Menu

Show posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.

Show posts Menu

Messages - ওয়াশিকুর বাবু

#46
কটূক্তি ৪৫ – জান্নাতে পুরুষদের জন্য ৭২ টা হুর বা যৌনসঙ্গিনী রাখা হয়েছে। এর পরও তাদের জন্য গেলমান বা বালক যৌনসঙ্গী ব্যাবস্থা আছে। এটা কি বিকৃত শিশুকামীতার উদাহরন নয়?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন কোথায় বলা হয় নি গেলমানরা যৌনসঙ্গী। তাদের রাখা হয়েছে জান্নাতীদের খেদমতের জন্য। নাস্তিকরা মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে ইসলামকে বিকৃত করে।

কটূক্তি ৪৬ – পুরুষদের কামনা পূরনের জন্য স্ত্রীর পাশাপাশি ৭২ টা হুর আছে। অথচ নারীর জন্য এমন কোন ব্যাবস্থা নেই। কোন নারীর স্বামী যদি জান্নাতে না যায় তাহলে তো তাকে একা কাটাতে হবে। এতে কি নারীকে বঞ্চিত করা হয় নি?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ ইসলামে নারীর পূর্ণ যৌন অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের চাহিদা পূরনের জন্য গেলমানদের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। নাস্তিকরা নারীবাদী সেজে ধোঁকা দিয়ে নারীদের ইসলাম তথা জান্নাত থেকে বঞ্চিত করতে চায়।
#47
কটূক্তি ৪৩ – মুসলিমরা বলে ইসলাম নাকি বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম। অথচ মেরাজ, চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করা সহ অনেক বিষয় আছে ইসলাম ধর্মে যেগুলো মোটেও বিজ্ঞানসম্মত নয়। তাহলে কিভাবে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করব?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ অনেক বিষয় আছে যেগুলো বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। এগুলো ঐশী পরিকল্পনার অংশ। আল্লাহর পক্ষে সবই সম্ভব এই বিশ্বাস রাখতে হবে।

কটূক্তি ৪৪ – যদি চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে হয় তাহলে তো যে কোন ধর্মেই বিশ্বাস স্থাপন করা যায়।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ চোখ বুজে বিশ্বাস করতে হবে কেন? যে ধর্ম বেশি সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞান্সম্মত সেই ধর্মই গ্রহন করতে হবে। ইনশাল্লাহ ইসলাম ধর্মই পৃথিবীর সবচেয়ে বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম।
#48
কটূক্তি ৪১ – ইসলামে যা যা বিশ্বাস করতে বলা হয় এবং এর স্বপক্ষে যেসব প্রমান দেখানো হয় তাঁর সবই মুহাম্মদের মুখ নিঃসৃত। এছাড়া আর কোন প্রমান নেই। তাহলে কিভাবে বুঝব মুহাম্মদ সত্যি বলেছে?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ চোদ্দশত বছর ধরে শত শত কোটি মুসলিম উম্মাহ নবীজিকে বিশ্বাস করে আসছে। মিথ্যাবাদীর এত মানুষের বিশ্বাস রাখা সম্ভব হত না। এটাই প্রমান করে যে মুহাম্মদ(সঃ) সত্য বলেছেন।

কটূক্তি ৪২ – কয়েকশ কোটি মানুষ হাজার বছর ধরে বিশ্বাস করে আসছে যীশু ঈশ্বরের পুত্র, কৃষ্ণ একজন অবতার। বিশ্বাসীদের সংখ্যা দেখেই কি এসবে বিশ্বাস করতে হবে।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ কয়েকশ কোটি মানুষ বিশ্বাস করলেই যে কিছু সত্য হয়ে যাবে তাঁর কোন যুক্তি নেই। বিশ্বাস ছাড়া কি আদৌ কোন প্রমান আছে তাদের বিশ্বাসের স্বপক্ষে?
#49
কটূক্তি ৩৯ – কোরানের হিংস্র আয়াতগুলো উপস্থাপন করলেই মুমিনরা বলে এই আয়াতের শানে নুযুল জানতে হবে; বিচ্ছিন্ন ভাবে একটা আয়াত দিলে হবে না। ওই আয়াতে কি বলা আছে সেটাই কি এর অর্থ বুঝতে যথেষ্ট নয়?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন কোরান বোঝা এত সহজ নয়। এই জন্য কোন প্রেক্ষিতে কোন আয়াত নাজিল হয়েছে এবং এর আগে পরে কি আয়াত আছে তা অবশ্যই জানতে হবে। নাহলে বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যার আশঙ্কা থাকে।

কটূক্তি ৪০ – মুমিনরা কোন শানে নুযুল বা আগে পরের আয়াত ছাড়াই কোরানের শান্তিপূর্ণ আয়াত গুলো প্রচার করে।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ আল্লাহ নিজেই বলেছেন,- ''আমি কোরাণ তোমাদের জন্য সহজ করে নাজিল করেছি যেন তোমরা তা বুঝতে পারো।'' যেখানে সরল ভাবেই অর্থ বোঝা যায় সেখানে শুধু শুধু শানে নুযুল, আগে পরের আয়াত এনে প্যাঁচানোর কি আছে?
#50
কটূক্তি ৩৭ – আল্লাহ ভবিষ্যৎদ্রষ্টা তারমানে কোন মানুষ অপরাধ করবে তা আল্লাহ আগে থেকেই জানেন। যেহেতু মানুষের আল্লাহর জানার বাইরে যাবার ক্ষমতা নেই তাহলে মানুষ কেন পাপের শাস্তি পাবে?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন আল্লাহ বান্দার ভবিষ্যৎ জানেন ঠিকই কিন্তু বান্দা পাপ করবে না পূন্য করবে সেটা বান্দা নিজেই নির্ধারণ করে। তাই পাপের শাস্তি বান্দার প্রাপ্য।

কটূক্তি ৩৮ – যদি মানুষের স্বাধীনতা থাকে নিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করার তাহলে আল্লাহ ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা হয় কিভাবে?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ বান্দা পাপ পুণ্যের পথ নির্ধারণ করে ঠিকই তবে আল্লাহ ভাল মতই জানেন কোন পথে যাবে বান্দা। অবশ্যই আল্লাহ ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা।
#51
কটূক্তি ৩৫ - মানুষ সহ এই পৃথিবী বা পুরো মহাবিশ্ব যে আল্লাহ সৃষ্টি করেছে তার প্রমান কি?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ কোন কিছুই আপনা আপনি সৃষ্টি হতে পারেনা। সবকিছুরই স্রষ্টা আছে। এই যে আপনি সুন্দর জামা-কাপড় পড়েছেন তা কি আপনা আপনি তৈরি হয়েছে না কেউ তৈরি করেছে? সামান্য জামা-কাপড়েরও যেখানে প্রস্তুতকর্তা আছে সেখানে তার চেয়ে অনেক গুন জটিল এবং বৃহৎ এই মহাবিশ্বেরও অবশ্যই একজন স্রষ্টা আছেন। আর তিনিই আল্লাহ।

কটূক্তি ৩৬ - সব কিছুর যদি একজন স্রষ্টা থাকতে হয় তাহলে আল্লাহ্‌র স্রষ্টা কে?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ সব কিছুরই যে স্রষ্টা থাকতে হবে এটা ভুল ধারনা। কোথাও থেকে তো শুরু ধরতে হবে। সেই শুরুটা আল্লাহ। আল্লাহ স্বয়ম্ভু। তাই তাঁর কোন স্রষ্টা নেই।
#52
কটূক্তি ৩৩ - মুমিনরা সবসময়ই ধর্ষণের পেছনে বেপর্দা, নারী স্বাধীনতা ইত্যাদি কারন খুঁজে বেড়ায়। এতে কি প্রকারান্তরে ধর্ষককে উৎসাহিত করা হচ্ছে না? ধর্ষক এগুলো ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন কেউ ইচ্ছে করে ধর্ষক হয় না। ধর্ষণের পেছনে দায়ী তথাকথিত নারী স্বাধীনতার নামে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, নারী পুরুষ অবাধ বিচরন। মূলত মানুষ যতই ইসলাম থেকে দুরে সরে যাচ্ছে ততই ধর্ষণ বাড়ছে। এক্ষেত্রে মূল কারনগুলো না বের করে শুধু ধর্ষকের সমালোচনা করে ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়।

কটূক্তি ৩৪ - ধর্মের নামে অনেক বিধর্মী নারীদেরকে ধর্ষণ করা হয় গণিমতের মাল আখ্যায়িত করে। এছাড়াও মোল্লারা প্রায়ই শিশু ধর্ষণ করে। এক্ষেত্রে কেন ধর্মের সমালোচনা করা হয় না?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন একটা ধর্ষণের জন্য ধর্ষকই মূলত অপরাধী। এক্ষেত্রে কেউ কেউ ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করতে চাইলে সেটা ধর্মের দোষ হবে কেন?
#53
কটূক্তি ৩১ - ইসলামের সমালোচনা করলে মুসলিমরা সমালোচনাকারীকে ছদ্মবেশী হিন্দু বলে দাবী করে। এই ছাড়াও অভিযোগ করে এসব সমালোচনা খ্রিষ্টান মিশনারীদের তৈরি। কিন্তু সমালোচক হিন্দু, খ্রীস্টান বা অমুসলিম হলেই বা সমস্যা কোথায়? তারাও তো মানুষ।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন মুসলিমরাই ইসলামের অনুসারী। অমুসলিমদের ইসলামের সমালোচনা করার কোন এখতিয়ার নেই। তারা যে ধর্ম পালন করছে সেই ধর্মের সমালোচনা করে না কেন? নিজ ধর্ম বাদ দিয়ে অন্য ধর্মের সমালোচনা করাটা অনধিকার চর্চা এবং অগ্রহনযোগ্য।

কটূক্তি ৩২ - অমুসলিম মনিষীগণ ইসলাম বা মুহাম্মদের কোন প্রশংসা করলে মুসলিমরা এত উৎফুল্ল হয় কেন?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ ইসলাম শুধুই মুসলমানদের জন্য আসেনি। বৃহত্তর মানব কল্যান সাধনের জন্যই আল্লাহ নবীকে দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অমুসলিমরাও যখন ইসলামের সত্যতা উপলব্ধি করে তখনই তারা প্রশংসা করে। এটা মুসলিমদের জন্য একটা বিজয়।
#54
কটূক্তি ২৯ - মুসলিমদের দাবী ইসলাম নাকি মানবিক ধর্ম। অথচ কোরআন-হাদীস পড়লে অনেক অমানবিক, বর্বর বিধান দেখা যায়। তাহলে কিভাবে ইসলাম মানবতার ধর্ম হয়?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন ইসলাম শতভাগ বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারো পক্ষেই শতভাগ নির্ভুল বিজ্ঞান সম্মত ধর্ম প্রবর্তন করা সম্ভব নয়। আর আল্লাহ প্রদত্ত ধর্মে কোন বর্বরতা থাকতেই পারে না। মূলত বর্বর প্রথাগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে মানুষের দ্বারা। তাই ইসলামের মধ্যে যেসমস্ত বিধান বর্বর সেগুলো মানুষের বিকৃতি ধরে বাতিল করে দিতে হবে। সুতরাং ইসলাম অবশ্যই মানবতার ধর্ম।

কটূক্তি ৩০ - শতভাগ বিজ্ঞানসম্মত দাবী করলেও কোরানের অনেক আয়াত এবং অনেক হাদীস আছে যেগুলো বিজ্ঞান বিরোধী। তাহলে কিভাবে ইসলাম শতভাগ বিজ্ঞান সম্মত ধর্ম হয়?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ ইসলাম হচ্ছে শতভাগ মানবিক ধর্ম। আর এত পূর্ণাঙ্গ মানবিক ধর্ম আল্লাহ ছাড়া কারো পক্ষে প্রবর্তন করা সম্ভব নয়। আর আল্লাহ প্রদত্ত ধর্মে কোন অবৈজ্ঞানিক তথ্য থাকতেই পারে না। মূলত অবৈজ্ঞানিক হাদীসগুলো মানুষ কর্তৃক সংযোজিত ধরে বাতিলযোগ্য। আর কোরানে কোন অবৈজ্ঞানিক আয়াত নেই। তবে অর্থ পরিবর্তনের কারনে অনেক আয়াত অবৈজ্ঞানিক মনে হতে পারে। সেগুলোকে যথার্থ অর্থ দ্বারা প্রতিস্থাপন করলেই ইসলাম শতভাগ বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম বলে প্রমানিত হবে।
#55
কটূক্তি ২৭ - কোরআন যে আল্লাহর বানী কোরআন ব্যাতিত আর কোন প্রমান আছে?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ মুহাম্মদ নিজ মুখে বলেছেন কোরআন আল্লাহর বানী। যেহেতু মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল তাই তার কথা সত্য।

কটূক্তি ২৮ - মুহাম্মদ যে আল্লাহর রসূল তার প্রমান কি?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ কেন কোরআন? কোরানেই লেখা আছে মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল। আর যেহেতু কোরআন আল্লাহর বানী তাই কোরআনের বক্তব্য সত্য।
#56
কটূক্তি ২৫ - মুমিনরা সবসময়ই দাবী করে নাস্তিকরা ইসলাম সম্পর্কে কিছু না জেনেই সমালোচনা করে। অথচ অধিকাংশ মুসলিম থেকেই নাস্তিকরা ইসলাম সম্পর্কে বেশি জান।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন অধিকাংশ মুসলিমরাই জাগতিক ভোগে মত্ত হয়ে ইসলামী জ্ঞান থেকে দুরে সরে গেছে। তাই তাদের জানার সাথে তুলনা সঠিক নয়। আপনাদের হক্কানি আলেমদের কাছ থেকে ইসলাম সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলেই প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে প্রকৃত ধারনা অর্জন করতে পারবেন। জাগতিক যে কোন বিষয়েই যেমন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক প্রয়োজন তেমনি ইসলাম সম্পর্কে জানতেও আলেম ওলামাদের সাহচর্য প্রয়োজন।

কটূক্তি ২৬ - কিন্তু আলেম-ওলামাদের বক্তব্য, ওয়াজ-মাহফিল শুনলে এবং তাদের কর্মকাণ্ড দেখলে তো বোঝা যায় নাস্তিকরা ইসলাম সম্পর্কে যে অভিযোগ করে সেগুলোই সত্যি।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন বর্তমান যুগে সহি আলেম-ওলামা বলতে কেউ নেই। জাগতিক ভোগে মত্ত হয়ে এরা সবাই ধর্ম ব্যাবসায়ী হয়ে গেছে এবং ধর্মকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। কিন্তু এসব গুটিকয়েক মোল্লার দায় কেন ইসলামের ঘাড়ে চাপাবেন? নিজের বিবেক অনুযায়ী কোরআন-হাদীস পড়ুন। তাহলেই প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারবেন।
#57
কটূক্তি ২৩ - মুহাম্মদ তাকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করার কারনে আসমা বিনতে মারোয়ান'কে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, বর্তমানে মুসলিমরাও মুহাম্মদকে ব্যাঙ্গের জবাবে ফাঁসির দাবী করে। যত বড় মহামানবই হোক না কেন কার সম্মানের মূল্য কি মানুষের জীবনের চেয়ে বেশি হতে পারে?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন, মুহাম্মদ  শুধুই একজন মহামানব ছিলেন না। তিনি ছিলেন রাহমাতুল্লিল আলামিন; যাকে সৃষ্টি না করলে আসমান-জমিন, গ্রহ-নক্ষত্র, চন্দ্র-সূর্য, প্রাণীজগৎ কিছুই সৃষ্টি হত না। বলা যায় মুহাম্মদের জন্যই মানুষ। তাই তাকে ব্যাঙ্গ করা কোনভাবেই ক্ষমার যোগ্য নয়...

কটূক্তি ২৪- তারমানে সব মানুষের আগমন হয়েছিল মুহাম্মদের কারনে। তাহলে মুহাম্মদের আগমন হয়েছিল কেন?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন মুহাম্মদ আসার আগে সমগ্র মানব জাতি জাহেলিয়াতের আঁধারে ডুবে ছিল। তিনি না আসলে মানব জাতি আজো বর্বর রয়ে যেত। মানুষকে রক্ষা করতেই মুহাম্মদের  আগমন। তাই বলা যায় মানুষের জন্যই মুহাম্মদ ...

#58
কটূক্তি ২১ - ইসলামকে সর্ব কালের শ্রেষ্ঠ ও পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা বলা হয়। তারমানে দাস প্রথা চিরকালের জন্য প্রযোজ্য?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন ইসলাম একটা মানবিক ধর্ম। দাস প্রথা নিষিদ্ধ করা হয়নি তৎকালীন সময়ের প্রেক্ষাপটে। কিন্তু ইসলামে ইজমা-কিয়াসের বিধান রাখা হয়েছে অর্থাৎ যে কোন প্রথা রহিত করা সম্ভব...

কটূক্তি ২২- তাহলে ইজমা কিয়াসের মাধ্যমে উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে কন্যা শিশুদের সমান অধিকার প্রশ্নে মুসলিমরা সম্মত হচ্ছে না কেন?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন ইসলাম একটি নিখুঁত ও পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা। মানব জাতির সার্বিক কল্যানে এর জীবন বিধান তৈরি করা হয়েছে। মূলত ইসলাম নারীদের দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান। কিন্তু আপনারা ক্ষুদ্র জাগতিক স্বার্থে আল্লাহর আইন ভঙ্গ করতে চান এটা কখনোই গ্রহনযোগ্য নয়...
#59
কটূক্তি ১৯- কোরানের ২১:৩২ আয়াতে বলা হয়েছে, 'আমি আকাশ মন্ডলীকে সুরক্ষিত ছাদ করেছি, অথচ তারা আমার আকাশস্থ নির্দেশাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে।' অথচ আকাশ বলতে কিছুর অস্তিত্ব বিজ্ঞান স্বীকার করেনা। তাহলে কোরআন কিভাবে বিজ্ঞানময় কিতাব হয়?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন এখানে আকাশ বলতে প্রতীকী ভাবে ওজোনস্তরের কথা বলা হয়েছে। আপনার জানেন ওজোন স্তরের মাধ্যমে আমরা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচতে পারি। আধুনিক বিজ্ঞান এই বিষয়ে সম্প্রতি জানতে পারলেও কোরানে আল্লাহ ১৪০০ বছর আগেই এই কথা বলে দিয়েছেন।

কটূক্তি ২০- কিন্তু কোরানের ৬৭:৫ আয়াতে বলা আছে ,'আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা (তারকামন্ডলী) দ্বারা সাজিয়েছি;' আকাশ বলতে যদি ওজোন স্তর বোঝায় তাহলে কি বলতে হবে ওজোন স্তরের ভিতরেই তারা অবস্থিত... :O

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন বিজ্ঞান আকাশের অস্তিত্ব স্বীকার না করলেই যে আকাশ নেই তা কিন্তু নয়। বিজ্ঞানীরা তো মহাবিশ্বের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যায় নি। মানুষের জানার বাইরে মহাবিশ্বের বিশাল অংশ আছে। তাই বলা যায় আকাশও আছে। আর প্রথম আকাশের অভ্যন্তরেই নক্ষত্রমন্ডলী সহ আমাদের মহাবিশ্ব, পৃথিবী অবস্থিত...
#60
কটূক্তি ১৭- ইসলাম জ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করেনা। শুধু কোরআন, হাদীস বা ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের কথা বলে...

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন ইসলাম বিষয়ে জানায় আপনার ব্যাপক ঘাটতি আছে। কোরআন হচ্ছে সর্ব জ্ঞানের আধার। আর আমাদের নবী বলেছেন, 'জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীন পর্যন্ত যাও।' মূলত ইসলাম হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা এখানে সব বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আপনি নিশ্চয় ইবনে সীনা, আল রাজী'দের কথা জানেন... 

কটূক্তি ১৮- তাহলে মুসলিমরা কেন আরুজ আলী মাতব্বুর, হুমায়ুন আজাদকে ঘৃণা করে, কেন বিবর্তন বাদ পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে দেয় না?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন এরা নাফরমানি কথাবার্তা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। আর এসব দুনিয়াবি জ্ঞান নিয়ে কি হবে? দুনিয়া দুইদিনের আখিরাতই আসল। এত জ্ঞান অর্জন করতে গিয়ে পরে নাস্তিক হবে নাকি?