Menu

Show posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.

Show posts Menu

Messages - Jupiter Joyprakash

#16
General / Re: Download m4a to mp3 Converter Now woman
January 03, 2016, 04:18:27 AM
Thanks.
#17
Story / কোরবানি কাহিনী
October 03, 2015, 09:16:25 AM
প্রাতঃকালে ঈশ্বর তাঁহার আরাম চেয়ারে হেলান দিয়া দার্জিলিং চা পান করিতেছিলেন। স্বর্গোদ্যানের দিকে চাহিয়া চাহিয়া তাঁহার মনে পুরাতন দিনের স্মৃতি ভাসিতেছিল। ঐ আপেলবৃক্ষটির নিচে বসিয়া আদম ও ঈভ কতই না ঝগড়া করিয়াছে। তখন তাহাদের বাক্যযন্ত্রণায় তিনি বিরক্ত হইতেন। এখন মনে হইল উহাদের একেবারে বিদায় না করিয়া দিলেই ভাল হইত।
সহসা গিবরিল আকাশ হইতে সরাসরি ঈশ্বরের চেয়ারের পদতলে পতিত হইয়া সম্মুখের দুইটি পদ জড়াইয়া ধরিল। চিৎকার করিয়া বলিল; খোদাবন্দ! গজব হইয়া গিয়াছে!
ঈশ্বর পকেটে হাত দিয়া হাসিয়া কহিলেন- হইতেই পারে না। গজবের গুদামে আমি তালা মারিয়া রাখিয়াছি। চাবীটি আমার নিকটেই আছে।
গিবরিল কহিল, এ গজব সে গজব নহে প্রভু। আমি ইব্রাহিমের কুটির হইতে আসিতেছি।
ঈশ্বর আবার হাসিয়া কহিলেন, তুমি তো সেখানেই গিয়াছিলে। ইব্রাহিমের জন্য যে স্বপ্নাদেশ পাঠাইয়াছিলাম তাহা ডেলিভারি হইয়াছে তো?
ডেলিভারি হইয়াছে প্রভু! তবে সামান্য সমস্যা হইয়া গিয়াছে।
সামান্য সমস্যায় তুমি এত বিচলিত হইতেছ কেন? ইব্রাহিম তাহার পুত্রকে কোরবানি করতেছে- এই স্বপ্ন তাহার মগজে ঢুকাইয়া দিতে কোনো সমস্যা হইয়াছে? সমস্যা যাহাতে না হয় সেজন্য তোমাকে তো দুইটি প্রজেক্টর দেওয়া হইয়াছিল।
যন্ত্রে কোনও সমস্যা হয়নাই প্রভু।
তবে কিসের সমস্যা? বিস্তারিত বয়ান করিয়া শোনাও।

গিবরিল মাথা চুলকাইয়া কহিল- "প্রভু! আমি যখন দুইটি প্রজেক্টর লইয়া ইব্রাহিমের কুটিরের মধ্যে প্রবেশ করিলাম তখন মধ্যরাত। ইব্রাহিম ও তাহার পত্নী ঘুমাইতেছিল। আমি যন্ত্রটি তাক করিয়া ইব্রাহিমের মস্তকে স্বপ্নটি চালাইতে সবে শুরু করিয়াছি এমন সময়ে তাহার পত্নী জড়াজড়ি শুরু করিয়া দিল। গোলেমালে স্বপ্নটি দুইজনের মস্তকেই ঢুকিয়া গিয়াছে খোদাবন্দ!"

ঈশ্বর একটু মাথা চুলকাইয়া কহিলেন, "তারপর?"
"তারপর প্রভু, আমি স্বপ্নের ফলাফল দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। প্রাতঃকালে ইব্রাহিম বড়ই চিন্তিতভাবে ভেড়ার পাল লইয়া মাঠে চলিয়া গেল। সে বিদায় হইবামাত্র তাহার পত্নী তলোয়ারে শান দিতে বসিয়াছে।"
ঈশ্বর বড়ই আনন্দিত হইয়া শুধাইলেন- "পুত্রকে কোরবানি করার উদ্যোগ করিতেছে বুঝি? ইব্রাহিম কোনও কর্মের নহে।"
গিবরিল অশ্রুপাত করিতে করিতে কহিল- "না খোদাবন্দ! পুত্রকে কোরবানি দিবার কোনো সদিচ্ছা তাহার নাই। বরং অন্যকেহ যদি তেমন প্রচেষ্টা করে তবে তাহার মুন্ডটি নামাইয়া দিবার উদ্দেশ্যে সে তলোয়ার শানাইতেছে।"
ঈশ্বর মস্তকে হস্ত রাখিয়া বসিয়া রহিলেন। দার্জিলিং চা ঠান্ডা হইতে লাগিল। কিন্তু কোনও উপায় বাহির হইল না। অবশেষে শুধাইলেন- "উহার মগজে কোরবানির মহিমা সম্পর্কিত কিছু স্বপ্ন প্রজেক্ট করিয়া দেখিয়াছ?
"আপনি দিলে তাহাও করিয়া দিব খোদাবন্দ! কিন্তু তাহার অন্তরে মোহর মারা আছে। আপনার সৃষ্টি আপনি ভালই জানেন।"
ঈশ্বর চিন্তা করিতে লাগিলেন। উহারা বরাবরই এইরকম। ঈভকে বানানোর সময়েই তিনি নিশ্চয় কিছু গোলমাল করিয়াছিলেন। তাহার উপর স্বর্গ হইতে তাড়াইয়া দিয়া আরেক ভুল করিয়াছেন। একেবারেই হাতের বাহিরে চলিয়া গিয়াছে উহারা। হাতের কাছে থাকিলে হয়ত সংশোধনের পথ পাওয়া যাইত। চিন্তা করিতে করিতে ঈশ্বর ঘুমাইয়া পড়িলেন। গতিক দেখিয়া গিবরিল উড়িয়া পালাইল।

সন্ধ্যাবেলা ঈশ্বর গিবরিলকে ডাক দিয়া আনাইলেন। গিবরিল আসিবামাত্র তাহাকে যন্ত্রপাতি ধরাইয়া দিয়া কহিলেন- "এখনই যাও! ইব্রাহিম ঘুমাইবামাত্র তাহার মগজে নূতন স্বপ্ন দিয়া আসিতে হইবে। পুত্র কোরবানি ক্যানসেল হইয়া গিয়াছে। তাহার পরিবর্তে একটা দুম্বা দিতে বলিও।"
#18
आरोप ३
इस्लाम मे युद्ध बंदियों और दासियों की बलात्कार की अनुमति है।
मुह-तोढ़ जबाब: देखिये, हजार साल पहले किसने क्या किया था वो सब सोचकर कोई फाइदा नेही है। आज के मुसलमान दासियों का बलात्कार नेही करते।

आरोप ४
आज के मुसलमान हिलला शादी करते है। औरतों का खतना करते है।

मुह-तोढ़ जबाब: आज के कोई मुसलमान कुछ बुरे काम करने से इस्लाम बुरा नेही हो जाता। ये लोग सही मुसलमान नेही है। हमें ये देखना है के मुहम्मद और उनके साथी कैसे इस्लाम का पालन करते थे। वही सही इस्लाम है।

#19
आइए, नास्तिक के आरोप का मुह-तोढ़ जबाब देते है

आरोप 1
मुहम्मद ने काबा के मूर्तिया तोढ़े , अपने ही पालित पुत्र की बीबी से सादी किया , इसके लिए पालित संतान की प्रथा का लोप कर दिया, ओरतों को पर्दे मे बंद कर दिया

मुह-तोढ़ जबाब:
कोई प्रथा समाज मे चालू रहने से ही वो सही नेही हो जाता । मुहम्मद दुनिया के सबसे महान संसकारक थे। उन्होने समाज का फायदे के लिए  कई आचार का लोप करके नए बिधान दिये थे। उनके द्वारा किया गया  हर परिबर्तन की वजह से दुनिया का फाइदा हुया है।

आरोप २
मुहम्मद ने युद्ध बे मिले औरतों का बलात्कार किया, काफी सारे बीबी और दासी वी भोगा । नाबालिक से  भी शादी किया । बिधर्र्मि जाति के  लोगों का क़तल किया या फिर देश से भागा दिया।

मुह-तोढ़ जबाब:
ये सब उस जमाने मे आरब की आम प्रथा हुया करता था। हर कोई जंग जीत कर येही करता था। इसमे मुहम्मद को दोष देने का कोई कारण नेही है।
--------
ये मुह तोढ़ जवाब मेरा नहीं है। भार्चुयल मोमिन लोगों ने समय समय पर जो जवाब दिया था उसी को बस एक जगह पर जमा किया है। खुद पढ़िए, लोगों को पढ़ाइये और इमान को मजबूत किजिये।
#20
দাঁতভাঙা জবাব সিরিজের লেখক ওয়াশিকুর বাবু ইসলামী সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছেন। ইসলামের সম্পর্কে লেখালেখির কারণেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে গ্রেপ্তার হওয়া দুই আক্রমণকারী স্বীকার করেছে।
ওয়াশিকুর বাবুর পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমাদের সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। তাঁর নির্ভীক লেখনী সমাজের অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজে লাগলেই আমরা সান্ত্বনা লাভ করব।
#21
Collection / Re: The spaceship of Ezekiel in Bengali
February 27, 2015, 09:02:08 AM
উচ্চতাকে এ ব্যবস্থায় রাখা যাবে ন্যূনকল্পে, ভরকেন্দ্র থাকবে যতদূর সম্ভব নিচে আর পৃথিবী মুখী উড্ডয়নেও তা দেবে প্রয়োজনীয় স্থৈর্য এবং অবতরণ বৈশিষ্ট্য। বর্তমানে মহাকাশযানের বহিরঙ্গের এমন আর কোনরকম গঠন-বিন্যাসের কথা জানি না, যা প্রচালন এবং গঠনপ্রণালীর নানাতরো বিরুদ্ধ-ব্যবস্থার মাঝে সমন্বয় সাধন করতে পারবে। এ প্রসঙ্গে, মার্কারী, জেমিনি এবং অ্যাপোলোযানের সুপরিচিত অবয়বের কথা স্মরণ করা যেতে পারে। তাদের গঠন-বিন্যাসে হেলিকপ্টারের অন্তর্ভুক্তি অসম্ভব।

ইজেকিয়েল বর্ণিত মহাকাশযানের উদ্দেশ্য থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, সেই অজ্ঞাতকুলশীল যন্ত্রবিদ্‌দের হাতে যে-ধরনের প্রযুক্তি ছিল এবং যানের যে-চেহারা তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন, তা নিঃসন্দেহে সেই উদ্দেশ্য সাধনের সহায়ক। এই কারণেই আমি বলেছি যে ইজেকিয়েলের প্রতিবেদনের বাস্তব প্রযুক্তিগত ব্যখ্যা নির্ভর করছে, অ্যাণ্ডার্সনের নিবন্ধের ওপর।

যানের বহিরঙ্গের বর্ণনা দিয়েছি এবার তার যস্ত্রপাতির কথা বলবো। প্রধান যন্ত্রগুলোর ভেতর আছে রকেট-ইঞ্জিন- (তাতে আছে, পারমাণবিক শক্তি-উৎপাদক-যন্ত্র, প্লাগনজ্‌ল এবং বিকিরক),ইন্ধনাধার,ইন্ধন, হেলিকপ্টারের প্রয়োজনে শক্তি-উৎপাদক যন্ত্র এবং আরো কিছু বাড়তি যন্ত্র, যথা-পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ-তন্ত্র এবং ইন্ধন ' পুনর্তরলীকরণ যন্ত্র।

নিম্নাঙ্গের গঠনকৌশল যেমন আমাদের পুনর্গঠনের চাবিকাঠি, গোটা অবয়বের ক্ষেত্রে পারমাণবিক শক্তি-উৎপাদক যন্ত্রটিও তেমনি চাবিকাঠি। মূল দেহকাণ্ডের নিম্নতম অংশে স্থাপিত সে-যন্ত্র। এই যস্ত্রটির অভাবেই আমরা আজো অমন যান তৈরী করতে পারছি না।
একথা বুঝতে হলে, রকেটের হিসেব-নিকেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যকে বুঝতে হবে। সে বৈশিষ্ট্য হলো, আপেক্ষিক ঘাত,' Isp। সাধারণ সংজ্ঞা অনুযায়ী তার মান, প্রতি সেকেণ্ডে প্রতি পাউন্ড জ্বালানি খরচ করে একটা ইঞ্জিন যত পাউণ্ড ঘাত (thrust) সৃষ্টি করতে পারে। তার অর্থ, একটা বিশেষ পরিমাণ ঘাত সৃষ্টি করতে যত কম জুলানি খরচ হবে, Isp মান তত বেশি হবে। তাহলে, মোটামুটিভাবে বলা যায়, আপেক্ষিক ঘাত' হচ্ছে, চালক-যন্ত্রের দক্ষতার নির্দেশ। অপরপক্ষে, জ্বালানির ওজনটাই মোট ওজনের বৃহত্তম অংশ, তাই জ্বালানির ওজন কমানোর ব্যাপারটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সহজ কথায়, এইটাই হল, 'আপেক্ষিক ঘাতের' মর্মার্থ।

এমন হতে পারে, কোন একটা উড্ডয়ন-পরিকল্পনায় একটি বিশেষ 'আপেক্ষিক ঘাত' এমন ওজন এবং আয়তনে পরিণত হচ্ছে যে তাদের সমাধান কোনভাবেই সম্ভব নয়। তেমন ক্ষেত্রে উচ্চতর 'আপেক্ষিক ঘাত' ব্যবহার করা যায়, এমন কোন ব্যবস্থা করতে হবে। ইজেকিয়েলের মহাকাশযানের ব্যাপারে আমরা ঠিক এইসমস্যার সামনে পড়ি।

উচ্চ দহন-তাপ সৃষ্টির প্রয়োজনে আজকের চালকযন্ত্রে ব্যবহৃত হয়, জ্বালানির সঙ্গে  বিশুদ্ধ অক্সিজেন, - হয় অনা কোন দাহক। যে ধরনের জ্বালানি আমরা ব্যবহার করি, তাতে আজকের যন্ত্র ৪০০ (চারশ') সেকেণ্ড পর্যন্ত এবং তদূর্ধ্ব Isp মানে পোঁছতে পারে। (সহজ সংজ্ঞা অনুযায়ী 'সেকেন্ড' পাওয়া যায় Isp এর সংজ্ঞা মতে, পাউণ্ডকে
'প্রতি পাউন্ড/সেকেন্ড দিয়ে ভাগ করে। পারমাণবিক শক্তি-উৎপাদক যন্ত্রের ব্যবহারে, তার উচ্চ তাপের কারণে এই মান- পৌঁছে যায় ৯০০ সেকেন্ডের উর্ধে। এ গ্রন্থের পরিশিষ্টে দেথিয়েছি যে ইজেকিয়েলের দেখা মহাকাশযান তখন-ই সম্ভব, যখন Isp  মান ২০০০ সেকেণ্ড বা তারও ওপরে পৌঁছয়। ওই জন্যই অর্থাৎ Isp মানের স্বল্পতার কারণেই ওরকম মহাকাশযান এখন তৈরী করা যায় না। Isp এর অমন উচ্চ মানের পাশে আজকের লব্ধ্ মানকে পারাবারের পাশ পল্বল বললে অতুক্তি হবে না। তবু অতখানি হতাশ হবার কারণ নেই, ব্যবধানটা সতিই অত দুস্তর নয়, বরং বলতে পারি, কয়েক দশকের ভেতরেই অমন চালকযন্ত্র তৈরী করা সম্ভব হবে। অমন একটা যস্ত্র তৈরী করতে সময কতটা লাগবে, তা নির্ভর করে বর্তমান বিরাট প্রযুক্তিগত- প্রতিবন্ধক অপনয়নের ওপর। তবে সে-প্রতিবন্ধ দূর করতে যে টাকা খরচ হবে, তার অঙ্কও আকাশ-ছোওয়া। তবু সেই উন্নত মানে পৌছবার কাল নির্ধারিত হবে, চেষ্টার ব্যাপকতা এবং দৃঢ়তার ওপর। সঙ্গে সঙ্গে একথাও বলা যায়, অমন যন্ত্র ইতিমধ্যেই তৈরী হয়ে যেতে পারতা, যদি তার প্রয়োজনীয়তাকে এবান্তভাবে উপলব্ধি করে কয়েক বছর আগে থেকেই তাব উন্নতিবিধানের চেষ্টা করা হত।

মহাকাশযানের পারমানবিক শক্তি-উৎপাদক যন্ত্র আজ আর এমন কিছু কল্পনার বৃত্তান্ত নয়, নয় দুর ভবিষ্যতের বস্তু। বাস্তবিক পক্ষে, সে বস্তু আজ আমাদের হাতের নাগাল,-সময়ের পরিপ্রেক্ষিতেই হাতের নাগাল,। তবু নিছক প্রযুক্তির দিক থেকে দেখতে গেলে, আকাঙ্ক্ষিত বস্ত কিন্তু হনৌজ দূর অস্ত।

আমাদের বর্তমান জ্ঞানের সঙ্গে সেই 'ভিনদেশী' প্রযুক্তি বিদ্যার তুলনার উদ্দেশ্য, ইজেকিয়েলের পর্যবেক্ষণের প্রকৃত মূল্যায়ন। এ চিন্তা, এ তুলনা, বাইবেলের মহাকাশযানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে করবে নিকটতর। সে প্রযুক্তির সান্নিধ্য, আমাদের মূল্যায়নে, আমাদের আপন প্রযুক্তির ভিত্তিভুমিকে করবে সুদৃঢ়।

একালের প্রযুক্তির একটি বিকাশ আমরা দেথেছি মহাকাশযানের নিম্নাংশের রূপায়ণের মাধামে। উপাদান সস্পর্কে অতি সাম্প্রতিক পরীক্ষা নিরীক্ষা-অনুশীলনের উন্নতিতে আমাদের বিশ্বাস দৃঢ়তর হয় যে ভবিযাৎ পরিকল্পনায় বহুল পরিমান ওজন কমাবার ব্যবস্থা হবে এবং বিভিন্ন হিসেব-নিকেশেও তা ধরা হবে। তাই ১নং এবং ৪নং ছবিতে যে মহাকাশযানের রূপ দেখান হয়েছে, সে মহাকাশযানের সম্ভাব্যতার কথা আজ আমরা চিন্তা করতে পারি, কেননা অমন একটা মহাকাশযান আমরা এথনই গডে ফেলতে পারি, অবশ্য পারমাণবিক শক্তি-উৎপাদক যন্ত্রটিকে বাদ দিয়ে। এ কথা সত্যি যে সে-নির্মাণ-পরিকল্পনায় এখানে ওখানে কিছু অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হতে হবেই। যথোচিত উন্নতিবিধানের জন্যে পরিকল্পনাও করতে হবে এবং সে পরিকল্পনাকে কাজেও লাগাতে হবে। কিন্তু এসব ব্যাপার তো আমাদের কাছে নতুন নয়, যাঁরা মহাকাশযান বা উচ্চ গতিসম্পন্ন বিমানের উন্নতিবিধানের কাজ করেছেন, তাঁরাই এ ঘটনার সঙ্গে পরিচিত।
#22
Collection / Re: The spaceship of Ezekiel in Bengali
February 27, 2015, 07:53:45 AM
মহাকাশযান

ইজেকিয়েলের মহাকাশযান দর্শনের প্রমাণ পেতে হলে, তাঁর পর্যবেক্ষণের যাথাযথ্য বুঝতে হলে, আসল মহাকাশযানের সঙ্গে যথেষ্ট পরিচিত হওয়া প্রয়োজন। তাই, এ পরিচ্ছেদে তার প্রতিটি অংশের বর্ণনা দেবো। এ বর্ণনা-, বিচার-বিশ্লেষণের পরিণতির ওপর পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত। এ বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছি প্রযুক্তিগত তথ্যে কৌতূহলী পাঠকদের জন্যে, আর যন্ত্র-বিজ্ঞানীদের প্রয়োজনে তথ্যাদি সন্নিবিষ্ট করেছি, এ বইয়ের পরিশিষ্টে, অনুমান এবং সিদ্ধান্ত সমেত মৌলিক তথ্য।

পরিষ্কার করে বোঝবার জন্যে মহাকাশযানের গঠন এবং তার ক্রিয়াপদ্ধতি সম্পর্কে আলাদা আলাদা ভাবে আলোচনা করবো।

গঠন
মহাকাশযানের গঠনতন্ত্রে আছে প্রধানতঃ তিনটি অংশ,-
কেন্দ্রীয় মূল দেহকাণ্ড,
দেহকান্ডের আলম্বস্বরূপ চারটে হেলিকপ্টার, আর
চালকের নিয়ন্ত্রক-কোষ, যার স্থান মূল দেহকাণ্ডের ওপর দিকে। ১নং, ২নং এবং
৪নং ছবিতে মহাকাশযানের সাধারণ বাহ্যিক রূপ চিত্রিত হয়েছে।

মূল দেহকাণ্ড
চেহারাটা ভবিষ্যৎ উড্ডয়নযানের না হয়ে, বলা যায়, ছেলেদের খেলবার লাট্টুর মতন। তা হোক, একটু পরেই বুঝতে পারা যাবে, অবয়ব রূপায়ণের পরিকল্পনাটি যথেষ্ট বিচক্ষণ এবং দক্ষতাপূর্ণ।



এ ধরনের চেহারার প্রথম কারণ, বায়ুগতীয় প্রয়োজনীয়তা। মহাকাশ থেকে বাতাস চিরে পৃথিবীমুখী যাত্রা যে-গতিবেগ দিয়ে শুরু হয়, তার মান ঘন্টায় প্রায় ২১,৩০০ মাইল। পৃথিবীতে নাববার সময় সেই প্রচণ্ড বেগকে কমিয়ে শুন্যে নাবাতে হবে। গতিরোধের একটা বড় অংশ সাধিত হবে, তার অবয়বে যদি বায়ুগতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা খুব বেশি থাকে। এই কারণে মহাকাশযানের নিম্নভাগের আধা শাঙ্কব (quasi-conical),  গঠন খুবই উপযুক্ত। অবতরণ-কালে যানের তলদেশের অগ্রভাগ থাকবে উড্ডয়নগতিমুখী। তার সূক্ষ্ম 'আক্রম কোণের' (angle of attack = বিমানের ডানার জ্যা এবং বায়ুর আপেক্ষিক প্রবাহপথের অন্তর্গত সূক্ষ্ম কোণ) কথা ছাড়া, মহাকাশযান নিচের দিকে উড়ে আসবে তার প্রধান উল্লম্ব-অক্ষ বরাবর (৪ নং ছবি)। ওপরে ওঠবার সময় কিন্তু তার উল্টোটাই ঘটে। মহাকাশযান উড়ে চলে তার প্রধান উল্লম্ব-অক্ষ বরাবর ঊর্ধ্বমুখে, আসন্ন প্রবাহের দিকে ফেরানো থাকে তার মূল দেহকাণ্ড। অবতরণকালেও  তেমনি প্রয়োজন হৃয়, সে-প্রতিরোধের সম্ভাব্য ন্যূনতা। যানের উর্ধ্বাংশের বায়ুগতীয় প্রতিরোধ নির্ণীত হয় তার গোলাকৃতি প্রাম্ভভাগ থেকে। কেন্দ্রের কাছাকাছি তার যে বাহ্যিক গঠন তার গুরুত্ব সামান্যই। নিম্নাংশের অবতল গঠনের জন্যেও চেপ্টা, খাড়া কানার চেয়ে সুগোল, নিটোল কানা-ই বেশি উপযুক্ত। তাই, কি উর্ধ্বাংশের, কি নিম্নাংশের বহিরাবরণের গঠনের দিক থেকে, তাদের প্রয়োজনটা একইরকম। দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের বায়ুগতীয় অবয়বের ভেতর তাই সহজেই সামঞ্জস্য রাখা যায়।

বাহ্যিক গঠনের ক্ষেত্রে নিম্নাংশের এই আধা-শাঙ্কব অবয়ব সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন নাসার ল্যাংলী রিসার্চ সেন্টারের রজার এ আণ্ডার্সন, এবং তাঁর গবেষণার ফল প্রকাশ করেছিলেন, ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বরে। এই ধরনের বাহ্যিক গঠনের আবিষ্কারের মূলে ছিল উচ্চ বায়ুগতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে কাঠামোকে লঘুভার করার প্রয়াস। দুটো প্রয়োজনই মিটেছে চমৎকারভাবে। লঘুভার কাঠামোর জনো অবতল গঠন তৈরী, নিঃসন্দেহে সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান। কারণ এ ধরনের গঠনে ওপরকার কাঠামোয় শুধু সংকোচন ও প্রসারজনিত চাপ পড়বে ফলে অল্প কিছু দৃঢ় আস্তর দিয়ে ধাতুর পাতলা পাত লাগিয়েই কাজ চালানো যাবে।

এই ধরনের গঠনের সত্যিকার উপযুক্ততা উপলব্ধি করা যাবে, যে-যানের কথা আমরা আলোচনা করছি, বিশেষ করে তারই ক্ষেত্রে। বাতাবরণের ভেতর ওড়বার সময় মহাকাশযানের চারটে হেলিকপ্টার দরকার হয়। এর জন্যে যানের অবতল গঠনই আদর্শ, কারণ হেলিকপ্টারগুলোকে তাহলে স্থাপন করা যাবে গরিষ্ঠতম দূরত্বে। সুষ্ঠ উড্ডয়নের পক্ষে তার গুরুত্ব অতান্ত বেশি। অবতল কাঠামোর আরো সুবিধে এই যে তার খিলেনের তলায় পাখাগুলোকে জোড করে ওপরের দিকে মুড়ে রাখাও যাবে। এ বিন্যাসে মূল দেহকাণ্ড থাকবে হেলিকপ্টারগুলোর মাঝখানে। গোটা যানের

#23
Collection / Re: The spaceship of Ezekiel in Bengali
February 23, 2015, 10:36:14 AM
যানের ভেতর থেকে একটি যান্ত্রিক হস্ত লোহিততপ্ত একটি যন্ত্রাংশ বের করে নিরাপত্তা পোষাক পরিহিত লোকটির হাতে দিতে সে তৎক্ষণাৎ চলে গেল।

সব দিক থেকেই মনে হয়, ব্যাপারটা বেশ ঘোরালো গোছের, কারণ অধিনায়ক বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করেছিলেন, অন্ততঃ নিজের জন্যেও। এদিকে দেখি, তাঁর চালক-কোষটিকে নিজের কাছে আনিয়েছেন, দূর-নিয়ন্ত্রণের সাহায্যে, উদ্দ্যেশ্য, হঠাৎ প্রয়োজনে যাতে অবিলম্বে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেন নিরাপদ দূরত্বে, আর একদিকে বুঝতে পারি, আরো একটি মহাকাশযান কাছাকাছি অপেক্ষমান ছিল, প্রয়োজনে সেও তুলে নিয়ে যেতে পারতো অধিনায়ককে।

যাইহোক, পূর্বপ্রস্তুতির সুব্যবস্থার গুণে অঘটন কিছু ঘটেনি। অধিনায়ক তাঁর কোষ নিয়ে মহাকাশযানে ফিরে গেছেন, গিয়েই চালু করেছেন সে যানকে, বহিঃপ্রাঙ্গণে যাবার জন্যে। ইজেকিয়েল তাঁর কাছে নীত হয়েছেন, আদেশও গ্রহণ করেছেন, তারপর দেখেছেন, সে মহাকাশযানের উৎক্ষেপণ এবং উড্ডয়ন, শেষে দ্বিতীয় যানটি তাঁকে নিয়ে গেছে তাঁর স্বজন-প্রতিবেশীর কাছে। প্রসঙ্গতঃ তাঁর প্রথম উড্ডয়নের ধাক্কা ইতিমধ্যে সামলে উঠেছেন এবং দ্বিতীয় উড্ডয়ন তাঁকে দিয়েছে বিস্ময়কর উপভোগ্য অভিজ্ঞতা।

তারপর প্রায় উনিশ বছর কেটে গেছে। এই দীর্ঘকালের ভেতর ইজেকিয়েল আর একবারও কোন মহাকাশযানের কথা উচ্চারণ করেননি।

তারপর হঠাৎ একদিন অধিনায়ক আবার এসে তুলে নিয়ে গেছেন কোন মন্দিরে। সে মন্দির ছিল বহু উচ্চ কোন স্থানে। এই ঘটনা যে পূর্ব-পরিকল্পিত, তা বোঝা যায়, অবতরণক্ষেত্রে ইজেকিয়েলের জন্যে অপেক্ষমান একটি লোককে দেখে। তৃতীয় ঘটনার মত এবারও লোকটির চালচলন, চেহারা, কথাবার্তা, কোন কিছুতেই অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পাননি, তাই তার কোন উল্লেখও করেননি। তার পোষাকটা অবশ্য তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তার পোষাকের গা যেন ব্রঞ্জের মত বা সোনার মত চকচকে, সেই প্রথম দর্শনের দিনে দেখা অধিনায়েকর পরিধেয়ের মত, যার ঔজ্জ্বল্যের বর্ণনায় বলেছিলেন, অগ্নিশিখার মত।

অপেক্ষমান লোকটির হাতে দুটি বস্তু, যার একটিকে মনে হয়েছে শনের দড়ি, আর একটিকে মাপকাঠি। লোকটি বারে-বারে ইজেকিয়েলকে বলেছে যে তাঁকে সেখানে আনা হয়েছে সব দেখাবার জন্যে, বলেছে তাঁকে যা দেখানো হবে, তা যেন তিনি খুব ভালো করে মনে রাখেন।

ইজেকিয়েলকে সে নিয়ে চললো মন্দিরের বিশাল প্রাঙ্গণের ভেতর দিয়ে। তার নিখুঁত বর্ণনা রেখে গেছেন তিনি। খানিক পরে, যে বিমানে তিনি এসেছিলেন, সে-বিমান মন্দিরের সামনের অবতরণক্ষেত্র থেকে উড়ে গিয়ে ভেতরের প্রাঙ্গণে নাবলো। তাঁর প্রদর্শক এবং রক্ষী লোকটি তাঁকেও সেখানে নিয়ে গেল। তারপর, যতক্ষণ অধিনায়ক তাঁকে করণীয় নির্দেশাদি দিয়েহেন, ততক্ষণ সে লোকটিও তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থেকেছে।
এইখানে পৌছে ইজেকিয়েলের প্রতিবেদন হঠাৎ থেমে গেছে, তাই আমাদের দুর্ভাগ্য, সেই শেষ সাক্ষাতের পরিণতি, তথা তাঁর প্রতিবেদনের পরিশিষ্টের পরিচয় আর মেলে না।
এ সংক্ষিপ্তসারে তাঁর প্রতিবেদনে উল্লখিত অপ্রয়োজনীয়, অংশসমূহ বাদ দিয়েছি, প্রকৃত প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহের উপস্থাপনার উদ্দেশ্যে। সেই কারণে যে সব অংশে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যখ্যার কোন আলোচনা নেই, ভবিষ্যদ্বাণী সংক্রান্ত সে সব অংশসমূহকে আমার এ আলোচনার বাইরে রেখে দিয়েছি। ফলে প্রযুক্তিগত তথ্যাদি আরো পরিষ্কার হয়েছে- ফুটে উঠেছে ঘটনাপুঞ্জের সারাংশ এবং তাদের যুক্তিসঙ্গত যোগাযোগ।

এবার অবশ্য, উপস্থাপনার সে ধারা অনুসরণ না করে সমস্ত খুঁটিনাটির দিকেই চোখ ফেরাবো। সে খুঁটিনাটি প্রমাণ করবে ইজেকিয়েলের প্রতিবেদনের সত্যতাকে, পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ এবং বিচার-বিবেচনা মারফত।

#24
Collection / Re: The spaceship of Ezekiel in Bengali
February 21, 2015, 09:12:31 AM
No doubt. But there is no new idea in place of it.
#25
উড়ন্ত ঘোড়ার আবিষ্কারক, বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ডাক্তার আবুল সেই রাতে বোররাক নিয়ে গবেষণায় মগ্ন ছিলেন। উড়ন্ত ঘোড়ার অস্তিত্ব থাকলে বোরাক থাকা অসম্ভব নয়। তবে মানুষের মাথাওয়ালা ঘোড়া বাস্তবে নেই এটুকু তিনি নিশ্চিত ছিলেন। তাই বোররাক নিয়ে স্বপ্ন দেখার চেষ্টা চালিয়েছেন অনেকদিন থেকেই। এজন্য কোরানের উপর মাথা দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু কোনোমতেই স্বপ্নে বোররাকের দেখা পাওয়া যায়নি।

সেই রাতেও তিনি একইভাবে ঘুমানোর চেষ্টা করছিলেন। শুয়ে শুয়ে গান শুনছিলেন - "হাল ছেড়োনা বন্ধু ..."। শুনতে শুনতে ঘুমিয়েও পড়েছিলেন। মধ্যরাতে তিনি দেখা পেলেন, বোররাকের নয়, কিন্তু তার চেয়েও আজব এক জন্তুর। সে প্রাণীর দেহ ছাগলের এবং গর্দানে মানুষের মাথা। কাচি কচি দাড়ি নেড়ে সে আবুলকে ডাকাডাকি করছিল।

আবুল উঠে প্রশ্ন করলেন- "আপনার পরিচয়?"
অদ্ভূত প্রাণী উত্তর দিল- "মহম্মদ খিজির খান।"
আবুল অবিলম্বে মোবাইলে গুগল খুলে সার্চ করার চেষ্টা করলেন, কিন্তু এই অদ্ভূত মহম্মদ খিজির খান সম্পর্কে কিছুই তথ্য পাওয়া গেল না। আবুল তখন প্রশ্ন করলেন, আপনার মত কি আরও আছে? নাকি আপনি একাই এই প্রজাতির?

মহম্মদ খিজির খান চিৎকার করে উঠলেন- "একা নই, আমি একা নই। আমরাই সব। সবাই আমার মতো।"

আবুল অবাক হলেন, কই; আপনার মত আগে কোথাও দেখিনি তো?
দেখবেন কিভাবে? দেখলেও চিনবেন না। তারা তো ঢাকা থাকে। আমি আপনাকে দেখা দিলাম কারণ আপনার পরামর্শ প্রয়োজন।

আবুল খুবই চিন্তিত হয়ে পড়লেন। প্রথমে ভেবেছিলেন এক নতুন প্রাণী আবিষ্কার করে ফেলেছেন। নোবেল এবার মাথায় পড়বেই। কিন্তু এরকম অনেক আছে শুনে তাঁর মন একেবারে ভেঙে গেল। শোকাকুল কন্ঠে বললেন, - "আচ্ছা, বলুন কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি!"

অদ্ভূত প্রাণী বললেন, "সমস্যা আমার নাম নিয়ে।"

আপনার নাম? মানে মহম্মদ খিজির খান? তাই তো? এই নামে সমস্যা কিসের?

মারাত্মক সমস্যা। এই নামের জন্যই আমাকে কেউ পছন্দ করে না। পার্টিতেও আমাকে সবাই ব্রাত্য বোস করে রেখেছে। যদিও আমার মধ্যে নেতা হবার সমস্ত গুণ ছিল তবুও তারা আমাকে ইলেকশনে দাঁড়াতেই দিল না। যতবারই দাঁড়াতে চাই, হাইকমান্ড বলেন- তুই ব্রাত্য, তুই বোস।

আবুল বড়ই চিন্তায় পড়ে গেলেন। "আপনার নামের অর্থটা নিয়েই সমস্যা। কিন্তু আপনি কি মনে করেন যে ভোটারেরা এত বেশি বোঝে?"

"ভোটারেরা নিজেরা বুঝবে কেন? বিরোধী দল তাদের বোঝাচ্ছে। আমার নামটা নাকি ধর্মবিরোধী। তাই আমি ভাবছিলাম নামটা পাল্টাব । এই ব্যাপারেই আপনার পরামর্শ দরকার।"

"তা বেশ তো। মহম্মদ খিজির খেলে যদি আপত্তি থাকে তাহলে মহম্মদ জামাল খান হয়ে যান। "

"এটা সম্ভব হবেনা। জামাল খান আমার বাপের নাম। বাপ বেটা দুজনের কি একই নাম চলে?"

"ধর্মের শুরুতে তো চলত শুনেছি। আবু বকর এর ব্যাটার নাম হত বকর-বিন-আবুবকর। কিন্তু সেসব দিন আর নেই। যাইহোক, আপনি কোথায় ইলেকশন লড়বেন? আপনাদের দেশে ভোটারেরা কেমন?"

ভোটার তো প্রায় সকলেই মহম্মদী। কিছু পুতুলভক্তও অবশ্য আছে। তাদের ভোটগুলোও পেলে মন্দ হয়না।

তাহলে একটা কাজ করতে পারেন। 'মহম্মদ খিজির খান্না' হয়ে যান। এতে আপনার ধর্মও বাঁচবে, আবার অন্য ধর্মেরও বাতাস লেগে কিছু ভোট পেতে পারেন।

খান-না হতে বলেন?

অবশ্যই। দেখবেন, এতে আপনার দুই নৌকাই থাকবে।

নৌকার কথা বুঝলেন কিভাবে? সত্যিই আপনি জিনিয়াস! আপনার কাছে এসে ভুল করিনি তাহলে। আচ্ছা, আসি তবে।

চোখের পলক ফেলার আগেই অদ্ভূত প্রাণী ভ্যানিশ হয়ে গেলেন। আবুল বুঝতেই পারলেন না যে স্বপ্ন দেখলেন নাকি জেগে ছিলেন। বাকি রাত তাঁর আর ঘুম হলনা।

পরের দিন সকালেই তিনি লোকগাথা বিশারদ বন্ধু ফকির আলিকে ফোন করলেন। সমস্ত ঘটনা শুনিয়ে দিয়ে জানতে চাইলেন এই ধরণের প্রাণীর কথা কোনো সাহিত্যে আছে কিনা।

ফকির আলি খুব সিরিয়াস ভাবে বললেন- "ভাই আবুল, তুমি কি তবে ব্লগ পড়ো না?"

নাহ! ব্লগে পড়ার আছে কি?

অনেক কিছুই আছে। তুমি যে প্রাণীর কথা বললে তাদের সম্পর্কে ব্লগে বিস্তারিত পাওয়া যায়। এদের বাংলা নাম ছাগু। তোমার চারিদিকেই এরা প্রচুর আছে।

ছাগু? আচ্ছা, সেও বলছিল বটে অনেক আছে। কিন্তু আমি দেখি না কেন?

দেখেছ নিশ্চয়। আলখাল্লা আর টুপি থাকায় চিনতে পারোনি। মানুষ মনে করেছ। বিস্তারিত জানতে চাইলে গুগল সার্চ করে নিও।

আবুল ফোন কেটে দিয়ে গুগলে "ছাগু" লিখে সার্চ শুরু করলেন। তার পর থেকে তিনি অন্য সব কাজ ফেলে ঐ গবেষণাতেই ব্যস্ত আছেন। তাঁর একান্ত গবেষণায় বাংলা গালির অভিধানে অনেক নূতন শব্দ যুক্ত হয়েছে এবং হয়েই চলেছে। আমরা তাঁর গবেষণার আরও প্রগতি কামনা করে শেষ করলাম।
#26
কাছিম কাহিনী প্রথম বার্তা


ছোট্ট কাছিম করল যবে জাস্ট বিয়া
মনের মত মাঠ দিলনা পাগলাতে
করত কি সে শুকিয়ে যাওয়া ক্ষেত নিয়া!
লাঙলটা তার চলত না হায় সেই ক্ষেতে।

কাছিম ছিল বেজায় মনোকষ্টেতে
শষ্যক্ষেতে হৈতনা তার বৃষ্টিপাত
ক্লান্ত হল দুম্বা এবং ঊষ্ট্রেতে!
ব্যথা করে উঠল তাহার দুইটি হাত।

পাগলা তখন ওপেন করে সেফটি ভল্ট
পাঠিয়ে দিল উড়নদূতের হাত দিয়ে
যে বইখানা এই দুনিয়ার সবচে' হট
বললে - যা, তোর প্রভুর নামে পড় গিয়ে।।
#27
Collection / Re: The spaceship of Ezekiel in Bengali
October 30, 2014, 02:25:36 PM

ওপরের উদ্ধৃতি থেকে ইজেকিয়েলের বর্ণনাভঙ্গির আরো কিছু নিদর্শন পাওয়া যাবে। প্রথম দর্শনে স্বাভাবিক ভাবেই ইজেকিয়েল উত্তেজিত হয়েছিলেন, তা সত্ত্বেও তাঁর বিচারবুদ্ধিকে আবেগ এবং মানসিক চাঞ্চল্য থেকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত সরিয়ে রাখতে পেরেছিলেন এবং সেই কারণেই যা দেখেছেন, তার বাস্তব বিবরণ লিপিবদ্ধ করতে সমর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু এখন মানসিক অভিঘাতের কারণে তিনি সম্পূর্ণ অভিভূত। যে উড্ডয়নের পরিসমাপ্তি ঘটেছে প্রথম দর্শনের সঙ্গে সঙ্গে, তার স্মৃতিও বিলুপ্ত। মনের এ বিহ্বলতা কাটিয়ে উঠতে ফিরে গেছেন স্বজন-প্রতিবেশীদের মাঝে। তারপর আরো এক হপ্তা লেগেছে মনের সে ভাব কাটিয়ে উঠতে।

মহাকাশযানের আকৃতির ওপর যে বিরাট পরিমাণ মনোযোগ দিয়েছিলেন প্রথম দর্শনের কালে, তার আর পুনরাবৃত্তি ঘটেনি। তৃতীয় দর্শনের কালে শুধু চাকার কথারই পুনরাবৃত্তি করেছেন, নতুন করে, যথাযথভাবে। কিন্তু প্রত্যেক বারেই তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, আগের দেখা মহাকাশযানের সঙ্গে নতুন দেখা যানের অভিন্নতার কথা।

প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে দ্বিতীয় দর্শনের কোন গুরুত্ব নেই তৃতীয় দর্শনের কালে অবশ্য রহস্যময় একটি অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন। যে রহস্য, সে উৎকণ্ঠার কারণ মনে হয়, সর্বতোভাবে মহাকাশযানের কারণে। ঘটনার স্থানটিও বিশেষ ণ্ডরুত্বপূর্ণ, কেননা যে মন্দিরে সে ঘটনা ঘটেছে, বাইবেলে কথিত মত, সে মন্দির সলোমনের মন্দির নয়।

অধিনায়ক ইজেকিয়েলকে বিমানে করে নিয়ে গেছেন। সে বিমান নেবেছে, মন্দিরের ভেতরের প্রাঙ্গণে। নাবার সঙ্গে সঙ্গে অধিনায়ক তলব করেছেন, বিমানাঙ্গনের এক কর্মচারীকে। সাতজন লোক বেরিয়ে এসেছে একটা দরজা দিয়ে, দাঁড়িয়েছে অধিনায়কের সামনে। তাঁর আদেশ গ্রহণ করেছে, তারপরেই করেছে অন্তর্ধান।
ইজেকিয়েলকে নিয়ে অধিনায়ক দাঁড়িয়ে আছেন মন্দির প্রাঙ্গণে, এমনসময় একটি লোক ফিরে এসে সৈনিকের ভঙ্গিতে বললে, আপনার আদেশমত কাজ করেছি। সে লোকটির পরিধেয় অন্যান্যদের থেকে পৃথক। তার পোষাক সুতীর বলে মনে হল, কিন্তু পরমুহুর্তে মনে হল, সে-পোষাক নিরাপত্তামূলক। লোকগুলির হাতে এমন সব যন্ত্রপাতি, যাদের সঙ্গে ইজেকিয়েলের কোন পরিচয় নেই চেহারায়, চলনে, বলনে, মানুষ তারা সবাই, ঠিক যেমন-মানুষের সঙ্গে তিনি চিরকাল পরিচিত।

ঘটনার মোড় এখন মহাকাশযানের দিকে, সম্ভবতঃ তারই কিছু প্রয়োজনীয় সংস্কারাদি সম্পন্ন হচ্ছে। বিমানটিকে নাবানো হয়েছিল হয়তো সেই প্রয়োজনেই। মন্দিরের প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক লোকটিকে মহাকাশযানের কাছে গিয়ে একটা হেলিকপ্টারের পাশে দাঁড়াতে বললেন। পারমাণবিক শক্তি-উৎপাদক যন্ত্রের গনগনে বিকিরকের কাছ থেকে তার দূরত্বের স্বল্পতা দেখে অনুমান করা যায়, তার নিরাপত্তামূলক পোষাকের প্রয়োজনীয়তা।
#28
Collection / Re: The spaceship of Ezekiel in Bengali
October 30, 2014, 02:20:06 PM
২।৯ - পরে আমি দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, একখানি হস্ত আমার প্রতি
প্রসারিত হইল, আর দেখ, তাহার মধ্যে একখানি জড়ানো পুস্তক ছিল।

২।১০ - তিনি আমার সম্মুখে তাহা বিস্তার করিলেন।

৩।১২- পরে আত্মা আমাকে তুলিয়া লইলেন, আর যেহেতু সদাপ্রভুর প্রতাপ তাঁহার স্থান হইতে উঠিল, আমি আমার পশ্চাৎদিকে মহাভূমিকম্পের শব্দ শুনিলাম।

৩।১৩ - উহা ওই প্রাণিদিগের পরস্পরের পক্ষসমাঘাতের শব্দ এবং তাহাদিগের পার্শ্ববতী চক্রের শব্দ, যাহা মহাভূমিকম্পের শব্দের ন্যায়।

৩।১৪ - আত্মা আমাকে তুলিয়া লইয়া গেল আর আমি মনস্তাপে দুঃখিত হইয়া গমন করিলাম, আর সদাপ্রভুর হস্ত আমার উপরে বলবৎ ছিল।

৩।১৫ - এবং আমি কবার নদীতীরবাসী তেল-আবিবস্থ নির্বাসিতদের কাছে আসিলাম এবং সেইস্থানে সাতদিন তাহাদের মধ্যে আচ্ছন্নর ন্যায় বসিয়া রহিলাম।

৩।২২- পরে সেই স্থানে সদাপ্রভু আমার উপরে হস্তার্পণ করিলেন, আর তিনি কহিলেন, উঠ, বাহির হইয়া প্রান্তরে গমন কর। আমি সেখানে তোমার সহিত কথা বলিব।

৩।২৩ - সুতরাং আমি উঠিয়া প্রান্তরে গমন করিলাম, আর দেখ, সে স্থানে সদাপ্রভুর সেই প্রতাপ দণ্ডায়মান, কবার নদীতীরে যে প্রতাপ দেখিয়াছিলাম, তখন আমি উপুড় হইয়া পড়িলাম।

৩।২৪ - কিন্তু আত্মা আমাতে প্রবেশ করিয়া আমাকে পায়ে ভর দিয়া দাঁড় করাইলেন এবং আমার সহিত কথা বলিলেন এবং কহিলেন।

৮।১ - ষষ্ঠ বৎসরের ষষ্ঠ মাসে, মাসের পঞ্চম দিনে আমি আমার গৃহে উপবিষ্ট ছিলাম এবং যুদার প্রাচীনবর্গ আমার নিকটে উপবিষ্ট ছিলেন, এমনসময়ে প্রভু সদাপ্রভু আমার উপরে হস্তার্পণ করিলেন।

৮।২- তখন আমি দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, মনুষ্যের আকারের এক মূর্তি, তাঁহার নিচে, যাহা তাঁহার কটি বলিয়া মনে হইল, তাহা অগ্নির ন্যায় ছিল, এবং তাঁহার কটির উধর্বাংশ যেন জ্যোতির্ময়, প্রতপ্ত ব্রঞ্জের ন্যায় ছিল।

৮।৩ - তিনি এক হস্তমূর্তি বিস্তার করিয়া আমার মস্তকের কেশগুচ্ছ ধরিলেন, তাহাতে আত্মা আমাকে তুলিয়া পৃথিবী ও আকাশের মধ্যপথে লইয়া গেলেন এবং ঈশ্বরীয় দর্শনক্রমে জেরুসালেমে, উত্তরাভিমুখ ভিতরদ্বারের প্রবেশস্থানে বসাইলেন, সেইস্থানে অন্তর্জ্বালাজনক অন্তর্জ্বালার প্রতিমা স্থাপিত ছিল।

৮।৪ - আর দেখ, প্রান্তরে যে দৃশ্য আমি দেখিয়াছিলাম, সে স্থানে ইস্রায়েলের ঈশ্বরের সেইরূপ প্রতাপ রহিয়াছে।
#29
Poetry / সুশীল
October 27, 2014, 07:15:20 PM
ওরে সুশীল, কলম হাতে নিয়ে
শুধুই যদি করিস লেখালেখি,
ভাবিস মনে যত পাঠক গিয়ে
উঠবে নেচে তোদের দেখাদেখি,
অপরাধীর ফাঁসির দাবী তুলে
নিজ গলায় লাগাস টাইয়ের ফাঁস,
গরম দিনে পাখার হাওয়া খুলে
বোতল থেকে শীতল পানি খাস,
জগৎটাকে বদলে দিতে রোজই
অফিস বাড়ি করিস আসা যাওয়া,
মধ্যে মাঝে আটকে গেলে পথে
ভদ্র ভাবে শুদ্ধ গালি দেওয়া।

ট্রেণে বাসে যাওয়া আসার পথে
দুঃখ নিয়ে লক্ষ আলোচনা—
সব সমাধান আলমারিতে রেখে
আবার চলে অফিস আনাগোনা,
কেমন করে কাটানো যায় ছুটি
কাজের মাঝে হিসাব চলে তার,
খরচ কিসে কমানো যায় ভেবে
করে চলিস দেশের উপকার,
টিপিন বেলা খাওয়ার খেলা সেরে
শুদ্ধ জলে হস্ত দুটি ধোওয়া—
মাসের শেষে বিলের দেখা পেলে
ভদ্র ভাবে শুদ্ধ গালি দেওয়া।

এমনি করে অতীত কেটে গেছে
এমন করেই হয় যদি শেষ দিন,
রক্ত ঢেলে শক্তি দিল যারা
শুধবি কবে তাদের মহাঋণ?
তোদের পরে আসছে যারা কাঁচা
তাদের ঘাড়ে ঋণের বোঝা ফেলে—
নিজের মত বিজন ঘরে বাঁচা
কেমন করে কাটাস হেসে খেলে?
সমস্যাকে দেখেই মনে আসে
সুযোগ খুঁজে বিদেশ চলে যাওয়া—
সেখান থেকে আরাম লাগে বেশি
ভদ্র ভাবে শুদ্ধ গালি দেওয়া

খোলোস খুলে আসবি কবে তোরা
পথের মাঝে কাজ রয়েছে বাকি,
দেখিস না কি মহান কত চোরা
দুবেলা রোজ দিচ্ছে তোকে ফাঁকি।
অনেক হল তত্ব আলোচনা
আকাশ ছোঁয়া চিন্তা বহু হল
সেই সময়ে নেপোয় মেরে দই
মালসা হাতে ধরিয়ে দিয়ে গেল।
এখন তোদের পথ রয়েছে দুটি
ভদ্র হয়ে মালসা চেটে খাওয়া—
কিম্বা নেপোর চুলের মুঠি ধরে
ঠ্যাং টি ভেঙ্গে ল্যাংড়া করে দেওয়া।।
#30
Poetry / ছুটি
October 27, 2014, 06:41:02 PM
মোষের পিঠে বাঘ লাফিয়ে কামড়ে দিল টুঁটি। (আ হা হা হা লুম)
মোষের হল ছুটি রে ভাই চিরকালের ছুটি। (আ হা হা হা লুম)
কি করে বাঘ ভেবে না পায়,
মাংস খায় না হাড্ডি চিবায়
কিম্বা টেনে চামড়া ছাড়ায় আগেই গোটাগুটি।।  (আ হা হা হা লুম)

মোষের বডি ঝোপের মাঝে যতন করে রেখে--
অন্য শিকার সন্ধানে বাঘ এদিক ওদিক দেখে।
দুরের মাঠে বাজিয়ে বেনু
রাখাল ছেলে চরায় ধেনু
বাঘ বলে আজ আমিও এনু খেলতে ছুটোছুটি।  (আ হা হা হা লুম).........