নাস্তিকদের কটূক্তির দাঁত ভাঙা জবাব

Started by ওয়াশিকুর বাবু, December 01, 2013, 09:57:12 AM

Previous topic - Next topic

0 Members and 2 Guests are viewing this topic.

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ৩১ - ইসলামের সমালোচনা করলে মুসলিমরা সমালোচনাকারীকে ছদ্মবেশী হিন্দু বলে দাবী করে। এই ছাড়াও অভিযোগ করে এসব সমালোচনা খ্রিষ্টান মিশনারীদের তৈরি। কিন্তু সমালোচক হিন্দু, খ্রীস্টান বা অমুসলিম হলেই বা সমস্যা কোথায়? তারাও তো মানুষ।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন মুসলিমরাই ইসলামের অনুসারী। অমুসলিমদের ইসলামের সমালোচনা করার কোন এখতিয়ার নেই। তারা যে ধর্ম পালন করছে সেই ধর্মের সমালোচনা করে না কেন? নিজ ধর্ম বাদ দিয়ে অন্য ধর্মের সমালোচনা করাটা অনধিকার চর্চা এবং অগ্রহনযোগ্য।

কটূক্তি ৩২ - অমুসলিম মনিষীগণ ইসলাম বা মুহাম্মদের কোন প্রশংসা করলে মুসলিমরা এত উৎফুল্ল হয় কেন?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ ইসলাম শুধুই মুসলমানদের জন্য আসেনি। বৃহত্তর মানব কল্যান সাধনের জন্যই আল্লাহ নবীকে দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অমুসলিমরাও যখন ইসলামের সত্যতা উপলব্ধি করে তখনই তারা প্রশংসা করে। এটা মুসলিমদের জন্য একটা বিজয়।

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ৩৩ - মুমিনরা সবসময়ই ধর্ষণের পেছনে বেপর্দা, নারী স্বাধীনতা ইত্যাদি কারন খুঁজে বেড়ায়। এতে কি প্রকারান্তরে ধর্ষককে উৎসাহিত করা হচ্ছে না? ধর্ষক এগুলো ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন কেউ ইচ্ছে করে ধর্ষক হয় না। ধর্ষণের পেছনে দায়ী তথাকথিত নারী স্বাধীনতার নামে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, নারী পুরুষ অবাধ বিচরন। মূলত মানুষ যতই ইসলাম থেকে দুরে সরে যাচ্ছে ততই ধর্ষণ বাড়ছে। এক্ষেত্রে মূল কারনগুলো না বের করে শুধু ধর্ষকের সমালোচনা করে ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়।

কটূক্তি ৩৪ - ধর্মের নামে অনেক বিধর্মী নারীদেরকে ধর্ষণ করা হয় গণিমতের মাল আখ্যায়িত করে। এছাড়াও মোল্লারা প্রায়ই শিশু ধর্ষণ করে। এক্ষেত্রে কেন ধর্মের সমালোচনা করা হয় না?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন একটা ধর্ষণের জন্য ধর্ষকই মূলত অপরাধী। এক্ষেত্রে কেউ কেউ ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করতে চাইলে সেটা ধর্মের দোষ হবে কেন?

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ৩৫ - মানুষ সহ এই পৃথিবী বা পুরো মহাবিশ্ব যে আল্লাহ সৃষ্টি করেছে তার প্রমান কি?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ কোন কিছুই আপনা আপনি সৃষ্টি হতে পারেনা। সবকিছুরই স্রষ্টা আছে। এই যে আপনি সুন্দর জামা-কাপড় পড়েছেন তা কি আপনা আপনি তৈরি হয়েছে না কেউ তৈরি করেছে? সামান্য জামা-কাপড়েরও যেখানে প্রস্তুতকর্তা আছে সেখানে তার চেয়ে অনেক গুন জটিল এবং বৃহৎ এই মহাবিশ্বেরও অবশ্যই একজন স্রষ্টা আছেন। আর তিনিই আল্লাহ।

কটূক্তি ৩৬ - সব কিছুর যদি একজন স্রষ্টা থাকতে হয় তাহলে আল্লাহ্‌র স্রষ্টা কে?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ সব কিছুরই যে স্রষ্টা থাকতে হবে এটা ভুল ধারনা। কোথাও থেকে তো শুরু ধরতে হবে। সেই শুরুটা আল্লাহ। আল্লাহ স্বয়ম্ভু। তাই তাঁর কোন স্রষ্টা নেই।

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ৩৭ – আল্লাহ ভবিষ্যৎদ্রষ্টা তারমানে কোন মানুষ অপরাধ করবে তা আল্লাহ আগে থেকেই জানেন। যেহেতু মানুষের আল্লাহর জানার বাইরে যাবার ক্ষমতা নেই তাহলে মানুষ কেন পাপের শাস্তি পাবে?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন আল্লাহ বান্দার ভবিষ্যৎ জানেন ঠিকই কিন্তু বান্দা পাপ করবে না পূন্য করবে সেটা বান্দা নিজেই নির্ধারণ করে। তাই পাপের শাস্তি বান্দার প্রাপ্য।

কটূক্তি ৩৮ – যদি মানুষের স্বাধীনতা থাকে নিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করার তাহলে আল্লাহ ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা হয় কিভাবে?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ বান্দা পাপ পুণ্যের পথ নির্ধারণ করে ঠিকই তবে আল্লাহ ভাল মতই জানেন কোন পথে যাবে বান্দা। অবশ্যই আল্লাহ ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা।

ওয়াশিকুর বাবু

#19
কটূক্তি ৩৯ – কোরানের হিংস্র আয়াতগুলো উপস্থাপন করলেই মুমিনরা বলে এই আয়াতের শানে নুযুল জানতে হবে; বিচ্ছিন্ন ভাবে একটা আয়াত দিলে হবে না। ওই আয়াতে কি বলা আছে সেটাই কি এর অর্থ বুঝতে যথেষ্ট নয়?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন কোরান বোঝা এত সহজ নয়। এই জন্য কোন প্রেক্ষিতে কোন আয়াত নাজিল হয়েছে এবং এর আগে পরে কি আয়াত আছে তা অবশ্যই জানতে হবে। নাহলে বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যার আশঙ্কা থাকে।

কটূক্তি ৪০ – মুমিনরা কোন শানে নুযুল বা আগে পরের আয়াত ছাড়াই কোরানের শান্তিপূর্ণ আয়াত গুলো প্রচার করে।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ আল্লাহ নিজেই বলেছেন,- ''আমি কোরাণ তোমাদের জন্য সহজ করে নাজিল করেছি যেন তোমরা তা বুঝতে পারো।'' যেখানে সরল ভাবেই অর্থ বোঝা যায় সেখানে শুধু শুধু শানে নুযুল, আগে পরের আয়াত এনে প্যাঁচানোর কি আছে?

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ৪১ – ইসলামে যা যা বিশ্বাস করতে বলা হয় এবং এর স্বপক্ষে যেসব প্রমান দেখানো হয় তাঁর সবই মুহাম্মদের মুখ নিঃসৃত। এছাড়া আর কোন প্রমান নেই। তাহলে কিভাবে বুঝব মুহাম্মদ সত্যি বলেছে?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ চোদ্দশত বছর ধরে শত শত কোটি মুসলিম উম্মাহ নবীজিকে বিশ্বাস করে আসছে। মিথ্যাবাদীর এত মানুষের বিশ্বাস রাখা সম্ভব হত না। এটাই প্রমান করে যে মুহাম্মদ(সঃ) সত্য বলেছেন।

কটূক্তি ৪২ – কয়েকশ কোটি মানুষ হাজার বছর ধরে বিশ্বাস করে আসছে যীশু ঈশ্বরের পুত্র, কৃষ্ণ একজন অবতার। বিশ্বাসীদের সংখ্যা দেখেই কি এসবে বিশ্বাস করতে হবে।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ কয়েকশ কোটি মানুষ বিশ্বাস করলেই যে কিছু সত্য হয়ে যাবে তাঁর কোন যুক্তি নেই। বিশ্বাস ছাড়া কি আদৌ কোন প্রমান আছে তাদের বিশ্বাসের স্বপক্ষে?

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ৪৩ – মুসলিমরা বলে ইসলাম নাকি বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম। অথচ মেরাজ, চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করা সহ অনেক বিষয় আছে ইসলাম ধর্মে যেগুলো মোটেও বিজ্ঞানসম্মত নয়। তাহলে কিভাবে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করব?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ অনেক বিষয় আছে যেগুলো বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। এগুলো ঐশী পরিকল্পনার অংশ। আল্লাহর পক্ষে সবই সম্ভব এই বিশ্বাস রাখতে হবে।

কটূক্তি ৪৪ – যদি চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে হয় তাহলে তো যে কোন ধর্মেই বিশ্বাস স্থাপন করা যায়।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ চোখ বুজে বিশ্বাস করতে হবে কেন? যে ধর্ম বেশি সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞান্সম্মত সেই ধর্মই গ্রহন করতে হবে। ইনশাল্লাহ ইসলাম ধর্মই পৃথিবীর সবচেয়ে বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম।

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ৪৫ – জান্নাতে পুরুষদের জন্য ৭২ টা হুর বা যৌনসঙ্গিনী রাখা হয়েছে। এর পরও তাদের জন্য গেলমান বা বালক যৌনসঙ্গী ব্যাবস্থা আছে। এটা কি বিকৃত শিশুকামীতার উদাহরন নয়?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন কোথায় বলা হয় নি গেলমানরা যৌনসঙ্গী। তাদের রাখা হয়েছে জান্নাতীদের খেদমতের জন্য। নাস্তিকরা মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে ইসলামকে বিকৃত করে।

কটূক্তি ৪৬ – পুরুষদের কামনা পূরনের জন্য স্ত্রীর পাশাপাশি ৭২ টা হুর আছে। অথচ নারীর জন্য এমন কোন ব্যাবস্থা নেই। কোন নারীর স্বামী যদি জান্নাতে না যায় তাহলে তো তাকে একা কাটাতে হবে। এতে কি নারীকে বঞ্চিত করা হয় নি?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ ইসলামে নারীর পূর্ণ যৌন অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের চাহিদা পূরনের জন্য গেলমানদের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। নাস্তিকরা নারীবাদী সেজে ধোঁকা দিয়ে নারীদের ইসলাম তথা জান্নাত থেকে বঞ্চিত করতে চায়।

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ৪৭ – মুসলিম অধ্যুষিত বেশিরভাগ দেশেই বিধর্মীদের মূর্তি বা উপাসনালয় ভেঙে ফেলা হয়েছে এখনো হচ্ছে। অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীলতা এত কম কেন?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ যারা অন্ধবিশ্বাসে আক্রান্ত তাদের চোখ খুলে দেবার জন্য এ ছাড়া আর কোনো পথ আছে কি? কখনো দেখেছেন ওদের কথিত দেবতারা এসব ঠেকাতে পেরেছে? বরং এর পূজারীরাই ঠেকাতে চেষ্টা করেছে। এতেই প্রমানিত হয় কথিত দেবতাদের কোন শক্তি নেই।

কটূক্তি ৪৮ – কোথায় কোন মসজিদ ভাঙলে মুসলিমরা প্রতিবাদ করে কেন? তাঁরা কেন আল্লাহর প্রতিরোধের আশায় বসে থাকে না? আল্লাহ সর্বশক্তিমান হলে তো নিজেই মসজিদ ভাঙা ঠেকাতেন।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ মহান আল্লাহ মানুষকে তাঁর খলিফা অর্থাৎ প্রতিনিধি হিসাবে দুনিয়ায় রেখেছেন। অবশ্যই আল্লাহ সর্বশক্তিমান। কিন্তু কতিপয় বিধর্মীদের কাছে তিনি নিজ শক্তির পরীক্ষা দিবেন না। এর জন্য মুসলিমদের ঈমানী শক্তিই যথেষ্ট।

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ৪৯ – ধার্মিকরা এখন নিজেদের ধর্মকে বৈজ্ঞানিক হিসেবে দাবী করে। কিন্তু স্রষ্টার অস্তিত্বের স্বপক্ষে কি বিজ্ঞানসম্মত কোন প্রমান দিতে পারবে তারা?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ স্টিফেন হকিংএর মত একজন বিজ্ঞানী তাঁর 'অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম' গ্রন্থে স্রষ্টার অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। তাঁর মানে স্রষ্টাকে কাল্পনিক বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

কটূক্তি ৫০ – স্টিফেন হকিং কাব্যিক উপমা হিসেবে ঈশ্বরের নাম ব্যাবহার করেছিলেন। কিন্তু 'দ্য গ্রান্ড ডিজাইন' গ্রন্থে তিনি ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন। তাহলে ধার্মিকরা কেন এখনো কাল্পনিক স্রষ্টার আরাধনা করে?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ স্রষ্টা মানুষের অনুধাবনের বাইরে। তিনি না চাইলে কোন বিজ্ঞানীর পক্ষেই তাঁর অস্তিত্ব বের করা সম্ভব না। আর হকিং তো একটা পাগল। ওর মত পাগলের-ছাগলের কথায় স্রষ্টার অস্তিত্ব অপ্রমানিত হয় না। ওকে পাগলাগারদে রেখে চিকিৎসা করানো উচিৎ।

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ৫১ – কোরানে সূরা লূক্বমান ৩৪ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, গর্ভের সন্তান কি হবে তা একমাত্র আল্লাহ জানে। কিন্তু বর্তমানে গর্ভাবস্থায় সন্তানের লিঙ্গ নির্ণয় করা সম্ভব। এতে কি কোরআন ভুল প্রমানিত হয় না?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ উক্ত আয়াতে মোটেও লিঙ্গের দিকে ইঙ্গিত করা হয় নি। ঈঙ্গিত করা হয়েছে বাচ্চার চরিত্র কী হবে। সে কি পুণ্যবান হবে না পাপী হবে, সে জান্নাতে যাবে না জাহান্নামে। নাস্তিকরা মিথ্যা তাফসির নিয়ে আসে কোরনের ভুল ধরার জন্য।

কটূক্তি ৫২ – ৩১ঃ৩৪ আয়াতের অর্থ যদি হয়, সন্তানের চরিত্র সম্পর্কে আল্লাহ সব জানেন তাহলে সন্তানের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে দায়ী করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? তার তো আল্লাহর জানা পথের বাইরে যাবার ক্ষমতা নেই।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ আসলে উক্ত আয়াতে সন্তানের লিঙ্গের কথা বলা হয়েছে। যদিও বর্তমানে মাতৃজঠরে গঠন পূর্ণ হবার পর ছেলে না মেয়ে তা জানা যায় কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা ভ্রুন অবস্থাতেই জানেন সন্তানের লিঙ্গ কি। নাস্তিকরা এই সরল বিষয়টি অযথা প্যাঁচায় মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার জন্য।

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ৫৩ – মুসলিমরা ইহুদী, খ্রিস্টানদের প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণা পোষণ করে, তাদের নাম গালি হিসেবে উচ্চারন করে। যদিও অনেক ইহুদী, খ্রিস্টান ধর্মান্ধ কিন্তু তাদের জন্য পুরো সম্প্রদায়কে ঘৃণা করা কিভাবে গ্রহনযোগ্য হতে পারে?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ ইহুদী নাসারারা সবসময়ই ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি ষড়যন্ত্র করে এসেছে। হতে পারে সবাই খারাপ না কিন্তু তারা একই ধর্মের অনুসারী। যারা ভাল তাদের উচিৎ ঘৃণিত ধর্ম ত্যাগ করা।

কটূক্তি ৫৪ – ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে, জিহাদের নামে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে সেসব জঙ্গীদের মুসলিম সন্ত্রাসী বললে মুসলিমরা আপত্তি করে কেন?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন গুটিকয়েক মুসলিম নামধারী জঙ্গীদের জন্য সমগ্র মুসলিমজাতিকে দায়ী করা কখনোই গ্রহনযোগ্য নয়। দুনিয়ার সকল মুসলিম খারাপ নয়, যারা খারাপ তাদের দায় সবাই নিবে কেন? এরকম সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানো কখনোই গ্রহনযোগ্য নয়।

Jupiter Joyprakash

ভ্রূণ অবস্থায় কেন? তার চেয়েও আগে DNA test করে মানুষেও তো বলে দিতে পারে।  ;D
Quote from: ওয়াশিকুর বাবু on February 17, 2014, 06:27:24 AM
কটূক্তি ৫১ – কোরানে সূরা লূক্বমান ৩৪ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, গর্ভের সন্তান কি হবে তা একমাত্র আল্লাহ জানে। কিন্তু বর্তমানে গর্ভাবস্থায় সন্তানের লিঙ্গ নির্ণয় করা সম্ভব। এতে কি কোরআন ভুল প্রমানিত হয় না?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ উক্ত আয়াতে মোটেও লিঙ্গের দিকে ইঙ্গিত করা হয় নি। ঈঙ্গিত করা হয়েছে বাচ্চার চরিত্র কী হবে। সে কি পুণ্যবান হবে না পাপী হবে, সে জান্নাতে যাবে না জাহান্নামে। নাস্তিকরা মিথ্যা তাফসির নিয়ে আসে কোরনের ভুল ধরার জন্য।

কটূক্তি ৫২ – ৩১ঃ৩৪ আয়াতের অর্থ যদি হয়, সন্তানের চরিত্র সম্পর্কে আল্লাহ সব জানেন তাহলে সন্তানের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে দায়ী করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? তার তো আল্লাহর জানা পথের বাইরে যাবার ক্ষমতা নেই।

দাঁত ভাঙা জবাবঃ আসলে উক্ত আয়াতে সন্তানের লিঙ্গের কথা বলা হয়েছে। যদিও বর্তমানে মাতৃজঠরে গঠন পূর্ণ হবার পর ছেলে না মেয়ে তা জানা যায় কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা ভ্রুন অবস্থাতেই জানেন সন্তানের লিঙ্গ কি। নাস্তিকরা এই সরল বিষয়টি অযথা প্যাঁচায় মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার জন্য।


ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ৫৫ – ইসলামিক রাষ্ট্রে অমুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার নেই কেন? কেন অমুসলিমদের উপাসনালয় তৈরি করার অনুমতি দেওয়া হয় না?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ দেখুন দুইয়ে দুইয়ে চার যেমন সত্য ইসলামও তেমন সত্য ধর্ম। আল্লাহ কোরানে বলেছেন তিনি অন্য কোন ধর্ম গ্রহন করবেননা। কেউ যদি বলে দুইয়ে দুইয়ে তিন তাহলে কি আপনি তাকে শিক্ষক হিসেবে গ্রহন করবেন? ইসলামিক রাষ্ট্রেও তাই অমুসলিমদের প্রকাশ্যে মিথ্যা ধর্ম পালনের অধিকার নেই। তবে তারা তাদের গৃহে ধর্ম পালন করতে পারে।

কটূক্তি ৫৬ – মুসলিমরা কেন অমুসলিম প্রধান রাস্ট্রেও ধর্মীয় অধিকার চায়? মসজিদ বানাতে চায়?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ অমুসলিমরা তাদের ধর্মীয় সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত নয়, কিন্তু মুসলিমরা ইসলামের সত্যতা সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত। তাই আল্লাহ্‌র জমিনে যে কোন জায়গায় মুসলিমদের ধর্ম পালনের অধিকার আছে।

ওয়াশিকুর বাবু

কটূক্তি ৫৭ – একজন বিজ্ঞানী'র কর্মের সাথে তার ধর্মীয় পরিচয়ের কোন সম্পর্ক নেই। তবু কেন মুসলিম বিজ্ঞানী বলা হয়? তাদের গবেষণার সাথে ব্যাক্তিগত ধর্মের সম্পর্ক কী?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ মুসলিম মানে ইসলামের অনুসারী। সবসময়ই অভিযোগ করা হয় ইসলাম নাকি জ্ঞান বিমুখ করে রাখে মানুষকে। এই অভিযোগ আদৌ সত্য নয়। ইসলাম মানুষকে জ্ঞান চর্চার প্রতি আগ্রহী করে তার প্রমান মুসলিম বিজ্ঞানীগণ।

কটূক্তি ৫৮ – আইনস্টাইন, নিউটন, হকিং'দেরকে কি তাহলে ইহুদী বা খ্রিস্টান বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচয় দেওয়া হবে?

দাঁত ভাঙা জবাবঃ একজন বিজ্ঞানীর কর্মের সাথে তার ধর্মীয় পরিচয়ের কোন সম্পর্ক নেই। এমনতো নয় তারা ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে কিছু আবিষ্কার করেছে। তাহলে শুধু শুধু কেন তাদের ইহুদী বা খ্রিস্টান বিজ্ঞানী বলা হবে?