ফেসবুকে যেসব লেখা দিয়েছিলাম তা এখানে কপি রাখা হবে।
ভগবান, গড, আল্লা ইত্যাদির সাথে হাচিনার নামটাও আজ যুক্ত হল। ওনাদের মতন ইনিও দাবী করলেন যে তিনি সবাত্তে বেশি বোঝেন। আর যারা প্রশ্ন তোলে তাদের লাঠিপেটা করেন।
03/07/2011
মাথা খারাপ প্রশ্ন.
১) লেডি বার্ড দের রাজা কে কি বলা হবে?
২) বাড়ি যখন তৈরী হয় তখন building বলা ঠিক আছে। কিন্তু যখন ভাঙ্গা হয় তখনো কেন বিল্ডিং বলা হবে?
৩)মাছ যখন কাঁদে তখন কি চোখ দিয়ে জল বের হয়?
৪) হারমোনিয়াম এর কি-বোর্ড এ কিছুই লেখা থাকে না তাহলে রিড কেন বলে?
৫) গ্লাস মানে কাচ। তাহলে প্লাস্টিকের গ্লাস মানে কি?
12/08/2011
একদা লুই পাস্তুর নামে এক রসায়নবিদ্যার ছাত্র একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করেছিল। "জিনিস পচে কেন?" সেদিন তার শিক্ষকেরা দুঃখ করেছিলেন এমন বুদ্ধিমান ছাত্র এই ফালতু গবেষণায় সময় নষ্ট করে দেখে।
এই একটি প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার ফলে আজ পৃথিবীতে প্রতি বছর যে পরিমাণ জীবন বেঁচে যায়, তা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হত্যাকারীও সারা জীবনে মেরে শেষ করতে পারেনি। যে পরিমাণ খাদ্য সম্পদ রক্ষা পায় তা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূর্যোগে নষ্ট হওয়া খাদ্যের চেয়ে বেশি।
তাই, ফালতু প্রশ্ন করা বেকুবের কাজ।
একদিন তিন নেতা হেলিকপ্টারে উড়ছিলেন। একজন একটি ১০০ টাকার নোট নিচে ফেলে দিয়ে বললেন,
একজন গরিবের উপকার করলাম।
দ্বিতীয়জন তাই দেখে দুটি ৫০ টাকার নোট নিচে ফেলে দিয়ে বললেন,
আমি দুজন গরিবের উপকার করলাম।
তৃতীয়জন এক টাকার কয়েন ১০ টি ফেলে দিয়ে বললেন,
আমি দশজন গরিবের উপকার করলাম।
পাইলট আর থাকতে না পেরে বললে
আপনারা আমাকে প্যারাস্যুট বেঁধে নিচে ফেলে দিন। সারা দেশের উপকার হবে।
কেউ যদি ১০০ বার গুলি চালিয়ে ১০ থেকে ১২ টি টার্গেট হিট করতে পারে তবে তাকে বন্দুকবাজ বলে মেনে নিতে অবশ্যই সমস্যা আছে।
প্রার্থনার বেলাতেও সাকসেস রেট সেই ১০ থেকে ১২ শতাংশই। সে প্রার্থনা GOD এর কাছেই করা হোক বা DOG এর কাছে।
15/09/2011
যেসব প্রার্থনা সফল হয়ঃ-
১) অমুক ব্যাটা মরুক। (সব ব্যাটাবেটিই একদিন মরবে। সফলতা ১০০%)
২) ইন্ডিয়া পাক ক্রিকেট ম্যাচে ইন্ডিয়া জিতুক। (এর সাথেই পাকিস্তান জিতুক বলেও অনেকে চাইবে। দুটোর একটা সফল হবেই। ১০০%)
৩) অমুক চাকরিটা আমার হোক। (সব প্রার্থীই এমনটা চাইবে। এক জনের বেলায় সফল হবেই। ১০০%)
৪) অমুক দেশ বিশ্বকাপ ক্রিকেট জিতবে। (জেতার মতন দেশ আছে গোটা ছয়েক। ছয়জন জ্যোতিষী আলাদা আলাদা দেশের নাম করলেই একটা মিলে যাবে। ৯৭%)
15/09/2011
মুসলমান কখনো অসময়ে মরে না। মরার সময় হলে তবেই মরে। (বুদ্ধিমান নেতা)
তাই নেতাদের সিকিউরিটির পিছনে টাকা নষ্ট করার দরকার নাই। (বেকুব নাস্তিক)
23/09/2011
প্রাচীন কালে পৃথিবী সমতল ছিল। পরে মানুষের সুবিধার জন্য ঈশ্বর সেটি গোল করে দিয়েছেন। নাস্তিকেরা খুব খারাপ লোক! এই সামান্য ব্যাপারটা ধর্মকেতাবে লিখতে ভুলে যাবার দোষে ঈশ্বরকে 'নাই' করে দেয়।
06/10/2011
আস্তিকদের তুলনায় নাস্তিকেরা চিরকালই বেকুব। কারণ নাস্তিকেরা কোনো প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে 'জানিনা' বলে স্বীকার করে। আর আস্তিকেরা সেই ক্ষেত্রে গ্যানী উত্তর দেয় - 'ইহা উপরওয়ালা করেন'।
এই পদ্ধতিতে আপনিও পরম জ্ঞানী হতে পারবেন খুব সহজে। যেকোনো প্রশ্নের উত্তরে কেবল বলবেল ' এটি ঈশ্বর করেন।' যেকোনো দাবীর উত্তরে বলুন প্রার্থনা করতে। যেকোনো বিফলতার কারণ হিসাবে বলুন 'ঈমানে কমতি আছে'।
প্রমাণ চাইলে বলবেন আপনি এসব স্বপ্নে জেনেছেন। আপনার স্বপ্নের উপর কোনো প্রশ্ন তুললে টেনে এক থাবড়া দেবেন। সেই ক্ষমতা না থাকলে যত পারেন আজগুবি ভয় দেখাবেন। ভয় দেখিয়ে কাজ না হলে তার সাথে কথা বলাই বন্ধ করে দিন। বাকিদের বোঝান যে আজগুবি কথায় ভয় না পাওয়া পাগলের লক্ষন।
04/11/2011
ভগবান, গড, আল্লা (সংক্ষেপে ভগা) সমস্ত কিছু জানেন। তার পরেও তিনি মানুষকে কয়েক হাজার বছর ধরে পরীক্ষা করেই চলেছেন। সেই পরীক্ষা কবে শেষ হবে তার কোনো হদিশ পাওয়া যায় না।
যিনি সমস্ত কিছু যানেন তিনিই যদি এমন করেন তবে আমার মতন বেকুব নাস্তিক দুটো প্রশ্ন করলে কিম্বা কোনো একটা কিছুকে পরীক্ষা করে দেখতে চাইলে ভগার চামচা-রা ক্ষ্যাপে কেন? ভন্ডামি ধরা পড়ে যাবে বলে???
06/11/2011
আজ যদি আপনাকে বিনা দোষে পুলিশে ধরে পিটানি দেয় তবে সরকারকে ধন্যবাদ দিন। অন্তত বিনাদোষে গুলি তো করে নাই।
অবাক লাগছে? তবে ধর্মের বাণী শুনেন-
আমি এক বেলা ভাত পাই না সেজন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। সোমালিয়ার মতন না খেয়ে তো মরি না।
12/11/2011
নিয়মিত বাঁশ খেয়ে আজকাল আল্লার মুমিন বান্দারা বলতে শুরু করেছে যে অন্যের বিশ্বাসে আঘাত দেওয়া বেজায় খারাপ কাজ। তবে মহা-উন্মাদ যখন কাবার মূর্তিগুলো ভেঙেছিল তখন মোটেই খারাপ কাজ করেনাই। কারণ সে উন্মাদ হলেও নাস্তিক ছিল না।
18/11/2011
শয়তান যখন আল্লাকে প্রশ্ন করেছিল যে আদম কোন হিসাবে ফেরেস্তাদের চেয়ে উন্নত তখন আল্লা তার কোনো উত্তর না দিয়েই তাকে স্বর্গ থেকে বের করে দিয়েছিলেন। সেদিন থেকেই শয়তান আদমের শত্রু।
তার পর থেকে মানুষকে শয়তানের থেকে দূরে রাখার জন্য আল্লা ক্রমাগত হুমকি ধমকি সমেত উপদেশ দিয়ে চলেছেন। সেই উপদেশ না শুনলে নরকের আগুনে পোড়াবেন।
এর চাইতে কি শয়তানের এই একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তাকে শান্ত করা বেশি কঠিন ছিল? মানুষের জন্য হাজার হাজার সহজ উপদেশ আর কঠিন শাস্তির ফিরিস্তি না দিয়ে যদি শয়তানের এই একটি প্রশ্নের উত্তর সহজ করে দেওয়া যেত, কিম্বা তাকেই কঠিন শাস্তির হুমকি দেওয়া হত তবে তো অনেক সুবিধা ছিল।
-------------
গাঁজা গল্প ততদিনই লোকে বিশ্বাস করে যতদিন প্রশ্ন করতে না শেখে।
19/11/2011
মহা উন্মাদ কোরানের বাণী পেতেন বিভিন্ন ভাবে যেমন
১) স্বপ্নে।
২) অজ্ঞান অবস্থায়।
৩) পর্দার আড়াল থেকে কথা।
৪) ফেরেস্তা এসে সজ্ঞানে বলে যেত। (৬০০ ডানাওয়ালা জিব্রাইল সাত আসমান পার হয়ে কিভাবে আসত তা আল্লাই ভালো জানেন।)
এইভাবে পাওয়া কথাগুলি নিয়ে কোরান তৈরী হয়েছে। কিন্তু মেরাজে গিয়ে সরাসরি আল্লার কাছ থেকে পাওয়া কথাগুলি কোরানে না থাকার কারণ কি?
20/11/2011
রিয়েল গাধাকে যদি কেউ পরকালে ঘাস দেবার কথা বলে পোষ মানাতে চায় তো গাধা কোনোদিন সেই কথায় বিশ্বাস করে পোষ মানবে না। অন্যদিকে ধর্মগাধা যে শুধু বিশ্বাস করে পোষ মানবে তাই না, অন্যদেরও ডেকে আনা শুরু করবে।
12/12/2011
লালু একখানা রেডিও বানিয়েছে। তাতে FM সার্কিট লাগায় নাই। একদিন কি খেয়াল চাপল, FM শুন্তে গিয়ে রেগে রেডিওখানা লাথি মেরে ভেঙে দিয়ে আগুনে ফেলে দিয়ে এল। বললে, ফালতু রেডিও।
কান্ড দেখে সবাই বল্ল, "নিঃসন্দেহে লালুর মাথায় গোলমাল আছে"।
ঈশ্বর কিছু মানুষ বানালেন। যাদের মাথায় তেনার অলৌকিক বাণী ধরার এন্টেনা লাগান নাই। একদিন কি খেয়াল চাপল, ভূমিকম্প আর বন্যা দিয়ে তাদের মেরে নরকের আগুনে ফেলে দিলেন।
কান্ড দেখে সবাই বললে "নিঃসন্দেহে ঈশ্বর মহান"।
14/12/2011
হরি হে তুমিই সত্য
বাকি সব অপদার্থ
মাটিতে করিয়া গর্ত
নোনা জলে ভরালে......
তোমার নাই আদি অন্ত
দিলে গাদা ধর্মগ্রন্থ
বানাইয়া সাধুসন্ত
মাঠে ঘাটে ঘোরালে......
কি আর তোমারে বলি
এসে গেল ঘোর কলি
বন্ধ হইল নরবলি
পূণ্যলোপ করালে.......
কি বলি মনের ভাব
লিখি শুধু আবজাব
যেমন ঈশপ সা'ব
লেখে তার মরালে........
29/12/2011
ঈশ্বরকে আমার মনে হয় সেই বস এর মতন, যাকে তেল দিয়ে চললে স্বর্গে আর তেল না দিলে নরকে ট্রান্সফার করে দেবার ভয় দেখান। যদিও নিয়মিত মাইনে দেবার বেলায় তাঁর উৎসাহ খুবই কম। তিনি নাকি মাইনে না দিয়ে মানুষকে পরীক্ষা করেন।
সর্বগ্যানী যদি দিনরাত পরীক্ষা করেন, তবে আমরা পরীক্ষা করতে চাইলে কি এমন দোষ হয় বুঝি না। এর থেকে বোঝা যায় যে সর্বগ্যানী হবার আগে এবং পরেও পরীক্ষা করতেই হয়। আমিও ঈশ্বরকে দিনরাত শ্রাদ্ধ করে পরীক্ষা করেছি। সেই পরীক্ষার ফলাফল বলছে তিনি কিস্যুই করতে পারেন না। এই পরীক্ষা আরো অনেক দিন চলবে। আশা করি আরো অনেকে এই পরীক্ষা করে দেখবেন।
04/01/2012
আসতে পারি স্যার?
প্রশ্ন শুনে ছাগুচিফ তেনার খুর লাগানো চেয়ারে সাড়ে তিন পাক দিয়ে দরজার দিকে তাকালেন। দেখলেন দরজায় এক অভিজাত ছাগু দাঁড়িয়ে। তাঁর চেহারা দেখেই ছাগুচিফ আনন্দে লাফ দিয়ে উঠে এগিয়ে গেলেন।
"আসুন কাউন্ট ছাগুলা! আপনার জন্যেই তো সব কাজ ফেলে অপেক্ষা করছিলাম।"
অভিজাত ছাগু এতখানি বোগদাদী তৈল পেয়েও কোনো উল্লাস দেখালেন না। পরিষ্কার বোঝা গেল এই রকম তেল তিনি নিয়মিত পেতে অভ্যস্ত। শুধু বললেন, "কাউন্ট ছাগুলা নয়, আমি ডিউক ছাগুলা। আমার ভাই ছিল কাউন্ট ড্রাকুলা। এবার তবে কাজের কথা শুরু করুন। আমাকে এর পর আবার কিছু শিং ওয়ালার সম্মেলন করতে যেতে হবে।
ছাগুচিফ তাঁর শিং এর গোড়া চুল্কাতে চুল্কাতে বললেন, " দেখুন, মহামান্য গোয়া বলেছেন আপনার কাছে আমরা অনেক কিছু আশা করতে পারি। তো কাজের কথা যখন এলই, তখন আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় কাজ কী সেইটা যদি বলেন।"
প্রথম কথা তো কাজের ছোটো-বড় হয় না। আর আমার সবই বড় কাজ। ছোটো কাজ আমি করি না। আশা করি এইটুকু জানা আছে বলেই আপনারা আমার কাছে কিছু আশা করতে পেরেছেন।
শুনেছি আপনি খুব ভালো গল্প লেখতে পারেন। এত ভালো লেখেন যে লোকে সেসব গল্প বলে বোঝেই না। তো আপনাকে যদি আমরা ১০০ গ্রাম মেটেরিয়াল সাপ্লাই দিই তবে তার থেকে এক কেজি গল্প প্রোডাকশন করতে পারবেন?
সেতো আমি হামেশাই করে থাকি। তবে আমি কিন্তু কাঁঠালপাতায় পেমেন্ট নিই না। বুঝতেই পারছেন, হিউম্যান কারেন্সিতে না থাকলে মানুষ আমাকে বিশ্বাস করবে না। আর আমার গল্পও সত্য সংবাদ এর পাতায় ছাপা হবে না।
ছাগুচিফ বললেন, এইটা আমার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব না। আসলে আমিও হিউম্যান কারেন্সি পাই না। এজন্য আমাদের একবার মহামান্য গোয়ার ছাগবাজারে যাওয়া লাগবে। আর ইয়ে স্যার! বলছিলাম যে আপনার যদি হয়ে যায়তো ওনারে আমার ব্যাপারে এট্টু বলে দেবেন? আমিও কাঁঠালপাতার পেমেন্ট পছন্দ করি না। কাঁঠালপাতা খেতে ভালো, কিন্তু তাতেতো হূর বা গেলমান কেনা যায় না।
ডিউক ছাগুলা চোখ টিপে বললেন, সেইটা নির্ভর করবে আপনার সার্ভিসের উপর।
ছাগুচিফ আর কিছু না বলে কোমরের বেল্ট খুলে ফেলে পিছন ফিরে বললেন I am always at your service SIR.
এর পরে যা ঘটল তা ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি। চিফের সার্ভিসে মারাত্মক খুশি হয়ে ডিউক আর হিউম্যান কারেন্সির কথাই তুললেন না।
14/07/2012
ধ্বংস হোক আবু লাহাবের দুই হাত। আর সেও ধ্বংস হোক।
আসমানী কিতাব অনুসারে এটি বলেছেন আল্লা।
আল্লা যখন 'হও' বলেন তখনি তা হয়ে যায়।
আসমানী কিতাব অনুসারে এটিও বলেছেন আল্লা।
এতদ্বারা প্রমাণিত হইল- আসমানী ট্রেন ও প্রায়ই লেট করে।
05/01/2013
আজি এ প্রভাতে রবির কর
আসিয়া পড়িল টাকের পর
কেমনে আসিল ভরা চুল মাঝে
সুয়েজ খালের ফাঁক?
না জানি কেন রে চুল ঝরে ঝরে
মাথায় পড়িছে টাক।
ওরে, মাথায় পড়িল টাক
ওরে, উথলি উঠিছে বারি
চুল হারানোর বিপুল বেদনা
ধরিয়া রাখিতে নারি।
চুলের চিন্তা চুলকাই মাথা
আরো চুল তাতে পড়িছে খসে
তেল মাখি, নাকি শ্যাম্পু লাগাই
গালে দিয়া হাত ভাবি যে বসে।
হেথায় হোথায় পাগলের প্রায়
ঘুরিয়া ঘুরিয়া খুঁজিয়া বেড়াই
কার কাছে যাই? কোথা গেলে পাই
দাবাই চুল পড়ার!
03/02/2013
আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নাই
এইটি যখন মাইক লাগিয়ে চিল্লানো হয় তখন তো অনেকেরই ধর্মানুভূতি আহত হবার কথা। তাই অবিলম্বে মসজিদে মাইক ব্যবহার বন্ধ করার দাবী জানালাম। আশা করি ধর্মানুভূতির এজেন্টরা একমত হবেন।
26/03/2013
ইতিহাস রিপিট হয়।
একদা নবী মহম্মদ যখন মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে তাঁর এক আল্লাহ তত্ব প্রচার শুরু করলেন তখন বেশ কিছু মৌলবাদী মূর্তিপূজক তাঁর পিছনে লেগে গেছিল। এদের হাত থেকে বাঁচার জন্য মহম্মদ কাবাঘরে রাত কাটাতেন। সে সময়ে কাবাঘরে মারামারি নিষেধ ছিল। অবশ্য পরে যখন তিনি অস্ত্র হাতে মক্কা দখল করলেন তখন প্রাণ বাঁচাতে কাবাঘরে আশ্রয় নেওয়া কয়েকজনকে সেখানেই খতম করা হয়। (সত্য সেলুকাস! কি বিচিত্র এই মহামানব!)
মক্কায় মহম্মদের চাচা ছিলেন আবু তালিব। ইনি ছিলেন একজন সম্মানিত মূর্তিপূজক। মহম্মদকে বাঁচানোর জন্য ইনি নিজের ছেলেদের পর্যন্ত মহম্মদের বডিগার্ড নিয়োগ করে দিয়েছিলেন। অবশ্য মহম্মদের ধর্ম অনুসারে এই লোকটি একজন নিকৃষ্ট জীব। (সত্য সেলুকাস!)
মক্কা ত্যাগ করে মহম্মদ যখন মদীনায় গেলেন তখন তিনি দুর্বল সংখ্যালঘু। সব সংখ্যালঘুরাই যা করে তিনিও তাইই করলেন। ধর্মীয় স্বাধীনতাকে অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবী করলেন। অবশ্য মক্কা দখল করার পরে তিনি কাবার সমস্ত মূর্তি ভেঙে এবং বিধর্মীদের কাছে জিজিয়া আদায় করে প্রমাণ করেছিলেন ধর্মীয় স্বাধীনতা আসলে কি বস্তু। (সত্য সেলুকাস!)
ভোটের মুখে একদিকে নাস্তিক+ আম পাব্লিক, অন্যদিকে ছাগু+ আম মুসলিম এর মাঝে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ায় এখন হাম্বা সরকার বাংলাদেশে মদীনা সনদ নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে বুদ্ধিমানের জন্য আছে অনেক নিদর্শন। রাজাকার, নাস্তিক, আমজনতা, সকলের থেকেই গোটাকয়েক করে হাজতে রেখে তিনি বেশ ভালই ব্যালান্স বানিয়েছেন। আজ বার বার আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট এর কথা মনে পড়ছে। BAL নিয়ে তেনার স্ট্যাটাস পড়ে প্রায়ই হাসিতামাশা করতাম।
17/04/2013
মূর্তিপূজকেরা হাজার হাজার দেবতায় বিশ্বাসী। মহম্মদ এক দেবতায় বিশ্বাসী বলে তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মানব হইছিল। আজ নাস্তিকেরা শুন্য দেবতা আমদানী করে আরো উন্নত মানব হইয়া গ্যাসে।
সেকালে নাকি লোকে গাদা গাদা সাদী করত। মহম্মদ চার সাদীর ফরমান দিয়ে তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মানব হৈল। এখন যারা এক সাদী করে, কিম্বা করেই না তারা তবে আরো উন্নত মানব হইয়া গ্যাসে!
27/06/2013
যেই কারণে নাস্তিকেরা বেকুবঃ
আল্লা, বিল্লা, কাঁচকল্লা থেকে শুরু করে যত প্রকারের আসমানী রসোগোল্লা আছেন তাঁরা সকলেই একই মিশন নিয়ে কাজ করেন। তা হল পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে তাল্গাচের ছায়াতলে পাঠিয়ে দেওয়া। ঠিক এই রকম করেই এক সময়ে নীলচাষীদের, চা-শ্রমিকদের, রাবার চাষীদের ছাতামাথা বুঝিয়ে যে কাগজ তারা পড়তেই পারে না তাতে টিপসই করিয়ে নেওয়া হত। ধর্মগুলোও একই ভাবে বকে চলেছে "আগে কাগজে টিপ দিতে হবে, তার পর বুঝবে তাতে কি লিখেছে"।
আজকাল সমস্ত তাল্গাচেরও একই বক্তব্যঃ "সব তাল্গাচই তাল্গাচ এবং নিজের তাল্গাচ নিজের কাছে। তবে আমার তাল্গাচ ছাড়া বাকিগুলোতে তাল ফলে না। যদি বা ফলে তো তেতো হয়।"
17/09/2013
গতকাল আমার এক ফেরেন্ড কইল, সে যোগ শিখতে শুরু করসে। চক্ষু বন্দ কইর্যা কিসব আসনে বইস্যা কিসব কইর্যা নাকি সোজা ঈশ্বরের সাথে কন্ট্যাক্ট মানে যোগ করা যায়। এই নাকি যোগের ডেফিনিশন। অনেক বাবাজী মাতাজীই নাকি এইভাবে যোগ মানে কন্ট্যাক্ট করেন।
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস নাকি এই রকম ডাইরেক্ট কন্ট্যাক্টে ছিলেন। একেবারে লীজড লাইনে। অন্য দশজন মানুষের সাথে যেভাবে সামনা সামনি কথা কইতেন সেই রকম সরাসরি কন্ট্যাক্ট।
কিন্তু আজব ব্যাপার অন্যখানে। তাঁর যখন গলায় ক্যান্সার হল, ডাক্তার ওষুধ দিলেন আর ফুলকপি খেতে মানা করে দিলেন। পরমহংস তখন কপি তুলে রেখে ঝোলটুকু খেতে লাগলেন। ফলে চিকিৎসায় কাজ হল না। একখানা সাদাসিদে মানুষ অকালে মারা পড়ল।
মানুষ মাত্রেই ভুল করে থাকে। কিন্তু ডাইরেক্ট কন্ট্যাক্টে থেকেও ঈশ্বর যদি তাকে সাবধান না করেন তবে খেটেখুটে তেমন ঈশ্বরের সঙ্গে কন্ট্যাক্ট করে কি লাভ হয় সেইটাই প্রশ্ন।
ঈশ্বর মানবজাতিতে রক্ষা করবেন বলেও আমার তেমন ভরসা হয় না। তেলাপোকা আর এনফিলিস মশা যদি ঈশ্বর ভজনা ছাড়াই এতকাল টিকে থাকে তবে মানুষও পারবে।
23/11/2013
পাকি ছাগু সঙ্গীতঃ-
হারে রেরে রেরে ওদের ছেড়ে দেরে দেরে.....
পাকি সব করে রব ফাঁসি না থামিল....
কে বিদেশী মন উদাসী পরাও ফাঁসি ও গর্দানে.......
যে ফাঁসি হয়ে গেছে তারে কেন থামতে বলো........
শুন্য এ বুকে পাকি মোর, ফিরে আয়! ফিরে আয়!!
একে একে দেখিস যখন পরের ফাঁসি ও পাকি.........
19/12/2013
যে প্রমাণহীন বিশ্বাসে অনুপ্রাণিত হইয়া মানুষ বোকা হওয়াকেই বুদ্ধির কাজ মনে করে, তাহাকে ধর্ম বলা হয়।
23/12/2013
মুহম্মদ নিজে বিধবা বিবাহ করেছিলেন এবং নিজের বিধবাদের বিবাহ নিসিদ্ধ করেছিলেন।
28/12/2013
প্রাচীন ভারতে হরিশ্চন্দ্র নামে এক রাজা ছিলেন। সোজা সরল রাজাটাকে ঠকিয়ে বামুনেরা (মানে সে কালের বুদ্ধিজীবিরা) তাঁর রাজত্ব তো শেষ করেছিলই, তাঁকে শূয়োরের গোয়ালে ঝাড়ুদার বানিয়ে ছেড়েছিল। এতে রাজার কি ক্ষতি হয়েছিল বা বামুনদের কি লাভ হয়েছিল তা কেউ কেউ জানলেও রাজ্যের প্রজাদের কি অবস্থা হয়েছিল তা কোথাও লেখা নেই।
আজও আমরা (মানে আধুনিক বুদ্ধিজীবিরা) সেই ট্রাডিশন বয়ে চলেছি। রাজ্য চালানোর মতন যোগ্য আর সৎ মানুষদের ঝাড়ুদারের কাজে লাগিয়ে রেখে রাজত্ব তুলে দিয়েছি এমন কিছু লোকের হাতে যাদের শুয়োর ভেড়া সামলানোর মত যোগ্যতাও কোনোকালে হবে না।
6 February 2014
গণতন্ত্র ও মোল্লাতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য হল-
মোল্লাতন্ত্র কি জিনিস তা মোল্লারা জানে। গণতন্ত্র আসলে কি তা জনগণ জানে না।
(মোল্লাতন্ত্র কারো পছন্দ না হলে তার বদলে রাজতন্ত্র থেকে সেনাতন্ত্র যাহোক কিছু বসিয়ে নেবেন।)
5 February 2014
ঈশ্বর তৈরী করা সবচেয়ে সহজ কাজ। সমস্ত ধর্মে পরিষ্কার করে বলা আছে যে নৌকা বানাতে গেলে মিস্তিরি লাগে, সময় লাগে, কাঠ লাগে। কোনো কিছুই নিজে হয় না, খালি ঈশ্বর বাদে।
ঈশ্বর বানাতে গেলে আপনার কোনো কাঁচামাল, মিস্ত্রী বা সময়ের প্রয়োজন নেই। আপনি শুধু 'হও' বলেই একেবারে নিজের মনের মতো কাস্টোমাইজড ঈশ্বর সৃষ্টি ফেলতে পারেন। নিরাকার বা সাকার থেকে ফাকার পর্যন্ত, যেমন আপনার খুশি। তারপর সেই ঈশ্বরের কাছ থেকে নিজের পছন্দমতো বাণীও আদায় করতে পারবেন শুধু ইচ্ছা করলেই।
ঈশ্বর সর্বশক্তিমান, তাই এই ঈশ্বরকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করে আপনি ম্যান পাওয়ার, মানি পাওয়ার, যা কিছু পাওয়ার সবই পেতে পারবেন। আপনার তৈরী ঈশ্বরের অসাধ্য/অদেয় কিছুই নেই। কেবল আপনাকে উদ্যমী হয়ে চেষ্টা করতে হবে। উদ্যমীকে ঈশ্বর সাহায্য করেন।
10 February 2014
পড়ো সেই মহান মালিকের নামে যিনি সৃষ্টি করেন। সৃষ্টি করেন কলেরা, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, প্লেগ, ডেঙ্গু, এইডস, ফ্লু বা পোলিওর মত জীবানুদের।
তোমরা অনুসরণ কোরোনা সেইসব পথভ্রষ্টদের যারা মালিকের এইসব মহান সৃষ্টিকে বিনাশ করার ঔষধের জন্য গবেষণারত। নিশ্চয় ঔষধ সৃষ্টিকারী অপেক্ষা রোগ সৃষ্টিকারী উত্তম।
23 February 2014
পুরাতন বুদ্ধি আবার নতুন করে দিতে হল।
পিছলামী ফতোয়াবাজেরা যেভাবে চ্যাট করাকেও হারাম ঘোষণা করেছে তাতে বাংলার ছাগুসমাজের পক্ষে চিন্তার কারণ। তবে পিছলাম নামক পূর্নাঙ্গ বেধানে সব কিছুরই সমাধান আছে।
আপনি যার সঙ্গে চ্যাট করতে চান তাকে প্রাইভেট স্ট্যাটাসে ট্যাগ করে লিখুন "আমি আপনাকে ছহি পিছলামী সিস্টেমে দুই ঘন্টার জন্য মূতা বিবাহ করিতে ইচ্ছুক"।
এর সঙ্গে একজন পিছলামী মোল্লাকেও ট্যাগ করবেন যিনি দু লাইন সূরা লিখে আপনাদের দুই ঘন্টার বিবাহ সার্টিফাই করবেন।
এছাড়া পাত্রপক্ষ থেকে দুজন ও কন্যাপক্ষ থেকে দুজন বন্ধুকেও ট্যাগ করবেন, তারা সাক্ষীর কাজ করবে।
যদি গালাগালির পরোয়া না করেন তবে প্রাইভেট এর বদলে পাব্লিক স্ট্যাটাসেই করতে পারেন।
বিবাহ হইয়া গেলে মিঞা-বিবি এন্তার চ্যাট করুন। কারো বাপের সাধ্য নাই আপত্তি করার। খালি সময়ের দিকে খেয়াল রাখবেন। দুই ঘন্টা পার হয়ে গেলে আল্লা চটে যেতে পারেন।
দুই ঘন্টা যদি কম মনে হয় তবে দুই দিন বা তার বেশি সময়ের জন্যও মূতা বিবাহ করা যায়।
30 May 2014
মহম্মদ নিজেই আল্লার উপর ভরসা রাখত না।
১) কুরানে পরিষ্কার লেখা আছে যে আল্লার মরজি ছাড়া কারো মৃত্যু হয় না। নবী ইব্রাহিম তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। তাকে আগুনে ফেলে দেওয়ার পরেও নাকি কিছুই হয়নি। রাতের অন্ধকারে গুন্ডা পাঠিয়ে আবু রফি কে খুন করানোর পর মহম্মদের প্রথম বক্তব্য ছিল "Allah had killed Abu Rafi" এই কথার উপর যদি ভরসা থাকত তবে মহম্মদ কেন মক্কা ছেড়ে পালাবে?
২) মহম্মদের জন্মের আগে থেকেই ভারতীয় ক্ষত্রিয়রা যে যুদ্ধনীতি মেনে চলত তার প্রধান নিয়ম ছিল অতর্কিত হামলা অন্যায়। আত্মসমর্পণকারী শত্রুকে হত্যা করা চলবে না। নিরস্ত্র শত্রুর উপর অস্ত্র ব্যবহার চলবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। তাদের সঙ্গে আল্লাও ছিল না ফেরেস্তাও ছিল না। তবুও তারা চোরের মতন আক্রমণ করাকে ছোটোলোকের কাজ বলেই মনে করত। অন্যদিকে মুহম্মদের জিহাদের প্রধাণ অস্ত্র ছিল অতর্কিত হামলা। যে লোকে দাবী করে তার সঙ্গে আল্লা আছে, ফেরেস্তা আছে, সেই লোক কেন চোরের মত হামলা করবে? কেন তাকে ঘুমন্ত শত্রুকে খুন করানোর জন্য লোক পাঠাতে হবে? আল্লার হুকুমে যুদ্ধ করতে গেলে তো এমনটা করার কোনো অর্থই হয় না।22 June 2014
যদি চুল দিলে না টাকে
কেন সেলুন এত বানিয়ে দিলে
পথের বাঁকে বাঁকে !!
www.youtube.com/watch?v=3QDD_APy-Vk
2 July 2014
মুসলিমজাতি নানা ভাগে বিভক্ত। কারো সাথে কারো মত মেলে না। কিন্তু মতে না মিললে কল্লা কাটিতে হইবে, এই ব্যাপারে সকলেই একমত।
22 July 2014
মুসলিম জঙ্গীর সঙ্গে কমিউনিস্টের ব্যাপক মিল লক্ষ্য করা যায়। পৃথিবীতে এত মুসলিম দেশ থাকতেও কখনো দেখা যায়নি যে বিধর্মী কাফেরের দেশ ত্যাগ করে মুসলমানেরা তাদের স্বপ্নের দেশে চলে গেছে। বরং সেইসব পরম শান্তির দেশ থেকে দলে দলে মুসলমান লাইন দিয়ে থাকে কাফেরের দেশে ভিসা পাওয়ার জন্য। যারা জন্মসূত্রেই কাফের দেশের নাগরিক তাদের ত কথাই নেই। লাথি মেরেও তাড়ানো যাবে না।
কমিউনিস্ট ঠিক একই ধর্মের। তারা ঠিক ইসলামী জঙ্গীদের মতই যেখানেই ক্ষমতা হাতে পেয়েছে সেখানেই গণহত্যা চালিয়ে সব রকমের সমালোচনা শেষ করে দিয়েছে। কিন্তু এর পরেও আজ পর্যন্ত কোথাও তারা উন্নতি করে দেখাতে পারেনি। নিজেদের ব্যর্থতা চেপে রাখার জন্য সেন্সরশিপের মাধ্যমে সত্য গোপন করতেও তারা ওস্তাদ। নিজেদের দেশে সমালোচনা করলেই যারা খুন করে ফেলে তারাই আবার গণতান্ত্রিক দেশে বসে বসে গণতন্ত্রের গুষ্টি উদ্ধার করবে। দুনিয়ার সব ধরণের ব্যবস্থাকেই তারা ফালতু প্রমাণ করে দিতে পারে কেবল কমিউনিস্ট দেশের মাটিতে ঢুকে কমিউনিজমের একটা কিছু নিয়ে প্রশ্ন করলেই যে মুন্ডুটি হারাতে হবে সে ব্যাপারে কোনো সমালোচনা এদের মুখে শোনা যায় না। ইসলামী জঙ্গীদের মতই তাদেরও যুক্তিপ্রমাণের প্রয়োজন হয় না। সমালোচকের মুন্ডু কেটে নিতে পারলেই তাদের বক্তব্য সত্যি হয়ে যাবে বলে তাদের অন্ধ বিশ্বাস।
এইসব কট্টর বিরোধীদের সমান অধিকার দিয়ে রেখেও পৃথিবীর সমস্ত দেশই উন্নতিই করছে। কিন্তু অন্যদিকে কমিউনিস্ট দেশের মাটিতে একটা সমালোচক পর্যন্ত বেঁচে না থাকলেও সে দেশগুলো টিকে থাকতে পারে না। এমন একটা কাল্পনিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে এরা শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা বলে দাবী করে, ঠিক মুসলিম জঙ্গীদের মতই। আর মুসলিম জঙ্গীদের মতই কাল্পনিক স্বর্গীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার নামে লুটপাট চালিয়ে খেতে এরা খুবই অভ্যস্ত।
কমিউনিস্ট এবং জঙ্গী মুসলিম, দুইয়েরই মূল ভিত্তি হল এক অবাস্তব তত্ব। যে তত্বকে সত্যি প্রমাণ করার একমাত্র উপায় হল প্রতিপক্ষের মাথাটি কেটে নেওয়া। এই কারণেই এই দুই আপাত বিরোধী দলের মধ্যে কাজকর্মে প্রচন্ড মিল দেখা যায়। ইসলামী দেশগুলোতে কমিউনিজমের কোনো গন্ধ না পাওয়া গেলেও কমিউনিস্ট সরকার মাত্রেই ইসলামী জঙ্গীদের সমর্থক। পাকিস্তানের উপর আক্রমণের সম্ভাবনা দেখলে সবার আগে চীনের গদী টলে ওঠে। ফিলিস্তিনে জঙ্গীদের উপর আক্রমণ হতে দেখলে রাশিয়া লাফালাফি শুরু করে দেয়। কিন্তু মুসলিম জঙ্গীদের হাতে যতবড় খুনোখুনিই হোক না কেন এরা কিছুতেই সে সম্পর্কে মুখ খোলে না।
কমিউনিস্টদের এত বেশি মুসলিম প্রীতির আরেকটা কারণ হল কমিউনিস্টের রাজনীতি প্রায় মুসলিমের ধর্মের মতই। মুসলমান যেমন রাষ্ট্রের সমস্ত স্তরেই শুধুমাত্র মুসলমান দেখতে চায় তেমনই কমিউনিস্ট চায় রাষ্ট্রের সমস্ত ব্যবস্থার মধ্যে পার্টির লোক ঢুকিয়ে রাখতে। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট থেকে ঝাড়ুদার অবধি সকলেই হতে হবে পার্টির লোক। নিরপেক্ষতা জিনিসটা মুসলমান এবং কমিউনিস্ট দুজনের কাছেই হারাম।
এই দুই কাল্পনিক ব্যবস্থার দালালেরাই নিজেদের সেরা সিস্টেম হিসাবে দেখার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু আজ অবধি মানুষকে মানুষ করে তোলার ব্যাপারে এই দুটি ব্যবস্থাই একেবারে নিচের তলায় রয়ে গেছে। এইসব প্র্যাক্টিক্যালি হ্যাভ-নটস দের সেরা হবার একটাই পথ, তা হল অন্য সব ব্যবস্থা গুলোকে নষ্ট করে দেওয়া। আর এই কাজে মুসলিম জঙ্গীর মত পেয়াদা আর কোথাও পাওয়া যায় না। তাই মুসলিম জঙ্গীরা যখনই কোনো উন্নত দেশের ক্ষতি করতে গিয়ে মারা পড়ে তখনই কমিউনিস্টের চোখে বান ডেকে যায়। এই মুসলিমরাই আবার নিজেদের মধ্যে মারামারি করলে কিম্বা কমিউনিস্টদের হাতে মারা পড়লে সেই মানবতার 'মা'কে খুঁজে পাওয়া যায় না।
22 July 2014
ইহুদীর ধর্মে বলা আছে - চোখের বদলে চোখ। তাদের উপর রকেট হামলা চালিয়ে তার বদলে মানবতা আশা করে মুসলিমজাতি।
তবে ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, সোমালিয়া বা অন্য কোনোখানেই মুসলমানের কাছে কেউ মানবতা আশা করে না।
23 July 2014