নাস্তিকদের কটূক্তির দাঁত ভাঙা জবাব

Started by ওয়াশিকুর বাবু, December 01, 2013, 09:57:12 AM

Previous topic - Next topic

0 Members and 2 Guests are viewing this topic.

ওয়াশিকুর বাবু

আসুন নাস্তিকদের কটূক্তির বিরুদ্ধে দাঁত ভাঙা জবাব দেই...

কটূক্তি ১- মুহাম্মদ কাবায় স্থাপিত পৌত্তলিকদের মূর্তি ভেঙেছে, পালক সন্তানের বিধান বাতিল করে পালক পুত্রের স্ত্রীকে বিবাহ করেছে, নারীদের উপর পর্দা চাপিয়ে দিয়েছে...

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন কোন প্রথা বা আচার সমাজে প্রচলিত হলেই তা কল্যাণকর হয় না। আমাদের মনে রাখতে হবে মুহাম্মদ (সঃ) ছিলেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সমাজ সংস্কারক। তিনি অনেক প্রথা বাতিল করে নতুন বিধান দিয়েছিলেন সমাজ পরিবর্তনের স্বার্থে। তার প্রতিটি পদক্ষেপের পিছনেই সুদূরপ্রসারী কল্যান নিহিত...

কটূক্তি ২- মুহাম্মদ যুদ্ধবন্দীনিদের ধর্ষণ করেছিল; একাধিক পত্নী, উপপত্নী, দাসী রেখেছিল; নাবালিকা বিয়ে করেছিল; অমুসলিমদের হত্যা অথবা নির্বাসিত করেছিল...

দাঁত ভাঙা জবাবঃ নাস্তিকরা আসলেই বেকুব। আরে এসব প্রথা তো তৎকালীন আরবেই প্রচলিত ছিল। সময়ের প্রয়োজনে প্রচলিত কোন প্রথা অনুসরণ করলে তাঁর দোষ কোথায়? আসলে ইসলাম বিদ্বেষী হলেও নাস্তিকগুলা ইসলাম সম্পর্কে কিছুই জানেনা...

ওয়াশিকুর বাবু

কটুক্তি ৩- ইসলামে যুদ্ধবন্দিনী ও দাসী ধর্ষণ বৈধ।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন অতীতের প্রক্ষাপটে কে কি করেছে এ প্রসঙ্গ তোলা এখন অবান্তর। বর্তমানে মুসলমানরা তো আর দাসী ধর্ষণ করছে না।

কটুক্তি ৪-এখনো বিশ্বের অনেক জায়গায় মুসলিমরা হিল্লা বিয়ে ,মেয়েদের খৎনা এসব বর্বর প্রথার চর্চা করছে।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ বর্তমানের মুসলিমরা কোন অপকর্ম করলেই তার জন্য ইসলাম দায়ী হবে কেন? এরা সহী মুসলিম নয়। আমাদের দেখতে হবে নবী ও তার সাহাবীরা কিভাবে ইসলাম পালন করতেন...

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ৫- ইসলামে যাচাই-বাছাই করার সুযোগ নেই। জন্মসূত্রে প্রাপ্ত ধর্মকে আঁকড়ে ধরে রাখতে হবে। ধর্ম ত্যাগ করলেই কতল...

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন ধর্মত্যাগী হওয়া মানে নিজ পরিবার, গোত্রের সাথে বেঈমানি করা। আপনি কি জন্মভূমি যাচাই বাছাই করেন নাকি জন্মসূত্রে পান? কিছু কিছু বিষয় আছে যাবতীয় প্রশ্নের ঊর্ধ্বে। ধর্মও তাই।

কটূক্তি ৬- ইসলামে অন্য ধর্মানুসারীদের জাহান্নামি বলা হয়েছে। কিন্তু জন্মসূত্রে প্রাপ্ত ধর্মের জন্য তো কেউ দায়ী নয়। তাহলে কেন ভাল কাজ করেও বিধর্মী মাত্রই জাহান্নামি হবে?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ জন্মসূত্রে প্রাপ্ত ধর্মই কেন কেউ আঁকড়ে ধরে থাকবে? তার কি বিচার বিবেচনা নেই? সে কি ভাল মন্দের পার্থক্য বোঝে না?

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ৭- হাদীসে নারীদের নিয়ে অনেক আপত্তিকর বক্তব্য আছে। নারীকে ঘোড়া, কুকুরের সাথে তুলনা করা হয়েছে; পুরুষের জন্য অশুভ বলা হয়েছে; স্ত্রীকে প্রহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কোন পয়গম্বর কি এরকম জঘন্য কথা বলতে পারেন?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন আল্লাহ নিজে কোরানকে সংরক্ষিত করলেও হাদিসকে করেননি। হাদীসগুলোতে মানুষের হস্তক্ষেপ হয়েছে তাই এগুলোতে ভুল ভ্রান্তি থাকা স্বাভাবিক। তাছাড়া ইহুদি-নাসারারা ষড়যন্ত্র করে অনেক ভুল তথ্য ঢুকিয়ে দিয়েছে। তাই হাদীস বাদ দিয়ে কোরানেই মনোযোগি হতে হবে। কোরানই ইসলামের আসল উৎস...

কটূক্তি ৮- কোরানে নারীকে শস্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ বিচ্ছিন্ন ভাবে একটা আয়াত তুলে দিয়ে কোরানের ভুল ধরলেই তো হবেনা। কোন প্রেক্ষিতে এই আয়াত নাজিল হয়েছে তা জানতে হবে। এর জন্য হাদীস পড়তে হবে...

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ৯- মুসলমানরা ভিন্ন দেশের মুসলিমদের উপর নির্যাতনের জন্য প্রচুর সমালোচনা করে অথচ নিজ দেশে অমুসলিমদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে উচ্চবাচ্য করেনা।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন আল্লাহ কোরানে মুসলিমদের ভাই হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ভাইদের প্রতি বেশি টান থাকাই তো স্বাভাবিক তাই না?

কটূক্তি ১০- মুসলিমরা একে অপরের ভাই হলে নিজেদের মধ্যে এত বিভক্তি কেন? কেন এত হানাহানি, রক্তারক্তি?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন নবীজি নিজেই বলেছেন, মুসলিমরা ৭৩ ভাগে বিভক্ত হবে। তাই মুসলিমদের মধ্যে বিরোধ নবীর বক্তব্যের সত্যতা প্রমান করে...

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ১১- ইসলামে ব্যাভিচারের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। দুজন ব্যাক্তি পরস্পরের ইচ্ছায় মিলিত হলে তাদের কেন মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে? এটা কি অমানবিক নয়?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন যৌন স্বাধীনতা কখনোই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। এর ফলে পরকীয়া বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া এর কারনে নারীরা মূলত স্বাধীনতার নামে পন্যে পরিণত হয়।

কটূক্তি ১২- ধর্ষণের মত জঘন্য যৌন অপরাধ কিভাবে গ্রহনযোগ্য হতে পারে?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন যুদ্ধবন্দিনীরা মুসলিমদের বিরত্বে মুগ্ধ হয়ে নিজেরাই মিলিত হত। এতে তারাও আনন্দ পেত সেটা কি আপনাদের চোখে পড়েনা? আর দাসীদেরকে তো ভরণপোষণ দিতে হত। এর ফলে তারা নিরাপত্তা পেত। সম্মানের সাথে বসবাস করতে পারত...

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ১৩- মুসলমানরা চোদ্দশ বছর পূর্বের জীবনবিধানে ফিরে যাওয়ার কথা বলে। যা আজকের যুগে অচল।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা। এখানে সব সমস্যার সমাধান দেওয়া আছে।

কটূক্তি ১৪- কিন্তু মুসলমানরা ঠিকই বিধর্মীদের প্রবর্তিত আধুনিক জীবনযাপনের সুফল ভোগ করে...

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন ইসলাম নমনীয় ধর্ম। এখানে পরিবর্তনের সুযোগ আছে...

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ১৫- ইসলাম বা নবীকে নিয়ে কটাক্ষ করলে মুসলিমরা তার প্রতিবাদে রক্তপাত করে। এটা কি গ্রহণযোগ্য?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ ইসলাম বা নবীকে কটাক্ষ করা মানে ১৫০ কোটি মুসলিমের অনুভূতিকে আহত করা। এ অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য...

কটূক্তি ১৬- মুসলিমরাও তো অন্যান্য ধর্মকে ঠিকই কটাক্ষ করে। এতে অসংখ্য বিধর্মীদের অনুভূতি আহত হয় না?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন কেউ ভ্রান্ত ধর্মে বিশ্বাস করলেই কি সেটাকে সম্মান জানাতে হবে? কারো বিশ্বাস যদি হাস্যকর হয় তাহলে সেটা নিয়ে হাসাহাসি করা যাবে না কেন...

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ১৭- ইসলাম জ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করেনা। শুধু কোরআন, হাদীস বা ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের কথা বলে...

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন ইসলাম বিষয়ে জানায় আপনার ব্যাপক ঘাটতি আছে। কোরআন হচ্ছে সর্ব জ্ঞানের আধার। আর আমাদের নবী বলেছেন, 'জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীন পর্যন্ত যাও।' মূলত ইসলাম হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা এখানে সব বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আপনি নিশ্চয় ইবনে সীনা, আল রাজী'দের কথা জানেন... 

কটূক্তি ১৮- তাহলে মুসলিমরা কেন আরুজ আলী মাতব্বুর, হুমায়ুন আজাদকে ঘৃণা করে, কেন বিবর্তন বাদ পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে দেয় না?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন এরা নাফরমানি কথাবার্তা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। আর এসব দুনিয়াবি জ্ঞান নিয়ে কি হবে? দুনিয়া দুইদিনের আখিরাতই আসল। এত জ্ঞান অর্জন করতে গিয়ে পরে নাস্তিক হবে নাকি?

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ১৯- কোরানের ২১:৩২ আয়াতে বলা হয়েছে, 'আমি আকাশ মন্ডলীকে সুরক্ষিত ছাদ করেছি, অথচ তারা আমার আকাশস্থ নির্দেশাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে।' অথচ আকাশ বলতে কিছুর অস্তিত্ব বিজ্ঞান স্বীকার করেনা। তাহলে কোরআন কিভাবে বিজ্ঞানময় কিতাব হয়?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন এখানে আকাশ বলতে প্রতীকী ভাবে ওজোনস্তরের কথা বলা হয়েছে। আপনার জানেন ওজোন স্তরের মাধ্যমে আমরা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচতে পারি। আধুনিক বিজ্ঞান এই বিষয়ে সম্প্রতি জানতে পারলেও কোরানে আল্লাহ ১৪০০ বছর আগেই এই কথা বলে দিয়েছেন।

কটূক্তি ২০- কিন্তু কোরানের ৬৭:৫ আয়াতে বলা আছে ,'আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা (তারকামন্ডলী) দ্বারা সাজিয়েছি;' আকাশ বলতে যদি ওজোন স্তর বোঝায় তাহলে কি বলতে হবে ওজোন স্তরের ভিতরেই তারা অবস্থিত... :O

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন বিজ্ঞান আকাশের অস্তিত্ব স্বীকার না করলেই যে আকাশ নেই তা কিন্তু নয়। বিজ্ঞানীরা তো মহাবিশ্বের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যায় নি। মানুষের জানার বাইরে মহাবিশ্বের বিশাল অংশ আছে। তাই বলা যায় আকাশও আছে। আর প্রথম আকাশের অভ্যন্তরেই নক্ষত্রমন্ডলী সহ আমাদের মহাবিশ্ব, পৃথিবী অবস্থিত...

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ২১ - ইসলামকে সর্ব কালের শ্রেষ্ঠ ও পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা বলা হয়। তারমানে দাস প্রথা চিরকালের জন্য প্রযোজ্য?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন ইসলাম একটা মানবিক ধর্ম। দাস প্রথা নিষিদ্ধ করা হয়নি তৎকালীন সময়ের প্রেক্ষাপটে। কিন্তু ইসলামে ইজমা-কিয়াসের বিধান রাখা হয়েছে অর্থাৎ যে কোন প্রথা রহিত করা সম্ভব...

কটূক্তি ২২- তাহলে ইজমা কিয়াসের মাধ্যমে উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে কন্যা শিশুদের সমান অধিকার প্রশ্নে মুসলিমরা সম্মত হচ্ছে না কেন?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন ইসলাম একটি নিখুঁত ও পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা। মানব জাতির সার্বিক কল্যানে এর জীবন বিধান তৈরি করা হয়েছে। মূলত ইসলাম নারীদের দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান। কিন্তু আপনারা ক্ষুদ্র জাগতিক স্বার্থে আল্লাহর আইন ভঙ্গ করতে চান এটা কখনোই গ্রহনযোগ্য নয়...

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ২৩ - মুহাম্মদ তাকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করার কারনে আসমা বিনতে মারোয়ান'কে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, বর্তমানে মুসলিমরাও মুহাম্মদকে ব্যাঙ্গের জবাবে ফাঁসির দাবী করে। যত বড় মহামানবই হোক না কেন কার সম্মানের মূল্য কি মানুষের জীবনের চেয়ে বেশি হতে পারে?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন, মুহাম্মদ  শুধুই একজন মহামানব ছিলেন না। তিনি ছিলেন রাহমাতুল্লিল আলামিন; যাকে সৃষ্টি না করলে আসমান-জমিন, গ্রহ-নক্ষত্র, চন্দ্র-সূর্য, প্রাণীজগৎ কিছুই সৃষ্টি হত না। বলা যায় মুহাম্মদের জন্যই মানুষ। তাই তাকে ব্যাঙ্গ করা কোনভাবেই ক্ষমার যোগ্য নয়...

কটূক্তি ২৪- তারমানে সব মানুষের আগমন হয়েছিল মুহাম্মদের কারনে। তাহলে মুহাম্মদের আগমন হয়েছিল কেন?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন মুহাম্মদ আসার আগে সমগ্র মানব জাতি জাহেলিয়াতের আঁধারে ডুবে ছিল। তিনি না আসলে মানব জাতি আজো বর্বর রয়ে যেত। মানুষকে রক্ষা করতেই মুহাম্মদের  আগমন। তাই বলা যায় মানুষের জন্যই মুহাম্মদ ...


ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ২৫ - মুমিনরা সবসময়ই দাবী করে নাস্তিকরা ইসলাম সম্পর্কে কিছু না জেনেই সমালোচনা করে। অথচ অধিকাংশ মুসলিম থেকেই নাস্তিকরা ইসলাম সম্পর্কে বেশি জান।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন অধিকাংশ মুসলিমরাই জাগতিক ভোগে মত্ত হয়ে ইসলামী জ্ঞান থেকে দুরে সরে গেছে। তাই তাদের জানার সাথে তুলনা সঠিক নয়। আপনাদের হক্কানি আলেমদের কাছ থেকে ইসলাম সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলেই প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে প্রকৃত ধারনা অর্জন করতে পারবেন। জাগতিক যে কোন বিষয়েই যেমন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক প্রয়োজন তেমনি ইসলাম সম্পর্কে জানতেও আলেম ওলামাদের সাহচর্য প্রয়োজন।

কটূক্তি ২৬ - কিন্তু আলেম-ওলামাদের বক্তব্য, ওয়াজ-মাহফিল শুনলে এবং তাদের কর্মকাণ্ড দেখলে তো বোঝা যায় নাস্তিকরা ইসলাম সম্পর্কে যে অভিযোগ করে সেগুলোই সত্যি।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন বর্তমান যুগে সহি আলেম-ওলামা বলতে কেউ নেই। জাগতিক ভোগে মত্ত হয়ে এরা সবাই ধর্ম ব্যাবসায়ী হয়ে গেছে এবং ধর্মকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। কিন্তু এসব গুটিকয়েক মোল্লার দায় কেন ইসলামের ঘাড়ে চাপাবেন? নিজের বিবেক অনুযায়ী কোরআন-হাদীস পড়ুন। তাহলেই প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ২৭ - কোরআন যে আল্লাহর বানী কোরআন ব্যাতিত আর কোন প্রমান আছে?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ মুহাম্মদ নিজ মুখে বলেছেন কোরআন আল্লাহর বানী। যেহেতু মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল তাই তার কথা সত্য।

কটূক্তি ২৮ - মুহাম্মদ যে আল্লাহর রসূল তার প্রমান কি?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ কেন কোরআন? কোরানেই লেখা আছে মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল। আর যেহেতু কোরআন আল্লাহর বানী তাই কোরআনের বক্তব্য সত্য।

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ২৯ - মুসলিমদের দাবী ইসলাম নাকি মানবিক ধর্ম। অথচ কোরআন-হাদীস পড়লে অনেক অমানবিক, বর্বর বিধান দেখা যায়। তাহলে কিভাবে ইসলাম মানবতার ধর্ম হয়?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন ইসলাম শতভাগ বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারো পক্ষেই শতভাগ নির্ভুল বিজ্ঞান সম্মত ধর্ম প্রবর্তন করা সম্ভব নয়। আর আল্লাহ প্রদত্ত ধর্মে কোন বর্বরতা থাকতেই পারে না। মূলত বর্বর প্রথাগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে মানুষের দ্বারা। তাই ইসলামের মধ্যে যেসমস্ত বিধান বর্বর সেগুলো মানুষের বিকৃতি ধরে বাতিল করে দিতে হবে। সুতরাং ইসলাম অবশ্যই মানবতার ধর্ম।

কটূক্তি ৩০ - শতভাগ বিজ্ঞানসম্মত দাবী করলেও কোরানের অনেক আয়াত এবং অনেক হাদীস আছে যেগুলো বিজ্ঞান বিরোধী। তাহলে কিভাবে ইসলাম শতভাগ বিজ্ঞান সম্মত ধর্ম হয়?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ ইসলাম হচ্ছে শতভাগ মানবিক ধর্ম। আর এত পূর্ণাঙ্গ মানবিক ধর্ম আল্লাহ ছাড়া কারো পক্ষে প্রবর্তন করা সম্ভব নয়। আর আল্লাহ প্রদত্ত ধর্মে কোন অবৈজ্ঞানিক তথ্য থাকতেই পারে না। মূলত অবৈজ্ঞানিক হাদীসগুলো মানুষ কর্তৃক সংযোজিত ধরে বাতিলযোগ্য। আর কোরানে কোন অবৈজ্ঞানিক আয়াত নেই। তবে অর্থ পরিবর্তনের কারনে অনেক আয়াত অবৈজ্ঞানিক মনে হতে পারে। সেগুলোকে যথার্থ অর্থ দ্বারা প্রতিস্থাপন করলেই ইসলাম শতভাগ বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম বলে প্রমানিত হবে।