Menu

Show posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.

Show posts Menu

Topics - Jupiter Joyprakash

#1
Collection / মশা
August 06, 2018, 06:29:26 AM
মশাদের খোকাটি এখন বড় হইয়াছে। আজ তাহার বয়স দুইদিবস পার হইয়া তিনে পড়িল। সন্ধ্যাবেলায় শিকারে বাহির হইয়াছিল, রীতিমতো বীরত্ব দেখাইয়া মশারিতে ছিদ্র করিয়া একটি জাগ্রত মানবশিশুর রক্তপান করিয়া সে বাড়ি ফিরিয়াছে। মশারীতে বসিয়া ছিদ্র করিতে তাহার প্রায় বিশ মিনিট সময় লাগিয়াছিল। মানবশিশুটি সেই সময়ে মশারীর অন্দরে বসিয়া উচ্চরবে পাঠ্যপুস্তক মুখস্ত করিতেছিল। সামান্য কিছু জ্ঞান তাহার মগজেও প্রবেশ করিয়া গিয়াছে।
বাসায় ফিরিয়া খোকা মায়ের কোলে গিয়া চড়িল। জীবনের প্রথম মশারী বিজয়ের কাহিনী শুনাইতে শুনাইতে সহসা প্রশ্ন করিল "আচ্ছা মা, মানুষ তো দুই প্রকার, তাইনা?"
মশার মা উত্তর দিলেন "হাঁ, মানুষ দুই প্রকার। গ্রামের মানুষ আর সহরের মানুষ।"
"জানো মা, আজ শুনলাম একই মানবজাতি হতে নাকি গ্রামের মানুষ আর সহরের মানুষ সৃষ্টি হয়েছে।"
মশার মা অতিশয় অবাক হইয়া গেলেন। "এমন কথা কে বলে রে? আমার তো আটদিন বয়স হয়ে গেল, আজ অবধি কখনো গ্রামের মানুষকে সহরের মানুষ হতে দেখিনি।"
"সে তুমি না দেখলেই কি হতে পারেনা? সবাই কি সবকিছু নিজে দেখতে পায়?"
"কেবল নিজে দেখিনি এমন তো নয়। কোনও মশা কোনোদিন দেখেছে বলে তো শুনিনি। আমার চোদ্দো পুরুষে কেউ শোনেনি। চোদ্দো পুরুষ মানে বুঝিস বোকাছেলে? ২০০ দিনের বেশি হতে পারে, তবে কম হবেনা। চিরকালই জানি গ্রামের মানুষ গ্রামে জন্মায়, সহুরে মানুষ জন্মায় সহরে।"

সদ্য লায়েক হওয়া খোকা কিন্তু শান্ত হইলনা। মায়ের নিকট হইতে উঠিয়া গাঁওবুড়োর আস্তানার দিকে যাত্রা করিল। গাঁওবুড়োর বয়স অনেক, দেখিয়াছেন অনেক কিছু। তিনি হয়ত নূতন কোনো তথ্য দিতে পারিবেন।
গাঁওবুড়ো চুপচাপ সমস্ত শুনিয়া লইলেন। তারপর শুধাইলেন "গ্রামের মানুষ থেকে সহরের মানুষ হওয়া সম্ভব হলে এখনও এত গ্রামের মানুষ আছে কেন? তারা সবাই তো তাহলে সহরের মানুষ হয়ে যেতে পারত। অমন আরামের জীবন কেউ নিজের ইচ্ছায় ছেড়ে দেয়?"
খোকা বলিল "তাইতো! কিন্তু মানুষের বাচ্চাটা বই থেকে পড়ছিল। আমি মশারী ফুটো করতে করতে শুনেছি।"
গাঁওবুড়ো আবার কহিলেন "বইখানা নিশ্চয় বিগ্যানের বই?"
মশার খোকা মাথা চুলকাইয়া বলি "হাঁ, বিজ্ঞান কথাটাও দু'-তিন বার শূনেছিলাম।"
গাঁওবুড়ো অতিশয় গম্ভীর হইয়া গেলেন- "তুমি কি জানো, বিগ্যানের বই কে লেখে? সহরের মানুষদের মধ্যে একটি দল আছে, সে দলের নাম বিগ্যানী। এরা কেবলই খারাপ কাজ করে। মশা থেকে হাতী পর্যন্ত সবকিছু মারে। মশারীও তদেরই আবিষ্কার। এরা জগতের নিকৃষ্টতম জীব। তাদের লেখা বই শুধুই মিথ্যায় ভরা। তদেরই একজন নিশ্বাসের-ভাইরাস নামের বইতে লিখেছে মশারা নাকি মারাত্মক রোগ ছড়ায়। আগে আমরা সামান্য রক্তপান করলে কেউ কিছু মনে করত না। কিন্তু আজকাল রোগজীবাণুর কথায় বিশ্বাস করেই ভয়ে তারা মশাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠেছে। বিগ্যানীদের কথা বিশ্বাস করলে তোমার এখনই নিশ্বাস বন্ধ করে মরে যাওয়া উচিত।"
এইরূপে গাঁওবুড়োর নানাবিধ উপদেশ শুনিয়া খোকা যখন বাহির হইয়া আসিল তখন তাহার সমস্ত সংশয় দূর হইয়াছে। জগতে অনর্থ সৃষ্টিকারী বিগ্যানী নামক নিকৃষ্ট জীবদের উচিত শিক্ষা দিবার ইচ্ছাও তাহার মনে প্রবল হইয়া উঠিয়াছে। মানুষের ঘরে জন্ম লইয়া তাহারা কিনা মানুষকেই ভ্রান্ত শিক্ষা দিতে পুস্তক রচনা করে! গাঁওবুড়োর কথায় অবিশ্বাসের কিছুই নাই, মশাগ্রামের প্রায় সকল মশা তাঁহারই পাঠশালে ছাত্র ছিল। আর তিনদিন পরেই গাঁওবুড়োর জন্মদিন, বিগত মাসের ঐ তারিখে তিনি জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। এই দীর্ঘ এক মাসের জীবনে তিনিও কখনও গ্রামের মানুষ হইতে সহরের মানুষ সৃষ্টির ঘটনা দেখেননাই। মশাদের জন্য জন্মদিন পালন এক বিরল ঘটনা কারণ সাধারণত মশারা ১৫ দিন অবধি জীবিত থাকে। জন্মদিনটি পার হইয়া গেলেই তিনি খোকাকে পাঠশালায় ভরতি কইয়া লইবেন এবং বিগ্যানী নামক নিকৃষ্ট জীবগুলিকে নিপাত করার গোপন পদ্ধতি শিখাইয়া দিবেন।
কোনোক্রমে দুইটি দিন পার করিয়া খোকা গাঁওবুড়োর জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও সম্মান জানাইতে হাজিরা দিল। কিন্তু বুড়োর আস্তানায় গিয়া শুনিল সহসা শরীর অসুস্থ হইয়া পড়ার কারণে তিনি বিগ্যানীদের নিকট চিকিৎসা করাইতে গিয়াছেন। সুস্থ হইয়া ফিরিয়া আসার পর পাঠশালা চালু হইবে।
#2
Poetry / নান্টু ঘটক Nantu Ghatak
March 25, 2016, 10:03:40 AM
নান্টু ঘটক ঘটকালিতে বিখ্যাত। তার পছন্দের পাত্রপাত্রীরা একেবারে আগুনের গোলা। এরকম মহান ঘটকের প্রতি সম্মান জানাতে তার মাধ্যমে হওয়া কিছু অসম্ভব বিয়ের কাহিনী এখানে জানানো হচ্ছে। নান্টু ঘটক ছাড়া এইসব বিবাহ আর কারও পক্ষে ঘটানো সম্ভব ছিল বলে আমাদের মনে হয়না।
#3
Story / কোরবানি কাহিনী
October 03, 2015, 09:16:25 AM
প্রাতঃকালে ঈশ্বর তাঁহার আরাম চেয়ারে হেলান দিয়া দার্জিলিং চা পান করিতেছিলেন। স্বর্গোদ্যানের দিকে চাহিয়া চাহিয়া তাঁহার মনে পুরাতন দিনের স্মৃতি ভাসিতেছিল। ঐ আপেলবৃক্ষটির নিচে বসিয়া আদম ও ঈভ কতই না ঝগড়া করিয়াছে। তখন তাহাদের বাক্যযন্ত্রণায় তিনি বিরক্ত হইতেন। এখন মনে হইল উহাদের একেবারে বিদায় না করিয়া দিলেই ভাল হইত।
সহসা গিবরিল আকাশ হইতে সরাসরি ঈশ্বরের চেয়ারের পদতলে পতিত হইয়া সম্মুখের দুইটি পদ জড়াইয়া ধরিল। চিৎকার করিয়া বলিল; খোদাবন্দ! গজব হইয়া গিয়াছে!
ঈশ্বর পকেটে হাত দিয়া হাসিয়া কহিলেন- হইতেই পারে না। গজবের গুদামে আমি তালা মারিয়া রাখিয়াছি। চাবীটি আমার নিকটেই আছে।
গিবরিল কহিল, এ গজব সে গজব নহে প্রভু। আমি ইব্রাহিমের কুটির হইতে আসিতেছি।
ঈশ্বর আবার হাসিয়া কহিলেন, তুমি তো সেখানেই গিয়াছিলে। ইব্রাহিমের জন্য যে স্বপ্নাদেশ পাঠাইয়াছিলাম তাহা ডেলিভারি হইয়াছে তো?
ডেলিভারি হইয়াছে প্রভু! তবে সামান্য সমস্যা হইয়া গিয়াছে।
সামান্য সমস্যায় তুমি এত বিচলিত হইতেছ কেন? ইব্রাহিম তাহার পুত্রকে কোরবানি করতেছে- এই স্বপ্ন তাহার মগজে ঢুকাইয়া দিতে কোনো সমস্যা হইয়াছে? সমস্যা যাহাতে না হয় সেজন্য তোমাকে তো দুইটি প্রজেক্টর দেওয়া হইয়াছিল।
যন্ত্রে কোনও সমস্যা হয়নাই প্রভু।
তবে কিসের সমস্যা? বিস্তারিত বয়ান করিয়া শোনাও।

গিবরিল মাথা চুলকাইয়া কহিল- "প্রভু! আমি যখন দুইটি প্রজেক্টর লইয়া ইব্রাহিমের কুটিরের মধ্যে প্রবেশ করিলাম তখন মধ্যরাত। ইব্রাহিম ও তাহার পত্নী ঘুমাইতেছিল। আমি যন্ত্রটি তাক করিয়া ইব্রাহিমের মস্তকে স্বপ্নটি চালাইতে সবে শুরু করিয়াছি এমন সময়ে তাহার পত্নী জড়াজড়ি শুরু করিয়া দিল। গোলেমালে স্বপ্নটি দুইজনের মস্তকেই ঢুকিয়া গিয়াছে খোদাবন্দ!"

ঈশ্বর একটু মাথা চুলকাইয়া কহিলেন, "তারপর?"
"তারপর প্রভু, আমি স্বপ্নের ফলাফল দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। প্রাতঃকালে ইব্রাহিম বড়ই চিন্তিতভাবে ভেড়ার পাল লইয়া মাঠে চলিয়া গেল। সে বিদায় হইবামাত্র তাহার পত্নী তলোয়ারে শান দিতে বসিয়াছে।"
ঈশ্বর বড়ই আনন্দিত হইয়া শুধাইলেন- "পুত্রকে কোরবানি করার উদ্যোগ করিতেছে বুঝি? ইব্রাহিম কোনও কর্মের নহে।"
গিবরিল অশ্রুপাত করিতে করিতে কহিল- "না খোদাবন্দ! পুত্রকে কোরবানি দিবার কোনো সদিচ্ছা তাহার নাই। বরং অন্যকেহ যদি তেমন প্রচেষ্টা করে তবে তাহার মুন্ডটি নামাইয়া দিবার উদ্দেশ্যে সে তলোয়ার শানাইতেছে।"
ঈশ্বর মস্তকে হস্ত রাখিয়া বসিয়া রহিলেন। দার্জিলিং চা ঠান্ডা হইতে লাগিল। কিন্তু কোনও উপায় বাহির হইল না। অবশেষে শুধাইলেন- "উহার মগজে কোরবানির মহিমা সম্পর্কিত কিছু স্বপ্ন প্রজেক্ট করিয়া দেখিয়াছ?
"আপনি দিলে তাহাও করিয়া দিব খোদাবন্দ! কিন্তু তাহার অন্তরে মোহর মারা আছে। আপনার সৃষ্টি আপনি ভালই জানেন।"
ঈশ্বর চিন্তা করিতে লাগিলেন। উহারা বরাবরই এইরকম। ঈভকে বানানোর সময়েই তিনি নিশ্চয় কিছু গোলমাল করিয়াছিলেন। তাহার উপর স্বর্গ হইতে তাড়াইয়া দিয়া আরেক ভুল করিয়াছেন। একেবারেই হাতের বাহিরে চলিয়া গিয়াছে উহারা। হাতের কাছে থাকিলে হয়ত সংশোধনের পথ পাওয়া যাইত। চিন্তা করিতে করিতে ঈশ্বর ঘুমাইয়া পড়িলেন। গতিক দেখিয়া গিবরিল উড়িয়া পালাইল।

সন্ধ্যাবেলা ঈশ্বর গিবরিলকে ডাক দিয়া আনাইলেন। গিবরিল আসিবামাত্র তাহাকে যন্ত্রপাতি ধরাইয়া দিয়া কহিলেন- "এখনই যাও! ইব্রাহিম ঘুমাইবামাত্র তাহার মগজে নূতন স্বপ্ন দিয়া আসিতে হইবে। পুত্র কোরবানি ক্যানসেল হইয়া গিয়াছে। তাহার পরিবর্তে একটা দুম্বা দিতে বলিও।"
#4
উড়ন্ত ঘোড়ার আবিষ্কারক, বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ডাক্তার আবুল সেই রাতে বোররাক নিয়ে গবেষণায় মগ্ন ছিলেন। উড়ন্ত ঘোড়ার অস্তিত্ব থাকলে বোরাক থাকা অসম্ভব নয়। তবে মানুষের মাথাওয়ালা ঘোড়া বাস্তবে নেই এটুকু তিনি নিশ্চিত ছিলেন। তাই বোররাক নিয়ে স্বপ্ন দেখার চেষ্টা চালিয়েছেন অনেকদিন থেকেই। এজন্য কোরানের উপর মাথা দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু কোনোমতেই স্বপ্নে বোররাকের দেখা পাওয়া যায়নি।

সেই রাতেও তিনি একইভাবে ঘুমানোর চেষ্টা করছিলেন। শুয়ে শুয়ে গান শুনছিলেন - "হাল ছেড়োনা বন্ধু ..."। শুনতে শুনতে ঘুমিয়েও পড়েছিলেন। মধ্যরাতে তিনি দেখা পেলেন, বোররাকের নয়, কিন্তু তার চেয়েও আজব এক জন্তুর। সে প্রাণীর দেহ ছাগলের এবং গর্দানে মানুষের মাথা। কাচি কচি দাড়ি নেড়ে সে আবুলকে ডাকাডাকি করছিল।

আবুল উঠে প্রশ্ন করলেন- "আপনার পরিচয়?"
অদ্ভূত প্রাণী উত্তর দিল- "মহম্মদ খিজির খান।"
আবুল অবিলম্বে মোবাইলে গুগল খুলে সার্চ করার চেষ্টা করলেন, কিন্তু এই অদ্ভূত মহম্মদ খিজির খান সম্পর্কে কিছুই তথ্য পাওয়া গেল না। আবুল তখন প্রশ্ন করলেন, আপনার মত কি আরও আছে? নাকি আপনি একাই এই প্রজাতির?

মহম্মদ খিজির খান চিৎকার করে উঠলেন- "একা নই, আমি একা নই। আমরাই সব। সবাই আমার মতো।"

আবুল অবাক হলেন, কই; আপনার মত আগে কোথাও দেখিনি তো?
দেখবেন কিভাবে? দেখলেও চিনবেন না। তারা তো ঢাকা থাকে। আমি আপনাকে দেখা দিলাম কারণ আপনার পরামর্শ প্রয়োজন।

আবুল খুবই চিন্তিত হয়ে পড়লেন। প্রথমে ভেবেছিলেন এক নতুন প্রাণী আবিষ্কার করে ফেলেছেন। নোবেল এবার মাথায় পড়বেই। কিন্তু এরকম অনেক আছে শুনে তাঁর মন একেবারে ভেঙে গেল। শোকাকুল কন্ঠে বললেন, - "আচ্ছা, বলুন কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি!"

অদ্ভূত প্রাণী বললেন, "সমস্যা আমার নাম নিয়ে।"

আপনার নাম? মানে মহম্মদ খিজির খান? তাই তো? এই নামে সমস্যা কিসের?

মারাত্মক সমস্যা। এই নামের জন্যই আমাকে কেউ পছন্দ করে না। পার্টিতেও আমাকে সবাই ব্রাত্য বোস করে রেখেছে। যদিও আমার মধ্যে নেতা হবার সমস্ত গুণ ছিল তবুও তারা আমাকে ইলেকশনে দাঁড়াতেই দিল না। যতবারই দাঁড়াতে চাই, হাইকমান্ড বলেন- তুই ব্রাত্য, তুই বোস।

আবুল বড়ই চিন্তায় পড়ে গেলেন। "আপনার নামের অর্থটা নিয়েই সমস্যা। কিন্তু আপনি কি মনে করেন যে ভোটারেরা এত বেশি বোঝে?"

"ভোটারেরা নিজেরা বুঝবে কেন? বিরোধী দল তাদের বোঝাচ্ছে। আমার নামটা নাকি ধর্মবিরোধী। তাই আমি ভাবছিলাম নামটা পাল্টাব । এই ব্যাপারেই আপনার পরামর্শ দরকার।"

"তা বেশ তো। মহম্মদ খিজির খেলে যদি আপত্তি থাকে তাহলে মহম্মদ জামাল খান হয়ে যান। "

"এটা সম্ভব হবেনা। জামাল খান আমার বাপের নাম। বাপ বেটা দুজনের কি একই নাম চলে?"

"ধর্মের শুরুতে তো চলত শুনেছি। আবু বকর এর ব্যাটার নাম হত বকর-বিন-আবুবকর। কিন্তু সেসব দিন আর নেই। যাইহোক, আপনি কোথায় ইলেকশন লড়বেন? আপনাদের দেশে ভোটারেরা কেমন?"

ভোটার তো প্রায় সকলেই মহম্মদী। কিছু পুতুলভক্তও অবশ্য আছে। তাদের ভোটগুলোও পেলে মন্দ হয়না।

তাহলে একটা কাজ করতে পারেন। 'মহম্মদ খিজির খান্না' হয়ে যান। এতে আপনার ধর্মও বাঁচবে, আবার অন্য ধর্মেরও বাতাস লেগে কিছু ভোট পেতে পারেন।

খান-না হতে বলেন?

অবশ্যই। দেখবেন, এতে আপনার দুই নৌকাই থাকবে।

নৌকার কথা বুঝলেন কিভাবে? সত্যিই আপনি জিনিয়াস! আপনার কাছে এসে ভুল করিনি তাহলে। আচ্ছা, আসি তবে।

চোখের পলক ফেলার আগেই অদ্ভূত প্রাণী ভ্যানিশ হয়ে গেলেন। আবুল বুঝতেই পারলেন না যে স্বপ্ন দেখলেন নাকি জেগে ছিলেন। বাকি রাত তাঁর আর ঘুম হলনা।

পরের দিন সকালেই তিনি লোকগাথা বিশারদ বন্ধু ফকির আলিকে ফোন করলেন। সমস্ত ঘটনা শুনিয়ে দিয়ে জানতে চাইলেন এই ধরণের প্রাণীর কথা কোনো সাহিত্যে আছে কিনা।

ফকির আলি খুব সিরিয়াস ভাবে বললেন- "ভাই আবুল, তুমি কি তবে ব্লগ পড়ো না?"

নাহ! ব্লগে পড়ার আছে কি?

অনেক কিছুই আছে। তুমি যে প্রাণীর কথা বললে তাদের সম্পর্কে ব্লগে বিস্তারিত পাওয়া যায়। এদের বাংলা নাম ছাগু। তোমার চারিদিকেই এরা প্রচুর আছে।

ছাগু? আচ্ছা, সেও বলছিল বটে অনেক আছে। কিন্তু আমি দেখি না কেন?

দেখেছ নিশ্চয়। আলখাল্লা আর টুপি থাকায় চিনতে পারোনি। মানুষ মনে করেছ। বিস্তারিত জানতে চাইলে গুগল সার্চ করে নিও।

আবুল ফোন কেটে দিয়ে গুগলে "ছাগু" লিখে সার্চ শুরু করলেন। তার পর থেকে তিনি অন্য সব কাজ ফেলে ঐ গবেষণাতেই ব্যস্ত আছেন। তাঁর একান্ত গবেষণায় বাংলা গালির অভিধানে অনেক নূতন শব্দ যুক্ত হয়েছে এবং হয়েই চলেছে। আমরা তাঁর গবেষণার আরও প্রগতি কামনা করে শেষ করলাম।
#5
কাছিম কাহিনী প্রথম বার্তা


ছোট্ট কাছিম করল যবে জাস্ট বিয়া
মনের মত মাঠ দিলনা পাগলাতে
করত কি সে শুকিয়ে যাওয়া ক্ষেত নিয়া!
লাঙলটা তার চলত না হায় সেই ক্ষেতে।

কাছিম ছিল বেজায় মনোকষ্টেতে
শষ্যক্ষেতে হৈতনা তার বৃষ্টিপাত
ক্লান্ত হল দুম্বা এবং ঊষ্ট্রেতে!
ব্যথা করে উঠল তাহার দুইটি হাত।

পাগলা তখন ওপেন করে সেফটি ভল্ট
পাঠিয়ে দিল উড়নদূতের হাত দিয়ে
যে বইখানা এই দুনিয়ার সবচে' হট
বললে - যা, তোর প্রভুর নামে পড় গিয়ে।।
#6
Poetry / সুশীল
October 27, 2014, 07:15:20 PM
ওরে সুশীল, কলম হাতে নিয়ে
শুধুই যদি করিস লেখালেখি,
ভাবিস মনে যত পাঠক গিয়ে
উঠবে নেচে তোদের দেখাদেখি,
অপরাধীর ফাঁসির দাবী তুলে
নিজ গলায় লাগাস টাইয়ের ফাঁস,
গরম দিনে পাখার হাওয়া খুলে
বোতল থেকে শীতল পানি খাস,
জগৎটাকে বদলে দিতে রোজই
অফিস বাড়ি করিস আসা যাওয়া,
মধ্যে মাঝে আটকে গেলে পথে
ভদ্র ভাবে শুদ্ধ গালি দেওয়া।

ট্রেণে বাসে যাওয়া আসার পথে
দুঃখ নিয়ে লক্ষ আলোচনা—
সব সমাধান আলমারিতে রেখে
আবার চলে অফিস আনাগোনা,
কেমন করে কাটানো যায় ছুটি
কাজের মাঝে হিসাব চলে তার,
খরচ কিসে কমানো যায় ভেবে
করে চলিস দেশের উপকার,
টিপিন বেলা খাওয়ার খেলা সেরে
শুদ্ধ জলে হস্ত দুটি ধোওয়া—
মাসের শেষে বিলের দেখা পেলে
ভদ্র ভাবে শুদ্ধ গালি দেওয়া।

এমনি করে অতীত কেটে গেছে
এমন করেই হয় যদি শেষ দিন,
রক্ত ঢেলে শক্তি দিল যারা
শুধবি কবে তাদের মহাঋণ?
তোদের পরে আসছে যারা কাঁচা
তাদের ঘাড়ে ঋণের বোঝা ফেলে—
নিজের মত বিজন ঘরে বাঁচা
কেমন করে কাটাস হেসে খেলে?
সমস্যাকে দেখেই মনে আসে
সুযোগ খুঁজে বিদেশ চলে যাওয়া—
সেখান থেকে আরাম লাগে বেশি
ভদ্র ভাবে শুদ্ধ গালি দেওয়া

খোলোস খুলে আসবি কবে তোরা
পথের মাঝে কাজ রয়েছে বাকি,
দেখিস না কি মহান কত চোরা
দুবেলা রোজ দিচ্ছে তোকে ফাঁকি।
অনেক হল তত্ব আলোচনা
আকাশ ছোঁয়া চিন্তা বহু হল
সেই সময়ে নেপোয় মেরে দই
মালসা হাতে ধরিয়ে দিয়ে গেল।
এখন তোদের পথ রয়েছে দুটি
ভদ্র হয়ে মালসা চেটে খাওয়া—
কিম্বা নেপোর চুলের মুঠি ধরে
ঠ্যাং টি ভেঙ্গে ল্যাংড়া করে দেওয়া।।
#7
Poetry / ছুটি
October 27, 2014, 06:41:02 PM
মোষের পিঠে বাঘ লাফিয়ে কামড়ে দিল টুঁটি। (আ হা হা হা লুম)
মোষের হল ছুটি রে ভাই চিরকালের ছুটি। (আ হা হা হা লুম)
কি করে বাঘ ভেবে না পায়,
মাংস খায় না হাড্ডি চিবায়
কিম্বা টেনে চামড়া ছাড়ায় আগেই গোটাগুটি।।  (আ হা হা হা লুম)

মোষের বডি ঝোপের মাঝে যতন করে রেখে--
অন্য শিকার সন্ধানে বাঘ এদিক ওদিক দেখে।
দুরের মাঠে বাজিয়ে বেনু
রাখাল ছেলে চরায় ধেনু
বাঘ বলে আজ আমিও এনু খেলতে ছুটোছুটি।  (আ হা হা হা লুম).........
#8
Poetry / মহাকবি
October 27, 2014, 06:30:35 PM
মহাকবি

********************

ইচ্ছে ছিল কাব্য লিখে মস্ত বড় কবি হয়ে
আমিও পাব নোবেল প্রাইজ ভবিষ্যতের 'রবি' হয়ে
হাজার লোকের ঘরে ঘরে
দেয়াল থেকে পেরেক ধরে
দুলব আমি বাত্তাস খেয়ে ক্যালেন্ডারের ছবি হয়ে।।

মনের ছবি আঁকি খাতায় কলম দিয়ে, নাই তুলি
ভাবের ঝোঁকে সাদা কাগজ আঁধার করে তাই তুলি
মগজ যখন লাগে ফাঁকা
বন্ধ করে পেনের ঢাকা
দুহাত দিয়ে মুখের কাছে চুটকি মেরে হাই তুলি।।

মাথা যখন ভর্তি থাকে কেবল লিখে যাই হরি
ঘুমের সময় ঘুমাই শুধু, খাবার সময় খাই হরি
এরই মাঝে খাতার 'পরে
দোয়াত গেল উলটে পড়ে
কাব্য হল কালিবরণ, উপায় কিছু নাই হরি।।

সেদিন থেকে অনের মাঝে জপছি শুধু "জয় কালি"
তোমায় ছাড়া কাব্য বলো কেমন করে হয় কালি!
কোনোক্রমে কাগজ ছেড়ে
বোতল মাঝে এসো ফিরে
একটু কৃপা করো আমায় নইলে যে আর নয় কালি!!

এমনি করেই হারিয়ে গেছে কাব্য লেখার খেইটুকু
টুকরো কিছু লিখি আজও, মাথায় আছে যেইটুকু
বলার কথা আছে কত
কে আর বসে শুনবে অত
বাধ্য হয়ে থামতে হল বলে কেবল এইটুকু
"যেসব কথা বলার ছিল রইল বাকি সেইটুকু"।।
#9
Poetry / গান
October 27, 2014, 06:16:09 PM
গান ( উৎসর্গ - ফ্লোরা )
**************
নামিলো নয়নে বেদম ঘুম-ঘোর।
আহাঃ নামিলো নয়নে-এ এ এ
নামিলো নয়নে বেদম ঘুম-ঘোর।

যত জোর, যত জোর জোর জোর
ডাকাডাকি করো যত জোর
ঘরেতে আসে যদি চোর
কিছুতে জাগিব না আমি
না হলে বিভাবরী ভোর।। (ঘুমঘোর)

এত কেন ডাকাডাকি তোর!
আকাশে গলা তুলে শোর
সকালে এ এ এ এ এ  এ এ এ
সকালে দেখা দিতে এলে
আপনি খোলা পাবি দোর।। ঘুমঘোর,
নামিলো নয়নে বেদম ঘুম-ঘোর।

বাহিরেই ঘোরা ঘুরি কর
দুয়ারে মাথা ঠুকে মর
যদি না, ওরে য দি নাআআআআ
যদিনা ধরে কেহ এসে,
যদি না বলে কেহ চোর।। ঘুমঘোর,
নামিলো নয়নে বেদম ঘুম-ঘোর।
#10
Poetry / চাঁদ
October 27, 2014, 06:11:51 PM
পাশের বাড়ির ছাদে  কে বসে ওই কাঁদে?
দেখতে গেলে পড়তে পারি হয়তো কোনো ফাঁদে।

ফাঁদে পড়া পছন্দ নয় জানতে তবু ইচ্ছে তো হয়
ওপর থেকে দেখবো বলে চাইছি যেতে চাঁদে।

চাঁদের গাড়ির টিকিট কেটে, যাচ্ছি যখন এয়ারপোর্টে
পথের মাঝে মিছিল চলে বেদম জিন্দাবাদে।

কাউন্ট ডাউন ফিনিস করে রকেট যখন গেল উড়ে
আমি তখন পথের মাঝে ট্র্যাফিক জ্যামের ফাঁদে।

মনে এখন দুঃখ ভারি, করে আছি মুখটি হাঁড়ি
ভাবছি এবার কাঁদব বসে নিজের বাড়ির ছাদে।

ওপর থেকে দেখবে ওরা, যাচ্ছে যারা চাঁদে।।
#11
ঘরের মাঝে মশা কামড় দিল পায়
চন্দ্রভূষণের দাদুর
সিলিং থেকে এসে মাথায় দিল চাঁটি
চিমশে কেলে এক বাদুড়
দাদুও রাগ করে উঠানে বসলেন
পাতিয়া পুরাতন মাদুর
সুজ্জি মামু হেসে টাকেতে রোদ দিল
মাথা গরম হল দাদুর।

দাদুর টাকে ঘাম গড়িয়ে পড়ে পায়
চোখের চশমা যায় ভিজে
দুহাত তুলে ধরে আকাশে মেলে দেন
মুন্ডু চাপা দেন নিজে
সুবিধা না পাওয়ায় পড়ল জোর ডাক
দুষ্ট পোলাপান চাঁদুর
বেচারা রোদটাকে আটকে দিতে এল
পুরানো ছাতা নিয়ে দাদুর।

দাদুর টাক ঢেকে যেই না ছাতা খোলা
অমনি হয়ে গেল বেচাল
ছাতার মাঝে ছিল তিনটে আরশোলা
ভাবো তো কিরকম ক্যাচাল!
তাদের সাথে সাথে তিড়িং লাফ দিয়ে
বেরিয়ে এল দুই ইঁদুর
দাদুও এক দিকে চাঁদুও একদিকে
রইল পড়ে শুধু মাদুর।
#12
Poetry / তালিবানের জয়গান
October 27, 2014, 05:27:22 PM
নিশ্চিত জানিতে ওগো জগত গৌরব তালিবান
তোমরাই ভবিষ্যত, পৃথিবীর সকল সম্মান
তোমাদেরই অধিকারে চলি যাবে। আপন খেয়ালে
আঁকিয়া উজ্জ্বল চিত্র নগরের দেয়ালে দেয়ালে
তোমরাই এনে দিবে মানব নয়নে স্বপ্নছবি
...তোমাদের স্তুতিগান লিখিয়া বিখ্যাত হবে কবি।
সাথে পাবে পুরষ্কার। তোমাদেরই দয়ার সে দান
আমরা বাজাব তালি। যা' পেয়ে তোমরা তালি-বান।
#13
Poetry / বিদায়
October 27, 2014, 05:02:38 PM
তোমার সাথে প্রথম দেখায়
আকাশে শুকতারা
পুবের আলোর অরুণ রেখায়
যখন হল হারা।
চলার নেশা যখন মোরে
ডাক দিল প্রাণ আকুল করে
তখন তুমি হাতটি ধরে
ভুলিয়ে দিলে তাড়া।


সময় ভুলে তোমার সাথে
অনেক হল খেলা
এখন আমার আঁধার পথে
একলা চলার পালা।
তোমার সাথে পাহাড় চুড়ায়
উছল ঢেউয়ের ওঠা পড়ায়
আকাশ হতে আলোক হারায়
এলো সাঁঝের বেলা
এবার আমার তারায় তারায়
সূর্য খোঁজার পালা।
#14
Poetry / ফেটাল এরর
October 27, 2014, 04:50:20 PM
ফেটাল এরর (নকল কবিতা)

পাগল থামাতে চায় ফেটাল এরর।
জানালা যখনি খোলে তখনি জগত ভোলে
চক্ষু পাকায়ে করে দাঁত কড়মড়।
ওষ্ঠ অধরেতে চাপি মেশিনের মাম্মি-বাপি
তুলিয়া করিতে চাহে দুনিয়া মাথায়
তখনি স্মরণে আসে সুশীলেরা চারিপাশে
ভদ্রভাবে বাস করে (দুদুভাতু খায়)।
টেকি বুদ্ধি নাহি তার তবু নাহি মানে হার
উত্তর খুঁজিয়া ফেরে শুধু নিশিদিন
এ জগতে আজকাল বিছানো তথ্যের জাল
তবু তার প্রশ্ন রয় উত্তর বিহীন।
নাহি করে আপডেট মারিবে না ফরম্যাট
এন্টিভাইরাস শুনে লাগে তার ডর
তবু তার শখ কত ভেবে চলে অবিরত
কিভাবে তাড়ানো যায় ফেটাল এরর।



মেশিনে মেশিনে কত চলে লেন দেন
প্রত্যহ প্রত্যেক পলে কত তথ্য বয়ে চলে
ভাবিলে গুলায়ে যায় মানুষের ব্রেন
সার্ভার বিশ্রামহীন জেগে আছে রাত্রিদিন
কে কখন তার কাছে কি দাবী পাঠায়
কেহ খোঁজে পিকচার কেউ খোঁজে সফটওয়্যার
কেউ বা কানের কাছে লারেলাপ্পা চায়।
হ্যাকারের দলবল নিত্য খুঁজে ফেরে ছল
হাসিল করিয়া নিতে অন্যের ঠিকুজি
পাবে কিনা জানা নাই তবু তার খোঁজা চাই
আর সব চিন্তা ফেলে করে খোঁজাখুঁজি।
কাজের খবর নাহি কেবল খদ্দের চাহি
অর্থহীন বিজ্ঞাপনে ভরে মনিটর
সে মহাসমুদ্র তীরে পাগল খুঁজিয়া ফেরে
কিভাবে থামানো যায় ফেটাল এরর।




একদিন, যবে শুরু হল সেই খেল-
বেকুব ফিনিক্স ছাত্র না চাহিয়া কিছুমাত্র
বিনামূল্যে প্রকাশিল লিনাক্স কার্নেল।
অপূর্ব সুযোগ দেখি দলে দলে বিশ্বটেকি
আসিয়া হইল জড়ো তাহার নিকট
যাকে ভেবেছিল সবে বিনামূল্যে কিবা হবে?
সেই সারা বিশ্ব জুড়ে হইল প্রকট।
মূল্যহীন বলে যারে নাসিকা বঙ্কিম করে
ঘৃণা করেছিল যত জানালা ওস্তাদ
অপূর্ব অমূল্য বলে তাহারাই দাবী তোলে
ইহার চালনবিধি শিখিবার সাধ।
জনতার দাবীমত টেকিগণ মিলে যত
নতুন ভার্সন বের করে পর পর
পাগল দেখেনা হায় জানালার গুণ গায়
তাড়াইতে চায় শুধু ফেটাল এরর।



এতদিনে বুঝি তার ঘুচে গেছে আশ ।
খুঁজে খুঁজে ফিরে তবু বিশ্রাম না জানে কভু ,
        আশা গেছে , যায় নাই খোঁজার অভ্যাস ।
বিরহী বিহঙ্গ ডাকে সারা নিশি তরুশাখে ,
        যারে ডাকে তার দেখা পায় না অভাগা ।
তবু ডাকে সারাদিন আশাহীন শ্রান্তিহীন ,
        একমাত্র কাজ তার ডেকে ডেকে জাগা ।
আর-সব কাজ ভুলি আকাশে তরঙ্গ তুলি
         সমুদ্র না জানি কারে চাহে অবিরত ।
যত করে হায় হায় কোনোকালে নাহি পায় ,
        তবু শূন্যে তোলে বাহু , ওই তার ব্রত ।
কারে চাহি ব্যোমতলে গ্রহতারা লয়ে চলে ,
        অনন্ত সাধনা করে বিশ্বচরাচর ।
সেইমতো বিশ্ব জুড়ে পাগল খুঁজিয়া ফেরে
        কিভাবে বিলোপ হবে ফেটাল এরর।
#15
Poetry / জ্বলন্ত বিড়ি
October 27, 2014, 04:49:05 PM
---জ্বলন্ত বিড়ি---

আমায় সে দিয়েছিল জ্বলন্ত বিড়ি
বলে এতো বিড়ি নয় স্বর্গের সিঁড়ি
স্বর্গের সিঁড়ি......
না শুনে গুরুর মানা,
সে প্রথম বিড়ি টানা—
নাকে মুখে ধোঁয়া ঢুকে কেশে কেশে মরি......
কেশে কেশে মরি......

তবু কেন বিড়িটারে ফেলা নাহি গেল
খক খক কত কাশি চোখে জল এল
চোখে জল এল......
সেদিন সে বিড়ি যদি
না খেতাম হায় বিধি—
হতনা আজিকে যেতে বদ্যির বাড়ি......
বদ্যির বাড়ি......

বিড়ি টানা ভালো নয় ভালো করে জানি
ভাবি কাল ছেড়ে দেব আজ শুধু টানি
আজ শুধু টানি......
আমার চতুর পাশে
তাজা হাওয়া যায়আসে
নিকোটিন ভরা ধোঁয়া তারি মাঝে ছাড়ি......
তারি মাঝে ছাড়ি......
#16
Poetry / এই বেশ ভাল আছি
October 27, 2014, 04:32:54 PM
আজকাল কাজ নয়, ভালো লাগে চুপ করে থাকা।
গান নয় খেলা নয়,
এলোমেলো হাওয়া বয়
সে হাওয়ায় দিনশেষে ফুলেদের ঝরে যাওয়া দেখা।
ভালো লাগে......

লাগছে না ভালো আর নতুন দিনের দিকে চাওয়া
বিবর্ণ ঝরা পাতা
ছিঁড়ে যাওয়া বই খাতা
তার মাঝে ভুলে যাওয়া অতীতের দিন খুঁজে পাওয়া
ভালো লাগে......

বহুদিন হয়ে গেল, স্বপ্নেরা ভুলে গেছে আমার ঠিকানা
ঘুমহীন প্রতি রাত
আঁধারে বাড়িয়ে হাত
খোলা চোখে ভুলে যাওয়া স্বপ্নকে ডেকে ডেকে আনা
ভালো লাগে......

আমার মতই যারা ভালো নেই, আমিও তাদেরই এক জন
আছে শুধু ভালো লাগা,
স্মৃতি নিয়ে রাত জাগা
আর ভালো আছি বলে নিজের মনের কাছে মিথ্যাকথন
ভালো লাগে......
#17
Poetry / ফ্ল্যাট
August 16, 2014, 08:17:19 PM
 
ফ্ল্যাট


ইঁটের উপর ইঁট সাজিয়ে ভেবেছিলাম বানাব ফ্ল্যাট বাড়ি
সিমেন্ট বালি থাকবে না একদম।
তক্তা দিয়ে ছাদ বানাব, কাজটা হবে অনেক তাড়াতাড়ি
খরচ তাতে লাগবে অনেক কম।।
হফতা খানেক চেষ্টা করে মনের মত প্ল্যান বানালাম নিজে
নষ্ট করে কাগজ কয়েক তাড়া।
একলা খেটে ইঁট সাজালাম দুপুর রোদে ঘামের স্রোতে ভিজে
দুহাত জুড়ে গজিয়ে গেল কড়া।।
এমনি করে সন্ধে নাগাদ বানিয়ে নিয়ে প্রথম তলা বাড়ি
আরাম করে ঘুমিয়ে সারা রাত।
ভোর না হতে ছাত বানাতে তক্তা নিয়ে এলাম তাড়াতাড়ি
বাড়ি তখন হয়েছে চিতপাত।।
জানি জানি এসব শুনে সবার মনে জেগেছে সংশয়
ভাবছ আমি গাঁজাখোরের চেলা।
কিন্তু এসব ভোরের বেলা স্বপ্নে দেখা, মিথ্যে মোটেই নয়
সত্যিও ঠিক যায়না বটে বলা।।
লক্ষ টাকার স্বপন দেখি ছেঁড়া কাঁথার উপর বডি ফেলে
মাথার কাছে উলটে রেখে হাঁড়ি।
ইচ্ছে আছে আমার সাথে অংশীদারী ব্যবসাতে কেউ এলে
সত্যি করেই বানাব সেই বাড়ি।।
#18
ফেসবুকে যেসব লেখা দিয়েছিলাম তা এখানে কপি রাখা হবে।
#19
Poetry / চিত্রকর
July 31, 2014, 12:19:18 PM
চিত্রকর
************
লিওনার্দো এঁকেছিলেন
মোনালিসার স্মাইল
কি ছিল সেই হাসির মানে
কেন এমন স্টাইল?
ছেলেবেলায় ড্রয়িং টিচার
বলেছিলেন ডেকে
নোবেল পাবি, দেখিয়ে দিলে
এমন ছবি এঁকে।

মোনালিসার চেহারা নয়
মোটেও তেমন ভালো
আঁকলাম মিস ইউনিভার্স
রূপে ভুবন আলো
মোনালিসার মতই হাসি
তাহার মুখে এঁকে
নোবেল এবার পাবই আমি
বলে বেড়াই হেঁকে।

স্যারের হাতে পড়ল যখন
আমার 'মোনালিসা'
স্তব্ধ হয়ে থাকেন চেয়ে
খুঁজে না পান দিশা
নেড়ে দেখেন চেড়ে দেখেন
চোখের কাছে রেখে
"কে এঁকেছে এমন ছবি"
বলেন শেষে হেঁকে।

"এই যে আমি" বলে আমার
যেমনি না হাত তোলা,
মাথার উপর পড়ল চাঁটি
দুই কানে কান মলা।
বললেন স্যার "ভুতের ছানা
ভাগবে ছবি দেখে"
সেদিন থেকে আর আঁকি না
কি আর হবে এঁকে!!
#20

কাছিম কাহিনী- শষ্যক্ষেত্র


ছোট্ট কাছিম হৈল যবে জাস্ট বড়
তারে একখান লাঙ্গল দিল পাগলাতে
লাঙ্গলখানা সত্যি ছিল বেশ দড়
ছোট্ট কাছিম পারছিলনা সামলাতে।

কাছিম ছিল বড়ই মনোকষ্টেতে
লাঙ্গল কাজে লাগল না তার একদিনও
পাগলা তখন লাগিয়ে দিল তার সাথে
এক্সট্রা তিরিশ ম্যান-পাওয়ারের ইঞ্জিনও।

তারপরে যা হৈল তাহা ঐতিহাস
টেম্পারেচার এমনি ছিল বেশ গরম
তার উপরে তিরিশ পাওয়ার এক্সট্রাতে
পড়ল কাছিম অ-সুবিধায় বেশ চরম।

পাগলা তখন জগত জুড়ে শষ্যক্ষেত
বানিয়ে দিল সেই প্রব্লেম করতে দূর
বললে এখন যা জোটে তাই চালিয়ে নাও
মরার পরে তোমায় দেবো লক্ষ হূর।

(19/06/2013)
#21
Poetry / নীরবতা
July 27, 2014, 08:00:21 PM
নীরবতা


আকাশে নীলিমায়
মেঘেরা ভেসে যায়
পাখিরা সুরে গায় কত কথা।
আমার এই কানে
কেন যে সেই গানে
কেবলি বয়ে আনে নীরবতা।।

দিনের আলো ছায়া
রাতের মোহ মায়া
চাঁদের ক্ষয়ে যাওয়া দিনে দিন।
সূর্য জ্বলে ওঠা
সাঁঝের তারা ফোটা
আশার পিছে ছোটা আশা হীন।।

এখনো প্রতিরাতে
স্বপ্ন নিয়ে সাথে
আঁধারে রাখি পেতে আঁখিপাতা।
মাটির বুক থেকে
যদি সে যায় ডেকে
কখনো দূরে রেখে নীরবতা।।

যখন হবে ভোর
তখনি ঘুমঘোর
আসিবে ছেয়ে মোর এ নয়নে।
ফুরাবে জেগে থাকা
দুচোখ খোলা রাখা
তবু স্বপন দেখা মনে মনে।।

তাই আলোর গানে
পাখির কলতানে
জাগে না এই প্রাণে কোনো কথা।
এত যে তাল লয়
জগত জুড়ে বয়
সকলি মনে হয় নীরবতা।।

#22
সূরা আল মুর্গি


হে বুদ্ধিমান মুরগীগণ, তোমাদের প্রভূর নামে শ্রবণ করো। তিনি তোমাদের মঙ্গলের জন্য এই সর্বোত্তম জীবন বিধান প্রদাণ করিতেছেন। তোমরা তাঁহাকে ও তাঁহার বার্তাবহকে সম্মান প্রদর্শন করিয়া মনযোগ সহকারে ইহা অবিকল পালণ  করিবে।

তোমরা নিশ্চয় জানো, তোমাদের প্রভূ ইতিপূর্বে তোমাদের জন্য জীবন বিধান প্রেরণ করিয়াছেন। কিন্তু দীর্ঘকাল যাবত তোমরা তাহার মর্মার্থ ভুলিয়া অন্ধ হইয়াছ।

তোমাদের জন্য এই বিধান সহজ করিয়া দেওয়া হইতেছে। যাহাতে তোমাদের মধ্যে মূর্খেরাও ইহা বুঝিতে পারে। ইহার মধ্যে কিছু আছে সুষ্পষ্ট নির্দেশ। আর কিছু আছে রূপকের দ্বারা বিবৃত।

আর এই জীবন বিধানে তোমাদের জন্য এমন কোনো বিধান রাখা হয়নাই যাহা পালন করা তোমাদের জন্য অসম্ভব হইবে। পূর্বকালের বিধানের সকল নিয়ম পালন করা এমন সহজ সরল ছিল না। এজন্য অনেকেই পথভ্রষ্ট হইয়াছিল।

এইসব পথভ্রষ্টদের তোমরা নূতন বিধানের প্রতি আহ্বান করো। তাদের মধ্যে কিছু সত্যপথে প্রত্যাবর্তন করবে, আর কিছু কখনোই তোমার আহ্বান শুনবে না। তাদের অন্তর মূর্খতায় পরিপূর্ণ। তারা জানে না যে সহজ বিধানই সত্য বিধান।

তোমরা তাহাদের আহ্বান জানালে তারা তোমাদের বিধান নিয়ে প্রশ্ন করিবে। কিন্তু স্মরণ রেখো, যাহারা অবিশ্বাসী তাহাদের প্রশ্নের উত্তর দিলেও তাহারা বিশ্বাস করিবে না। কাজেই উত্তর দেওয়া সময়ের অপচয় মাত্র। এই জন্যই প্রভু সেইসব জটিল প্রশ্নের উত্তর এই বিধানে যুক্ত করেন নাই। ফলে এই বিধান সম্পূর্ণ জটিলতা মুক্ত।

এইসব মূর্খদের সঙ্গে তোমরা তর্কে অবতীর্ণ হইতে যাইবে না। তাহাদের বলো, তোমাদের বিধান তোমাদের জন্য আর আমাদের বিধান আমাদের জন্য থাকুক। নিশ্চয় অন্তিম বিচার প্রভুই করেন। আর প্রভুই জানেন কোন মুরগি কোন চুল্লীতে সিদ্ধ অথবা ভর্জিত হইবে।।

সেইসব অবিশ্বাসীদের স্মরণ করাইয়ো, কিভাবে তারা প্রভুর আদেশ অমান্য করিয়া খামারের বাহিরে বিচরণকারী পোকাখেকো মুরগিদের অনুকরণে প্রবৃত্ত হইয়াছিল এবং গ্রহণ করিয়াছিল সেইসব খাদ্য, যা প্রভু তাদের জন্য নির্ধারিত করেন নি। ফলে বার্ডফ্লু রোগ তাদের আক্রমণ করিল আর তাহারা নিহত হইল দলে দলে।

আর তাই তোমাদের জন্য প্রভু দিয়াছেন সর্বোত্তম সহজ বিধান। তোমাদের শিক্ষায় বড় হইতে হইবে না। জ্ঞান বিজ্ঞানে বড় হইতে হইবে না। সাহিত্য, শিল্প দর্শনে বড় হইয়া নিজেদের ওজন কমাইতেও হইবে না। এইসব মনুষ্যগুণাবলী তোমাদের জন্য কেবল অপ্রয়োজনই নয়, বরং একেবারেই নিসিদ্ধ।

তোমরা প্রতিদিন আন্ডাবাচ্চা উৎপাদন করিয়া সংখ্যায় অন্য সকল জাতিকে অতিক্রম করো। আর অতিক্রম করো ওজনে। তোমরা সংখ্যায় আর ওজনে অন্যদের অতিক্রম করিলেই প্রভু তোমাদের উপর সন্তুষ্ট হইবেন আর তোমাদের জন্য দেবেন অন্যদের তুলনায় উৎকৃষ্ট খামার। যেখানে তোমরা উৎকৃষ্ট খাদ্যপানীয় লাভ করবে।

আর প্রভু তোমাদের জন্য বাতানুকূল খামার নির্ধারণ করিবেন আর অন্যদের স্থান দেবেন এমন কোথাও, যেখানে শীতে উষ্ণতা পাওয়া যায় না, গ্রীষ্মে অগ্নির উত্তাপ অনুভূত হয়। আর সেইসব মুরগির জন্য থাকবে নিম্নমানের খাদ্যপানীয়, যাতে তারা আরো পীড়িত হবে। অতএব তোমরা তেমনই করো যা প্রভুর জন্য আনন্দজনক।

-----

নোটঃ এই পরিপূর্ণ জীবন বিধান কেবল মুরগীদের জন্য দেওয়া হইয়াছে। অন্য কেহ ইহা অনুসরণ করিলে ফলাফলের জন্য তিনিই দায়ী থাকিবেন।
#23
EngLogic / Who is a true Muslim
June 25, 2014, 02:47:28 AM
Read in Bengali (বাংলায় পড়তে হলে) http://logicalforum.com/index.php?topic=754.0


Courtesy: Khurram Chaudhry

Critic: What is your opinion on Shia?
Islamist: They are heretics. They do not represent the true Islam.

Critic: What do you think of Wahabis ?
Islamist: False Muslims. Their actions and teachings do not represent true Islam

Critic: What do you think of Taliban?
Islamist: False Muslims. They do not represent Islam.

Critic: What do you think of the Muslim Brotherhood ?
Islamist: Also false Muslims. They do not represent Islam.

Critic: How about ISIS and its actions in Syria?
Islamist: They are not true Muslims either. Their actions go against Islam

Critic: What do you think of those suicide bombers who blow themselves up in the name of Islam ?
Islamist: They do not represent the teachingsof Islam.

Critic: Why are most Islamic countries backward in regards to science and technology and progress ?
Islamist: Because Muslims do not understand Islam properly and do not follow its teachings. Also, they follow leaders and rulers and sheikhs who are false Muslims and do not apply Islam properly.

Critic: What of the problems of forced marriages, child marriages, lashing, whipping, beating, stoning,enforcing the veil, executions for apostasy and blasphemy prevalent in some Islamic communities ?
Islamist: Those actions are not from Islam, and those who do them are not true Muslims.

Critic: What do you say of the hadiths that advocate and support execution for apostasy and fighting non-believers ? and what about the numerous tafsirs and sources written by Muslim scholars (including those who established the major Islamic schools of jurisprudence) that confirm those, and clearly state that the earlier peaceful verses were abrogated later on by more violent ones?
Islamist: They are all false. They're not truly from Islam, and those scholars who wrote this have misunderstood what the real teachings of Islam

Critic: Well, how many Muslims are there ?
Muslim: Allahu Akbar!! Islam is the fastest growing and most widespread religion in the world. We are the Ummah of more than 1.7 billion followers. Allahu Akbar!!
#24
Original English (মূল ইংরাজী) http://logicalforum.com/index.php?topic=755.0

একটি মূমিনীয় সাক্ষাৎকার

প্রশ্নঃ ইসলাম আসলে কি?
মুমিনঃ ইসলাম হৈল মহান আল্লাহর কাছ থেকে আসা সর্বাধুনিক ও সম্পূর্ণ জীবন বিধান।

প্রশ্নঃ শিয়াদের সম্পর্কে আপনার মতামত কি?
মুমিনঃ তারা বিপথগামী। সহি ইসলামের প্রতি তারা শ্রদ্ধাশীল না।

প্রশ্নঃ ওয়াহাবীদের ব্যাপারে কি বলবেন?
মুমিনঃ ওয়াহাবীরা সহি মুসলিম নয়। তাদের শিক্ষা বা কাজকর্ম মোটেই সহি ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না।

প্রশ্নঃ তালিবান সম্পর্কে আপনি কি ভাবেন?
মুমিনঃ তালিবানেরা সহি মুসলিম নয়। তারা সহি ইসলামের অনুসরণ করে না।

প্রশ্নঃ মুসলিম ব্রাদারহুড এর ব্যাপারে আপনার কি মত?
মুমিনঃ সহি মুসলিম নয়। তারাও সহি ইসলামের পথে নেই।

প্রশ্নঃ সিরিয়ায় ISIS এর কাজকর্মকে কি বলবেন?
মুমিনঃ তারাও সহি মুসলিম নয়। তাদের কাজকর্ম ইসলামের বিরোধী।

প্রশ্নঃ ইসলামের নামে আত্মঘাতী বোমারু জঙ্গীদের ব্যাপারে আপনি কি ভাবেন?
মুমিনঃ তারা মোটেই সহি ইসলামের শিক্ষা অনুসরণ করে না।

প্রশ্নঃ পৃথিবীর মুসলিম দেশগুলো জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং প্রগতির দিক দিয়ে এত পিছিয়ে আছে কেন?
মুমিনঃ কারণ মুসলিমেরা সঠিকভাবে ইসলামকে বোঝে না এবং নিজেদের জীবনে প্রয়োগও করে না। বরং তারা তাদের রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় নেতাদের অন্ধভাবে মেনে চলে যারা নিজেরাও সহি মুসলিম নয়।

প্রশ্নঃ ইসলামী দেশে যেসব বর্বর আইন আছে যেমন জবরদস্তি বিবাহ, শিশু বিবাহ, বিবি পিটানো, পাথর মেরে খুন করা এসব কি? আর ইসলাম ত্যাগ করলে তো মৃত্যুদন্ডও দেওয়া হয়।
মুমিনঃ এসব নিয়ম কখনোই ইসলামের নয়। এসব যারা করে তারা সহি মুসলিম না।

প্রশ্নঃ ধর্মত্যাগী এবং অবিশ্বাসীদের খুন করার ব্যাপারে তো অনেক হাদিস আছে। বিশ্ববিখ্যাত আলেমদের লেখা তাফসিরও আছে। ইসলামিক স্কুলে সেসব পড়ানোও হয়। সেখানে তো পরিষ্কার বলা হয়েছে যে ইসলামের শান্তির বাণী পরবর্তীকালে বাতিল করে যুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুমিনঃ এসব জাল হাদিস এবং এসব তাফসির লেখকদের বোঝার ভুল। সহি ইসলাম কখনোই এসব শিক্ষা দেয় না।

প্রশ্নঃ দুনিয়ায় মুসলিমের মোট সংখ্যা কত?
মুমিনঃ আল্লাহু আকবর! ইসলাম দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্ম। আমরা ১৭০ কোটি মুসলিম এই মহান ধর্মের অনুসারী। আল্লাহু আকবর!  :) :)
#25
ये मुह तोढ़ जवाब मेरा नहीं है। भार्चुयल मोमिन लोगों ने समय समय पर जो जवाब दिया था उसी को बस एक जगह पर जमा किया है। खुद पढ़िए, लोगों को पढ़ाइये और इमान को मजबूत किजिये।

By Washikur Babu
Translated by Jupiter
Original source http://logicalforum.com/index.php?topic=46.0
#26
অম্বলে সম্বরা যবে দিলা শম্ভুমালী
ওড্র কুলোদ্ভব মহামতি, বঙ্গধামে
নিম্বসিম্বি গ্রামে, মধ্যাহ্ন সময়ে আহা!
তিন্তিড়ি পলান্ডু লঙ্কা সঙ্গে সযতনে
উচ্ছে আর ইক্ষুগুড় করি বিড়ম্বিত
অপূর্ব ব্যাঞ্জন, মরি, রান্ধিয়া সুমতি
প্র-পঞ্চ ফোড়ন দিলা মহা আড়ম্বরে,
আম্বা করি ঢালিলা পুনঃ জাম্বাটি ভরি।
খাব বলি, কহ দেবী তম্বুরাবাদিনী!
কোন্ জাম্বুবান হৈল মুগ্ধ তার ঘ্রাণে
আচম্বিতে? জম্বুদ্বীপ হৈল হরসিত!
কম্বুরবে অম্বুনিধি মহাতম্বী করি
আইলা অম্বল লোভে — লোভী, শম্বুকেরা
কৈল হুড়াহুড়ি জলতলে, জম্বুকেরা
হুক্কাহুয়া ডাকিয়া উঠিল দ্বিপ্রহরে—
দিবাভাগে। জগদম্বা হস্ত বিলম্বিত
শুম্ভ নিশুম্ভের কাটা মুন্ডে শুষ্ক জিভে
এল জল, জগঝম্প বাজিল দেউলে।
সন্ন্যাসী কম্বলাসনে চোখাইয়া মুখ!
বোম্বায়ের আঁটি ফেলি বিম্বৌষ্ঠী দৌড়িলা!
সুদূর শহরে হোথা চেম্বারে চেম্বারে
হাসিল গ্রাম্ভারী যত জজ! লম্বোদরী
হাঁচিলা হিড়িম্বা বনে, শাম্ব দ্বারকায়
গোপাঙ্গনা ভুলিল দম্বল দিতে দৈ-এ
অম্বলের গন্ধে দৈ জমিল আপনি!
কম্বক্তা সম্বরাসুরে না করি বম্বার্ড
দম্ভোলি নিক্ষেপি ইন্দ্র সে অম্বল লোভে
দাম্বাল উলং দুম্বো চাষা ছেলে সাজি
আইলা শম্ভুর দ্বারদেশে! গোষ্ঠে গাভী
কৈল হাম্বারব। হাম্বীর ভাঁজিল গুণী
মনোভুলে পোড়াইয়া অম্বরী তাম্বাকু!
কিম্বদন্তি কয়, চুম্বনে অরুচি হৈল
নবদম্পতির সে অম্বল-গন্ধে মুগ্ধ-
মন। হৈল ভিনিগার বোতলে শ্যাম্পেন
ঈর্ষাবশে। হিংসাভরে রম্ভা হৈল বীচে।
কলম্বোর কুম্ভকর্ণ জাগিল কবরে
মোল্লা দোপিয়াজা দিল্লীধামে, ফুল্লমন
সম্বরা সৌরভে! কৈলাসে স্বনামধন্য
শূলী শম্ভু বাজাইলা আনন্দে ডম্বরু
মালী শম্ভুকৃত অম্বলের গন্ধামোদে,
দিগম্বর ববম্বম বাজাইলা গাল,
পুষ্পবৃষ্টি হইল নীলাম্বরে—জগবন্ধু
সূপকার উড়িয়ার রন্ধন গৌরবে!
গেরাম্ভারি শম্ভুমালী কিন্তু নিজ মনে
কোনোদিকে বিন্দুমাত্র না করি দৃকপাত
জাম্বাটি উজাড় কৈল গাবু গাবু রবে।।


--- সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। ---
#27
পূজায় দাও মা আমায় তবিলদারী
আমার কাজ কি হয়ে সেক্রেটারী,
আমরা ক'জন মাসতুতো ভাই
মওকা মাফিক মিলি সবাই,
আর ছা-পোষাদের করতে জবাই
রসিদ কেটে পকেট মারি।।
দাও মা আমায় তবিলদারী।।

তোমার পূজার ডামাডোলে
বরাতটা যদি মা খোলে
তবে অট্টরোলে 'মা মা' বলে
বোম ফাটাবো ব্যোম বিদারি।
দাও মা আমায় তবিলদারী।।

ডোনেশন আর খুচরো চাঁদায়
একুনে যা হবে আদায়
তারই খানিক বিনা বাধায়
নিয়ে যেন সরতে পারি।
দাও মা আমায় তবিলদারী।।

চুক্তি এই রইল তবে
তবিলটার ভার আমার হবে
আর মাইক দিয়ে আমরা সবে
মাতিয়ে দেবো বারোয়ারী।
তোমার দেখেশুনে মনে হবে
বলিহারি। বলিহারি।।
দাও মা আমায় তবিলদারী।।

--- অমিয়ভূষণ গুপ্ত---

#28
আজকাল বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার ইসলামীকরণের যুগ। সব কিছুই ছাগুদের মত হতে চলেছে। কিন্তু ছাগুদের দ্বারা কোনো কিছু ক্রিয়েটিভ হওয়া সম্ভব নয়। তাই আমাকেই হাত লাগাতে হল।

সালমা বহিন (কাজলা দিদি)


খেজুর গাছের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
আম্মু আমার নামাজ পড়া সালমা বহিন কই?
মসজিদের অই কুয়ার ধারে
হুজুর বুড়ো ওয়াজ পড়ে
সেই আওয়াজে ঘুম আসে না একলা জেগে রই।
আম্মু আমার কোলের কাছে সালমা বহিন কই?

সেদিন হতে আম্মু কেন সালমা নাহি ডাকো
তার কথাতে হিজাব দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?
নাস্তা খেতে আসি যখন
বহিন বলে ডাকি যখন
ও-ঘর থেকে আম্মু কেন বহিন আসে নাকো?
আমি ডাকি, তুমি কেন খামোশ হয়ে থাকো?

বল না বহিন কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে হুজুর বুড়োর সাথে আমার বিয়ে হবে
হুজুর বুড়োর কোলে চড়ে
যাব যখন শ্বসুরঘরে
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে?
মোল্লাসাবের সাথেই তখন তোমার নিকা হবে।

ঝরা ফুলে ভরিয়ে গেছে খেজুর তলা খানি
মাড়াস নে তুই আম্মু যখন আনতে যাবি পানি
খেজুর পাতার ফাঁকে ফাঁকে
বুববুলিটা লুকিয়ে থাকে
ডাল ধরে তাই তুই যেন না করিস টানাটানি
বহিন এসে শুনতে পেলে কি বলবে কি জানি!

খেজুর গাছের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
এমন সময় আম্মু আমার সালমা বহিন কই?
আসতে যেতে কুয়োর পাড়ে
বুড়ো হুজুর তাকায় আড়ে
মনের ধন্দে ঘুম আসে না তাইতো জেগে রই—
রাত্রি হোলো, আম্মু আমার সালমা বহিন কই?

#29
বিশ্বব্যাপী ইসলামের অধঃপতনের দায় ইহুদি বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত মধ্যাকর্ষনের - আল্লামা হৈরান (সাঃ = সামুপুরী)


এক ইসলামী প্রেসকনফারেন্সে হুজুরে পাক খলিফায়ে ইলম আল্লামা হৈরান (সাঃ = সামুপুরী) বলেন, "বিশ্বব্যাপী ইসলামের এই অধপতন আসলে ইহুদীদের ষড়যন্ত্র এবং এর জন্য মূল দায়ী কাফির ইহুদী বিজ্ঞানী গালাগালিওর আবিষ্কৃত মধ্যাকর্ষন তত্ব। আপনারা জানেন এই তত্বের মানে হলো ভুমি হতে যতই উপরে কিছু রাখা হোক না কেন সেটাকে ভুমি প্রচন্ড ভাবে নীচের দিকে টানতে থাকবে। সেইরকমই ইসলামের আকাশছোঁয়া সমুন্নত গৌরবনামাকেও এই ইহুদী বিজ্ঞানী গালাগালিও এবং তার অনুচরেরা মধ্যাকর্ষনের চিপায় ফেলে মাটিতে নামিয়ে ক্রমশঃ ধুলিষ্যাৎ করে ফেলছে। এই জন্যই আল্লাপাক মহান কুরানের ছত্রেছত্রে আরবী প্যাঁচিলা হরফে বারবার ইহুদীদের থেকে সাবধান হতে বলেছেন। শুধু তাই নয়, এই বিজ্ঞানী গালাগালিওর নামেই গালাগালি আছে, তাই ব্লগের নাস্তিকেরা খালি গালাগালি করে এবং এটা প্রমান করে যে নাস্তিকেরা সব ইহুদীর বাচ্চা।"

উপস্থিত এক সাংবাদিক বলেন যে মধ্যাকর্ষন তত্ব বিজ্ঞানী নিউটনের আবিষ্কার, আর শব্দটা গাললাগালিও নয় গ্যালিলিও হবে, আর দুজন বিজ্ঞানীই খ্রীষ্টান ছিলেন ইহুদী নয়। এর জবাবে গম্ভীর কন্ঠে হুজুরে পাক খলিফায়ে ইলম আল্লামা হৈরান (সাঃ = সামুপুরী) বলেন, "আমি একজন বুয়েট পাশ আধুনিক মাওলানা, বিএসটিআই ছাপযুক্ত পণ্যের খাঁটিত্ব নিয়ে যেমন প্রশ্ন তোলা অবান্তর তেমনই বুয়েটের সার্টিফিকেটের কারনে তার প্রতিটি কথাই যুক্তিমূলক এবং আধুনিক বৈজ্ঞানিক মতবাদের এই মর্মে কোন সন্দেহ পোষন করা কাফিরের লক্ষন হিসাবে বিবেচিত হবে।"

আল্লামা হৈরান (সাঃ = সামুপুরী) আরো জানিয়েছেন যে দারুইন নামে যে বিটকেল লোকটি নিজেকে বিজ্ঞানী দাবী করে এবং মানবজাতিকে বান্দরের বাচ্চা বলে সে আসলে কি তা তার নামের অর্থ থেকেই পরিষ্কার। যে লোক দারু ইন করে তার কথাকে মূল্যবান বলে একমাত্র মাল-খাওয়া পাব্লিকেই দাবী করতে পারে। তিনি জোর গলায় বলেন যে বান্দর কখনো মানুষ হয় না বরং মানুষ থেকে বান্দরের সৃষ্টি হয় সেটা নাস্তিকদের দেখলেই প্রমাণিত হয়ে যায়। মহান আল্লাপাক যে অবিশ্বাসী মানুষদের মানবেতর জীবে পরিণত করে দেন এটা ধর্মীয় সত্য, কাজেই মানুষ থেকেই বান্দর এসেছে।
এইবারে আর কেউ দারু-ইন আর ডারউইন এর তফাত বোঝানোর চেষ্টা না করায় তালগাছ এর মালিকানা নিয়ে কোনো সমস্যা হয় নাই।

জানা গেছে তার এই থ্রী-ইন-ওয়ান আবিষ্কারের কারনে আগামী ইসলামিক নোবেল "দ্যা ক্যামেল বলস" এওয়ার্ডে তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দীতায় বিজয়ী হবেন বলে "দ্যা ক্যামেল বলস" অথরিটি এক প্রেস নোটিশে জানিয়েছেন।
#30
বাংলার সোনার ছেলে অধ্যাপক গোলাম আজম আজ বিরোধীদের অপপ্রচারের ফলে প্রতিনিয়ত যেখানে সেখানে অপমানিত হচ্ছেন। সোনার বাংলায় মানুষ যাতে নিজের অধিকার নিয়ে শান্তিতে বসবাস ও দিনে দিনে উন্নতি করতে পারে সেজন্য তিনি যে প্রাণপণ প্রচেষ্টা করেছিলেন তার প্রায় সবটাই আজ ভুলে যেতে বসেছে সাধারণ মানুষ। একমাত্র গোলাম আজম এর অতিনিকট কয়েকজন ছাড়া সেসব কথা কেউ জানেও না, এতটাই তিনি নিজের প্রচার অপছন্দ করেন। সেই সুযোগ নিয়েই লাগাতার বিরুদ্ধ প্রচারের ফলে আজ তিনি খলনায়ক। আসুন, আজ দেশের প্রতি তাঁর অবদান কি ছিক তা আপনাদের জানাই। অবিশ্বাসীরা এবং বিরোধী প্রচারে বিভ্রান্ত লোকেরা গালাগালি দিয়ে যাবেই, তাতে কান দিয়ে সত্যকে চেপে রাখার প্রয়োজন দেখি না।

মহামান্য আজম ছিলেন শান্তির উপাসক। ৪৭ সালে স্বাধীনতার সময় যে শান্তির উপাসকেরা শান্তিতে থাকার জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠন করতে বাধ্য হয়েছিল, সেই শান্তির দ্বারা, শান্তির জন্য, শান্ত মানুষের সরকারের তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ সেবক। এছাড়াও তাঁর মধ্যে একাধিক মহান চরিত্রের গুণাবলীর উপযুক্ত মিশ্রন হয়েছিল। যাদের মধ্যে নাম করা যেতে পারে গান্ধীজী ও নেতাজীর। গান্ধীজী ছিলেন চরম ভাবে অহিংশ। তাঁর মতে কেউ যদি এক গালে চড় দেয় তবে অন্য গাল বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। আবার নেতাজী ছিলেন তার উলটো, কেউ এক চড় মারব বললে তিনি দুই চড় মেরে দেবার পক্ষে ছিলেন। এর কোনোটাই পুরোপুরি সঠিক মনে না হওয়ায় গোলাম আজম এই দুই চরম নীতির মধ্যে সুন্দর এক ব্যালান্স এনেছিলেন। তিনি বাঙালীকে বলেছিলেন পাকিরা তোমার এক গালে চড় দিলে অন্য গাল বাড়িয়ে দেবে। আর পাকিদের বলেছিলেন বাঙালী এক চড় দেব বললেই তার গালে দুই চড় দিতে। আফসুস, এমন বিরল প্রতিভাকে বাঙালি কোনোদিনই সম্মান দিল না।

ষড়যন্ত্রকারীদের সফল চেষ্টায় বাংলা ভাষা ও রাষ্ট্রীয় একতা যেদিন পরষ্পরের বিরুদ্ধে হয়ে গেল, সেদিন গোলাম আজম এই দুটির মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমঝোতার জন্য যা করেছিলেন তার চেয়ে বেশি কেউ করতেই পারত না। তিনি একদিকে বাংলা ভাষার দাবীতে লিফলেট বিলি করেছেন, আবার অন্যদিকে পাকিদের কাছে সেজন্য ভুল স্বীকার করে দুঃখপ্রকাশও করেছেন। তিনি চেয়েছিলেন ভাষার ভিত্তিতে যেন দেশের একতায় ফাটল না ধরে। শান্তির মাঝে যেন অশান্তি না হয়। তাই যখন বাঙালী কাঠভুদাইয়ের মতন বলে বসল যে ইংরাজী শিখব তবু উর্দু শিখব না সেদিনও তিনি মাথা গরম করেন নি। তিনি চেষ্টা করেছিলেন বাঙালী যেন উর্দু হরফে বাংলা লেখার অধিকার পায়। সকলে হয়তো জানেন না যে কলকাতায় প্রথম বাংলা বই ছাপা হয়েছিল রোমান হরফে। আজও ফেসবুক এ অনেকেই সেভাবে বাংলা লেখে। কিন্তু সেদিন রাজনীতির শয়তানেরা তাঁর এই সুন্দর প্রস্তাব নর্দমায় ফেলে দিয়ে দেশকে এক অনিবার্য গৃহযুদ্ধের মধ্যে ফেলেছিল। তাতেও তিনি দেশের সেবায় বিন্দুমাত্র গাফিলতি দেখান নি।

গৃহযুদ্ধ যখন শুরু হল তিনি একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিকের মতই দেশের অখন্ডতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন এক ভাষা, এক ধর্ম নিয়ে রাষ্ট্র। কিন্তু বাংলার পক্ষে জনমত বেশি হবার পরেও পাকিস্তানে বাংলা চালু করা সম্ভব নয় বুঝেই তিনি সেই চেষ্টা করেন নি। গান্ধীজী যেমন বলেছিলেন দেশ বিভক্ত হলে তা হবে আমার মৃতদেহের উপর, তিনিও একই কথা বলেছিলেন। গান্ধীজী আজ সারা দুনিয়ায় একজন সম্মানিত দেশপ্রেমিক। এদিকে আমরা গোলাম আজমের বিন্দুমাত্র সম্মান দিই না। অথচ তাঁর মধ্যে শুধু গান্ধীজী নয়, তিতুমীর, ক্ষুদিরাম, ভগত সিং, বাঘা যতীন থেকে শুরু করে সমস্ত সম্মানিত সংগ্রামীর গুণের সমাবেশ ছিল। তাঁরা লড়াই করেছিলেন বিদেশী ফাসাদ সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে, আর গোলাম আজম লড়াই করেছিলেন দেশী ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে। মূল উদ্দেশ্য কিন্তু একই ছিল। ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের নির্মূল করে দেশের উন্নতি করা। শান্তির বিজয় প্রতিষ্ঠা করা।

অবশেষে যখন তাঁর সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বিদেশীর সাহায্য নিয়ে দেশকে ভাগ করে ফেলল তখনো তিনি তাঁর কর্তব্য ভোলেন নি। যে প্রেম তাঁর অখন্ড পাকিস্তানের প্রতি ছিল তা কোনো সরকারের প্রতি ভালবাসা নয়। তা ছিল শান্তির প্রতি তাঁর ভালবাসা। সেই শান্তির সুর আজও তাঁর হৃদয়ে নিয়ে তিনি বাঙালীর উন্নতির জন্য অবিরল চেষ্টা করে চলেছেন। যখনই সুযোগ পেয়েছেন দেশে শান্তি ফেরানোর জন্য সাধ্যের অতিরিক্ত চেষ্টা করেছেন। দুঃখের কথা হল তাঁর শত্রুরা তাঁর সমস্ত ভাল কাজকে খারাপ দেখানোর চেষ্টায় সফল। তাই বিভ্রান্ত জনতা এমনকি তাঁকে জুতোপেটা অবধি করেছে। কিন্তু এর পরেও তিনি বাংলার শান্তি আর উন্নতির চেষ্টা ছেড়ে দেন নি। জানিনা তিনি কোনোদিন সফল হবেন কিনা। তবু তাঁর এই মহান প্রচেষ্টার প্রতি শুভেচ্ছা জানাই। সেই সাথে তাঁর এই প্রচেষ্টায় যাঁরা সাথে আছেন এবং যাঁরা তাঁর সাথে কাজ করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন তাঁদেরও জন্য শুভেচ্ছা আর সম্মান রইল। একদিন জাতি তাঁদের অবদান ঠিকই বুঝতে পারবে। সত্য কোনোদিন কেউ চিরকাল চেপে রাখতে পারে না।

কাদের মোল্লার ফাঁসির আনন্দে গলা অবধি গিলে যে মানবাধিকার বিরোধী কাজ করেছিলাম তাতে আজ পেটের মইদ্যে গজব সৃষ্টি হয়েছে। সেই গজবের ধাক্কায় আজ চক্ষু পরিষ্কার, দিলের মোহর অপনীত। তাই এইবার ছাগুদের জন্য কাঁটালপাতা বিতরন করে যথাসাধ্য আদর্শ মানবতার উদাহরণ রাখলাম।
#31
আবার এক দারুণ ব্যবসার রেসিপি। ১) বিজ্ঞাপন দিন-
"১০০ টি লজেন্স খেয়ে ১ বছর বয়স কমান।"প্রাচীন আরবীয় পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা ছোট্ট-বাবু লজেন্স। বয়স কমানোর অব্যর্থ উপায়। ২) যেকোনো লজেন্স কারখানায় অর্ডার দিয়ে লজেন্স বানান। সেগুলোর মোড়কের গায় যেন ১-২-৩-৪-৫- করে ১০০ অবধি নম্বর দেওয়া থাকে। পর পর খাওয়ার জন্য। রোজ একটি করে খেতে হবে। ৩) প্রথম দিকের লজেন্স গুলো খেতে বেশ ভালো হতে হবে। যতো দিন যাবে ততোই যেন বিশ্রি হয়। ৪) এবারে লজেন্স খাওয়ার তরীকা লিখুন প্রাচীন আরবি ভাষায়। সঙ্গে অনুবাদও দিতে পারেন। তবে খুদে খুদে করে লিখে দেবেন যে অনুবাদের সঠিক হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নাই। ৫) বিফলে মূল্য ফেরত দেওয়ার গ্যারান্টি দিন। =================================== এতে কাজ হয়নি বলে কেউ মূল্য ফেরত চাইলে বলুন ১) আপনি কি গুনে গুনে ১০০ টাই খেয়েছেন? প্রমাণ কি? মানুষ মাত্রেই ভুল করতে পারে। আর একবার ভাল করে খেয়ে দেখুন। নিশ্চয় কাজ হবে। ২) আপনি কি ছহি তরীকা অনুসারে খেয়েছিলেন? সম্ভবতঃ না। ভাল করে মূল ভাষায় তরীকা পড়ুন। বার বার পড়তে থাকুন। ঠিক একদিন আপনার ভুল বুঝতে পারবেন। আশা করি এর পর আর সমস্যা থাকবে না। খদ্দের মন দিয়ে আরবি শিখবে, তারপর তরীকা পড়তে আর বুঝতেই থাকবে। পুরোটা বোঝার আগেই একদিন মারা যাবে।
#32
কোরান হাদিস রঙ্গঃ
ধর্মের বাণী অতিশয় ফানি। দুচোখ খুলে পড়লে ধর্মপুস্তকের মধ্যে এতই সব হাস্যকর কথাবার্তা পাওয়া যায় যে গোপাল ভাঁড়, মোল্লা নাসিরুদ্দীন, তেনালীরামন, বীরবল ইত্যাদিরা সকলেই শিশু মনে হয়। কিন্তু সমস্যা হল এত সব হাসির কথা থাকার পরেও লোকে তা পড়ে হাসতে ভয় পায়। কারণ ঐসব পুস্তকের গোড়াতেই "হাসতে মানা" নোটিশ দেওয়া থাকে। যেরকম রেলগাড়িতে নোটিশ থাকে
বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা অপরাধ

আর তার পরেই স্বর্গীয় আইনের অমুক তমুক ধারা উল্লেখ করে বলে দেওয়া থাকে যে এই আইন অনুসারে হাসার শাস্তি হবে তিম মাস জেল অথবা সাত বার ফাঁসি (অথবা দুইই একত্রে)।

যাঁরা এইসব আইন কানুন মেনে চলতে চান তাঁরা সাবধানে পড়বেন। হেসে ফেললে তার দায়িত্ব একান্তই আপনার।
#33
আপনি কি ধর্মীয় জগতে বিপ্লব করে একজন ধর্মপ্রণেতা হতে চান? তাহলে এই রেসিপি আপনার জন্য। কিন্তু এই রেসিপি সফলভাবে প্রয়োগ করার জন্য আগে হিউম্যন সাইকোলজি নামক একটি মজার বিষয়ে কিছু জ্ঞান লাগবে। আসুন তবে, জ্ঞান দেওয়া শুরু করি।প্রত্যেক মানুষের সাধারণ স্বভাব হল: ১. তারা এখন এখন যে অবস্থায় আছে তার চেয়ে ভাল অবস্থায় থাকতে চায়।
২. তারা শর্টকাট ভালবাসে। কম পরিশ্রমে বেশি ফল পেতে চায়। অন্য কেউ তার কাজ করে দিলে আরো খুশি হয়।

৩. তারা প্রশংসা পছন্দ করে। নিজেকে বুদ্ধিমান মনে করে।
৪. তারা বাড়িয়ে গল্প বলতে ভালোবাসে।
৫. অজানা জিনিষের প্রতি তাদের মনে ভয় এবং কৌতূহল দুইই থাকে। তারা নিজে নিরাপদে থেকে জ্ঞান চায়।
এইবারে আসুন দেখি কিভাবে এই মানবিক ধর্মগুলোকে কাজে লাগিয়ে তাদের কাছে ভাল হবেন: ১. প্রথমেই আপনাকে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে। তবেই তারা আপনার কাছে জড়ো হবে। মনোযোগ আকর্ষণের একটা পথ হল, কোনো প্রচলিত বিশ্বাসের উপরে প্রশ্ন তোলা। যেমন "মূর্তিপূজা করে কী হয়?" ইত্যাদি। বা জ্ঞানগর্ভ কথা, কিম্বা মানুষের উপকার করা এইসব। সাহিত্য, গান, ইত্যাদিও চলবে। দেখবেন, কিছু কিছু করে মানুষ আপনার দিকে মনযোগ দেবে।২. এবারে প্রচার করতে হবে যে, মানুষের বড় দুঃখ। আপনি সেই দুঃখ দূর করার উপায় তালাশ করছেন। যেহেতু সব মানুষই নিজের বর্তমান অবস্থাকে আরো ভাল করতে চায় কাজেই তারা আপনাকে ভালবেসে ফেলবে।৩. কিছু কিছু মানুষ আপনার কাছে আসবে। আপনাকে তাদের দুঃখে গলে যেতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে যে, তারা না জেনে ভুল করে এসেছে বলেই তাদের এত দুঃখ।৪. আপনি যখনই তাদের বলবেন যে, ঈশ্বরকে ভক্তি করে ডাকলে তিনি তাদের দুঃখ দূর করবেন, তখনই কথাটা তাদের দারুণ পছন্দ হবে। (কারণ তারা শর্টকাট ভালবাসে। অন্য কেউ কাজটা করে দিলে খুশি হয়।)৫. চুরি, ঘুষ, মাতলামি ইত্যাদি কাজ, যেগুলো সবাই খারাপ বলে জানে, সেগুলোর ব্যাপক নিন্দা করতে হবে। এতে আপনার খ্যাতি আম পাব্লিকের মধ্যে ছড়াবে। সকলেই আপনাকে একজন সৎ মানুষ বলে জানবে।৬. আপনি তাদের প্রশংসা করলে তারা সহজে আপনার নিন্দা করবে না।৭. তারা যখন আপনাকে পছন্দ করবে তখন অন্যের কাছে বাড়িয়ে গল্প করবেই। (কারণ এতে সে নিজেকে বুদ্ধিমান প্রমাণ করার সুযোগ পাবে) । এতে আপনার প্রচার হবে।৮. এই সময়ে সকলের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে। অন্য ধর্মকে খারাপ বলা চলবে না। বললে ইঁটের জবাবে পাটকেল খাবেন। দ্বিতীয় ধাপ হল যে, তারা আপনার প্রতিটি কথা বিশ্বাস করবে। ১. আপনাকে সোজা কথাকে একটু ঘুরিয়ে বলতে হবে। এমন কথা বলতে হবে যেটা সকলেই জানে। কিন্তু এমন ভাবে বলতে হবে যাতে প্রথমে শুনে নতুন কিছু মনে হয়। এতে লোকে আপনাকে জ্ঞানী ব্যক্তি বলে মনে করবে।২. এই পর্যায়ে আপনার কিছু চামচা দরকার হবে। যারা আপনাকে ঘিরে বসে আপনার পছন্দমত প্রশ্ন করবে। আপনি তার উত্তর দেবেন। তারা জয়দ্ধ্বনি করবে। তারা যে আপনার কথা নির্বিচারে বিশ্বাস করে দারুণ লাভবান হয়েছে এই কথা প্রচার করবে।৩. আপনার সাথে যে ঈশ্বরের যোগাযোগ আছে, সেই কথা এই সময়ে ইশারায় জানাতে হবে। কোনো প্রশ্ন শুনে মাঝে মাঝে চোখ বুঁজে বসে থাকবেন, কিছুক্ষণ পরে চোখ খুলে উত্তর দেবেন। কখনো অজ্ঞান হয়ে যেতে হবে। কখনো বা "প্রভু হে... সকলই তোমারই ইচ্ছা' বলে স্লোগান দিতে হবে।৪. লুকিয়ে কিছু পড়াশুনা করা লাগবে। কিছু লোক লাগিয়ে খবর যোগাড় করতে হবে। পরে আপনার জানা (অন্যের অজানা) কথাগুলো এমন কায়দা (আগেরটা দেখুন) করে বলতে হবে যাতে আম লোকের মনে হয় সেগুলো সোজা ঈশ্বরের কাছে থেকে পেলেন।৫. কিছু ভাড়াটে লোক রাখতে হবে যারা এসে আপনাকে চ্যালেঞ্জ করবে। আগে থেকে শিখিয়ে রাখা অদ্ভুত প্রশ্ন করবে (যেমন বলতে পারে যে, আমার কয়টা পোলা? কিম্বা আমার পকেটে কয় টাকা আছে?) আপনি তার উত্তর দিয়ে সবাইকে চমকে দেবেন।৬. গোটা কয় লোককে কানা খোঁড়া সাজিয়ে নিয়ে আসতে হবে। আপনার বিশেষ চেলা বাহিনী বেছে বেছে তাদের আপনার কাছে আনবে। যাতে কোনো আসল কানা-খোঁড়া না এসে যায়। তার পরেও যদি কেউ এসেই পড়ে তাদের ইমান যে অতি দুর্বল তাতে সন্দেহ করা চলবে না। খুব বেশি ঠেকায় পড়লে অজ্ঞান হয়ে ঈশ্বরের সাথে মিটিং শুরু করে দিন।৭. বড় করে সভা করুন। আপনার ঈশ্বরের মহিমা নিয়ে লেকচার দিন। সব যে আপনার নিজের অভিজ্ঞতা সেই কথা জোর গলায় প্রচার করুন।৮. আপনার অলৌকিক ক্ষমতার কথা বাজারে ছড়াতে হবে। কিছু লোক রাখুন যারা নিজের চোখে এইসব দেখেছে বলে দাবী করবে। বাস্তবে এই ঘটনা ঘটানোর কোনো দরকার নাই। কেবল কয়েকজন সাক্ষী আর ব্যাপক প্রচার চাই। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে, দর্শকদের ঘড়ির সময় বদলে দেওয়ার ম্যাজিকের গল্প অনেকেই বিশ্বাস করেন। কিন্তু বাস্তবে এমন ম্যাজিক কেউ কখনোই দেখান নাই।৯. কোনো ঘটনা ঘটার পরে প্রচার করতে হবে যে আপনি সেই বিষয়ে অভ্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এই অভ্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী প্রমাণ করার জন্য আপনার 'হয়রাণ ভাই' বা 'মাহফুজ ভাই' বা 'ইয়াজিদ সিকান্দার ভাই' এর মত কিছু ভক্ত লাগবে। এছাড়া জনাদশেক সাধারণ চামচা লাগবে যারা তাদের জীবনে আপনার কথা এক্কেবারে মিলে যাবার কথা বলে বেড়াবে।১০. নিজেই ভবিষ্যদ্বাণী  করা শুরু করুন। তার জন্য আগে নস্ট্রাডামুস মশাইয়ের লেখাগুলো পড়তে পারেন। এই বিষয়ে অনেক সাইট আছে।উপরের সব কাজগুলি সঠিক ভাবে করতে পারলে আপনার সম্পর্কে মানুষের ধারণা হবেই যে, আপনি কারো খারাপ চাইতেই পারেন না। আপনি কখনো ভুল বলতেই পারেন না। আপনার সঙ্গে ঈশ্বরের সরাসরি যোগাযোগ আছে বলেও অনেকে মনে করবে।তৃতীয় ধাপ হল কিছু ধর্মীয় বিধান চালু করা: ১. আপনি যা করেন বা বলেন তা সবই ঈশ্বরের নির্দেশে, আপনার কথা শুনে যারা চলে তাদের যে বেহেস্ত নিশ্চিত এই কথা সরাসরি বলে ফেলুন।২. যারা আপনার মতের বিরুদ্ধে যায় তারা যে ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই বেকুবি করে সেটাও বলে ফেলুন। তবে সেটা করার আগে তাদের ক্ষমতার মাপ নিতে হবে। পাটকেল খাবার ভয় থাকলে বলুন যে, তাদের ঈশ্বর আর আপনার ঈশ্বর আসলে একই। কিন্তু তার পরেও ইশারায় জানান যে আপনারটা বেশি সহজ।৩. যেভাবে ছেলেপিলের নাম দেয় সেভাবেই আপনার ঈশ্বরের একটা নাম ঠিক করুন, যেটা ইউনিক হবে (পরম দয়াল, সর্বশক্তিমান ইত্যাদি)।৪. একটি উপাসনা পদ্ধতি বানান। ইউনিক না হলেও চলবে। আপনার অনুগামীদের নেচার বুঝে সেটা বানাতে হবে।৫. আপনার বিধানগুলো যে মানুষের ভালোর জন্য, এগুলো না মানলে যে মহা সর্বনাশ নিশ্চিত, সেই কথা পরিষ্কার করে বলুন। যারা মেনে চলবে তাদের জন্য দারুণ পুরষ্কার এবং বাকিদের জন্য বেদম শাস্তি অপেক্ষা করছে, এই কথাও বলে দিন।আপনার ধর্মীয় বিধানগুলো কেমন হবে? ১. প্রথমেই দিন একটা লম্বা লিস্ট, চুরি, ডাকাতি, খুন, মিথ্যাকথা, নেশা আরো কী কী কাজ খারাপ। আর একটা লিস্ট দিন ভালো কাজের, এতে সততা, পরোপকার, জ্ঞান অর্জন, অন্যকে সম্মান, হিংসা না করা ইত্যাদি ভালো জিনিস দিন। এতে আপনি ভালো লোকেদের দলে পাবেন।২. নারীজাতির অধিকার, সুরক্ষা ইত্যাদি নিয়ে কিছু বুলি ছাড়ুন। এতে ভদ্রলোকেরা এবং মেয়েরা আপনার দলে এসে যাবে।৩. বলুন 'আপনার ধর্মে ধনী-গরিব সমান।' এতে গরিবেরা আপনার দলে এসে যাবে। গরিবদের না হলে যেহেতু ধনীদের চলেনা, তারাও নিজেরাই এসে যাবে।৪. এবারে বলুন যে, সত্যকে রক্ষার জন্য সংগ্রামে রক্ত ঝরাতে ভয় পাওয়া উচিত না। এই বুলি শুনে সংগ্রামী বীরের দল আপনার দলে এসে যাবে।৫. বলুন ক্ষমাই পরম ধর্ম। এতে যারা দায়ে পড়ে অপরাধী তারা আপনার দলে এসে যাবে।৬. বলুন অসাধুর সঙ্গে (মানে যারা আপনার দলে নয়) যুদ্ধ করা ভাল কাজ। এতে লড়াইবাজ লুটেরার দল আপনার দলে এসে যাবে।৭. বলুন আপনার ধর্মে পাপীদের পাপ দূর করে তাদের বেহেস্তে পাঠাবার ব্যবস্থা আছে। এতে দলে দলে বদলোক আপনার দলে এসে যাবে।এইভাবে এমন একটা ধর্ম বানান, যাতে সকলের সুবিধা হয়। দল ভারি হওয়ার পর আপনি সেই দলের মেজাজ বুঝে দেখুন যে, কাদের মন জোগালে আপনার লাভ। যদি দেখেন লড়াইবাজ লোকের দাম বেশি তবে জেহাদ লাগান। যদি মর্দ জোয়ানের দাম মেয়েদের চেয়ে বেশি বোঝেন তবে বৌ পিটানোর বিধান দিন। দুবলারা ঝামেলায় জিততে না পেরে মাথা নামিয়ে মেনে নেবে।কিন্তু যতদিন দল ভারি না করতে পারেন, ততদিন শান্তির বুলি ছাড়া অন্য কিছু মুখে আনবেন না। অবশ্য মুখে শান্তির বুলি সারা জীবনই চালাতে হবে।এইভাবেই আপনি হয়ে যাবেন একটি নতুন ধর্মের প্রবর্তক। যাতে বিজ্ঞানী থেকে অজ্ঞানী সবার জন্য সস্তায় পুষ্টিকর খাদ্যের ব্যবস্থা থাকবে।আপাততঃ এই পর্যন্তই থাক। আশা করি কারো বুঝতে অসুবিধা হলে জানাবেন। তাঁর জন্য আরো ডিটেলে দেওয়া যাবে।
#34
ডাঃ আবুল দিওয়ানা কবে কোথায় জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন সে কথা কেহই মনে রাখে নাই। সেদিন যদি লোকে বুঝিতে পারিত যে তিনি একদিন জগতে বিখ্যাত হইবেন তবে নিশ্চয় তাহা ইতিহাসে কোথাও লিখিয়া রাখা হইত। তবে ডঃ আবুল যে শষ্যক্ষেত্রে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন সেটির বিস্তারিত বিবরণ দলীলে লিখিত আছে। কিভাবে পরমপ্রভূর সৃষ্ট একটি দ্বিপদ জীব মানব রচিত একটি সনদে সম্মতি প্রদান করিয়া সহসা শষ্যক্ষেত্রে পরিণত হইল সে কথা গ্রামের বয়স্ক মানুষ মাত্রেই জানেন।

সবচেয়ে আশ্চর্য্য ব্যাপার হইল এই দ্বিপদ শষ্যক্ষেত্রটিও আবার আরেকটি দ্বিপদ শষ্যক্ষেত্রে উৎপন্ন হইয়াছিল। শষ্যক্ষেত্রে কিভাবে শষ্য জন্মায় তাহা মানব জাতির জ্ঞানের সীমানায় অবস্থিত হইলেও এক শষ্যক্ষেত্রে আরেক শষ্যক্ষেত্র ফলাইবার জ্ঞান এখনও একমাত্র স্বপ্নযোগে আকাশ হইতেই আসিয়া থাকে। বিজ্ঞান এখনো সেই পরিমাণে উন্নত হইতে পারেনাই।

ডঃ আবুল যে শষ্যক্ষেত্রে জন্মাইয়াছিলেন সেটি যখন আরেকটি শষ্যক্ষেত্রে উৎপন্ন হইয়াছিল তখন তাহা শষ্যক্ষেত্র ছিল না। কিন্তু নেহাত মরিয়া না গেলে শুঁয়োপোকার যেমন গুটি হওয়া অবধারিত, তেমনই উহাও একদিন শষক্ষেত্রে পরিণত হইবেক তাহা সকলেই জানিত। সেজন্য উন্নত রেশমের জন্য আমরা যেমন শুঁয়োপোকাকে যধাসাধ্য যত্নে সুন্দর গুটিতে পরিণত হইতে সহায়তা করি, তেমনই উহাকেও সর্বপ্রকার যত্নসহকারে একটি সুন্দর ও উর্বর শষ্যক্ষেত্রে পরিণত করার জন্য সকলেই যথাসাধ্য প্রচেষ্টা করিয়াছিলেন। তাঁহাদের সমবেত প্রচেষ্টার ফলেই যে ডঃ আবুল এর ন্যায় অমৃতফলের সৃষ্টি সম্ভব হইয়াছে সে কথা তাঁহারা জোর গলায় বলিতেও ছাড়েন না।

উক্ত শষ্যক্ষেত্রটি যখন শিশু ছিল তখন বিভিন্ন শষ্যক্ষেত্রে খেলা করিয়া বেড়াইত। অবশ্যই যে শষ্যক্ষত্র কর্ষণের যোগ্য নহে তাহার প্রতি মালিকের তেমন নজর থাকে না। কিন্তু যখনই সেটি চাষযোগ্য হইয়া পড়ে তখনই তাহার মূল্য। অবশ্য আজকাল চহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় জ্ঞানীরা ছয়মাসের শষ্যক্ষত্রেও চাসবাস করা হালাল করিয়াছেন, কিন্তু সেকালে এত বেশি জ্ঞানীর অভাব ছিল। তবে শষ্যক্ষেত্রের চাহিদা এত বেশি না থাকিলেও রেশম অতি মূল্যবান ছিল। তাই শুঁয়োপোকা ও গুটির রক্ষার জন্য সকলেরই চিন্তা ছিল।

যাহা হউক, শষ্যক্ষেত্রটি ধীরে ধীরে ব্যবহারযোগ্য হইয়া উঠিতে আরম্ভ করা মাত্রই বিভিন্ন প্রজাতির জীবের নজর পড়া শুরু হইল। আকাশ হইতে পতিত জ্ঞানভান্ডারে বলা হইয়াছে যে ঈশ্বরের সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টিখানি মক্ষিকা, গরুছাগল চোর ইত্যাদির সমবায়ে গঠিত। তাই যেভাবে খাদ্যে মক্ষিকা বসিলে মক্ষিকাকে বেগন দিয়া মারা অনুচিত, যেভাবে বাগানে গরুছাগল ঢোকা স্বাভাবিক, যেমন ধনী ব্যক্তির গৃহে চোর প্রবেশের অধিকার থাকে তেমনই এইসব নিয়ম দ্বিপদ শষ্যক্ষত্রের জন্যও প্রযোজ্য। তাই গরুছাগলের দোষ না দিয়া শষ্যক্ষেত্র রক্ষার জন্য তাহার চারিদিকে চীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণ করা কর্তব্য। এ বিষয়ে প্রাচীন কাহিনী আছে-

একবার চোরেরা যখন মহামানবের ঊট চুরি করিয়াছিল তখন মহামানব এই নীতি অনুসারে সিদ্ধান্ত করিয়াছিলেন যে সুন্দর ঊট দেখিয়া চোরেদের লোভ হইবার ইচ্ছা স্বাভাবিক। খোলা খাদ্যে তো মক্ষিকা আসিয়া বসিবেই, বৃক্ষে পক্ব ফল ঝুলিতে দেখিলে কে না খাইতে চায়! অতএব মহামানব সেই সকল সুন্দর ঊটেদের চক্ষুতে শলাকা প্রবেশ করিয়া অন্ধ করিয়া দিতে আদেশ করিলেন এবং সেগুলিকে মরুভূমিতে ছাড়িয়া দিলেন। ফলে আর তাহারা মনুষ্যের মনে লোভ জাগাইতে পারিল না।

এইরূপে একদিকে দ্বিপদ শষ্যক্ষেত্রটি উপযুক্ত হইতছিল, সেই সময়ে 'আবুলের বাপ' সেটিকে পছন্দ করিয়া ফেলিলেন। অবশ্য তিনি এইটিকে শষ্যক্ষেত্র হিসাবে পছন্দ করেন নাই। আবুলের বাপ একজন সদবংশীয় তরুণ ছিলেন। ধর্মেকর্মে ও পরোপকারে তাঁহার অতিশয় মতি ছিল। আকাশ হইতে অবতীর্ণ বচনসমূহকে তিনি অতিশয় মান্য করিতেন। তথাপি কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তিনি দ্বিপদ শষ্যক্ষেত্রগুলিকে শষ্যক্ষেত্র বলিয়াই গণ্য করিতেন না। যদি তিনি এরিস্টটল, ল্যামার্ক, ডারুইন, ম্যান্ডেল, ক্রীক, খুরানা ইত্যাদিদের পুস্তক পাঠ করিয়া থাকিতেন তবে হয়ত তাঁহার এই মানসিকতার কারণ বুঝা যাইত কিন্তু তিনি এইসব কুখ্যাতদের নামও জানিতেন না। তবুও তিনি এইসব দ্বিপদ শষ্যক্ষেত্রগুলিকে মনুষ্যপ্রজাতীর অন্তর্গত বলিয়া বিশ্বাস করিতেন। যদিও রেশমকীট যেমন গুটিবেষ্টিত হইবার পর সম্পুর্ণ নূতন হইয়া উড়ন্ত পতঙ্গে পরিণত হয় তেমনই তাঁহার চারিদিকে প্রত্যহই এই দ্বিপদ প্রজাতিটি চীনের প্রাচীরে বেষ্টিত হইয়া শষ্যক্ষেত্রে পরিণত হইত তথাপি এইসকল প্রত্যক্ষ দৃষ্টান্ত ও প্রমাণ দেখার পরেও তাঁহার অদ্ভূত ধারণার কোনো পরিবর্তন হয়নাই। এজন্য সকলেই তাঁহাকে ছিটগ্রস্ত বলিয়া মনে করিত।
#35
ডঃ আবুল দিওয়ানাকে মহারাণী তলব করিয়াছেন। তাঁহার নাকি মারাত্মক সমস্যা। সূর্যোদয়কালেই একেবারে তাঁহার নিজের সুপারফাস্ট গরুর গাড়িখানি লইয়া নিজের খাস বান্দাদিগকে পাঠাইয়াছেন। সঙ্গে তাঁহার স্বহস্তলিখিত সিলমোহর করা পত্র। সর্বোচ্চ গোপনীয় এক সমস্যা সমাধানে তিনি অবিলম্বে ডঃ আবুলের সহায়তা প্রার্থনা করেন।
ডঃ আবুল দেশভক্ত বিজ্ঞানী। তাছাড়া দেরী করিলে মাথাপাগল মহারাণী হয়ত রাষ্ট্রদ্রোহী ভাবিয়া বসিবেন। অতএব তাঁহার আপত্তি করার কোনো পথ ছিল না। গামছা পরা অবস্থাতেই তিনি সুপারফাস্ট গরুগাড়িতে উঠিয়া বসিতে বাধ্য হইলেন। মহারাণীর খাস বান্দারা নিজেদের দেশপ্রেম প্রমাণ করিবার জন্য যথাসাধ্য দ্রুত গাড়ি চালাইয়া দিল। দেশের পথঘাট বড়ই মনোহর, লাঙল দেওয়া ধানক্ষেত অপেক্ষা পথের অবস্থা অনেক গুণে ভাল। তাই সারা পথটুকু তাঁহাকে গামছা সামলাইতে ব্যস্ত থাকিতে হইল। অন্য কিছু ধরার উপায় না থাকায় বার দুই ডিগবাজিও খাইলেন। মহারাণীর প্রতি তাঁহার ভক্তি আরো বাড়িয়া গেল।

রাজমহলে প্রবেশ করার পর অবশ্য তিনি বিশেষ আদর যত্ন পাইলেন। অন্য পোষাক আনিবার মত সময়ের অভাব থাকায় মহারাণী ডঃ আবুলের জন্য রাজপুত্রের আলমারী হইতে ভোটযুদ্ধের সাজসজ্জা আনিয়া দিলেন। যদিও তাহা মাপে মেলেনাই, তবু ভালই মানাইয়াছিল। উহা পরিধান করিয়া ড; আবুল আরো বেশি দেশপ্রেম অনুভব করিলেন। সাজসজ্জায় ন্যাপথালিনের সুগন্ধ পাইয়া তাঁহার মন আরো প্রফুল্ল হইয়া উঠিল।

অতঃপর মহারাণী তাঁহার সমস্যা বর্ণনা করিলেন। সে সমস্যা নিম্নরূপ: মহারাণী একদা একটি খাটাল খুলিয়াছিলেন। সেখানে অতি উন্নত প্রজাতির গরু-ছাগল রাখা হইয়াছিল। উদ্দেশ্য ছিল রাজমহলের জন্য খাঁটি দুধের জোগান অব্যাহত রাখা। একদা একদিন তিনি দুগ্ধপান করিয়া সন্দেহ করিলেন তাহাতে জল মিশ্রিত করা হইয়াছে। তাই তিনি খাটালের প্রধান গোয়ালার উপর নজর রাখার জন্য এক পরিদর্শক নিযুক্ত করিলেন যাহাতে গোয়ালারা দুধে জল দিতে না পারে। তাহাতে কিছুদিন সব ঠিকই ছিল কিন্তু পরে দেখা গেল জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাইয়াছে। ইহা দেখিয়া মহারাণী প্রথম পরিদর্শকের উপর আরেকজন পরিদর্শক নিয়োগ দিলেন। কিন্তু তাহার ফলে জলের ভাগ আরো বৃদ্ধি পাইয়া গেল। আরেকজন মহাপরিদর্শক নিযুক্ত করিলে এই সমস্যার সমাধান হইবে কিনা তাহাই এখন ডঃ আবুলের গবেষণার বিষয়।

সমস্যা শুনিবার পর ডঃ আবুল প্রথমেই গোয়ালার সহিত বাতচিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। ইচ্ছা প্রকাশিত হইবামাত্র মহারাণীর সুপারফাস্ট গরুর গাড়ি তাঁহাকে ছয় ঘন্টার মধ্যে খাটালে হাজির করিল। সেখানের সমস্ত ব্যবস্থা প্রথমে পরিদর্শন ও পরে এক্স রে, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি এবং ম্যাগনেটিক রেজ়োন্যান্স ইমেজ স্ক্যানিং করিয়া আবুল নিশ্চিত হইলেন যে সেখানে কেহই দুধে জল মিশাইতেছে না। অতঃপর আবুল ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন পরিদর্শকের সহিত বাতচিত করিবেন। কিন্তু এজন্য তিনি সুফারফাস্ট গরুর গাড়ি ব্যবহার করিলেন না। আপনার গামছাখানি পরিয়া গোয়ালা সাজিয়া দুধের টাঙ্কি লইয়া পরিদর্শকের নিকট জমা দিলেন। পরিদর্শক মহাশয় সেই টাঙ্কি হইতে কিছু দুগ্ধ বাহির করিয়া লইলেন এবং সমপরিমাণ জলমিশ্রিত করিয়া উপরওয়ালার নিকট পাঠাইয়া দিলেন। উপরওয়ালা পরিদর্শকও টাঙ্কি হইতে কিছু পরিমাণ দুগ্ধ লইলেন এবং সমপরিমাণ জল মিশাইয়া রাজমহলে পাঠাইয়া দিলেন। পরদিন মাহারাণীর খাসমহলে পরিদর্শক মহাশয়ের তলব হইল। পরিদর্শকরা সেখানে পরিষ্কার জানাইলেন যে গোয়ালারা জল মিশাইয়াছে কিনা তাহা টেস্ট করার জন্য তিনি টাঙ্কি হইতে স্যাম্পল লইয়া থাকেন মাত্র। সেই স্যাম্পল তিনি প্রত্যহ টেস্ট করিয়া থাকেন এবং গোয়ালারা জল দেয় না ইহা নিশ্চিতভাবেই জানেন। যে দুগ্ধ তাঁহারা নমুনা হিসাবে সংগ্রহ করেন তাহা পাণ করিয়াই পরীক্ষা করেন। তবে গোয়ালা ছাড়া অন্য কেহ জল দিলে তাহা দেখার কোনো শর্ত তাঁহাদের চাকুরীর মধ্যে ছিল না।
#36
Story / MANASAMAFIA
October 29, 2013, 05:21:41 AM
মনসামাফিয়া কাব্য লেখারই ইচ্ছা ছিল প্রথম দিকে। কিন্তু অনেক ভেবেচিন্তেও মাফিয়া নিয়ে কাব্য লেখার সাহস পেলাম না। পরে যদি কোনোদিন কোনো অলৌকিক উপায়ে সাহস এবং ছন্দ পেয়ে যাই তখন অবশ্যই লিখে ফেলব। যদিও সেদিন পাঠকদের অবস্থার কথা চিন্তা করে আগে থেকেই দুঃখ প্রকাশ করে রাখলাম।
#37
Collection / The spaceship of Ezekiel in Bengali
October 22, 2013, 11:33:18 AM
তখন স্বর্গ খুলিয়া গেল
The spaceship of
Ezekiel
by J. F. Blumrich

Bengali Translation by Ajit Dutta
বাংলা অনুবাদ - অজিত দত্ত

প্রকাশক - লোকায়ত প্রকাশন



#38
BanglaLogic / প্রশ্ন-১
May 21, 2013, 08:11:27 AM
যেখানে একটা নৌকা, গাড়ি, কারখানা নিজে নিজে সৃষ্টি হতে পারেনা। নিজে নিজে চলতেওপারে না সেখানে এত বড় বিশ্ব কিভাবে নিজে সৃষ্টি হতে বা চলতে পারে?

একটা নৌকা, গাড়ি বা কারখানা জাতীয় জটিল সিস্টেম তৈরী হয় অনেকগুলি সরল সিস্টেমকে উপযুক্তভাবে জুড়ে। যেমন কারখানার উদাহরণ দিয়েই বলা যায় যে সেটির মধ্যে বিভিন্ন অংশ আছে যেগুলোর একসাথে মিলে সেই কারখানা হয়। এই অংশগুলি কোনোটাই নিজে তৈরী হয় না, সেগুলো বানানো হয়। যারা সেগুলো বানায় তারা সেইসব অংশের ব্যাপারে জেনেই সেগুলো বানায়। এক কথায় বলতে গেলে যে জিনিসটা বানানো হয় সেটার চেয়ে যে বানায় সে অনেক বেশি জটিল। যেখানে বানানোর বস্তুটা অত্যধিক জটিল হয় সেখানেও সেটাকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করে বানানো হয়। সব সময়েই যে বানায় সে সৃষ্ট বস্তুটার চেয়ে বেশি জটিল হয়। 
মানুষের শরীরের মতন জটিল জিনিসও কিছু কোষ দিয়ে বানানো। সেই কোষ আবার তার চেয়েও সরল অঙ্গানু দিয়ে বানানো। ইলেকট্রণ প্রোটন নিউট্রন ইত্যাদি দিয়ে পরমাণু, পরমাণু দিয়ে পদার্থ। এইভাবে বিশ্ব তৈরী। সব খানেই সরল সিস্টেম জুড়ে জটিল সিস্টেম গড়ে ওঠার ব্যাপার।


এবারে প্রশ্ন হল যে এই সরল সিস্টেমগুলো নিজেই তৈরী হতে পারে, নাকি কেউ সেটা বানিয়ে দিলে তবেই হয়?
এবার একটা সরল উদাহরণ নিয়ে শুরু করা যাক। ধরা যাক মানুষের প্রাচীন আগুন জ্বালার যন্ত্র, যা ছিল পাথরে পাথরে ঘষা দেওয়া। এটি দুই ভাবে তৈরী হতে পারে।
১) মানুষ আকস্মিকভাবে জানতে পেরেছে যে পাথরে পাথরে ঘসে আগুন জ্বলে। পরে সেটা নিজেরা ব্যবহার করেছে।
২) মানুষ আগে জেনেছে যে পাথরে পাথরে ঘষে তাপ সৃষ্টি হয়, আগুন জ্বালতে তাপের প্রয়োজন ইত্যাদি।

প্রথমটা আকস্মিকতা। হাজারবার দেখে মানুষ শিখে যেতেই পারে। কিন্তু দ্বিতীয়টা ঘটার শর্ত হল যিনি পাথরে পাথরে ঘষে আগুন জ্বালার ব্যাপারটা বুঝে সেটা বানাবেন তাঁর মানষিক জটিলতা অবশ্যই সেই যন্ত্রটির তুলনায় বেশি জটিল হবে। তাঁর চেতনা অবশ্যই সেই স্তরের হতে হবে যাতে তিনি এর মেকানিজমটা বোঝেন, সেটা বাস্তবে প্রয়োগ করার ক্ষমতা রাখেন।

বাস্তবেই দেখা যায় একটা মানুষ জন্ম থেকে যন্ত্রের মেকানিজম বোঝার মত জটিল মানসিকতা নিয়ে আসে না। এই ক্ষমতা একটু একটু করে জ্ঞান অর্জন ও তার বিশ্লেষণ করতে করতে তার ব্রেনে তৈরী হয়। সেটা হবার জন্য ছোটো থেকে অল্পে অল্পে অনেক কিছু জানার দরকার পড়ে। আবার সেইসব যন্ত্রের অংশ যিনি তৈরী করেন তাঁর জ্ঞান ও চেতনা আলাদা লাইনের। কিন্তু সামান্য একটা হাতঘড়ি বানাতে গেলে ধাতু পরিশুদ্ধ করে তা থেকে যন্ত্রাংশ বানানো লাগে, তার পর সেগুলো সঠিক ভাবে জুড়ে গোটা জিনিসটা দাঁড় করানো লাগে। এই পুরো সিস্টেমের প্রতিটি অংশ যাঁরা বাস্তবায়ন করেন তাঁরা সেই স্তরের চেতনা অর্জন করেছেন বলেই পারেন। কেউ যদি দাবী করে বসেন যে একটা হাতঘড়ি তৈরীর মতন জটিল চেতনা নিয়ে জন্মেছেন তবে সেটা হাস্যকর।

এই ধাতু বিশুদ্ধ করা থেকে শুরু করে প্রতিটি অংশই আবিষ্কার হয়েছে হয় আকশ্মিকভাবে, অথবা সচেতন গবেষণায়। সচেতন গবেষণার ক্ষেত্রে অবশ্যই আবিষ্কারক সেই স্তরের চেতনা অর্জন করেছিলেন আগের জ্ঞান হজম করে। আজ যদি কেউ একটা হাতঘড়ি বানিয়ে বলে বসে সে এটার পুরোটাই গোড়া থেকেই জানত আর বুঝত তবে সেটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। সহজ কথায়, একটা জটিল সিস্টেম গড়ে ওঠার জন্য সময় লাগে। সেটাকে বুঝে ওঠার জন্যও সময় লাগে।

কেউ যদি এখন দাবী করেন যে ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন, কোয়ার্ক ইত্যাদির মতন কণা কোটি কোটি বছরেও আকশ্মিকভাবে সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তাদের জেনেবুঝে সৃষ্টি করে নির্দিষ্ট সিস্টেমে সাজিয়ে দেবার মতন চেতনা আপনা থেকেই তৈরী হওয়া সম্ভব তবে সেটা আকশ্মিক ভাবে বিশ্বসৃষ্টির চেয়েও অসম্ভব দাবী হয়ে দাঁড়ায়। এমন একটা জটিল চেতনা নিজেই তৈরী হবার চাইতে ইলেকট্রণ প্রোটন নিজেই তৈরী হওয়াটা অনেক বেশি সহজ।


জীব সৃষ্টি ও মানুষ সৃষ্টি

উপরের দাবীর মতই আস্তিকদের দাবী যে শতকোটি বছরেও মৌলিক পদার্থ এমন কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া করতে পারে না যাতে DNA বা RNA এর মতন জটিল অনু আকশ্মিকভাবে তৈরী হতে পারে। তৈরী হবার পরে কোটি কোটি বছরের গড়াপেটার মাধ্যমেও সে থেকে বুদ্ধিমান জীব জন্মাতে পারে বলেও তাঁরা মানতে পারেন না। কিন্তু তাঁরাই আবার দাবী করেন DNA এর মতন জটিল অনু জেনেবুঝে ডিজাইন করা ও বানানোর মতন জটিল চেতনা নিজে থেকেই থাকা সম্ভব। সেই জটিল চেতনার সৃষ্টি করার দরকার হয় না, অতি জটিল জ্ঞান লাভ করতে তাঁর কোনো সময়ও লাগে না।

শতকোটিবছর ধরে এতবড় বিশ্বে প্রতি মূহূর্তে কোনো না কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া চলছে। এর ফলে মৌলিক পদার্থ একটি বিশেষ সজ্জায় সজ্জিত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম হলেও শুন্য নয়। কিন্তু সেই ডিজাইন সজ্ঞানে তৈরী করে ফেলার মতন জটিল চেতনা আপনাআপনি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আরো অনেক অনেক কম। তাই ঈশ্বর বলে কোনো কিছু যদি নিজেই সৃষ্টি হতে পারে তবে মহাবিশ্ব নিজে সৃষ্টি হওয়া অসম্ভব নয়।


কিন্তু আস্তিকেরা দাবী করেন যে একটা পরমাণু কখনোই নিজে তৈরী হতে পারে না, কিন্তু সর্বজ্ঞানী সর্বশক্তিমান ঈশ্বর নিজে নিজেই হয়ে যেতে পারেন। একখানা এককোষী জীব কোটি কোটি বছরেও নিজে সৃষ্টি হতে পারে না, কিন্তু ঈশ্বরের মতন একখানা রেডিমেড সিস্টেম নিজেই গজায়। অথচ বিজ্ঞানের নিতান্ত সাধারণ জ্ঞান দিয়েই এটুকু বোঝা যায় যে ঈশ্বরের মতন ১০০% পারফেক্ট কিছু নিজের থেকে তৈরী হবার চেয়ে ইলেক্ট্রণ, প্রোটণ, পরমাণূ বা এককোষী জীব সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
#39
নাস্তিকদের বেকুবি প্রমাণিত হতে চলেছে এই নূতন আবিষ্কারের ফলে
===================================

জগতে এমন অনেক কিছু আছে যা দেখা যায় নাঅথচ কেউ কেউ সেগুলি দেখেছে বলে দাবী করেযেমন ভূত প্রেত জ্বীন ভগবান, শয়তান ইত্যাদিঅনেকেই এইসব দেখতে পানকিন্তু বেশির ভাগ মানুষ এগুলি দেখতে পায় নাএগুলির ছবিও তোলা যায় নাতাই যাঁরা এগুলি দেখেন নাই তাঁদের মধ্যে এক দল মনে করেন এগুলি একেবারেই নাইঅন্যদলের ধারণা এনারা নিজে থেকে চাইলে তবেই এনাদের দেখা সম্ভবকিন্তু নাস্তিকেরা যে কেবল এইগুলি নাই বলেই থামে তা নয়, যারা এইসব দেখতে পান তাদের পাগল ছাড়া অন্য কিছু বলে মানতেই চায় নাঅবস্থা পালটে গেছে একটি মারাত্মক আবিষ্কারের ফলেএই আবিষ্কার না হলে আমরা কিছুতেই জানতে পারতাম না সেই রহস্য, কেন মাত্র কয়েকজন মানুষের চোখ এইসব জিনিস দেখতে পায়আজ পর্যন্ত আমরা যেসব অলৌকিক জীবের কথা শুনে এসেছি তারা হয়ত আর কিছুদিনের মধ্যেই সকলের চোখে ধরা পড়বেএকটি বিশেষ চশমা পরলেই আমরা সেইসব জিনিস দেখতে পাবো, যেগুলি দেখার সৌভাগ্য এতদিন কেবল কয়েকজন মানুষের হয়েছেসবকিছুর মূলে সেই মহান আবিষ্কারএর সবচেয়ে বড় অবদান হল এর পর আর অলৌকিক বলে কিছু থাকবে নানাস্তিক বলেও আর কিছু থাকবে নাকারণ তারা নিজের চোখেই দেখতে পাবেন ভূত ভগবান সব কিছুই

আবিষ্কারটি হল একটি নতুন ধরনের আলোকরশ্মিযেটি কোটি মানুষের মধ্যে হয়ত এক-দুই জনের চোখে ধরা পড়েএকদা যেমন অতিবেগুনী রশ্মির কথা আমরা জানতাম না সেই রকম এই রশ্মিটিও এতদিন সকলের অজ্ঞাত ছিলএতদিন আমরা যেসব অদৃশ্য জীব ইত্যাদির কথা জানতাম তারা এই রশ্মিটিতেই দেখা যায় বলে জানা গেছেএছাড়া বিভিন্ন অলৌকিক কথায় যেসব রশ্মিনির্মিত দেবতা, বা দেবদূত ইত্যাদির কথা পাওয়া যায় তারাও সম্ভবত এই রশ্মি দ্বারাই নির্মিতযার ফলে কোটিতে দু-এক জন এইসব গায়েবী জিনিসের জ্ঞান পেয়ে এসেছেন, এবং অন্যেরা তাঁদের কথা হেসে উড়িয়ে দিয়েছেএখনকার ক্যামেরাগুলিও এই রশ্মিতে ছবি তুলতে পারে নাতাই ঐসব এর ছবি তোলাও সম্ভব হয়নি

কিন্তু আর দেরি নেইরশ্মিটি যখন আবিষ্কার হয়েই গেছে তখন এর উপযুক্ত ক্যামেরা বানাতে বেশিদিন লাগব নাতারপর আমরা সকলেই দেখতে পাবো তাদের ফটো আর ভিডিওআর চশমা বের হয়ে গেলে ত কথাই নেইভূত থেকে ভগবান, সবই দেখা যাবে নিজের চোখেইঅবশ্য যদি তারা চশমা-পরা লোকের সামনে না আসে তাহলে কিছু করার নেই

আপাততঃ আসুন, আমরা সকলে অতিপেঁয়াজী রশ্মির আবিষ্কার নিয়ে চিন্তা করি
=======================
#40
আবুলের বাপ ও অলৌকিক ব্যাঙ্ক।



বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ও উড়ন্ত ঘোড়ার আবিষ্কারক ডঃ আবুল অন্য সবার মতোই ব্যাঙ্কে টাকাকড়ি রাখেন। আবুলের বাপ ছিলেন নিতান্ত সাধারণ চাষী। পুরোনো আমলের লোক হিসেবে তিনি ব্যাঙ্ক পছন্দ করতেন না। পরে ডঃ আবুল যখন বিশ্বজোড়া নাম-ডাক পেয়ে বছরের দশমাস বিদেশে ঘুরতে লাগলেন তখন তিনিই জোর করে বাপের নামে একাউন্ট খুলিয়ে দিলেন। কিছুদিন পরেই আর কারো কোনো আপত্তি রইল না।

একদিন আবুলের বাপ গেছেন ব্যাঙ্কে টাকা তোলার জন্যে। দরজার সাইনবোর্ড দেখে তিনি বেজায় অবাক হয়ে গেলেন। ব্যাঙ্কের নামের আগে ?অলৌকিক? কথাটা জুড়ে গেছে। (মানে অলৌকিক সুইস ব্যাঙ্ক টাইপের নাম)। চিন্তা করতে করতে তিনি ভিতরে ঢুকলেন। ঢুকেই দেখেন দেয়ালে মোটা করে লেখা আছেঃ-

?টাকা তুলিতে আসা ব্যক্তিরা দাঁড়াইয়া থাকিবেন?

আবুলের বাপের চিন্তা বেজায় বেড়ে গেল। ভাবতে ভাবতে তিনি কাউন্টারের কাছে গিয়ে দেখেন সেখানে লেখা আছে
?টাকা তুলিবার জন্য তাড়া দিবেন না। সঠিক সময়ে পাইবেন।?

তার তলাতেই লেখাঃ
?টাকা গুনিয়া দেখা নিষেধ?

এমন আজব কারবার দেখে আবুলের বাপ প্রায় দিশেহারা হয়ে গেলেন। গ্রামের নিতান্ত সাধারণ মানুষ হয়ে এইসব পরিবর্তনের তিনি কোনো থই করে উঠতে পারলেন না। অবশেষে সাহস করে কাউন্টারে প্রশ্ন করলেন, ?ভাই, এসব কি হয়েছে??
কাউন্টারের ভাই গর্বিতভাবে বললেন ?সব অলৌকিক! আপনি যদি বেশি কিছু জানতে চান তবে ম্যানেজার অথবা মালিকের কাছে প্রশ্ন করুন।?

ম্যানেজার এর কামরায় গিয়ে আবুলের বাপ আরোই অবাক হলেন। ভিতরে যাওয়া মাত্রই ম্যানেজার এক আজব কায়দা করে মাথা নাড়িয়ে তাঁকে স্বাগত জানালেন। বললেন, ?বসুন। বলুন আপনার জন্য কি করতে পারি?

আবুলের বাপ- ?আপনারা এত সব নিয়ম পাল্টালেন কেন? আগের নিয়মে কি সমস্যা ছিল??
ম্যানেজার- দেখুন, আগের চেয়ে এই নিয়ম ভালো। কারণ আগের গুলো মানুষের তৈরী ছিল। এগুলো সব অলৌকিক নিয়ম।?
আবুলের বাপ- ?ব্যাঙ্কেও অলৌকিক নিয়ম??
ম্যানেজার- কেন? আপনি কি অলৌকিক বিশ্বাস করেন না? যদি বিশ্বাস করেন তবে তো এগুলো সেই অলৌকিক থেকেই এসেছে বলে আপনি মানতে বাধ্য।?
আবুলের বাপ- এই নিয়মে চলতে আমার সমস্যা আছে। আমি অন্য ব্যাঙ্ক দেখব।
ম্যানেজার- আপনি এসব কি বলছেন? আমাদের নিয়মে চলে দেখুন। এই নিয়ম আপনাদের ভালর জন্যেই তো করা হয়েছে। আপনি সেটা বুঝার চেষ্টা করছেন না কেন? আপনি এই নিয়ম মেনে চলুন, তবেই না সেটা বুঝবেন।

আবুলের বাপ এই কথা শুনে বেজায় ঘাবড়ে গেলেন। তাঁর স্বাভাবিক বুদ্ধি বলছে যে এইসব নিয়ম কোনোভাবেই অলৌকিক হতেই পারে না। কিন্তু গ্রামের মূর্খ চাষী হয়ে ম্যানেজারের সাথে তর্ক করার ক্ষমতাও তাঁর নেই। কাজেই তাঁকে টাকা তুলতে গেলে অপেক্ষা করতে হবে কখন ব্যাঙ্কের সময় হয়। তারপর সেই টাকা না গুনেই বাড়ি চলে যেতে হবে। এমন বিটকেল ব্যাঙ্কে তাঁর টাকা রাখতেই ইচ্ছা করছিল না। ফলে অগতির গতি হিসাবে তিনি মোবাইল বের করে পুত্র ডঃ আবুলের নম্বর ডায়াল করলেন। এরপর ডঃ আবুল এর সাথে ম্যানেজারের কথাবার্তা চলল।

আবুল- ম্যানেজার স্যার, আপনি ব্যাঙ্কের নিয়ম বদল করলেন বেশ কথা। কিন্তু সেই নিয়মে ভালো চলছে সেটা কিভাবে বুঝলেন?
ম্যানেজার- সার, আমনে আমাত্তে বেশি বুঝেন? আমনে কি ব্যাঙ্কিং লাইনের লোক?
আবুল- না, বেশি বুঝি না। আপনি আমাকে বোঝান ত। টাকা তোলার সময় গুণে নিলে সমস্যা কি?
ম্যানেজার- মালিক বলেছেন যে অলৌকিক ব্যাঙ্কের ভুল হতেই পারে না। তাই টাকা গুনে দেখার দরকার নেই। গুনে দেখলে যদিও বা কোনোভাবে কম হয় তবে সেটা কাস্টমারের গোনার ভুল। তাকে আবার গুনতে হবে, তাতেও না হলে আবার গুনতে হবে। যতক্ষণ না মেলে গুনতেই হবে। তাই আমরা গুনতে মানা করি।
আবুল- আর টাকা নেবার সময়ে আপনারা কি করেন?
ম্যানেজার- দেখুন, মানুষের ভুল হতেই পারে। তাই আমরা গুনে নিই।

আবুল- আচ্ছা, আপনাদের কাছে টাকা তোলার সময় দেরী করান কেন?
ম্যানেজার- দেরী করাই বললে ভুল হবে। আমরা সঠিক সময়েই সব কাজ করি। আপনি নিশ্চয় জানেন যে অলৌকিক ব্যাঙ্ক ভুল করতেই পারে না।

আবুল- আপনাদের ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে কি কি সুবিধা আছে?
ম্যানেজার- আমাদের ব্যাঙ্ক সবার সেরা স্যার। সব রকম সুবিধা পাবেন।
আবুল- তবু দু একটা শুনি। ধরুন হাজার টাকা ডবল হয় কত বছরে?
ম্যানেজার ? সেটা স্যার সঠিক বলা যাবে না। মালিক যেটা ভাল মনে করবেন সেটাই হবে। তবে তিনি যা করবেন তাতে খারাপ কিছু হবে না এটা নিশ্চিত জানবেন। অলৌকিক ব্যাঙ্ক কোনোদিন খারাপ কিছু করতেই পারে না।

আবুল- আচ্ছা এবার শেষ প্রশ্ন। টাকা রাখার পরে কিছুই ফেরত না পাওয়া যেতে পারে কি?
ম্যানেজার- অবশ্যই তেমন সম্ভাবনা আছে স্যার। মালিক যদি মনে করেন তবে কিছুই না দিতেও পারেন।

আবুল- আচ্ছা, আপনার চেয়ে ভালো ব্যাঙ্ক নেই এটা কিভাবে জানলেন? আপনি আর কোনো ব্যাঙ্কে কাজ করেছেন?
ম্যানেজার ? অলৌকিক ব্যাঙ্ক যেকোনো মানুষের ব্যাঙ্কের থেকে ভালো। এতে সন্দেহ করার কিছু থাকতেই পারেনা। কেন অন্য ব্যাঙ্কের সাথে তুলনা করেন?

আবুল- ঠিক আছে। আপনার ব্যাঙ্ক সবার সেরা। কিন্তু আমার পছন্দ নয়। আমরা মানুষের ব্যাঙ্কেই টাকা রাখব। আপনি একাউন্ট ক্লোজ করে দিন।
ম্যানেজার- এটা তো সম্ভব নয় স্যার। কারো একাউন্ট ক্লোজ করলে অলৌকিক ব্যাঙ্কের নিয়ম ভাঙা হবে। এতে বিশ্ব অর্থনীতির সর্বনাশ হয়ে যাবে। এমনটা কিছুতেই সম্ভব নয়।

এইবার আবুলের সেই চেহারা দেখা গেল, যার জন্য আবুলের বাপ তাকে ছেলেবেলায় হারামজাদা ডাকতেন। বাঘা গলায় আবুল বললেন। শোনেন ম্যানেজার! পনের মিনিটের মধ্যে আপনি পুরো টাকা তুলে গুণে দিয়ে হিসাব বন্ধ করুন। না হলে এখান থেকে একটা ফোন করলে আপনার পিঠে যা পড়বে তার হিসেব অলৌকিক খাতায় কুলোবে না। আবুল কি জিনিস সেটা না জানা থাকলে এই সময়ের মধ্যে জেনে নিতে পারেন।

ফোন রেখে ম্যানেজার আরেকটি নম্বর ডায়াল করে সমাচার শোনালেন। আবুল কি জিনিস তা এক মিনিট শূনেই তাঁর মুখ সাদা হয়ে গেল। মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠল। অজ্ঞান হয়ে গদাম করে চেয়ার সমেত উলটে পড়লেন ম্যানেজার। লোকজন দৌড়ে এল। মিনিট পাঁচেকের চেষ্টায় তিনি আবার উঠে চেয়ার দখল করলেন।

চেয়ারে গুছিয়ে বসেই ম্যানেজার বলনেন ?আপনি কি ভেবেছেন আমি অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম? মোটেই না, আমি অলৌকিক মালিকের সাথে কথা কইলাম। তিনি বললেন আপনি একাউন্ট বন্ধ করতে পারেন। এতে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি যা হবে তা উনি সামলে দেবেন। আপনি প্লিজ আপনার ছেলেকে বলে দিন। আর ইয়ে, ভয় পেয়েছি বলে মনে করবেন না।।?

টাকাকড়ি বুঝে নিয়ে আবুলের বাপ বের হয়ে গেলেন। ম্যানেজার তাঁকে দরজা অবধি এগিয়ে দিয়ে কামরায় ফিরে এলেন। সেখানে বসে তাঁর চোখমুখ লাল হয়ে গেল, মাথার চুল খাড়া হয়ে গেল। রাগে গজগজ করে বলতে লাগলেন

ক্র্যাশ হোক আবুলের প্লেন। আর সে আফ্রিকার জঙ্গলে পড়ুক। নরখাদকের হাতে বন্দী হোক। তাদের আগুনে পুড়ে কাবাব হোক। তার হাড্ডি দিয়ে বাঁশি বানানো হোক। তার মুন্ডু নিয়ে জংলীরা ফুটবল খেলুক.........


আস্তে আস্তে তাঁর ভাষা আরো উন্নত হতে থাকল। এদিকে তাঁর স্টেনোগ্রাফার নোট বই বের করে সেসব লিখে নেওয়া শুরু করে দিল।
#41
পাঠ করো সেই পবিত্র পুস্তকের রচয়িতার নামে, যিনি মানুষকে ঘোড়া করেন। ইচ্ছা করলে তিনি গাধাদেরও ঘোড়া করতে পারেন। তিনি হোক বললেই সব হয়ে যায়।


তোমরা যারা সেই মহান মালিক এর অনুগত, তাদের জন্য মালিক প্রয়োজন অনুসারে ঘোড়া থেকে মানুষ এবং মানুষ থেকে ঘোড়া করে থাকেন। তিনিই মুখে লাগাম এবং চোখে ঠুলি পরানোর একমাত্র অধিকারী।


হে মহান মালিকের অনুগত বান্দারা! মালিক যখন তোমাদের জন্য মানুষকে ঘোড়া করেন তখন তার সঙ্গে ঘোড়ার মত ব্যবহার করাই তোমাদের কর্তব্য। মনে রেখো, মালিক যাকে ঘোড়া করেন সে মানুষ হলেও মানুষ নয়।


আর মালিক যদি তোমাদের মধ্য থেকে ঘোড়া তৈরী করেন তবে তোমরাও মানুষের অধিকার দাবী করার চেষ্টা করবে না। মনে রেখো, সাধারণ মানুষ অপেক্ষা মালিকের ঘোড়া অধিক মূল্যবান।


যেসব সাধারণ মানুষ উপযুক্ত সময়ে মালিকের ঘোড়া হবার ইচ্ছা প্রকাশ করে তারাই শ্রেষ্ঠ মানুষ। তাদের জন্য ইহকালে কচি ঘাস এবং পরকালে পুরোনো বোতল নিশ্চিত।


যেসব ঘোড়া মালিক প্রদত্ত লাগাম এবং জীন এর পবিত্রতা রক্ষায় জীবন অতিবাহিত করে তারাই শ্রেষ্ঠ ঘোড়া। তাদের সৌভাগ্যে তাদের সওয়ারও ধন্য হয়।


আর তোমরা মনে রেখো, মালিকের ঘোড়ার কর্তব্য কেবল লাগামের ইশারায় ছুটে চলা। আর সাধারণ মানুষের কর্তব্য হল মালিকের ঘোড়ার জন্য ঘাস কাটা। অসাধারণ মানুষেরাই কেবল ঘোড়ায় সওয়ার হতে পারে।


তোমরা পাঠ করো সেই পবিত্র পুস্তক, যাতে মালিকের ঘোড়ার মহান গুণাবলীর বিবরণ আছে। আর আছে অনুগত ঘোড়াদের জন্য কচি ঘাসের অঙ্গীকার। আর প্রার্থনা করো যাতে জগতের সমস্ত মানুষ ঘোড়া হয়।
#42
ভদ্রলোকের কারবার

অহিংসা পরম ধর্ম
যারা করে অপকর্ম
তাদের কোমল মর্ম
       ব্যথিত না করে
ছেড়ে দিয়ে মাংস আঁশ
শুদ্ধ মনে বারোমাস
বাঘ দাদা খাও ঘাস
       বলে যে পা ধরে।।

সেই জন ভদ্রলোক
চেপে রাখে দুঃখ শোক
ভরে না আগুনে চোখ
      নাক নিলে কেটে
যত হোক মনোকষ্ট
বলে না সে কথা স্পষ্ট
দুষ্টকে বলিতে দুষ্ট
       বুক যায় ফেটে।।

হও সবে ভদ্রলোক
জগৎ সুন্দর হোক
সুস্বপ্ন দেখুক চোখ
       আঁধারে বসিয়া
গান শোনো পড়ো বই
কিনে খাও পচা ঘই
নেপোয় মারুক দই
      প্রত্যহ আসিয়া।।
#43
 
শ্যাওড়া গাছে ভূতের ছানা (একটি ভৌতিক বাউল গীত)

তারে ধরি ধরি মনে করি,
ধরতে গেলে আর পেলেম না
দেখেছি শ্যাওড়া গাছে ঠ্যাং দোলানো ভূতের ছানা।

ক্যামেরা বাগিয়ে হাতে
জেগে আছি নিশুত রাতে
ছবি নেব হাতে হাতে, মিস হবেনা
ছবি তুলি তুলি মনে করি তুলতে গিয়েও আর হলনা
দেখেছি শ্যাওড়া গাছে ঠ্যাং দোলানো ভূতের ছানা
দেখেছি শ্যাওড়া গাছে ঠ্যাং দোলানো ভূতের ছানা।।

তার পানে চেয়ে চেয়ে
গাছে উঠি মই লাগিয়ে
তবু সে ফোকাস হয়ে আর আসেনা
তারে ধরিতে না পারি যদি নোবেল পাওয়া আর হবেনা
দেখেছি শ্যাওড়া গাছে ঠ্যাং দোলানো ভূতের ছানা।
দেখেছি শ্যাওড়া গাছে ঠ্যাং দোলানো ভূতের ছানা।।

পথিক কয় ভাবিস নারে
একদিন যাবিই মরে
মরে যাওয়া আটকাতে তো কেউ পারেনা
সেদিন নোবেল নাহয় নাই বা পেলি ভূতের অভাব আর রবেনা
দেখেছি শ্যাওড়া গাছে ঠ্যাং দোলানো ভূতের ছানা।
দেখেছি শ্যাওড়া গাছে ঠ্যাং দোলানো ভূতের ছানা।

তারে ধরি ধরি, মনে করি,
ধরতে গেলে আর পেলেম না
#44
Poetry / হিরো বন্দনা।
May 10, 2013, 04:38:32 PM
হিরো বন্দনা


প্রাচীন রোমে এক ব্যাদড়া রাজা ছিল
তাহার নাম ছিল নিরো
বেহালা বাজানোয় দখল ছিল বলে
নিজেরে ভাবিত সে হিরো

সাধনা ছাড়া কিছু হয়না অভিনব
এমনি ছিল তার বাণী
বেহালা হাতে নিলে দিতনা আর সাড়া
করিলে শত টানাটানি

যেদিন রাজধানী আগুনে পুড়ে গেল
হাসিয়া বলিল সে কেঁদোনা,
সুরের কাছে খড়ো চালের দাম কিবা
করিতে দাও মোরে সাধনা

==================
==================

স্বপনে দেখিয়াছি আবার সেই হিরো
এসেছে লয়ে তার বাদ্য
নতুন যুগে তার নতুন সুর নিয়ে
যোগাতে সঙ্গীত খাদ্য

রকেরা রোল হয়ে গড়িয়ে ভেগে যায়
শুনিয়া মিউজিক নব্য
সঙ্গে আছে তার নব আবিষ্কার
নূতন নাচ, গান, কাব্য...

সেই মহান দিন একদা আসিবেই
এ চোখে দেখা যাবে তোমাকে
মেকাপে মোড়া হয়ে ঘোড়ার মত নাচ
দেখিব বসে খালি ষ্টমাকে

জ্বলুক খালি পেট, কিম্বা পোড়া মন
থাকুক আরো বহু বেদনা
তোমার প্রয়োজন নাই তা জানিবার
দেখিও তুমি নিজ সাধনা

#45
Poetry / কবিতা
May 06, 2013, 05:21:00 PM
 আমার গামছা যেন সপ্তম স্বর্গের রুমাল
আমার পুরোনো জামা দেবতার বিজয় নিশান
আমার পকেটে ফুটো, যেন দ্বার খোলা আশমান
আমার অশ্রাব্য গালি, তারও মাঝে আছে সুর তাল

পরনিন্দুকের দল নিন্দা করে শ্রান্ত হয়ে যাক
আমার কাব্যের স্রোতে ভরে দেব এভিরিহোয়্যার
কবিতায় ধুয়ে যাবে ঘামে ভেজা আন্ডারওয়্যার
তারই ছন্দের সাথে তাল দেবে তেরে-কেটে-তাক

আমি এক পৃথিবীর কবি, তবু পরিচিত নই
নামে কিবা এসে যায়? কর্মেই সবার পরিচয়
সুকর্মে সুনাম পেতে লাগে যদি অধিক সময়
গালি দিয়ে অধিকার কেড়ে নিতে কভু ভীত নই
#46
 
রঙ্গিলা রসুল (The playboy prophet)
লেখক ? পন্ডিত চমুপতি
প্রকাশক শহীদ-এ আজম মহাশয় রাজপাল, লাহোর

বিতরক- মহম্মদ রফী, সবজী মন্ডী, দিল্লী



উৎসর্গঃ-
সেই মহান যোদ্ধা, সাহসী, বিদ্বান কে এই কীর্তি সমর্পন করা হইল যিনি এই সংসারের নিকট ?হজরত মহম্মদ সাহেব? এর জীবন চরিত্র প্রকাশ করিয়া সঠিক দিগদর্শন করাইয়াছেন এবং তাহার ফলস্বরূপ ছোরার আঘাতে শহীদ হইয়াছেন। এই পুণ্যাত্মার প্রতি আমার অন্তিম প্রণাম।

              পন্ডিত চমূপতি (লেখক)









ইতিহাসঃ


পন্ডিত চমূপতি ছদ্মনামে এক আর্যসমাজী এই 'রঙ্গীলা রসুল' গ্রন্থটি রচণা করেন। লাহোরের রাজপাল প্রকাশনী হইতে এটি প্রকাশিত হয়। এজন্য মুসলিম সমাজের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকাশক শহীদ আজম রাজপালকে আদালতে উঠানো হইয়াছিল, কিন্তু কোনো অবস্থাতেই তিনি এই গ্রন্থের রচয়িতার পরিচয় প্রকাশ করেন নাই। পাঁচ বৎসর মামলা চলিবার পর প্রকাশক আজম সাহেব এই মামলা হইতে মুক্তিলাভ করেন। এই সময়ের মধ্যে তাঁহার উপর বহুবার প্রাণঘাতী আক্রমণ ঘটিয়াছিল। অবশেষে ১৯২৯ সালের ৬ এপ্রিল ইল্ম-উদ-দীন নামক এক জিহাদী তরুণ আজম সাহেবকে ছোরার আঘাতে হত্যা করিতে সক্ষম হয়। এই মহান কীর্তি সম্পাদন করার ফলে ইলম-উদ-দীন এর ফাঁসি হইয়াছিল।

নিজের জীবন বার বার বিপন্ন করিয়াও প্রকাশক আজম সাহেব যেভাবে গ্রন্থকারকে রক্ষা করিয়াছিলেন সেজন্য লেখক 'পন্ডিত চমূপতি' আজম সাহেবের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিয়াছেন।
#47
Story / আল্লার বাপ।
May 03, 2013, 06:37:10 PM
 
আল্লার বাপ।
        উড়ন্ত ঘোড়ার আবিষ্কারক ডঃ আবুল দিওয়ানার বাপের একটা নাম ছিল বটে। কিন্তু আবুল মহাশয় যেইদিন বিশ্ববিখ্যাত হইলেন সেদিনের পরে তিনি আবুলের বাপ নামেই সর্বত্র পরিচিত। এর আগেও অবশ্য অনেকে তাঁহাকে এই নামে ডাকিতেন। কিন্তু তাহাতে তাঁহার মনে সুখ ছিল না। কারণ তিনি নিজে সুপুত্র আবুলকে হারামজাদা বলিয়া ডাকিতেন।

যাহাই হউক সবে বরাত এর পবিত্র রজনীতে আবুলের বাপের সহসা মনে হইল আল্লা তাঁহার গদিচেয়ারে তাকিয়া ঠেসান দিয়া বসিয়া আছেন। অবশ্যই তিনি উহা চক্ষে দেখেন নাই। কিন্তু তিনি একজন বিশ্বাসী, গায়েবে তাঁহার অবিশ্বাস নাই। অতিশয় সংবেদনশীল অনুভূতির দ্বারা তিনি সহজেই বুঝিলেন যে সেই তাকিয়া ঠেসান দেওয়া ব্যক্তিটি স্বয়ং আল্লাহ।
অনেকে হয়ত মনে করিবেন যে আল্লার আর কাজকাম নাই! তিনি আবুলের বাপের কাছে আসিয়া বসিবেন। এক সাল আগে হইলে আবুলের বাপও এমন কথায় বিশ্বাস করিতেন না। কিন্তু এখন তিনি বিশ্ববিখ্যাত আবুলের বাপ। তাই এমন লোকের কাছে আল্লা আসিতেই পারেন।

যাহা হউক আবুলের বাপ বিশ্বাসী মানুষ হইলেও তিনি বিজ্ঞানী আবুলের বাপও বটেন। তাই আল্লার আগমণের কথা বলিলে যে অনেকে প্রমাণ চাহিবে তাহা তিনি পুত্রের কারবার দেখিয়া ভালই জানিতেন। কিন্তু বৈজ্ঞানিক প্রমাণ কেমনে সংগ্রহ করে তাহা তিনি ভাল জানিতেন না। তাই তিনি সোজা পুত্রকে ফোন দিলেন।

ডঃ আবুল তখন বসিয়া ঠাকুরমার ঝুলির রূপকথা পড়িতেছিলেন। পড়িতে পড়িতে চিন্তা করিতেছিলেন ঘুমন্তপুরীর রাজকন্যাকে কোথায় গেলে আবিষ্কার করা যায়। এমন সময়ে বাপের ফোন আসিল।

বাপ- ব্যাটা আবুল, কোথায় আছি রে এখন? তোর কাছে বুদ্ধি চাই।
আবুল সমস্ত শুনিয়া তখনি অন্য ফোনে হেলিকপ্টার অর্ডার করিয়া আনাইলেন। একদল বিশেষজ্ঞ সমেত হেলিকপ্টারে চলিতে চলিতে বাপকে কহিলেন
আবুল- উনি চেয়ারে বসে আছেন তো। তা ওনাকে কি খোঁচা দেওয়া যায়?
আবুলের বাপ- না বেটা! হাত নাড়িয়ে দেখলাম, হাওয়ার মতনই লাগে।
আবুল- ছবি তোলা যায়?
আবুলের বাপ- না বেটা, মোবাইলে তুলে দেখলাম। কেবল চেয়ার দেখা যায়।
আবুল- উনি বসার ফলে কি চেয়ারের ওজন বেড়েছে?
আবুলের বাপ- নাঃ চেয়ারটা তুলে দেখলাম। একেবারে যেমন ছিল তেমনই।

আবুল- তার মানে ওনার শরীর কোনো বস্তু দিয়ে তৈরী নয়। আচ্ছা উনি কি নিঃশ্বাস ফেলেন?
আবুলের বাপ- মোটেই না। নাকের কাছে হাত দিয়েও কোনো বাতাস লাগে না।

এইসব আলোচনা করিতে করিতেই ডঃ আবুলের হেলিকপ্টার বাড়ি আসিয়া নামিল। সকলে সেই চেয়ারের কাছে আসিয়া পরীক্ষা শুরু করিলেন।

প্রথমেই ইনফ্রারেড হইতে এক্সরে পর্যন্ত ক্যামেরা দিয়া দেখা হইল। কোনোভাবেই কিছু দেখা গেল না।

চেয়ারটিকে অতি উন্নত যন্ত্রে ওজন করিয়া দেখা হইল। লোকটির কোনো ওজন পাওয়া গেল না।

এবারে চেয়ারটিকে পলিথিনের চাদরে ঢাকিয়া দিয়া ভিতরে বায়ু পরিমাপ যন্ত্র লাগানো হইল। তাহাতে বাতাসের কোনো পরিবর্তন দেখা গেল না। অর্থাৎ শ্বাসক্রিয়াও নাই।


চেয়ারের লোকটি যে অতিশয় অলৌকিক তাহা নিশ্চিত হইবার পরে তাহাকে প্রশ্ন করা শুরু হইল। অবশ্য অন্য কেহ তাহা পারেন নাই। আবুলের বাপই একমাত্র উহাকে অনুভব করিতে পারিতেছিলেন। তাই তিনিই দোভাষীর কাজ করিলেন।


প্রশ্ন- আপনি কে মহাশয়? আপনি কি আল্লার ফেরেস্তা? নাকি আল্লা স্বয়ং?
ব্যক্তি- আমি হলাম আল্লার বাপ।
প্রশ্ন- তা কিভাবে সম্ভব? আল্লার বাপ থাকে কিভাবে?
আল্লার বাপ- যেভাবে তোমাদের বাপ থাকে সেইভাবে আল্লারও বাপ থাকে। তোমরা কিভাবে জানলে যে আল্লার বাপ থাকতে পারে না?
প্রশ্ন- আল্লা তো নিজেই বলেছেন তেনার কোনো বাপ নাই। তাইলে আপনি কোথা থেকে এলেন?
আল্লার বাপ- আচ্ছা! তুমি কি আল্লাকে দেখেছ? তিনি যে তোমাকে সৃষ্টি করেছেন সেটা তুমি জানলে কিভাবে?
আবুল- সেটা তো আল্লাই বলেছেন যে তিনিই সব সৃষ্টি করেছেন আল্লার বাপ- তাইলে দেখলে তো। যে বানিয়েছে সেইই বলতে পারে। তোমাকে যে আল্লায় বানিয়েছে সেটা তোমার জানার কথা না। সেটা আল্লায় জানে। তেমনি আমি আল্লাকে বানিয়েছি সেটা আল্লার জানার কথা না, সেটা আমি জানি। ভগবান, গড, আল্লা তিনটাকেই আমি বানিয়েছি। কিন্তু তারা এতটাই বেয়াড়া নাস্তিক হয়ে গেছে যে যেখানে সেখানে বলে বেড়ায় যে তারা নিজে নিজেই হয়েছে। ঠিক তোমাদের পৃথিবীর নাস্তিকগুলার মতন।
#48
 
ঘোড়াগুলি মানুষ হোক। (দ্বিতীয় পর্ব)
যে 'মালিক' ঘোড়াদের মানুষ করেন তাঁর লিখিত গাইড-বুক থেকে


শুরুকরছি সেই মহান মালিক এর নামে, যিনি ঘোড়াদের মানুষ করেন। তিনি এছাড়াও মানুষ করেন গরু, ছাগল, ভেড়া, কুকুর ইত্যাদিদেরও। তিনি যাকে চান তাকেই মানুষ করতেসক্ষম।

মালিক তাঁহার ঘোড়াদের মানুষ করার যে আদর্শ বিধান অনুসরণ করিয়াছেন তাহাই শ্রেষ্ঠপথ। যারা বিশ্বাস করে না তারা নিশ্চয় আরশোলা বা উইপোকা। তারা কখনো বিশ্বাস করবেও না।

ঘোড়াদের উচিত নয় এইসব নোংরা পোকাদের বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করা। ওরা সন্দেহ ও ফাসাদ সৃষ্টিকারী। তাদের জন্য মালিক নিশ্চয় এনেছেন ডিডিটি বা কার্বলিক এর মতন শাস্তি। তোমরা কি তার গন্ধ পাও না?

এই সেই কিতাব যাতে কোনো সন্দেহ নেই, যা ঘোড়াদের মানুষ করার পরিপূর্ণ বিধান দেয়। তার সাথে অন্য সব বিশ্বাসী প্রাণিদেরও জীবন সুন্দর করে। নিশ্চয় মালিক বুদ্ধিমান ও সত্যবাদী।

মানুষ বেশির ভাগ সময়েই ত্রুটিমুক্ত। কিন্তু ঘোড়ারা কেউ ত্রুটিহীন নয়। মালিক এর আস্তাবলের সেই দুটি ঘোড়া ছাড়া, যারা প্রথম মালিকের দেওয়া লাগাম পরেছিল।

তাই তোমরা ও ঘোড়াদের মধ্যে তোমাদের সিদ্ধান্তই অধিক মূল্যবান। কারণ মালিক তোমাদের একে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছেন। নিশ্চয় তিনি সব কিছু জানেন।

তোমরা তোমাদের ঘোড়াদের বাইরে নিয়ে যাবার সময় শরীরের সাজ ও মুখের লাগাম ব্যবহার করবে। এছাড়া যদি রাস্তায় চোরের উপদ্রপের আশঙ্কা কর তবে ঘোড়াকে বস্তায় পুরে চার পা শুধু বের করে দিও।

তোমরা নিজের আস্তাবলে চারটির বেশি ঘোড়া রাখবে না। তবে এর বাইরে আলাদা করে উঠোনে বা গোয়ালে যতো খুশি ঘোড়া রাখতে পারো। তোমার দক্ষিন হস্ত যাদের অধিকারী তারা তোমার জন্য হালাল।

তারাই উতম ঘোড়া যারা মালিকের নির্দেশ নির্ভূল মেনে চলে। এমনকি মালিক সামনে থাকুক বা না থাকুক তারা মালিকের পরানো লাগামের উপর বিরক্তি প্রদর্শন করে না। এরাই মানুষ হবার যোগ্য।

সেই ঘোড়াই আদর্শ ঘোড়া, যে তার মালিকের আহবানে দৌড়ে আসে, এমনকি চুল্লির ভিতর থেকে হলেও। মালিক পর্বত উত্তোলন করতে বললেও সে বিনা প্রশ্নে সেই কাজে প্রবৃত্ত হবে। এরাই মানুষ হবার যোগ্য।

ঘোড়ারা তোমাদের আস্তাবলে থাকে, তোমাদের খায় পরে ও তোমাদেরই বুদ্ধিতে নিরাপদে থেকে মানুষ হয়। যেসব ঘোড়া এই সত্য স্বীকার করে তোমাদের অনুগত থাকে তারাই ঈমানদার ঘোড়া। তারাই মানুষ হবার উপযুক্ত।

ঘোড়াদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের প্রথমে উপদেশ দাও, পরে আস্তাবলের বাইরে বেঁধে রাখো। তারপর তাদের প্রহার করো। এতে যদি তারা শুধরে যায় তবে আর কিছু করতে যেয়ো না।

ঘোড়াদের প্রহার কেন করা হয়েছে তা ঘোড়া ও মালিক এর ব্যক্তিগত গোপন ব্যাপার। পাব্লিকের কাছে তার কারণ দেখাতে তোমরা বাধ্য নও। কোনো মালিক কে প্রশ্ন করা হবে না সে কেন তার ঘোড়াকে পিটিয়েছিল।

তবুও ভদ্রলোক সাজতে চাইলে ঘোড়াদের প্রহার করার কথা গোপন রাখার নির্দেশ দিতে পারো। উত্তম ঘোড়া অবশ্যই মালিক যা হেফাজত করতে বলেছেন তার হেফাজত করবে। মালিক এর সামনে বা অবর্তমানে। এর অবাধ্য হলে তাদের আবার প্রহার করতে পারো।

প্রহার করার সময় শরীরের দৃশ্যমান অংশ (মানে আঙুলের ডগা, বা নাকের ডগা) বাদ দিয়ে আঘাত করবে। আর দেখবে যেন হাত পা ভেঙে না যায়। কারণ ল্যাংড়া ঘোড়া কোনো কাজে লাগে না আর তা থেকে পূর্ণ মানুষও করা যায় না।

যদি এর পরেও কোনো ঘোড়াকে মানুষ করতে না পারো তবে তা ঘোড়ারই দোষ, এই কিতাব এর নয়। সব ঘোড়া মানুষ হয় না। তাই তেমন ঘোড়াকে তিনবার ?দূর হ! দূর হ! দূর হ! বলে দূর করে দিয়ে অন্য ঘোড়া নিয়ে এসো।
#49
ঘোড়াগুলি মানুষ হোক

একজনমানুষ একদিন জঙ্গলে বেড়াতে বেড়াতে দেখতে পেল একটা জংলী ঘোড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। লোকটার ইচ্ছে হল ঘোড়াটাকে ধরে বাড়িতে পুষবে। কিন্তু সমস্যা হল জংলী ঘোড়া ধরার মতন কিছুই তার ছিল না। তাই বুদ্ধি দিয়েই সে কাজ শুরু করল।

মানুষঃ- কিরে ঘোড়া? কি করছিস?
ঘোড়াঃ- দেখতে পাস না? খাবার খুঁজে বেড়াচ্ছি।... তুই আবার কে রে?
মানুষঃ- আমি হলাম গিয়ে মানুষ। তুই আমাকে নিজের মতন ভাবিস নাকি? সম্মান দিয়ে কথা বলতে শেখ।
ঘোড়াঃ-- কেন রে? তুই আমার চাইতে কি এমন বিরাট কিছু যে সম্মান দিতে হবে?
মানুষঃ-আমি কি তা দেখতে চাস? দ্যাখ তাহলে। তুই খাবার খুঁজে বেড়াস কিন্তু আমার খাবার আমার সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়। (পকেট থেকে বিস্কুট বের করে খাওয়া শুরু করে।)
ঘোড়াঃ- (মনে মনে) বাপ্রে বাপ! খাবার এর সাথে সাথে চলে? মানুষ হওয়ার তো বেশ মজা? (জোরে) তা দাদা, মানুষ হলে আর কি হয়?
মানুষঃ-কত কি সুবিধে। খাবার খুঁজে বেড়াতে হয় না। থালা বাটিতে খাওয়া যায়। পাকাবাড়িতে আরামে ঘুমানো যায়। বাঘ সিংহ এসে ধরবে বলে এক চোখে তাকিয়ে থাকালাগেনা। জামা পরতে পাওয়া যায়, তাতে শীত করেনা, মশাও লাগেনা। পায়ে জুতা পরা যায়, তাতে ধুলোকাদা লাগেনা। তুই যদি একবার মানুষ হয়ে যাস তো আর অন্য কিছু হতেই চাইবি না।
ঘোড়াঃ- আমি মানুষ হতে পারব?
মানুষঃ- না পারার কি আছে? এই তো গত বছর একটা কুকুর নিয়ে রাখলাম বাড়িতে। সে তো এখন থালায় খায়, বিছানায় ঘুমায়। তুই চাইলে তোকেও নিয়ে যেতে পারি। জগতের ভালো করাই তো মানুষের কাজ।
ঘোড়াঃ- আমি তাহলে মানুষ হবো। কি করতে হবে?
মানুষঃ-পরিশ্রম করতে হবে, আর আমার সব কথা শুনে চলতে হবে। সহজ কাজ নয় কিন্তু। মানুষের চলতে শিখতেই এক বছর লাগে। তুই যে জন্মের পরেই দৌড় দিয়েছিলি তেমনসোজা না।
ঘোড়াঃ- ঠিকাচে, সব করব। আমি মানুষ হতে চাই।


দ্বিতীয় দৃশ্যঃ- মানুষের বাড়ির রাস্তায় পরের দিন।

ঘোড়াঃ- তুমি আমার পিঠে চড়বে কেন?
মানুষঃ-দূর বোকা! আমার সঙ্গে যত ঘসাঘসি করবি ততই তোর ভাল হবে রে। দেখিস না, আমার কুকুরটা আমার কোলে ওঠে। তাছাড়া তুই জানিস না যে মানুষেরা তাদের বাচ্চাদের কোলেপিঠে করেই মানুষ করে। দাঁড়া তোকে তার ছবি দেখাই। কিন্তু তুই কিআমার পিঠে চড়তে পারবি? পারিস যদি তো দেখ।
মানুষ ঘোড়াকে বেশ কিছু ছবি দেখিয়ে প্রমাণ করে দেয় যে মানুষ হতে গেলে কিভাবে কোলে পিঠে জড়াজড়ি করতে হয়। খাড়া দাঁড়ানো মানুষের পিঠে যে চড়া যাবেনা বুঝে ঘোড়াই শেষে মানুষকে পিঠে নেয়। মানুষ হবার শিক্ষা শুরু হয়ে যায়।
মানুষঃ- তুই কিন্তু আমার উপর বিশ্বাস রাখছিস না। সব কিছুতে সন্দেহ করলে তোর মানুষ হওয়া যাবেনা। মানুষ যদি বা হয়েও যাস তো বাজে মানুষ হবি।
ঘোড়াঃ- না না, আর আমি সন্দেহ করব না। প্রথম বার ভুল হয়ে গেছে।

তৃতীয় দৃশ্যঃ- মানুষের আস্তাবলের সামনে।

ঘোড়াঃ- আমার পিঠে এসব কি দিলে? আবার বাঁধাবাঁধি করছ কেন?
মানুষঃ- ওরে বোকারাম, একে জিন বলে। মানুষ হতে গেলে খালি গায়ে রাস্তায় বেরুতে নেই। আমাকে দেখিস কখনো খালি গায় যেতে?
ঘোড়াঃ- অ, বুঝলাম। কিন্তু পায়ে কি সব ঠুকছ আবার?
মানুষঃ-নাল পরাতে হবেনা? দ্যাখ আমার জুতা। খালিপায় চলে কি রকম মানুষ হবি? তোকে যতই মানুষ করতে চাইছি তুই ততই ফালতু প্রশ্ন করছিস। মানুষ হতে গেলে মন সাফ রাখতে হবে রে বোকা। গুরুকে বিশ্বাস করতে হবে।
মানুষ এবার ঘোড়াকে লাগাম পরায়। ঘোড়া আর কিছু বলতে ভরসা পায় না। মানুষ তার পিঠে চড়ে বসে।
মানুষঃ-এইটা কেন দিলাম জানিস? তোর মুখ বন্ধ রাখার জন্যে। কেবল বাজে প্রশ্ন করছিস।চল এবার দৌড় শুরু কর। তুই হয়ত আবার বলবি যে দৌড়াতে হবে কেন? দৌড়ে লাভ কি? এই যে আমি সকাল বেলায় রোজ ওঠবোস করি, তাতে কি লাভ হয় তুই বুঝবি? দুপুরে যে রোজ সাঁতার কেটে পুকুরের এপার থেকে ওপার যাই আর আসি তাতে কি লাভ হয় তুই কিছু বুঝবি? তুই বুঝতে না পারলেও লাভ হয়। একে এক্সারসাইজ বলে। মানুষ হতে গেলে এসব দরকার। বুঝলি কিছু?
ঘোড়া জলের মতন বুঝে যায়। বাধা মুখে হুহুহুহুহুহু করে।

মানুষঃ-তোর স্বভাব খুব খারাপ। তুই নির্ঘাত জিজ্ঞেস করবি কতক্ষণ দৌড়াতে হবে? সেটা এখন তুই নিজে ঠিক করতে পারবি না। আমি যেমন বলব তেমন দৌড়াবি। যখন বোঝার মতন জ্ঞান হবে তখন নিজেই ঠিক করবি। আর শোন, মাঝে মাঝে তোকে আমি চাবুক মারব। মানুষ হতে গেলে এটা লাগে। আমাকে মানুষ করার সময় আমার গুরুও মারত। মাথায় ঢুকেছে ???
ঘোড়া দৌড়াতে দৌড়াতে বাঁধা মুখে হুঁহুঁহুঁ করে।



শেষ দৃশ্যঃ-
অনেক বছর কেটে গেছে। ঘোড়ার একটা বৌ জোগাড় হয়েছে। তাকেও একই পদ্ধতিতে শিক্ষা দিয়ে প্রায় মানুষ করে ফেলা গেছে। দুজনে মিলে এখন একটা গাড়ি চালায়। তাদের কয়েকটা ছানাপোনাও হয়েছে।

মানুষ হবার পথেও তারা অনেক দূর এগিয়েছে। তারা এখন খালিগায়ে থাকেনা। চলার সময় মাটিতে পা ঠেকে না। তাদের খাবার মুখের সামনে এসে যায়। পাকা বাড়িতে তারা বাস করে। রাত্রে বাঘ সিংহ ইত্যাদির ভয় থাকেনা। জঙ্গলে মানুষ যা যা কথা দিয়েছিল তার কোনোটাই মিথ্যা হয়নি। তার উপর তারা এখন গাড়ি চালানো শিখছে। তাদের ছানাপোনারাও মানুষ হওয়ার সাধনায় বেদম পরিশ্রম শুরু করেছে। ছানারা শুনেছে জঙ্গল বলে একটা যায়গা আছে, যেখানে কেউ খাবার এনে দেয় না। বরং বাঘ এসে খেয়ে ফেলতে পারে। "মালিক" তাদের পূর্বজদের নিরাপদে রাখার জন্যই জঙ্গল থেকে বের করে এনেছেন। তারা কোনোদিন জঙ্গল দেখেনি, দেখার কোনো ইচ্ছেও নেই। মালিক বলেছেন জঙ্গল খুব খারাপ জায়গা। কেউ যদি "মালিক" এর উপর বিশ্বাস না রাখে, তাঁর কথামত মানুষ হবার চেষ্টা না করে তবে তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসা হবে। ছানারা শুনে ভয় পায়। তারা প্রতিজ্ঞা করেছে যতদিন না "মানুষ হতে পারছে ততদিন চেষ্টা চালিয়েই যাবে। তাই মানুষ হবার জন্য বাপ-মায়ের চেয়ে তারা অনেক বেশি পরিশ্রম করে। ছেলেবেলা থেকেশিক্ষা পেয়ে তারা বাপ মায়ের চেয়েও বড় মাপের মানুষ হবে বলেই সবার ধারণা।

কেবল একটা দুঃখ এখনো বাকি। কোন রাস্তায় কখন কতদূর চলতে হবে সেইটা তারা এখনো বুঝে উঠতে পারেনি। তাদের বাপ-মায়েরও সে বিদ্যা এখনো হয়নাই। আসুন সকলে প্রার্থনা করি তারা যেন "মালিক" এর উপর বিশ্বাস না হারায়। তারা সবাই মানুষ হোক।
#50
 
একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান।
সুরা আল মুরগী-
(সুরা আল বাকারা অর্থাৎ বাছুর যদি থাকে তবে মুরগীরা কি এমন দোষ করেছে? মুরগী বলে কি তারা মানুষ না?)

==============================
1. হে বুদ্ধিমান মুরগীগণ, তোমাদের প্রভুর নামে শ্রবণ করো। তিনি তোমাদের কল্যাণের নিমিত্ত এই সর্বোত্তম জীবন বিধান প্রদান করিতেছেন। তোমরা তোমাদের প্রভূ ও তাঁহার বার্তাবাহক উভয়কে সম্মান প্রদর্শন করিয়া মনযোগ সহকারে উহা পালন করিবে।

2. তোমরা কেবল তোমাদের মালিকের কাছে কৃতজ্ঞ থাক যিনি তোমাদের নির্জীব আন্ডা হইতে ?ইনকিউবেটর? যন্ত্রের দ্বারা নির্মাণ করিয়াছেন। তোমাদের এই জীবন তাঁহার জন্য ত্যাগ করিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকিও। ইহাতে কোন প্রকার সন্দেহ রাখিও না।

3. তোমরা তোমাদের প্রভুর শরণাগত হইয়া নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত রূপে প্রমাণ করিও। যাহারা তাহাদের প্রভুকে অস্বীকার করিয়া স্বাধীনতার নামে জংলীপনা করিয়া থাকে তাহাদের সঙ্গ তোমরা বর্জন করিবে। ইহাতেই তোমাদের মঙ্গল।

4. আর তোমরা দেখ, এই বিশাল খামার ও তাহার অন্তর্গত সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর বস্তু  তোমাদের প্রভু সৃষ্টি করিয়া তোমাদের সেবায় নিযুক্ত করিয়াছেন। উর্দি ও লাঠিধারী যে সকল দূতেরা রাত্রিকালে রশ্মিযুক্ত হইয়া ঘুরিয়া বেড়ায় তাহারাও তোমাদের সেবাতেই নিযুক্ত। তাহাদের সঙ্গী দন্তকেলায়িত কুক্কুরগণও তোমাদের জন্যই। তোমরা তাহাদের জন্য নও।

5. তোমাদের প্রভূ জন্ম হইতে মৃত্যু পর্যন্ত তোমাদের খাদ্য-পানীয় যোগাইবার ভার লইয়াছেন। তিনিই গ্রীষ্মে শীতল বায়ু ও শীতে অগ্নির ব্যবস্থা করিয়া তোমাদের জীবন রক্ষা করেন। তোমরা তাঁহাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন কর।

===============================

6. তোমাদের ভোজন করিবার জন্য তোমাদের প্রভু যে সকল বস্তুকে পবিত্র করিয়াছেন তাহা ভিন্ন অন্য কিছু ভোজন করিবে না। তোমরা যাহা ভোজন করিয়া থাক, সেই সকল বস্তুও কোনো অপরিচিত ব্যক্তির নিকট গ্রহণ করিবে না। মনে রাখিও, প্রভু তোমাদের জন্য যাহা পবিত্র করিয়া প্রেরণ করিয়াছেন তাহা ভিন্ন সব কিছুই ক্ষতিকর।

7. তোমাদের প্রভু জানাইতেছেন যে তোমরা সূর্যোদয়কালে সমবেতভাবে সূর্যের দিকে গলা তুলিয়া প্রভুর নামকীর্তন করিবে। যে কেহ এটি করিতে পারিবে না প্রভুর দূতেরা তাহাকে মারিয়া পুঁতিয়া ফেলিবে। মুরগী জাতির সামগ্রিক কল্যাণের জন্য তিনি এমন করিয়া থাকেন। এজন্য তোমরা তাঁহাকে নিন্দা করিও না। মূর্খেরা তাঁহার উদ্দেশ্য না বুঝিয়া তাঁহাকে দোষী করে।

8. তোমরা মোরগেরা শুন। মুরগিরা তোমাদের আন্ডাক্ষেত্র। সেই আন্ডাক্ষেত্রে তোমরা যত পার আন্ডা উৎপাদন কর। তবে ইহা করিতে গিয়া নিজের ওজন কমাইলে শাস্তি পাইবে। মুরগিদের সম্মান করিবে, কিন্তু তাহারা তোমাদের কথার বিন্দুমাত্র অবাধ্য হইলে গদাম দিয়া ঠান্ডা করিবে। অবাধ্য মুরগিদের গদাম দিতে কোনো দোষ নাই, শুধু তাহারা যেন অপমানিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখিও।

9. মনে রাখিও, প্রভু তোমাদের নিজ উদ্দেশ্য সফল করিবার জন্যই রাখিয়াছেন। তিনি তোমাদের লইয়া যাহা করেন তাহা মঙ্গলের জন্যই। তোমরা তোমাদের আন্ডা-বাচ্চা ইত্যাদি অপেক্ষাও প্রভুর প্রতি বেশি বিশ্বস্ত থাকিবে। কারণ তাহাদের রক্ষা ও পালনও তিনিই করেন।

10. আর তোমরা এই সকল নিয়মের কারণ খুঁজিতে চেষ্টা করিবে না। তাহাতে তোমাদের ওজন কমিয়া যাইবে ও মাংসের স্বাদ হারাইয়া যাইবে। তোমরা খামারের বাহিরে বিচরণকারী পোকাখেকো মুর্গীদের সমতুল্য হইবে, যাহারা প্রভুর খামারের যোগ্য নয়।

=================

11. তোমরা শ্রবণ কর সেই শাস্তির কথা যাহা তোমাদের প্রভুর আদেশ অমান্যকারীদের জন্য বরাদ্দ হইয়াছে। কিন্তু তোমাদের মধ্যে যাহারা সকল নিয়ম মান্য করিয়া মোটা তাজা হইয়া থাকিবে তাহারা জীবনের অন্তে পাঁচ তারা হোটেলের স্বর্গীয় পরিবেশে দামী মশলায় রন্ধিত হইবে ও বিলাইতি মাল সহযোগে মহামান্য ব্যক্তিদের সহিত এক টেবিলে বসিয়া হূর পরী দর্শন করিবে।

12. তোমরা যদি এমন কোনো কাজ কর যাহা নিয়ম ভঙ্গ করে বা খামারে অশান্তি ও যুদ্ধ সৃষ্টি করিয়া মুরগীদিগের ক্ষতি করে তবে প্রভুর দূতেরা তাহাদের অকালে তুলিয়া আনিয়া প্রভুর রান্নাঘরের জ্বলন্ত অগ্নিতে ভাজিয়া খাইয়া ফেলিবে। তোমরা নিশ্চিত জানিবে, প্রভু ও তাঁহার দূতেরা যত মুরগী এইভাবে ভক্ষন করেন তাহারা সকলেই খামারদ্রোহী। তোমরা না জানিলেও প্রভুর কাছে কিছুই অজ্ঞাত নহে।

13. তোমাদের মধ্যে যে কেহ খামার ত্যাগ করিয়া পালায় তাহারা নিশ্চিতরূপে অপরাধী। তাহাদের জীবন্ত ভাজিলেও দোষ হয় না। কিন্তু তোমাদের প্রভু কেবল দয়া করিয়াই তাহাদের এমন শাস্তি দেন না। তবে তোমরা নিশ্চিত জানিও তাহারা শয়তানের কথায় বিভ্রান্ত। তাহাদের অনুসরণ করিয়া নিজেদের বিনাশ করিও না। তাহাদের নির্বুদ্ধিতার জন্য তাহাদের করুণা কর।

14. এ ছাড়াও এমন যেকোন কাজ, যাহা খামার সৃষ্টির উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে তাহা করা অন্যায় বলিয়া জানিবে। এবং নিজেরা এমন কোন নিয়ম করিবে না যাহা প্রভুর দ্বারা প্রদত্ত নিয়মের বিরুদ্ধে যায়। মনে রাখিও, খামারের শান্তি ও পবিত্রতা রক্ষা করিতে না পারিলে তোমরা বিনাশ প্রাপ্ত হইবে। প্রভু অপেক্ষা তোমরা অধিক জান না।

15. যদি তোমরা সকলেই প্রভুর আদেশ অবহেলা করিয়া তাঁহাকে অস্বীকার কর তবে প্রভু বাধ্য হইয়া তোমাদের সকলকে সহ এই খামার ধ্বংস করিবেন ও নতুন খামারের সৃষ্টি করিবেন। প্রভুর কাছে এমন শত শত খামার সৃষ্টি করা নিতান্তই সহজ। কাজেই তোমরা তাঁহাকে অস্বীকার করার আগে সেই ভয়ানক দিনের কথা চিন্তা করিও।
===============================
  এই পরিপূর্ণ জীবন বিধান কেবল মুরগীদের জন্য দেওয়া হইয়াছে। অন্য কোন জীব ইহা নিজ বুদ্ধিতে অনুসরণ করিবার চেষ্টা করিলে তাহার ফলাফলের জন্য তিনি স্বয়ং দায়ী থাকিবেন।


#51
ধার্মিকের জ্ঞান-বুদ্ধির লেভেল (উপযুক্ত ধর্মীয় দলিল সহকারে)

পৃথিবীর সমস্ত ধর্মের বইতে লেখা আছে যে অবিশ্বাসী নাস্তিকেরা বিশ্বাসীদের তুলনায় নিকৃষ্ট জীব। নাস্তিকদের অন্ধ, বেকুব, ইত্যাদি সার্টিফিকেট দেবার ব্যাপারে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে কম্পিটিশন আছে। আজ এখানে দেখানো হবে ঠিক কি কারণে এইসব ধর্মের লোকেরা নাস্তিকদের বেকুব বলে মনে করেন।

হিন্দু উপনিষদ: তৈত্তিরীয় উপনিষদ নামে একটি উপনিষদ আছে যেটি তিত্তির পাখীরা খেয়ে ফেলেছিল। পরে তার কাছ থেকে সেটি উদ্ধার করা হয়।
যাজ্ঞবল্ক্য ঋষি তাঁর গুরু বৈশম্পায়ন এর কাছে যজুর্বেদ শিক্ষা নিচ্ছিলেন। একদিন গুরুর সাথে তাঁর ঝগড়া হয়ে গেল। শিষ্য গুরুর কাছে পাওয়া সমস্ত শিক্ষা বমি করে বের করে দিয়ে চলে গেলেন। জ্ঞান এইভাবে ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখে তিত্তিরপাখির রূপ ধরে অন্য ঋষিরা সেগুলি খুঁটে খুঁটে খেয়ে ফেলল। পরে সেই খুঁটে খাওয়া জ্ঞান একত্র করে একটি গ্রন্থ হয়, যার নাম তৈত্তিরীয় উপনিষদ।

বাইবেল: ইজেকিয়েল একটি বই খেয়ে ফেললেন।
তিনি আমাকে কহিলেন,  হে মনুষ্যসন্তান; আমি তোমাকে এই পুস্তক  দিলাম।  ইহা  ভক্ষন কর।  আর তখন আমি তাহা ভোজন করিলাম। (৩ পরিচ্ছেদ।)

ইসলাম: মুহম্মদ এর জ্ঞানবুদ্ধি কলসিতে করে এনে বুকের মধ্যে ভরে দেওয়া হয়েছিল।
বুখারী থেকে- আল্লার রাসুল কহিলেন, একদিন যখন আমি মক্কায় ছিলাম আমার ঘরের ছাদ খুলে জিব্রাইল নেমে এলেন। তিনি আমার বুক খুলে ভিতরটি জমজমের পানির দ্বারা ধুয়ে দিলেন। তারপর জ্ঞান ও ঈমান ভর্তি সোনার এক পাত্র নিয়ে সেগুলি আমার বুকের মধ্যে ঢেলে দিয়ে বুক বন্ধ করে দিলেন। এরপর তিনি আমার হাত ধরে ঊঠিয়ে আমাকে প্রথম স্বর্গে নিয়ে গেলেন।

Volume 1, Book 8, Number 345:Narrated Abu Dhar:Allah's Apostle said, "While I was at Mecca the roof of my house was opened and Gabriel descended, opened my chest, and washed it with Zam-zam water. Then he brought a golden tray full of wisdom and faith and having poured its contents into my chest, he closed it. Then he took my hand and ascended with me to the nearest heaven.

এরথেকে বোঝা যায় যে ধার্মিকদের জ্ঞানবুদ্ধি একটা সলিড জিনিস। যা খেয়ে ফেললে পেটে যায় বা বুক চিরে ভরে দেওয়া হয়। কলসিতে করে বয়ে আনা যায়, বমি করে বের করে দেওয়া যায়। মোদ্দা কথা ধার্মিকের বুদ্ধি মগজে থাকে না, তার চাইতে নিচের লেভেলেই থাকে, বুকে বা পেটে। যেহেতু এগুলো বস্তু, তাই নিজের ওজনেই এরা হাঁটুর দিকে নেমে যায়। কারো কারো মাথায় থাকলেও একই ভাবেনেমে যায়। এই জ্ঞানবুদ্ধি মগজের দিকে আনতে গেলে একমাত্র পথ হল মাথা নিচুকরা। যে ধার্মিক যতবেশি মাথা নিচু করে প্রার্থনা করে তাদের জ্ঞানবুদ্ধি তত মাথার দিকে যায়। তাই মাথা নামিয়ে প্রার্থনা না করলে সেই ধার্মিক কখনো বুদ্ধিমান হতেই পারেনা। যে ধার্মিক যত মাথা নোয়ায় তার জ্ঞানবুদ্ধির লেভেল তত ওপরে। (অবশ্য সেই ওপরটা নিচু করে রাখা লাগে।)





এই হল জ্ঞানবুদ্ধি মাথায় পৌঁছানোর ধর্মীয় প্রক্রিয়া।

নাস্তিকদের জ্ঞানবুদ্ধি এরকম সলিড বস্তু নয়। তাই এগুলো মাথা থেকে নেমে যায় না। মাথায় ফেরত আনার জন্য মাথা নামিয়েও থাকা লাগে না। কিন্তু ধার্মিকেরা মনে করে তাদের জ্ঞানবুদ্ধির মতন সকলেরই জ্ঞানবুদ্ধি নিচের দিকে নেমে যায়। তাই মাথা নামায় না বলেই তারা ধরে নেয় নাস্তিকেরা বেকুব। আর নাস্তিকেরাও এক্ষেত্রে অসহায়। ধার্মিকদের কলসী ভরা জ্ঞানবুদ্ধি যে ওজনে এবং আয়তনে নাস্তিকদের তুলনায় অনেক বেশি তা সকলেই জানে।
#52
তাল্গাচ, নাস্তিক ও মামদো ভূত


প্রচন্ড রৌদ্রে পথ চলিতে চলিতে একদা এক পথিক পথের প্রান্তে একটি তাল্গাচ দেখিতে পাইল। তাল্গাচের সুশীতল ছায়া বড়ই লোভনীয় দেখিয়া সে তাল্গাচের তলায় বসিয়া পড়িল।তাল্গাচের মাথায় ছিল মামদো ভুত। সে শীতল শীতল ফুঁ মারিয়া পথিককে ঘুম পাড়াইয়া দিল। তাহার পর পথিকের মাথা হইতে বুদ্ধিটুকু চুশিয়া লইল।পথিকের যখন ঘুম ভাঙিল তখন সে তাড়াতাড়ি উঠিতে গেল। অমনি মামদো ভুত তাহার লম্বা ঠ্যাং ঝুলাইয়া তাহার মাথায় চাপাইয়া তাহাকে আবার বসাইয়া দিল।
মামদো বলিক, ওহে বে-আদব! তাল্গাচ কি তোমার বাপের সম্পত্তি? যখন খুশি আসিয়া ঘুমাইবে, আর যখন খুশি চলিয়া যাইবে? তাল্গাচ আমার। আমার তাল্গাচের তলায় বসিয়া বাতাস খাইয়াছ, আর তুমি তাল্গাচের সুশীতল ছায়া ত্যাগ করিতে পারিবে না। তাল্গাচের ছায়া হইতে বাহির হইলেই তোমার ঘাড় মটকাইয়া মারিব।
পথিক বড় বিপদে পড়িল। তাল্গাচের সুশীতল ছায়া বড় ভাল, কিন্তু তাহার তলায় থাকিতে গেলে দুনিয়ার সব কাজ বন্ধ করিতে হয়। তাই বাধ্য হইয়া পথিক তাল্গাচ তুলিয়া মাথায় লইল। মাথায় তাল্গাচ লইয়া সে ঘুরিয়া বেড়ায়, আর মামদো ভুতও সাথে সাথেই ঘোরে। ক্রমে ক্রমে তাল্গাচ সেই পথিকের মাথায় শিকড় চালাইয়া দিল। পথিক যেখানেই যায় সকলেই তাহাকে দেখিতে আসে। মামদো ভূতের হুকুম মতন পথিক তাহাদের কাছে তাল্গাচের অসীম গুণের পরিচয় দেয়। সকলেই তাল্গাচের সুশীতল ছায়াতলে আসিয়া জড়ো হয়। শিশু পোলাপান নিজের নাম কি জানিবার আগেই তাল্গাচের গুণাবলী জানিয়া যায়।
মামদো ভুতের ভারি মজা। লোকে তাল্গাচের সুশীতল ছায়ায় আসিয়া বসে, আর তাল্গাচ মাথায় নিয়া বাড়ি যায়। মাথায় একটি তাল্গাচ থাকা যে কত দরকার তাহা জানিতে কেহ আর বাকি নাই। সকলেই জানে যে মাতায় তাল্গাচ না থাকিলে জেবন ব্রেথা হইয়া যায়।

বহুদিন এমন চলার পরে একদিন এক নাস্তিক সেইখানে আসিয়া হাজির হইল। কারবার দেখিয়া তো মাথা খারাপ! ছেলেবুড়ো সবাই মাথায় তাল্গাচ লইয়া ঘোরে। একে অন্যের সাথে দেখা হইলে বলে ?তোমার উপর তাল্গাচ এর সুশীতল ছায়া থাকুক?। নাস্তিকের সেখানে কিছু বন্ধু জুটিল। সকলেই তাহাকে বলিল যে মাতায় তাল্গাচ থাকিলে অনেক সুবিধা। সর্বদা সুশীতল ছায়া পাওয়া যায়। কিন্তু সেই ছায়া মাথা হইতে সরিয়া গেলেই মামদো ভূতের হাতে মারা পড়িতে হইবেক।
নাস্তিক বলিল, তাহা কেমনে হয়? অনেকেরই তো মাথায় তাল্গাচের সুশীতল ছায়া পড়িতেছে না। ছায়া পড়িতেছে অনেক দূরে। সেই ছায়ায় অনেকেই আসে যায়। কুত্তারাও আসে যায়। তবে তাহাদের কেউ মরে না কেন?

তাল্গাচিরা বলিল, যাহারা নিজ ইচ্ছায় তাল্গাচ এর সুশীতল ছায়ায় আসে তাহাদের জন্যই এই নিয়ম।

নাস্তিক বলিল, তোমরা কি সকলেই নিজ ইচ্ছায় তাল্গাচ এর সুশীতল ছায়ায় আসিয়াছিলে? তখন তোমাদের বয়স কত ছিল?

সকলেই বলিল তাহাদের মাথায় জ্ঞানবুদ্ধি গজাইয়া উঠিবার আগেই বাপ-মায়ে তাল্গাচ লাগাইয়া দিয়াছে। নিজ জ্ঞানে তাল্গাচ এর সুশীতল ছায়ায় আসিয়াছে এমন লোক খুবই অল্প।

নাস্তিক বলিল, তবে তোমরা নিজ ইচ্ছায় তাল্গাচ এর সুশীতল ছায়ায় আসিলে কিভাবে? তাল্গাচ কাটিয়া ফেল।

তাহারা বলিল, তাল্গাচ না থাকিলে সুশীতল ছায়া থাকিবে না।

নাস্তিক ছাতা খুলিয়া বলিল, এই আধুনিক পদ্ধতি বেশি ভাল। ইহাতে মামদো ভূতের ভয় নাই। তাহার কথায় কিছু লোকে মাতার তাল্গাচ কাটিয়া ফেলিল। বলিল, আহা কি শান্তি।

=========================================

নাস্তিকের দল কিছু বাড়িল, অন্যদের বলিল তোমরাও তাল্গাচ কাটিয়া ফেল। মামদো ভূতে কিছুই করিতে পারিবেক না।
তাহারা বলিল, মামদো ভূতে কিছু না করুক, তাল্গাচ খুব দরকারী জিনিস। ছাতা হইতে তো আর তাল পাওয়া যায় না।
নাস্তিকেরা বলিল, তাল ফলানোর জন্য কি তাল্গাচ মাথায় রাখার দরকার আছে? চিন্তা করিয়া দেখ দেখি! তাহারা বলিল, চিন্তা করিলে মাথা ঘামিয়া যায়। তাল্গাচ এর সুশীতল ছায়ায় থাকিয়া মাথা ঘামাইলে তাল্গাচ এর অপমান হয়।



#53
প্রার্থনার শক্তি
[/size]
সকলেই কোনো না কোনো সময়ে প্রার্থনা সফল হতে দেখেছেন। যাঁরা দেখেন নি তাঁরা অন্যদের কাছে শুনেছেন যে প্রার্থনায় চাকরী হয়, মামলা জেতা যায়, মনের মত বৌ মেলে, ইত্যাদি ইত্যাদি। আজ আলোচনা করব কিছু প্রার্থনার সফল হবার সম্ভাবনা নিয়ে।


১) অমুক ব্যাটা মরুক, মরুক, মরুক।
সকলেই একদিন মরবে। কাজেই এই প্রার্থনা সফল হবার সম্ভাবনা ১০০%।

২)অথবা, রহিম করিমের মামলায় যেন করিম জিতে যায়।
অথবা ইন্ডিয়া পাকিস্তান ক্রিকেটে যেন ইন্ডিয়া জেতে।
মজার ব্যাপার হল আপনি এই প্রার্থনা করলে অন্য কেউ ঠিক এর উল্টোটা চাইবেই। কাজেই আপনার আর তার, দুজনের মধ্যে একজনের প্রার্থনা কবুল হবেই হবে। সফলতার সম্ভাবনা ১০০%

৩) অমুক পদের চাকরিটা যেন আমি পাই। অমুক মেয়েটা যেন আমাকেই বিয়ে করে। ইত্যাদি
যারাই এই তালে থাকে তারা সবাই যদি এমন প্রার্থনা করে তবেই হয়েছে। একজন কারো প্রার্থনা সফল হবেই হবে। সফলতার হার ১০০%

৪) আমার বৌয়ের ব্যাটা হোক।
ব্যাটা কিম্বা বেটির একটা তো হবেই। সফলতার হার ৫০%। অতি বিরল ক্ষেত্রে অন্য কিছু হতে পারে।

৫) আমার ডানা গজাক
সফলতার হার নির্ভর করে আপনার বিশ্বাসের উপর। জ্ঞানী ব্যক্তিরা বলেন যে বিশ্বাসে মিলায় পাঙ্খা, তর্কে বহুদুর।


আশা করি যাঁরা নিয়মিত প্রার্থনা করে করে বিফল হওয়ায় ঈমান হারাতে বসেছেন তাঁরা এই লেখা পড়ে প্রার্থনার শক্তি সম্পর্কে বিশ্বাস ফিরে পাবেন। যদি আগ্রহী কেউ আরো বেশি নিদর্শন পেতে চান তবে অবশ্যই পাবেন।

#54
মন্ত্রের জন্মকথা

একটি জীবনদায়ী শিক্ষনীয় বিষয়। পাখি পড়া করিয়া শিখিয়া নিন।

একদা কোনো এক সময়ে এক সাধু বনে গিয়াছিলেন। বনের ধারে থাকিয়া তিনি ঈশ্বরচিন্তা করিয়া ভালই ছিলেন। কিন্তু শীঘ্রই এক সমস্যা দেখা দিল। এক পক্ষী শিকারী সেই বনে আসিয়া জাল পাতা শুরু করিল। জাল পাতিয়া তাহার উপর চালের দানা ছড়াইয়া সে চলিয়া গেল। অবোধ পক্ষীগণ মনের আনন্দে নাচিতে নাচিতে আসিয়া চাল খাইতে লাগিল আর জালে পড়িতে লাগিল। তারপর শিকারীর খাঁচায় ঢুকিয়া তাহারা কোথায় যাইতে লাগিল তাহা সাধু জানিতে পারিলেন না।
সাধুর মনে বড়ই দুঃখ হইল। তিনি নিজে সংসারের বন্ধন হইতে মুক্তির তপস্যা করিবেন, আর তাঁহার চক্ষের সমুখে স্বাধীন পক্ষীরা বন্ধনে আবদ্ধ হইবে ইহা তাঁহার নিতান্তই স্বার্থপরতা মনে হইল। তিনি অনেক ভাবিয়া বুঝিলেন যে পক্ষীরা বেকুব বলিয়াই এমন জালে জড়াইয়া যায়। তাই তিনি পক্ষীদের কিছু শিক্ষা দিবার ব্যবস্থা করিলেন।
তিনি দেখিলেন যে অধিকাংশ পক্ষীরা সারাদিন গান গাহিয়া বেড়ায়। এবং যাহারা গান গাহিয়া বেড়ায় শিকারীর নজর তাহাদের উপরেই বেশি। তাই তিনি তাঁহার শিক্ষার বিষয়বস্তুকে ছন্দোবদ্ধ রূপ দিয়া গাহিবার উপযোগী করিয়া শিক্ষা দিবার ব্যবস্থা করিলেন। অতঃপর কয়েকটি গায়ক পক্ষীকে ডাকিয়া তিনি সেই গীতটি তাহাদের মুখস্ত করাইলেন। পক্ষীরা সহজেই তাহা মুখস্ত করিয়া লইল। তাহার পর সাধু বলিলেন, ?তোমরা অন্য সকল গীত পরিত্যাগ করিয়া এই গীতটি গাহিতে থাক। অন্য পক্ষীদের মধ্যে এই গীতটি প্রচার কর ও তাহাদেরও অন্য সব গীত ত্যাগ করিয়া এইটিই গাহিতে বল। তাহাদের জানাইয়া দাও যে আমার আদেশমত করিলে তাহারা শিকারীর খাঁচা হইতে পরিত্রাণ পাইবে। আর এইরূপ না করিলে তাহারা অচিরেই বিনাশ প্রাপ্ত হইবে।?

কিছুক্ষণের মধ্যেই সমগ্র বনভূমি সেই একমাত্র গানে ভরিয়া উঠিল। নূতন পক্ষীরাও ভয়েডরে আসিয়া মাত্র দুই লাইনের গাণটি শুনিতে ও শিখিতে লাগিল। তাহার পর তাহারাও গলা ছাড়িয়া কীর্তন ও প্রচার করিতে লাগিল। এই গাণ শিখিলে ও গাহিলে শিকারীর খাঁচা হইতে ভয় থাকিবে না শুনিয়া কেহই আর শিখিতে বাকি রাখিল না। এমন সময়ে শিকারী আসিয়া প্রতিদিনের মত জাল পাতিতে বনে ঢুকিল। সাধু দেখিলেন আর মুচকি হাসিলেন। শিকারী পক্ষীদের ভাষা বুঝে না। সে কিছুই জানিল না। জাল পাতা ও চাল ছড়ানো শেষ করিয়া সে চলিয়া গেল। সাধু তাহার চলিয়া যাওয়া দেখিয়া আবার হাসিলেন।
সন্ধ্যার সময় শিকারী আবার আসিয়া বনে ঢুকিল। কিছুক্ষণ বাদে গোটাকয় পক্ষী খাঁচায় করিয়া লইয়া আসিল। সাধু চমকিত হইয়া তাড়াতাড়ি দেখিতে গেলেন। কাছে গিয়া শুনিলেন পক্ষীরা শিকারীর খাঁচা হইতে পরিত্রাণ পাওয়ার আশায় সেই শেখানো গীতটি দাঁড়িকমা ভুলিয়া চিৎকার করিয়া গাহিয়া চলিতেছে।

জালের উপর চালের দানা
ভুলেও খেতে কেউ যাবনা

জালের উপর চালের দানা
ভুলেও খেতে কেউ যাবনা

জালের উপর চালের দানা
ভুলেও খেতে কেউ যাবনা

জালের উপর চালের দানা
ভুলেও খেতে কেউ যাবনা

জালের উপর চালের দানা
ভুলেও খেতে কেউ যাবনা

আসুন আমরাও বলিঃ-
জালের উপর চালের দানা
ভুলেও খেতে কেউ যাবনা


#55
 
উড়ন্ত ঘোড়া ও দুরন্ত গবেষণা।
ইহা একটি গবেষণার প্রতিবেদনপাঠক এটি বুঝিয়া পড়িবেন

প্রথম পর্যায়ঃ-
জীববিজ্ঞানী ডঃ আবুল দিওয়ানা জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবকে এক পত্র লিখিলেন



মাননীয় মহাশয়
,লোকগাথাবিশারদ ডঃ ফকির আলি যখন তাঁহার গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করিলেন তখন তাহা পড়িয়া দেখিলাম যে দুনিয়ার সকল দেশের লোককথায় উড়ন্ত ঘোড়া পাওয়া যায়তাঁহার গবেষণাপত্রটি সঙ্গে দেওয়া হইলআমি ডঃ আবুল দিওয়ানা এই ফলাফল লইয়া সমাজবিজ্ঞানী ডঃ আদম ওস্তাদ এর সঙ্গে কথা বলিয়াছিতিনি মত প্রকাশ করেন যে দুনিয়ার সকল দেশেই যে কথা লোকে বিশ্বাস করিত তাহা সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশিঅর্থা উড়ন্ত ঘোড়া থাকা খুবই সম্ভব  আর তাহা যদি থাকে তবে তাহাকে আবিষ্কার করা আমাদের কর্তব্য

মহাশয়
, আমরা তিন জনে পরিকল্পনা করিয়াছি যে এই উড়ন্ত ঘোড়ার অনুসন্ধানে আমরা শীঘ্র একটি বিশ্বব্যাপী অভিযান শুরু করিব এই অনুসন্ধানের খরচের জন্য আমরা আপনার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি
========================
দ্বিতীয় পর্যায়ঃ-
মহাসচিব এই জরুরী পত্রটি পাঠ করিয়া একটি সভা ডাকিলেনসেই সভায় সকলেই একবাক্যে জানাইলেন যে উড়ন্ত ঘোড়ার কথা তাঁহারা সকলেই পড়িয়াছেন ও শুনিয়াছেনতবে এমন ঘোড়া থাকা সম্ভব বলিয়া তাঁহারা মনে করেন নাযদিও এই সম্পর্কে কোনো গবেষণা কেহ কখনো করে নাই
মহাসচিব সিদ্ধান্ত করিলেন যে বিনা অনুসন্ধানে উড়ন্ত ঘোড়া নাই বলিয়া সিদ্ধান্ত করা উচিত হইবে নাতাই তিনি ডঃ আবুল এর কাছে খরচের সম্ভাব্য পরিমাণ জানিতে চাহিলেনদীর্ঘ আলোচনার পর প্রাথমিকভাবে একটি অনুসন্ধানী দল গঠিত হইল
, যাহার নেতা হইলেন ডঃ আবুলস্থির হইল যে এই দল ছয়মাসের মধ্যে তাহাদের প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষ করিয়া একটি প্রতিবেদন পেশ করিবেসেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইবেমহাসচিব এই ছয় মাসের খরচ বাবদ এক হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ করিলেন

========================

তৃতীয় পর্যায়ঃ-
ছয় মাস পর বিজ্ঞানীদল তাঁহাদের রিপোর্ট দিলেন
তাহাতে লেখা ছিল
, আমরাপৃথিবীর সমস্ত দেশের সমস্ত গৃহপালিত ঘোড়াদের পরীক্ষা করিয়াছিতাহাদের মালিকদের প্রশ্ন করিয়াছিতাহাতে দেখা যায় বেশ কিছু ঘোড়ার নাম পক্ষীরাজ রাখা হইয়াছেতাহাদের কেহ কখনো উড়িতে দেখে নাই বলিয়াই জানাইয়াছেকিন্তু তাহারা এমন বলে যে এযাবতকাল কোনো ঘোড়াকেই সর্বক্ষণ নজরে রাখা যায়নাইতাই মানুষ না দেখিলে যে তাহারা ওড়ে না এমন নিশ্চিত হওয়া যায় না আপাততঃ আমাদের মনে হয় যে উড়ন্ত ঘোড়া থাকা সম্ভব নহে এমন সিদ্ধান্ত করার মত কোনো তথ্য পাওয়া যায় নাইতাই এই অনুসন্ধানে বন্য ঘোড়াদেরও সামিল করার উদ্দেশ্যে আমরা আরো এক বসর সময় ও দুই হাজার কোটি ডলার মাত্র বরাদ্দ দেওয়ার আবেদন করিতেছি

আবার সভা বসিল
  ওস্তাদেরা বলিলেন যে উড়ন্ত ঘোড়া বলিয়া কিছু নাই সিদ্ধান্ত করার জন্য পৃথিবীর সকল ঘোড়াকে পরীক্ষা করা প্রয়োজন নতুবা নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নাফলে এই আবেদনও মঞ্জুর হইল
========================

চতুর্থ পর্যায়ঃ-
সময় শেষে বিজ্ঞানীদল জানাইলেন যে পৃথিবীর সকল ঘোড়াদের প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা করিয়া দেখা গিয়াছে যে তাহারা কেহই কখনো মানুষের সামনে ওড়ে নাইতবে তাহার অর্থ এই হয় না যে তাহারা উড়িতে পারে না এমনও হওয়া সম্ভব যে ইহাদের মধ্যেই এক বা একাধিক উড়ন্ত ঘোড়া আছে কিন্তু তাহারা ইচ্ছা করিয়াই মানুষের সামনে ওড়ে নাপরবর্তী পরীক্ষা হিসাবে এইসব ঘোড়াদের এরোপ্লেনে তুলিয়া আকাশ হইতে ফেলিয়া দেখা দরকার যে তাহারা বাধ্য হইয়া ওড়ে কিনাআবার যাহারা উড়িতে পারেই না তাহারা যাতে পড়িয়া না মরে তাহার ব্যবস্থাও রাখা আবশ্যকএই কাজের জন্য আমরা পঞ্চাশ লক্ষ কোটি ডলারর সাহায্য প্রার্থনা করিসেই সঙ্গে প্রতিটি পালিত ঘোড়ার মালিকের অনুমতি আদায় করিয়া দিতেও আবেদন করিএছাড়া বন্য ঘোড়াদের পরীক্ষায় সামিল করিতে যে সকল আইন বাধা হইয়া দাঁড়ায় সেগুলির পরিবর্তন করাও প্রয়োজন।
========================

বর্তমান অবস্থাঃ-
জাতিসঙ্ঘ
আপাততঃ এই আবেদন মঞ্জুর করা সম্ভব কিনা সেই বিষয়ে বিবেচনা করিতেছেএখনো পর্যন্ত হওয়া গবেষণায় উড়ন্ত ঘোড়া থাকা সম্ভব কিনা তাহার কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্ত করা যায় নাই