Main Menu

Islam-er-tin-siddhanto

Started by DarkHorus, March 17, 2014, 04:27:47 PM

Previous topic - Next topic

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

DarkHorus

Page - 12




বা আধ্যাত্মিক উন্নতির স্থান হিসাবেই চিরকাল মন্দিরকে ব্যবহার করে এসেছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন। তার থেকেও বড় কথা হল, আল্লা যে সমস্ত হীন কাজের মন্ত্রণা দেন হিন্দুর দেবতারা সেইসব হীন কাজকে তামসিক আসুরিক কাজ বলে ঘৃণা করেন। তাই সেই সব হীন কাজ বা হীন কাজের মন্ত্রণা হিন্দুর মন্দিরে কখনো সম্ভব নয়।


নবী মহম্মদের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
ইসলামের সঙ্গে নবী মহম্মদের জীবন এত অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত যে তাঁর জীবনী না জানলে ইসলাম বিষয়ে জ্ঞান সম্পূর্ণ হয় না। বিগত ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের ২৯শে আগষ্ট বা ১২ই রবিউল, সোমবার, মক্কা নগরীর সুগুল্লাইল এলাকায় নবী হজরৎ মহম্মদের জন্ম হয়।
মহম্মদ তার জীবনে যে সব কীর্তি রেখে গিয়েছেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সমগ্র পৃথিবীকে নর রক্তে কর্দমাক্ত করার জন্য ইসলাম নামক এক বর্বর তত্ব আবিষ্কার করা, আরবের কাফেরদের গণহত্যা, ৮০০ কুরাইজা ইহুদীর গণহত্যা, খয়বর আক্রমণ করে নজির গোষ্ঠির ইহুদীদের গণহত্যা, ৮ জন উকল বেদুইনের বীভৎস হত্যা, বিদায় হজের সময় এক নাগাড়ে ৬৩টা উট কোরবানী, ৫২ বছর বয়সে ছয় বছরের শিশু আয়েশাকে নিকা, ৫৮ বছর বয়সে পালিত পুত্র যায়েদের ৩৫ বছর বয়স্কা পত্নী জয়নবকে নিকা এবং উপপত্নী মরিয়া সহ ১২ জন পত্নীর হারেম তৈরী করা।

মক্কায় এক নাগাড়ে ১৫ বছর খাদিজার সঙ্গে নিষ্ঠার সাথে ঘর করার ফলে অনেকের মনে হতে পারে যে, নবী বুঝি খুব সাত্বিক প্রকৃতির লোক ছিলেন। কিন্তু আসল ব্যাপার হল ইচ্ছা থাকা সত্বেও তাঁর পক্ষে তখন দ্বিতীয় কোন পত্নী গ্রহণ করা সম্ভব ছিল না। কারপ তিনি ছিলেন খাদিজার আশ্রিত। মদিনায় আসার পর খাদিজার মৃত্যু তাঁকে দিল বহু আকাঙ্খিত মুক্তি। তখন থেকেই নবী একের পর এক নিকা করতে লাগলেন। হিজরীর প্রথম বছরে বন্ধু আবুবকরের কন্যা ৬ বছরের শিশু আয়েশাকে, তৃতীয় বছরে হাফসা ও জয়নবকে চতুর্থ বছরে হিন্দকে, পঞ্চম বছরে পালিত পুত্র যায়েদের স্ত্রী জয়বনকে এবং জয়েরিয়া নাম্নী ক্রীতদাসীকে এবং সপ্তম বছরে উন্মে হাবিবা, সাফিয়া, মাইমুনা ও মিসরীয় ক্রীতদাসী মারিয়াকে নিকা করে ১২জন বিবির হারেম তৈরি করলেন। মহম্মদ পালা করে এক এক বিবির ঘরে রাত কাটাতেন। মহম্মদ বলতেন যে, ফেরেস্তা জিব্রাইল তাঁকে একদিন একবাটি আরক দেয় এবং তা পান করে মহম্মদের যৌন ক্ষমতা চল্লিশ জন মানুষের সমান হয়ে যায়।
হিন্দু ধার্মিক ব্যক্তিরা মরার সময় ভগবানের নাম করতে করতে মরবেন, এটাই স্বাভাবিক। গীতা বলছে, যে যা চিন্তা করতে করতে মারা যাবে, পরের জন্মে সে তাই হয়ে জন্মাবে। তাই আরবের নবী মহম্মদ কি ভাবে ইন্তেকাল করেছেন তা জানতে পাঠকের কৌতূহল জাগা স্বাভাবিক।
নবী মহম্মদের মৃত্যু বর্ণনা করতে বিবি আয়েশা বলেছেন- 'আল্লার রসুল আমার পালার দিন, আমার ঘরে, আমার কোলে মাথা রেখে ইন্তেকাল করেছেন, এবৎ মৃত্যু কালে তাঁর লালা ও আমার লালা তখন মেশামেশি হয়ে গিয়েছিল। একজন কামনা-তাড়িত লোকেরই এভাবে মৃত্যু হওয়া স্বাভাবিক। কোন হিন্দু ধার্মিক বাক্তি এই ভাবে মারা গিয়েছেন বলে শোনা যায়নি।

উপসংহার
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটাই পরিষ্কার হচ্ছে যে, হিন্দুরা যাকে ধর্ম বলে জানে, ইসলাম সে রকম কোন ধর্ম নয়, ইসলাম হল একটি রাজনৈতিক মতবাদ। আজ যদি এই ভারতে মুসলিম শাসন প্রবর্তিত হয় বা এই ভারতবর্ষ মুসলমানদের হাতে চলে যায়, তবে একটি হিন্দু মন্দিরও রক্ষা পাবে না। সমস্ত হিন্দুগ্রন্থ ভস্মীভূত হবে এবং ভারতবর্ষ থেকে মানবিকতা বিদায় নেবে। তাই সমস্ত হিন্দুর অবশ্য কর্তব্য হল ইসলামকে বুঝতে চেষ্টা করা। ইসলামের আক্রমণাত্মক দিকটিকে অনুধাবন করা। তবেই সে তার বিরুদ্ধে সঠিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং হিন্দুধর্ম ও হিন্দু সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে পারবে।

DarkHorus

Page -13




(অপমানজনক জিজিয়া)

একদিন মুঘিসুদ্দীন নামে এক কাজী আলাউদ্দীন খিলজির রাজ সভায় আসে। আলাউদ্দিন তখন সেই কাজীকে জিজ্ঞাসা করল, 'খরজ গৌজার' (বা জিজিয়া প্রদানকারী) এবং 'খরজ দিহ্‌' (বশ্যতার নিদর্শন স্বরূপ কর প্রদানকারী) হিন্দুদের সঙ্গে ইসলামী শাস্ত্র মুসলমানদের কি রকম ব্যবহার করতে নির্দেশ করে?"  জবাবে মুঘিসুদ্দিন বলে, 'তারা হল জিজিয়া প্রদানকারী জিম্মী। জিজিয়া আদায়কারী মুসলমান কর্মচারী তাদের কাছে রৌপ্যমুদ্রা দাবি করলে তাদের উচিত হবে সসম্মানে ও বিনয়ের সাথে স্বর্ণমূদ্রা প্রদান করা। সেই কর আদায়কারী যদি রেগে গিয়ে তাদের দিকে নোংরা বা ধুলো ছুঁড়ে,মারে তবে তাদের উচিত হবে হাঁ করে তা গিলে ফেলা। এভাবেই তারা সেই কর আদায়কারীকে সম্মান দেখাবে। এইভাবে বিনয়ের সাথে কর দিয়ে এবং বিনা প্রতিবাদে নোংরা গিলে তারা বশ্যতার প্রমাণ  দেবে এবং এর মধ্য দিয়েই ইসলামের গৌরব ও মেকি ধর্মের (অর্থাৎ হিন্দুধর্মের) হীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে। স্বয়ং আল্লা তাদের ঘৃণা করেন এবং বলেন, 'তাদের সবর্দা পরাধীন করে রাখ"। হিন্দুদের এইভাবে সদা সর্বদা হীন করে রাখাই আমাদের ধর্মীয় কর্তব্য, কারণ তারা আল্লার রসুলের অর্থাৎ নবী মহম্মদের চিরস্থায়ী শক্র। তা ছাডা আল্লার রসুল আমাদের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন, "তাদের হত্যা কর, লুন্ঠন কর এবং তাদের ক্রীতদাসে পরিণত কর। তিনি বলে গিয়েছেন "তাদের হত্যা কর অথবা ধর্মান্তরিত কর, তাদের যথাসর্বস্ব লুঠ কর এবং দাসত্ব করতে বাধ্য কর।"
ইসলামের মহান ঢীকাকার হানিফার মত হল, "হিন্দুদের উপর জিজিয়া। চাপিয়ে দাও"(অর্থাৎ তাদের জিম্মি করে রাখো।)। আমরা সেই মহান হানিফাকেই অনুসরণ করি। অন্যান্য টীকাকারদের মতে হিন্দুদের সামনে দুটো রাস্তা, হয় ইসলাম, নয় মৃত্যু। " জিয়াউদ্দিন বারনী, তারিখ-ই-ফিরোজশাহী। বিগত ৭০০/৮০০ বছরের মুসলমান পরাধীনতার আমলে হিন্দুরা কি বিড়ম্বনাময় জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়েছে, উপরিউক্ত কথোপকথন তার একটি প্রামান্য দলিল। অধিক জানতে হলে কৌতুহলী পাঠক এই লেখকের 'মিথ্যার আবরণে দিল্লী আগ্রা ফতেপুর সিক্রি" দেখতে পারেন।