ঘোড়াগুলি মানুষ হোক। (দ্বিতীয় পর্ব)

Started by Jupiter Joyprakash, May 03, 2013, 06:14:27 PM

Previous topic - Next topic

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

Jupiter Joyprakash

 
ঘোড়াগুলি মানুষ হোক। (দ্বিতীয় পর্ব)
যে 'মালিক' ঘোড়াদের মানুষ করেন তাঁর লিখিত গাইড-বুক থেকে


শুরুকরছি সেই মহান মালিক এর নামে, যিনি ঘোড়াদের মানুষ করেন। তিনি এছাড়াও মানুষ করেন গরু, ছাগল, ভেড়া, কুকুর ইত্যাদিদেরও। তিনি যাকে চান তাকেই মানুষ করতেসক্ষম।

মালিক তাঁহার ঘোড়াদের মানুষ করার যে আদর্শ বিধান অনুসরণ করিয়াছেন তাহাই শ্রেষ্ঠপথ। যারা বিশ্বাস করে না তারা নিশ্চয় আরশোলা বা উইপোকা। তারা কখনো বিশ্বাস করবেও না।

ঘোড়াদের উচিত নয় এইসব নোংরা পোকাদের বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করা। ওরা সন্দেহ ও ফাসাদ সৃষ্টিকারী। তাদের জন্য মালিক নিশ্চয় এনেছেন ডিডিটি বা কার্বলিক এর মতন শাস্তি। তোমরা কি তার গন্ধ পাও না?

এই সেই কিতাব যাতে কোনো সন্দেহ নেই, যা ঘোড়াদের মানুষ করার পরিপূর্ণ বিধান দেয়। তার সাথে অন্য সব বিশ্বাসী প্রাণিদেরও জীবন সুন্দর করে। নিশ্চয় মালিক বুদ্ধিমান ও সত্যবাদী।

মানুষ বেশির ভাগ সময়েই ত্রুটিমুক্ত। কিন্তু ঘোড়ারা কেউ ত্রুটিহীন নয়। মালিক এর আস্তাবলের সেই দুটি ঘোড়া ছাড়া, যারা প্রথম মালিকের দেওয়া লাগাম পরেছিল।

তাই তোমরা ও ঘোড়াদের মধ্যে তোমাদের সিদ্ধান্তই অধিক মূল্যবান। কারণ মালিক তোমাদের একে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছেন। নিশ্চয় তিনি সব কিছু জানেন।

তোমরা তোমাদের ঘোড়াদের বাইরে নিয়ে যাবার সময় শরীরের সাজ ও মুখের লাগাম ব্যবহার করবে। এছাড়া যদি রাস্তায় চোরের উপদ্রপের আশঙ্কা কর তবে ঘোড়াকে বস্তায় পুরে চার পা শুধু বের করে দিও।

তোমরা নিজের আস্তাবলে চারটির বেশি ঘোড়া রাখবে না। তবে এর বাইরে আলাদা করে উঠোনে বা গোয়ালে যতো খুশি ঘোড়া রাখতে পারো। তোমার দক্ষিন হস্ত যাদের অধিকারী তারা তোমার জন্য হালাল।

তারাই উতম ঘোড়া যারা মালিকের নির্দেশ নির্ভূল মেনে চলে। এমনকি মালিক সামনে থাকুক বা না থাকুক তারা মালিকের পরানো লাগামের উপর বিরক্তি প্রদর্শন করে না। এরাই মানুষ হবার যোগ্য।

সেই ঘোড়াই আদর্শ ঘোড়া, যে তার মালিকের আহবানে দৌড়ে আসে, এমনকি চুল্লির ভিতর থেকে হলেও। মালিক পর্বত উত্তোলন করতে বললেও সে বিনা প্রশ্নে সেই কাজে প্রবৃত্ত হবে। এরাই মানুষ হবার যোগ্য।

ঘোড়ারা তোমাদের আস্তাবলে থাকে, তোমাদের খায় পরে ও তোমাদেরই বুদ্ধিতে নিরাপদে থেকে মানুষ হয়। যেসব ঘোড়া এই সত্য স্বীকার করে তোমাদের অনুগত থাকে তারাই ঈমানদার ঘোড়া। তারাই মানুষ হবার উপযুক্ত।

ঘোড়াদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের প্রথমে উপদেশ দাও, পরে আস্তাবলের বাইরে বেঁধে রাখো। তারপর তাদের প্রহার করো। এতে যদি তারা শুধরে যায় তবে আর কিছু করতে যেয়ো না।

ঘোড়াদের প্রহার কেন করা হয়েছে তা ঘোড়া ও মালিক এর ব্যক্তিগত গোপন ব্যাপার। পাব্লিকের কাছে তার কারণ দেখাতে তোমরা বাধ্য নও। কোনো মালিক কে প্রশ্ন করা হবে না সে কেন তার ঘোড়াকে পিটিয়েছিল।

তবুও ভদ্রলোক সাজতে চাইলে ঘোড়াদের প্রহার করার কথা গোপন রাখার নির্দেশ দিতে পারো। উত্তম ঘোড়া অবশ্যই মালিক যা হেফাজত করতে বলেছেন তার হেফাজত করবে। মালিক এর সামনে বা অবর্তমানে। এর অবাধ্য হলে তাদের আবার প্রহার করতে পারো।

প্রহার করার সময় শরীরের দৃশ্যমান অংশ (মানে আঙুলের ডগা, বা নাকের ডগা) বাদ দিয়ে আঘাত করবে। আর দেখবে যেন হাত পা ভেঙে না যায়। কারণ ল্যাংড়া ঘোড়া কোনো কাজে লাগে না আর তা থেকে পূর্ণ মানুষও করা যায় না।

যদি এর পরেও কোনো ঘোড়াকে মানুষ করতে না পারো তবে তা ঘোড়ারই দোষ, এই কিতাব এর নয়। সব ঘোড়া মানুষ হয় না। তাই তেমন ঘোড়াকে তিনবার ?দূর হ! দূর হ! দূর হ! বলে দূর করে দিয়ে অন্য ঘোড়া নিয়ে এসো।