ফেটাল এরর (নকল কবিতা)
পাগল থামাতে চায় ফেটাল এরর।
জানালা যখনি খোলে তখনি জগত ভোলে
চক্ষু পাকায়ে করে দাঁত কড়মড়।
ওষ্ঠ অধরেতে চাপি মেশিনের মাম্মি-বাপি
তুলিয়া করিতে চাহে দুনিয়া মাথায়
তখনি স্মরণে আসে সুশীলেরা চারিপাশে
ভদ্রভাবে বাস করে (দুদুভাতু খায়)।
টেকি বুদ্ধি নাহি তার তবু নাহি মানে হার
উত্তর খুঁজিয়া ফেরে শুধু নিশিদিন
এ জগতে আজকাল বিছানো তথ্যের জাল
তবু তার প্রশ্ন রয় উত্তর বিহীন।
নাহি করে আপডেট মারিবে না ফরম্যাট
এন্টিভাইরাস শুনে লাগে তার ডর
তবু তার শখ কত ভেবে চলে অবিরত
কিভাবে তাড়ানো যায় ফেটাল এরর।
মেশিনে মেশিনে কত চলে লেন দেন
প্রত্যহ প্রত্যেক পলে কত তথ্য বয়ে চলে
ভাবিলে গুলায়ে যায় মানুষের ব্রেন
সার্ভার বিশ্রামহীন জেগে আছে রাত্রিদিন
কে কখন তার কাছে কি দাবী পাঠায়
কেহ খোঁজে পিকচার কেউ খোঁজে সফটওয়্যার
কেউ বা কানের কাছে লারেলাপ্পা চায়।
হ্যাকারের দলবল নিত্য খুঁজে ফেরে ছল
হাসিল করিয়া নিতে অন্যের ঠিকুজি
পাবে কিনা জানা নাই তবু তার খোঁজা চাই
আর সব চিন্তা ফেলে করে খোঁজাখুঁজি।
কাজের খবর নাহি কেবল খদ্দের চাহি
অর্থহীন বিজ্ঞাপনে ভরে মনিটর
সে মহাসমুদ্র তীরে পাগল খুঁজিয়া ফেরে
কিভাবে থামানো যায় ফেটাল এরর।
একদিন, যবে শুরু হল সেই খেল-
বেকুব ফিনিক্স ছাত্র না চাহিয়া কিছুমাত্র
বিনামূল্যে প্রকাশিল লিনাক্স কার্নেল।
অপূর্ব সুযোগ দেখি দলে দলে বিশ্বটেকি
আসিয়া হইল জড়ো তাহার নিকট
যাকে ভেবেছিল সবে বিনামূল্যে কিবা হবে?
সেই সারা বিশ্ব জুড়ে হইল প্রকট।
মূল্যহীন বলে যারে নাসিকা বঙ্কিম করে
ঘৃণা করেছিল যত জানালা ওস্তাদ
অপূর্ব অমূল্য বলে তাহারাই দাবী তোলে
ইহার চালনবিধি শিখিবার সাধ।
জনতার দাবীমত টেকিগণ মিলে যত
নতুন ভার্সন বের করে পর পর
পাগল দেখেনা হায় জানালার গুণ গায়
তাড়াইতে চায় শুধু ফেটাল এরর।
এতদিনে বুঝি তার ঘুচে গেছে আশ ।
খুঁজে খুঁজে ফিরে তবু বিশ্রাম না জানে কভু ,
আশা গেছে , যায় নাই খোঁজার অভ্যাস ।
বিরহী বিহঙ্গ ডাকে সারা নিশি তরুশাখে ,
যারে ডাকে তার দেখা পায় না অভাগা ।
তবু ডাকে সারাদিন আশাহীন শ্রান্তিহীন ,
একমাত্র কাজ তার ডেকে ডেকে জাগা ।
আর-সব কাজ ভুলি আকাশে তরঙ্গ তুলি
সমুদ্র না জানি কারে চাহে অবিরত ।
যত করে হায় হায় কোনোকালে নাহি পায় ,
তবু শূন্যে তোলে বাহু , ওই তার ব্রত ।
কারে চাহি ব্যোমতলে গ্রহতারা লয়ে চলে ,
অনন্ত সাধনা করে বিশ্বচরাচর ।
সেইমতো বিশ্ব জুড়ে পাগল খুঁজিয়া ফেরে
কিভাবে বিলোপ হবে ফেটাল এরর।