর নজর রাখার জন্য এক পরিদর্শক নিযুক্ত করিলেন যাহাতে গোয়ালারা দুধে জল দিতে না পারে। তাহাতে কিছুদিন সব ঠিকই ছিল কিন্তু পরে দেখা গেল জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাইয়াছে। ইহা দেখিয়া মহারাণী প্রথম পরিদর্শকের উপর আরেকজন পরিদর্শক নিয়োগ দিলেন। কিন্তু তাহার ফলে জলের ভাগ আরো বৃদ্ধি পাইয়া গেল। আরেকজন মহাপরিদর্শক নিযুক্ত করিলে এই সমস্যার সমাধান হইবে কিনা তাহাই এখন ডঃ আবুলের গবেষণার বিষয়।

সমস্যা শুনিবার পর ডঃ আবুল প্রথমেই গোয়ালার সহিত বাতচিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। ইচ্ছা প্রকাশিত হইবামাত্র মহারাণীর সুপারফাস্ট গরুর গাড়ি তাঁহাকে ছয় ঘন্টার মধ্যে খাটালে হাজির করিল। সেখানের সমস্ত ব্যবস্থা প্রথমে পরিদর্শন ও পরে এক্স রে, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি এবং ম্যাগনেটিক রেজ়োন্যান্স ইমেজ স্ক্যানিং করিয়া আবুল নিশ্চিত হইলেন যে সেখানে কেহই দুধে জল মিশাইতেছে না। অতঃপর আবুল ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন পরিদর্শকের সহিত বাতচিত করিবেন। কিন্তু এজন্য তিনি সুফারফাস্ট গরুর গাড়ি ব্যবহার করিলেন না। আপনার গামছাখানি পরিয়া গোয়ালা সাজিয়া দুধের টাঙ্কি লইয়া পরিদর্শকের নিকট জমা দিলেন। পরিদর্শক মহাশয় সেই টাঙ্কি হইতে কিছু দুগ্ধ বাহির করিয়া লইলেন এবং সমপরিমাণ জলমিশ্রিত করিয়া উপরওয়ালার নিকট পাঠাইয়া দিলেন। উপরওয়ালা পরিদর্শকও টাঙ্কি হইতে কিছু পরিমাণ দুগ্ধ লইলেন এবং সমপরিমাণ জল মিশাইয়া রাজমহলে পাঠাইয়া দিলেন। পরদিন মাহারাণীর খাসমহলে পরিদর্শক মহাশয়ের তলব হইল। পরিদর্শকরা সেখানে পরিষ্কার জানাইলেন যে গোয়ালারা জল মিশাইয়াছে কিনা তাহা টেস্ট করার জন্য তিনি টাঙ্কি হইতে স্যাম্পল লইয়া থাকেন মাত্র। সেই স্যাম্পল তিনি প্রত্যহ টেস্ট করিয়া থাকেন এবং গোয়ালারা জল দেয় না ইহা নিশ্চিতভাবেই জানেন। যে দুগ্ধ তাঁহারা নমুনা হিসাবে সংগ্রহ করেন তাহা পাণ করিয়াই পরীক্ষা করেন। তবে গোয়ালা ছাড়া অন্য কেহ জল দিলে তাহা দেখার কোনো শর্ত তাঁহাদের চাকুরীর মধ্যে ছিল না।
#128
Story / Re: MANASAMAFIA
October 29, 2013, 05:48:18 AM
সখীরা মনসাকে থামাতে চাইল। দেবতাদের অনেক ক্ষমতা, তারা উপরে বসেই তুড়ি দিয়ে ভুড়ি ফাঁসাতে পারে বলেই না লোকে ওদের এত ভয় করে! নিজেরা খেতে না পেলেও পুজো দেয়!
মনসা বললেন, আমরাও ভুড়ি ফাঁসিয়ে দেবো। তুড়ি দিয়ে না পারি তো কি হয়েছে? ছুরি দিয়েই ফাঁসাবো। ঋষি বলেছেন যত মত তত পথ।

এছাড়া পৃথিবীতে দেবতাদের অনেক দালাল থাকে।
আমরাও দালাল লাগাবো।

সেজন্য অনেক খরচ আছে। দালাল তো ফ্রি কাজ করবে না।
খরচ লাগলে দিতে হবে। পরে তো রিটার্ন পাওয়া যাবে।

কোথা থেকে আসবে সেই খরচ?
সখিরে! একটা বড়লোকের সন্ধান করে দে। কান মলে কিছু আদায় করি। সেই থেকেই বাকি সব হবে।

দুনিয়ার সবচে বড়লোক এখন চাঁদ সওদাগর। কিন্তু সে ব্যাটা শিবের চেলা। আমাদের তোলা দেবেই না। চাইলে হয়ত কেস খেতে হবে।

আরে বাবা! মার্কেটে নাম কামাতে গেলে বড় কিছু করতেই হবে। এই চাঁদ ব্যাটার কাছে তোলা আদায় করতে পারলে বাকিরা সবাই ভয়ে চমকে যাবে। একে দিয়েই শুরু করি। চল, ব্যাটাকে ফোন লাগা। বলবি মাসে মাসে পুজো চাই। নাহলে বিজনেসের বারোটা বাজিয়ে ছেড়ে দেব। কোনো বাপ বাঁচাতে পারবে না।
#129
Story / Re: MANASAMAFIA
October 29, 2013, 05:36:39 AM
মনসা দেবীর জন্ম নিয়ে অনেক রকমের কাহিনী আছে। কিন্তু সেসব নিয়ে গবেষণায় আমরা যেতে চাই না। আমাদের উদ্দেশ্য হল একখানা জমজমাট সাসপেন্সে ভরা আধুনিক মাফিয়া সিনেমার গল্প। সেখানে ঠিক ক্লাইম্যাক্স মত চরিত্রদের ইতিহাস বের হয়ে আসবে। আপাতত মনসা দেবীর যেটুকু মনে আছে তা হল তিনি জ্ঞান হয়ে অবধি নিজেকে একদল অপদেবতার মধ্যেই থাকতে দেখেছেন। বেচারীরা দেবতাদের অনেক রকম গুণের অধীকারী হলেও সমাজে অচ্ছুৎ। দেব সমাজে এখনও সাম্যের তত্ব কলকে পায় না। ফলে একদিকে দেবতারা স্বর্গে মাল খেয়ে ফূর্তি করেন অন্যদিকে মনসা এবং তাঁর সমাজের অপদেবতাদের কেউ খবর রাখে না। এর মধ্যে মনসা একদিন এক দেবতার সঙ্গে ঝামেলায় জড়ালেন। বেদম লড়াইয়ে তাঁর একখানা চোখ নষ্ট হয়ে গেল। তার পর থেকে দেবতাদের উপর তাঁর রাগ কোনো থার্মোমিটারের মাপে কুলোয় না। "বলতে পারো, বড়মানুষ মোটর কেন চড়বে???" কবি সুকান্তের মতই তিনি জনে জনে প্রশ্ন করেন।

উত্তর যা পেলেন তা খুব পেঁচালো। দেবতারা হল রুলিং পার্টি। মানুষ নিজে খেতে পাক না পাক নিয়মিত ওদেরকে ট্যাক্স যোগায়। সেই দিয়েই ওদের এত র‍্যালা। স্বর্গের এসি হলঘরে বসে তারা মাল খেতে খেতে আর নাচগানা দেখতে দেখতে জগতের মঙ্গলচিন্তা করে।

সবকিছু বুঝে নিয়ে জার্মানীর মতই মনসা হুঙ্কার দিলেন "বাঁচবার জায়গা চাই"। আমরাও পাব্লিকের কান মলে আদায় করব। আমরাও সম্মানিত ভদ্রলোক হব।
#130
Story / MANASAMAFIA
October 29, 2013, 05:21:41 AM
মনসামাফিয়া কাব্য লেখারই ইচ্ছা ছিল প্রথম দিকে। কিন্তু অনেক ভেবেচিন্তেও মাফিয়া নিয়ে কাব্য লেখার সাহস পেলাম না। পরে যদি কোনোদিন কোনো অলৌকিক উপায়ে সাহস এবং ছন্দ পেয়ে যাই তখন অবশ্যই লিখে ফেলব। যদিও সেদিন পাঠকদের অবস্থার কথা চিন্তা করে আগে থেকেই দুঃখ প্রকাশ করে রাখলাম।
#131
 আয়েশার হারানো সৌভাগ্য ফিরিয়া আসিল, কিন্তু নিন্দাকারীদের হইল সর্বনাশ। একের পর এক ঐশ্বরিক বাণী আসিতে লাগিল। নিন্দাকারীদের উপর তিরষ্কার বৃষ্টি হইতে লাগিল। অবশেষে তাহাদের জন্য শাস্তি ধার্য্য হইল যে তাহাদের ৮০-৮০ চাবুক লাগানো হউক। পুরুষদের মত নারীদের উপরেও চাবুক চালানো হইল।

সুরা 'আল-নূর' এ রসুল ও তাঁহার ঈশ্বরের দুঃখ ও ক্রোধ এখনও লিখিত আছে। দূর্ভাষীদের মুখ এবেবারে বন্ধ করিয়া দেওয়া হইয়াছিল, এখন প্রয়োজন ছিল 'হারেম' এর; কারণ তালি বাজাইতে দুই হস্তই প্রয়োজন। আল্লামিঞা এই আবেদনও মঞ্জুর করিয়া দিলেন এবং সুরা 'আহযাব' অবতীর্ণ হইল-
"হে পয়গম্বরের পত্নীগণ, তোমরা অন্য নারীদের ন্যায় নও। যদি তোমাদের হৃদয়ে ধর্মের ভয় থাকে তবে কথাবার্তায় কোমলতা প্রদর্শন করিও না, যাহাতে দুষ্টাত্মারা প্রলুদ্ধ হয়। সেটুকুই বলো যা প্রয়োজনীয় ও মর্যাদাপূর্ণ।"
"আর তোমরা আপন গৃহে অবস্থান করো, অন্ধকার যুগের স্ত্রীলোকদিগের ন্যায় আপন সৌন্দর্য্যের প্রদর্শন করিয়া বেড়াইওনা।"
#132
Collection / Re: The spaceship of Ezekiel in Bengali
October 23, 2013, 10:36:31 AM
 অনুবাদকের নিবেদন
আমার মতন লোকের পক্ষে 'ব্লুমরিশ' অনুবাদ করা দুঃসাধ্য', অতীব দুঃসাধ্য' সাধ্যাতীত' ইত্যাদি বলেও ঠিক বোঝাতে পারবো না -, কতখানি- দুঃসাধ্যকোন বিশেষণই বোধহয় উপযুক্ত হবে নাতবু অনুবাদ করেছি, বলতে পারেন, না করে পারিনি বলেই করেছি

আসলে এ কাজের গোড়ায় দুটো চিন্তা প্রেরণা জুগিয়েছেএক-নম্বর, দানিকেনের অগণিত বাঙালি পাঠকের কাছে কল্পনা-বিলাসী', 'খেয়ালী' ইতাদি আখ্যায় ভূষিত দানিকেনের কল্পনা- এবং খেয়াল যে কত নিখুঁত, কত বিজ্ঞানসম্মত, তার প্রমাণ পোছে দেওয়া আর দু-নম্বর চিন্তার মূলে আছে একটা প্রকাণ্ড বড় আশা

আমাদের বেদ-উপনিষদ-পুরাণ-মহাকাব্যে বোধহয়,- বোধহয় কেন-, -নিশ্চয়ই ইজেকিয়েলের, মতন অমন অনেক অনেক তথ্য লুকিয়ে আছে, কিন্তু আমার দেশের বৈজ্ঞানিকদের চোখ সে দিকে বড় একটা যায় নাআমার আশা, আমার এ অনুবাদ পড়ে (মূল জার্মান অথবা ইংরেজী-দুটোই ব্লুমরিশের আপন-হাতের লেখা- কলকাতার বইয়ের বাজারে দেখতে পাই না)  আমাদের বৈজ্ঞানিকদের, বিশেষ করে তরুণ বৈজ্ঞানিকদের দৃষ্টি সে দিকে যাবেআর, তার ফলে দুটো-পাঁচটা ব্লুমরিশ হয়তো এ পোড়া বাংলাদেশেও জেগে উঠবেন

বলেছি, এ অনুবাদকর্ম আমার পক্ষে দুঃসাধ্য ছিলতাই সমগ্র পাণ্ডুলিপিটি তুলে দিয়েছিলুম কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক, ডঃ প্রতীপ চৌধুরী মহাশয়ের হাতেঅপরিসীম ধৈর্যে এবং অশেষ যত্নে তিনি বিচার করেছেন এর প্রতিটি পঙ্‌ক্তি, প্রতিটি প্রয়োগ এবং এর প্রতিটি পরিভাষাতাঁর কাছ থেকে, ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত, এ বই ছাপতে দেবার হিম্মত আমার ছিল নাএখন আশাকরি, যথাসম্ভব নির্ভুল অনুবাদই এখন আমার পাঠক-পাঠিকাদের হাতে তুলে দিতে পেরেছিডঃ চৌধুরীর কাছে এ বাবদ আমার ঋণ যে কতখানি, তা আমি বলে বোঝাতে পারবো না, বরং বলতে গিয়ে তাঁকে হয়তো ছোটই করে ফেলবো

এই সঙ্গে আরো দুএকজনের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করলে অন্যায় হবে বাক্যের প্রয়োগ সম্পর্কে আমার সাহিত্যিক বন্ধু এবং সহকর্মী শ্রীযুক্ত তুলসীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধায় বড় খুঁতখুঁতে, আমার -,নানা ত্রুটি তিনি নানা সময়ে ধরিয়ে দিয়েছেন, দিয়েছেন সংশাধনা করেএ বাপারে তিনি আমার বড় অভিধান-।আর জার্মান অনুবাদে আমাকে দয়া করে সাহায্য করেছে শ্রীব্রজগোপাল মুখোপাধায় এবং ইউএসআইএস-এর শ্রীমতী অনসূয়া সেন
প্রচ্ছদপট এঁকে দিয়ে সাহায্য ক্যরেছেন আমার তরুণ বন্ধু, শিল্পী শ্রীঅমল ঘোষ আর যিনি সুদূর ক্যালিফর্নিয়া থেকে নানা প্রসঙ্গের -নানা ব্যাখ্যা এবং ঢীকা জুগিয়েছেন- বারেবারে পরম যত্নে, দিয়েছেন- প্রভূত উসাহ তাঁর গ্রন্থের বাঙলা অনুবাদের জন্য-, সেই পরম শ্রদ্ধেয় যস্ত্রবি শিরোমণি, শ্রীযুত য়োসেফ এফ ব্লুমরিশকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ

সবশেষে আমার পাঠক-সাধারণকে অনুরোধ করবো, 'পরিশিষ্টটা' পড়বেন না-, ওটা বড় কটমটো ব্রুমরিশ ওটুকু লিখেছেন নেহাতই যন্ত্রবিদের প্রয়োজনে-, তাই আমি বলি, ওটুকু তাঁদের জন্যেই তোলা থাকবাকীটুকু সুখপাঠ্যও বটে, পরম বিস্ময়করও বটে
#133
এই ঘটনা লইয়া মহম্মদের বন্ধু ও শত্রুদের মধ্যে বহুপ্রকার মতামতের জন্ম হইতে আরম্ভ করিল। মহম্মদের নামে কলঙ্ক লাগিয়াছিল, তাঁহার প্রতাপও পূর্বের ন্যায় রহিল না। অবশেষে তিনি আলি ও ওসমান এর নিকট পরামর্শ প্রার্থনা করিলেন। আলি জানাইলেন এ ব্যাপারে আয়েশার দাসীকে প্রশ্ন করা উচিত। পরামর্শ উপযুক্তই ছিল, কিন্তু তাহার ফল আলীর জন্য মারাত্মক হইয়াছিল। আয়েশা এই স্পর্ধা জীবন ভুলিতে পারেন নাই যে মহম্মদের জামাতা হইয়া আলী কিনা শাশুড়ীর উপর সন্দেহ করে! আলীর সহিত আয়েশার ভয়ানক শত্রুতা জন্মিল।

মহম্মদের কন্যা ফতেমা, মাতা খাদীজার স্মৃতি ফতেমার সহির আলীর বিবাহ হইয়াছিল। একদিকে প্রিয় জামাতা আলী, অন্যদিকে প্রিয় পত্নী আয়েশা। বেচারা মহম্মদ কোন দিকে যাইতেন! গৃহযুদ্ধের বীজ অঙ্কুরিত হইয়া গিয়াছিল। মহম্মদের মৃত্যুর পর ইসলামের ইতিহাস অন্তহীন রক্তপাতের ইতিহাস। খিলাফতের জন্য এই রক্তপাত হইত না যদি সেদিন আলী ও আয়েশার মন নির্মল হইত, যদি তাঁহারা এই শত্রুতা ভুলিয়া যাইতেন।

বহুবিবাহকারীরা অবধান করুন, যেখানে পয়গম্বরের জীবন বিপন্ন হইয়া পড়ে, এমন মহান ব্যক্তিও আপন ভুলের ও কৃতকর্মের ফল ভোগ করিতে বাধ্য হন, সেখানে আপনারা এমন কে যে কর্মফল হইতে নিজেকে সুরক্ষিত বলিয়া মনে করেন? দশরথের গৃহ ধ্বংশ হইয়া গিয়াছিল, মহম্মদের ধর্ম বিনষ্ট হইয়া গেল, কিসের জন্য? কারণ তাঁহারা বৃদ্ধকালে নবযুবতী (কুমারী) বিবাহ করিয়াছিলেন।



মহম্মদ আয়েশার কক্ষে গিয়া তাঁহার পিতামাতার সমক্ষেই তাঁহার নিকট সমস্ত ইতিহাস জানিতে চাহিলেন। সেই সময় আয়েশার পিতামাতা কন্যাকে কহিলেন, "যদি তুই অন্যায় করিয়া থাকিস তবে তওবা কর। আল্লাহ দয়ালু রক্ষাকর্তা। আর যদি তুই নির্দোষ হইয়া থাকিস তবে তাহাই প্রকাশ কর।"



আয়েশা কিছুক্ষণ চুপ থাকিয়া উত্তর করিলেন, "ধৈর্যই আমার উত্তর, পরমাত্মাই আমার সহায়। যদি আমি নিজেকে নির্দোষ বলি তবে কেহ মানিবে না, তওবা করিব কি অপরাধে? পরমাত্মা জানেন আমি নির্দোষ।"



মহম্মদ মনে মনে আয়েশার চাল-চলন জানিতেন। তিনি বিশ্বাস করিয়া লইলেন কিন্তু লোকজনকেও তো বিশ্বাস করাইবার প্রয়োজন ছিল! অবশেষে তিনি নিজের ঐশ্বরিক জ্ঞানের শরণাগত হইলেন। মুখে কাপড় চাপা দিয়া কিছুক্ষণ দৃশ্যতঃ জ্ঞানহীন অবস্থায় পড়িয়া রহিলেন। অতঃপর কপালের ঘাম মুছিতে মুছিতে উঠিয়া ঘোষণা করিলেন- "আয়েশা! আনন্দ করো। আল্লাহ তোমার নির্দোষিতার সাক্ষ্য দিয়াছেন।"
#134
Collection / Re: The spaceship of Ezekiel in Bengali
October 22, 2013, 12:04:04 PM
লেখক পরিচিতিঃ

য়োসেফ এফ ব্লুমরিশের জন্ম ১৯১৩ সালে অস্ট্রিয়ার স্ট্যের শহরে। যুক্তরাষ্ট্রে গমন ১৯৫৯ সালে। সেখানে কাজ শুরু  করেছিলেন রকেট-নির্মাণ প্রকল্পে। নাসায় (NASA) প্রবিষ্ট হওয়ার পর প্রথম পরিচালনভার গ্রহণ করেন নির্মাণ-গবেষণা প্রকল্পের, তারপর অলঙকৃত করেন সে-সংস্থার সিস্টেমস লে-আউট বিভাগের প্রধানের পদ এবং প্রকান্ড প্রকান্ড র‌কেট নির্মাণের কাজে ব্রতী হন তাছাড়া সেটার্ন রকেটেরও তিনি সহ-নির্মাতা।

হাইড্রলিক ইঞ্জিনিয়ারিং সংক্রান্ত অনেকগুলি পেটেন্টের অধিকারী তিনি। ইউরোপে থাকা কালে বহুদিন সে বিষয়ে কাজ করেছিলেন। ১৯৭২ সালে তাঁর বিরাট কাজের পুরষ্কারস্বরূপ নাসার (NASA) 'এক্সেপশনাল সার্ভিস' পদক লাভ করেছিলেন। অনেকগুলি প্রাযুক্তিক প্রবন্ধেরও প্রণেতা তিনি।
#135
Collection / The spaceship of Ezekiel in Bengali
October 22, 2013, 11:33:18 AM
তখন স্বর্গ খুলিয়া গেল
The spaceship of
Ezekiel
by J. F. Blumrich

Bengali Translation by Ajit Dutta
বাংলা অনুবাদ - অজিত দত্ত

প্রকাশক - লোকায়ত প্রকাশন