Menu

Show posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.

Show posts Menu

Messages - Jupiter Joyprakash

#31
Poetry / মহাকবি
October 27, 2014, 06:30:35 PM
মহাকবি

********************

ইচ্ছে ছিল কাব্য লিখে মস্ত বড় কবি হয়ে
আমিও পাব নোবেল প্রাইজ ভবিষ্যতের 'রবি' হয়ে
হাজার লোকের ঘরে ঘরে
দেয়াল থেকে পেরেক ধরে
দুলব আমি বাত্তাস খেয়ে ক্যালেন্ডারের ছবি হয়ে।।

মনের ছবি আঁকি খাতায় কলম দিয়ে, নাই তুলি
ভাবের ঝোঁকে সাদা কাগজ আঁধার করে তাই তুলি
মগজ যখন লাগে ফাঁকা
বন্ধ করে পেনের ঢাকা
দুহাত দিয়ে মুখের কাছে চুটকি মেরে হাই তুলি।।

মাথা যখন ভর্তি থাকে কেবল লিখে যাই হরি
ঘুমের সময় ঘুমাই শুধু, খাবার সময় খাই হরি
এরই মাঝে খাতার 'পরে
দোয়াত গেল উলটে পড়ে
কাব্য হল কালিবরণ, উপায় কিছু নাই হরি।।

সেদিন থেকে অনের মাঝে জপছি শুধু "জয় কালি"
তোমায় ছাড়া কাব্য বলো কেমন করে হয় কালি!
কোনোক্রমে কাগজ ছেড়ে
বোতল মাঝে এসো ফিরে
একটু কৃপা করো আমায় নইলে যে আর নয় কালি!!

এমনি করেই হারিয়ে গেছে কাব্য লেখার খেইটুকু
টুকরো কিছু লিখি আজও, মাথায় আছে যেইটুকু
বলার কথা আছে কত
কে আর বসে শুনবে অত
বাধ্য হয়ে থামতে হল বলে কেবল এইটুকু
"যেসব কথা বলার ছিল রইল বাকি সেইটুকু"।।
#32
Poetry / গান
October 27, 2014, 06:16:09 PM
গান ( উৎসর্গ - ফ্লোরা )
**************
নামিলো নয়নে বেদম ঘুম-ঘোর।
আহাঃ নামিলো নয়নে-এ এ এ
নামিলো নয়নে বেদম ঘুম-ঘোর।

যত জোর, যত জোর জোর জোর
ডাকাডাকি করো যত জোর
ঘরেতে আসে যদি চোর
কিছুতে জাগিব না আমি
না হলে বিভাবরী ভোর।। (ঘুমঘোর)

এত কেন ডাকাডাকি তোর!
আকাশে গলা তুলে শোর
সকালে এ এ এ এ এ  এ এ এ
সকালে দেখা দিতে এলে
আপনি খোলা পাবি দোর।। ঘুমঘোর,
নামিলো নয়নে বেদম ঘুম-ঘোর।

বাহিরেই ঘোরা ঘুরি কর
দুয়ারে মাথা ঠুকে মর
যদি না, ওরে য দি নাআআআআ
যদিনা ধরে কেহ এসে,
যদি না বলে কেহ চোর।। ঘুমঘোর,
নামিলো নয়নে বেদম ঘুম-ঘোর।
#33
Poetry / চাঁদ
October 27, 2014, 06:11:51 PM
পাশের বাড়ির ছাদে  কে বসে ওই কাঁদে?
দেখতে গেলে পড়তে পারি হয়তো কোনো ফাঁদে।

ফাঁদে পড়া পছন্দ নয় জানতে তবু ইচ্ছে তো হয়
ওপর থেকে দেখবো বলে চাইছি যেতে চাঁদে।

চাঁদের গাড়ির টিকিট কেটে, যাচ্ছি যখন এয়ারপোর্টে
পথের মাঝে মিছিল চলে বেদম জিন্দাবাদে।

কাউন্ট ডাউন ফিনিস করে রকেট যখন গেল উড়ে
আমি তখন পথের মাঝে ট্র্যাফিক জ্যামের ফাঁদে।

মনে এখন দুঃখ ভারি, করে আছি মুখটি হাঁড়ি
ভাবছি এবার কাঁদব বসে নিজের বাড়ির ছাদে।

ওপর থেকে দেখবে ওরা, যাচ্ছে যারা চাঁদে।।
#34
ঘরের মাঝে মশা কামড় দিল পায়
চন্দ্রভূষণের দাদুর
সিলিং থেকে এসে মাথায় দিল চাঁটি
চিমশে কেলে এক বাদুড়
দাদুও রাগ করে উঠানে বসলেন
পাতিয়া পুরাতন মাদুর
সুজ্জি মামু হেসে টাকেতে রোদ দিল
মাথা গরম হল দাদুর।

দাদুর টাকে ঘাম গড়িয়ে পড়ে পায়
চোখের চশমা যায় ভিজে
দুহাত তুলে ধরে আকাশে মেলে দেন
মুন্ডু চাপা দেন নিজে
সুবিধা না পাওয়ায় পড়ল জোর ডাক
দুষ্ট পোলাপান চাঁদুর
বেচারা রোদটাকে আটকে দিতে এল
পুরানো ছাতা নিয়ে দাদুর।

দাদুর টাক ঢেকে যেই না ছাতা খোলা
অমনি হয়ে গেল বেচাল
ছাতার মাঝে ছিল তিনটে আরশোলা
ভাবো তো কিরকম ক্যাচাল!
তাদের সাথে সাথে তিড়িং লাফ দিয়ে
বেরিয়ে এল দুই ইঁদুর
দাদুও এক দিকে চাঁদুও একদিকে
রইল পড়ে শুধু মাদুর।
#35
Poetry / তালিবানের জয়গান
October 27, 2014, 05:27:22 PM
নিশ্চিত জানিতে ওগো জগত গৌরব তালিবান
তোমরাই ভবিষ্যত, পৃথিবীর সকল সম্মান
তোমাদেরই অধিকারে চলি যাবে। আপন খেয়ালে
আঁকিয়া উজ্জ্বল চিত্র নগরের দেয়ালে দেয়ালে
তোমরাই এনে দিবে মানব নয়নে স্বপ্নছবি
...তোমাদের স্তুতিগান লিখিয়া বিখ্যাত হবে কবি।
সাথে পাবে পুরষ্কার। তোমাদেরই দয়ার সে দান
আমরা বাজাব তালি। যা' পেয়ে তোমরা তালি-বান।
#36
Poetry / বিদায়
October 27, 2014, 05:02:38 PM
তোমার সাথে প্রথম দেখায়
আকাশে শুকতারা
পুবের আলোর অরুণ রেখায়
যখন হল হারা।
চলার নেশা যখন মোরে
ডাক দিল প্রাণ আকুল করে
তখন তুমি হাতটি ধরে
ভুলিয়ে দিলে তাড়া।


সময় ভুলে তোমার সাথে
অনেক হল খেলা
এখন আমার আঁধার পথে
একলা চলার পালা।
তোমার সাথে পাহাড় চুড়ায়
উছল ঢেউয়ের ওঠা পড়ায়
আকাশ হতে আলোক হারায়
এলো সাঁঝের বেলা
এবার আমার তারায় তারায়
সূর্য খোঁজার পালা।
#37
Poetry / ফেটাল এরর
October 27, 2014, 04:50:20 PM
ফেটাল এরর (নকল কবিতা)

পাগল থামাতে চায় ফেটাল এরর।
জানালা যখনি খোলে তখনি জগত ভোলে
চক্ষু পাকায়ে করে দাঁত কড়মড়।
ওষ্ঠ অধরেতে চাপি মেশিনের মাম্মি-বাপি
তুলিয়া করিতে চাহে দুনিয়া মাথায়
তখনি স্মরণে আসে সুশীলেরা চারিপাশে
ভদ্রভাবে বাস করে (দুদুভাতু খায়)।
টেকি বুদ্ধি নাহি তার তবু নাহি মানে হার
উত্তর খুঁজিয়া ফেরে শুধু নিশিদিন
এ জগতে আজকাল বিছানো তথ্যের জাল
তবু তার প্রশ্ন রয় উত্তর বিহীন।
নাহি করে আপডেট মারিবে না ফরম্যাট
এন্টিভাইরাস শুনে লাগে তার ডর
তবু তার শখ কত ভেবে চলে অবিরত
কিভাবে তাড়ানো যায় ফেটাল এরর।



মেশিনে মেশিনে কত চলে লেন দেন
প্রত্যহ প্রত্যেক পলে কত তথ্য বয়ে চলে
ভাবিলে গুলায়ে যায় মানুষের ব্রেন
সার্ভার বিশ্রামহীন জেগে আছে রাত্রিদিন
কে কখন তার কাছে কি দাবী পাঠায়
কেহ খোঁজে পিকচার কেউ খোঁজে সফটওয়্যার
কেউ বা কানের কাছে লারেলাপ্পা চায়।
হ্যাকারের দলবল নিত্য খুঁজে ফেরে ছল
হাসিল করিয়া নিতে অন্যের ঠিকুজি
পাবে কিনা জানা নাই তবু তার খোঁজা চাই
আর সব চিন্তা ফেলে করে খোঁজাখুঁজি।
কাজের খবর নাহি কেবল খদ্দের চাহি
অর্থহীন বিজ্ঞাপনে ভরে মনিটর
সে মহাসমুদ্র তীরে পাগল খুঁজিয়া ফেরে
কিভাবে থামানো যায় ফেটাল এরর।




একদিন, যবে শুরু হল সেই খেল-
বেকুব ফিনিক্স ছাত্র না চাহিয়া কিছুমাত্র
বিনামূল্যে প্রকাশিল লিনাক্স কার্নেল।
অপূর্ব সুযোগ দেখি দলে দলে বিশ্বটেকি
আসিয়া হইল জড়ো তাহার নিকট
যাকে ভেবেছিল সবে বিনামূল্যে কিবা হবে?
সেই সারা বিশ্ব জুড়ে হইল প্রকট।
মূল্যহীন বলে যারে নাসিকা বঙ্কিম করে
ঘৃণা করেছিল যত জানালা ওস্তাদ
অপূর্ব অমূল্য বলে তাহারাই দাবী তোলে
ইহার চালনবিধি শিখিবার সাধ।
জনতার দাবীমত টেকিগণ মিলে যত
নতুন ভার্সন বের করে পর পর
পাগল দেখেনা হায় জানালার গুণ গায়
তাড়াইতে চায় শুধু ফেটাল এরর।



এতদিনে বুঝি তার ঘুচে গেছে আশ ।
খুঁজে খুঁজে ফিরে তবু বিশ্রাম না জানে কভু ,
        আশা গেছে , যায় নাই খোঁজার অভ্যাস ।
বিরহী বিহঙ্গ ডাকে সারা নিশি তরুশাখে ,
        যারে ডাকে তার দেখা পায় না অভাগা ।
তবু ডাকে সারাদিন আশাহীন শ্রান্তিহীন ,
        একমাত্র কাজ তার ডেকে ডেকে জাগা ।
আর-সব কাজ ভুলি আকাশে তরঙ্গ তুলি
         সমুদ্র না জানি কারে চাহে অবিরত ।
যত করে হায় হায় কোনোকালে নাহি পায় ,
        তবু শূন্যে তোলে বাহু , ওই তার ব্রত ।
কারে চাহি ব্যোমতলে গ্রহতারা লয়ে চলে ,
        অনন্ত সাধনা করে বিশ্বচরাচর ।
সেইমতো বিশ্ব জুড়ে পাগল খুঁজিয়া ফেরে
        কিভাবে বিলোপ হবে ফেটাল এরর।
#38
Poetry / জ্বলন্ত বিড়ি
October 27, 2014, 04:49:05 PM
---জ্বলন্ত বিড়ি---

আমায় সে দিয়েছিল জ্বলন্ত বিড়ি
বলে এতো বিড়ি নয় স্বর্গের সিঁড়ি
স্বর্গের সিঁড়ি......
না শুনে গুরুর মানা,
সে প্রথম বিড়ি টানা—
নাকে মুখে ধোঁয়া ঢুকে কেশে কেশে মরি......
কেশে কেশে মরি......

তবু কেন বিড়িটারে ফেলা নাহি গেল
খক খক কত কাশি চোখে জল এল
চোখে জল এল......
সেদিন সে বিড়ি যদি
না খেতাম হায় বিধি—
হতনা আজিকে যেতে বদ্যির বাড়ি......
বদ্যির বাড়ি......

বিড়ি টানা ভালো নয় ভালো করে জানি
ভাবি কাল ছেড়ে দেব আজ শুধু টানি
আজ শুধু টানি......
আমার চতুর পাশে
তাজা হাওয়া যায়আসে
নিকোটিন ভরা ধোঁয়া তারি মাঝে ছাড়ি......
তারি মাঝে ছাড়ি......
#39
Poetry / এই বেশ ভাল আছি
October 27, 2014, 04:32:54 PM
আজকাল কাজ নয়, ভালো লাগে চুপ করে থাকা।
গান নয় খেলা নয়,
এলোমেলো হাওয়া বয়
সে হাওয়ায় দিনশেষে ফুলেদের ঝরে যাওয়া দেখা।
ভালো লাগে......

লাগছে না ভালো আর নতুন দিনের দিকে চাওয়া
বিবর্ণ ঝরা পাতা
ছিঁড়ে যাওয়া বই খাতা
তার মাঝে ভুলে যাওয়া অতীতের দিন খুঁজে পাওয়া
ভালো লাগে......

বহুদিন হয়ে গেল, স্বপ্নেরা ভুলে গেছে আমার ঠিকানা
ঘুমহীন প্রতি রাত
আঁধারে বাড়িয়ে হাত
খোলা চোখে ভুলে যাওয়া স্বপ্নকে ডেকে ডেকে আনা
ভালো লাগে......

আমার মতই যারা ভালো নেই, আমিও তাদেরই এক জন
আছে শুধু ভালো লাগা,
স্মৃতি নিয়ে রাত জাগা
আর ভালো আছি বলে নিজের মনের কাছে মিথ্যাকথন
ভালো লাগে......
#40
Collection / Re: The spaceship of Ezekiel in Bengali
August 16, 2014, 08:55:50 PM
সব শেষে বলি, যে-চাকার বেড়কে বিশেষভাবে তৈরী করা হয়েছে, মাটির ওপর রোধ-বৃদ্ধির নিমিত্ত, সে চাকা তাঁর অভিজ্ঞতা বহির্ভূত। দ্বিমুখী সরণের প্রয়োজনে তৈরী বেড়ের ওপরকার বৃত্তাকার প্রসারকগুলোকে তাঁর মনে হয়েছে চক্ষু'।

তারপর একসময়ে চাকা থেমে গেছে, ইজেকিয়েলও হাঁফ ছেড়ে চোখ ফেরাতে পেরেছেন অন্যদিকে। এতক্ষণে তিনি চোখ তুললেন, প্রাণীদের সেই পাখার দিক থেকে, তাদের ওপরকার প্রকাণ্ড গম্বুজ-সদৃশ মহাকাশযানের দেহের দিকে। সে যেন বিশাল একটা খিলেনের মত মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে তাদের পেছনে। তিনি দেখছেন, পাখাগুলো আর ঘুরছেনা, এখন তাদের একজোড়া ওপরে আর একজোড়া নিচের দিকে পাট হয়ে যাচ্ছে, সে-প্রাণীদের গাত্র স্পর্শ না করা পর্যন্ত।

এতক্ষণ পর্যন্ত একটা ঘন শব্দ তাঁর শ্রুতিগোচর হচ্ছিল, মনে হচ্ছিল, সে বুঝি পাখার শব্দ। কিন্তু এখন দেখলেন, শব্দ কমে গেছে, পাখাগুলোও থেমে গেছে। আরো আবিষ্কার করলেন, শব্দটা পাখার নয়, সেটা আসছে 'বিতানের' ওপরে কোথাও থেকে। হয়তো
তাঁর মনে হয়েছে, বিতানের সঙ্গে শব্দের কোন যোগ আছে। কিন্তু তাঁর পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়, ঠিক কোথায় সে শব্দের উৎস, কারণ কেন্দ্রীয় শক্তি উৎপাদন ব্যবস্থা বা উচ্চ শক্তি সপন্ন ইঞ্জিনের কথা তাঁর জানার কথা নয়। তাছাড়া, পূর্ণশক্তিতে চালু অবস্থা থেকে দাঁড়ানো অবস্থায় চালু ইঞ্জিনের শব্দ যে কম হবে, তাও তাঁর জানার কথা নয়।

এখন ইজেকিয়েলের দৃষ্টি খিলেনের পরিধি ছাড়িয়ে আরো ওপরে। দেখছেন, আলো এবং রঙের একটা অবাস্তব আবছায়ার মাঝখানে একটা মানুষ রয়েছে সিংহাসনে উপবিষ্ট। তোঁর পুঁথির অন্যান্য সংস্করণে 'আদম' শব্দের প্রয়োগ আছে,- তারও অর্থ
অবশ্য 'মানুষ'। মহাকাশযানের স্বচ্ছ চালক-কোষটির সরল জ্যামিতিক গঠনের চেয়ে তার আলো এবং রংই বেশি দৃষ্টিসুখকর এবং বর্ণনা করার পক্ষেও ভালো। চালক-কোষে যাঁকে ইজেকিয়েল দেখতে পাচ্ছেন, তিনি মহাকাশযানের অধিনায়ক এবং তাঁর
আসনের সঙ্গে সিংহাসনের সাদৃশ্য সন্দেহাতীত। সে-যানের বিরাটত্বে, মুগ্ধবিস্ময়ে আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে তিনি মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়লেন। তার পরেই শুনতে পেলেন অধিনায়কের কণ্ঠস্বর।

#41
Collection / Re: The spaceship of Ezekiel in Bengali
August 16, 2014, 08:41:37 PM
কেমনতরো চাকা সেগুলো!

রঙ তাদের হালকা হরিতাভ-নীল। সে চাকার গতিকে তিনি বুঝতে পারেননি। যে-চাকার সঙ্গে তিনি পরিচিত, এ চাকার ঘূর্ণন তো তার সঙ্গে মেলে না। প্রত্যেকটা চাকার গতি এত বেশি যে তাঁর মনে হয়েছে, বুঝি একটার ভেতরে অনেকগুলো চাকা আছে।  তারপর, তিনি বুঝতে পারেননি, মাটির উপরে তারা কি ছাঁদে ঘুরছে। যেসব চাকার সঙ্গে তাঁর পরিচয় আছে, তারা তো গড়ায় একদিকে। দিক পরিবর্তন করতে হলে গোটা চাকাটাকেই নতুন দিকে ফেরাতে হয়। কিন্তু এখানে দেখছেন, যেখানে তারা দাঁড়িয়ে আছে, সেখান থেকে তাদের যে কোন দিকে ফেরানো যায়, গোটা চাকাটাকে না ঘুরিয়েই। ব্যাপারটা সহজে মেনে নেননি তিনি, নিজের পর্যবেক্ষণকে নিজে পরীক্ষা করেছেন বারে বারে, দেখেছেন প্রাণবন্ত জীবগুলো নিজেরাই ঘোরে কিনা, এবং সেইসঙ্গে চাকাগুলোকে ঘোরায় কিনা। কিন্তু দেখেছেন, তা হয় না।

ইজেকিয়েল সেইসব চাকার কথাই জানেন, যারা ঘোরে, গাড়ির এগোনো বা পিছু-হাঁটার কারণে। নিত্যদিনের এই অভিজ্ঞতা থেকে তাঁর মনে হয়েছে, এক্ষেত্রেও বুঝি চাকাগুলো ঘোরে প্রাণবন্ত জীবগুলোর সঙ্গে। চক্রের ঘুর্ণনব্যবস্থার জ্ঞান তাঁর না থাকারই কথা, ফলে এ অদ্ভূত চাকার ঘূর্ণনের পারম্পর্য যে বিপরীতমুখী হতে পারে এবং প্রাণবন্ত জীবগুলোই যে গতিমান হয়ে ওঠে চাকার সঙ্গে তা তিনি বুঝতে পারেন না।





ইজেকিয়েল দেখেছেন যে কোনো গাড়ি টানলে অথবা ঠেললে চাকা ঘোরে। 'Wheel drive' অর্থাৎ 'চাকা ঘোরানোর ব্যবস্থা', তথা টানা বা ঠেলা ছাড়াও যে চাকা ঘুরতে পারে সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। চাকা যে নিজে থেকেই ঘুরতে পারে— যথা মোটর গাড়ির চাকা— তা তাঁর ধারণার বাইরে। তাই চাকা ঘোরার ফলেই 'আত্মারা' ঘুরতে ফিরতে পারছে, এটা না বুঝে ভাবছেন, আত্মাদের নড়াচড়ার ফলেই চাকা ঘুরছে।
#42
Poetry / ফ্ল্যাট
August 16, 2014, 08:17:19 PM
 
ফ্ল্যাট


ইঁটের উপর ইঁট সাজিয়ে ভেবেছিলাম বানাব ফ্ল্যাট বাড়ি
সিমেন্ট বালি থাকবে না একদম।
তক্তা দিয়ে ছাদ বানাব, কাজটা হবে অনেক তাড়াতাড়ি
খরচ তাতে লাগবে অনেক কম।।
হফতা খানেক চেষ্টা করে মনের মত প্ল্যান বানালাম নিজে
নষ্ট করে কাগজ কয়েক তাড়া।
একলা খেটে ইঁট সাজালাম দুপুর রোদে ঘামের স্রোতে ভিজে
দুহাত জুড়ে গজিয়ে গেল কড়া।।
এমনি করে সন্ধে নাগাদ বানিয়ে নিয়ে প্রথম তলা বাড়ি
আরাম করে ঘুমিয়ে সারা রাত।
ভোর না হতে ছাত বানাতে তক্তা নিয়ে এলাম তাড়াতাড়ি
বাড়ি তখন হয়েছে চিতপাত।।
জানি জানি এসব শুনে সবার মনে জেগেছে সংশয়
ভাবছ আমি গাঁজাখোরের চেলা।
কিন্তু এসব ভোরের বেলা স্বপ্নে দেখা, মিথ্যে মোটেই নয়
সত্যিও ঠিক যায়না বটে বলা।।
লক্ষ টাকার স্বপন দেখি ছেঁড়া কাঁথার উপর বডি ফেলে
মাথার কাছে উলটে রেখে হাঁড়ি।
ইচ্ছে আছে আমার সাথে অংশীদারী ব্যবসাতে কেউ এলে
সত্যি করেই বানাব সেই বাড়ি।।
#43
Collection / Re: The spaceship of Ezekiel in Bengali
August 16, 2014, 05:18:53 AM










কিসের বর্ণনা ইজেকিয়েল দিচ্ছেন?
কোন গৌরচন্দ্রিকা ছাড়াই তিনি তাঁর প্রতিবেদনের সূত্রপাত করেছেন। প্রথম দর্শনকালে যে-ধরনের ভয়ঙ্কর তীব্রতার সম্মুখীন তিনি হয়েছিলেন, সেই একই ধরনের তীব্রতা তিনি নিক্ষেপ করেছেন তাঁর পাঠকবর্গের ওপরে। সেই মুহূর্তে রকেট-ইঞ্জিন চালু
হওয়ায় তার ঘনগর্জন পারিপার্শ্বিক নৈঃশব্দকে ভেঙে খানখান করে দিলো। তিনি চমকে মুখ তুলে চাইলেন। একটা সাদা মেঘের মাঝখান থেকে ইঞ্জিনের আগুন ছুটছে। তারই কাছ থেকে আসছে একটা চোখ-ঝলসানো আগুন আর তীব্র ভীষণ গর্জন। মনে হচ্ছে, যেন আকাশ ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে ধোঁয়ার ভেতর থেকে চারটে লম্বামতন কী যেন দেখা যাচ্ছে, তাদের ওপরে কী যেন একটা নড়ছে আবছা মতন। তাদের নিচের দিকটা যেন সোজা সোজা পায়ের মত, আর তাতে গোল গোল ক্ষুর‌। মুহর্তের জন্যে ইজেকিয়েলের মনে হল, চেহারাগুলো যেন মানুষের। কিন্তু পর মুহর্তে ধোঁয়া কেটে গেল, রকেট-ইঞ্জিনের আগুনও নিবে গেল তখন মনে হল, ওগুলো আসলে পাখা ঘুরছিল। সে পাখার নিচে, দেহের পাশে যেন একটা হাত ঝুলছিল। তাদের ওপরে, তাঁর মনে হল, যেন মানুষের মুখের আবছা গড়ন। মানুষের চেহারার সঙ্গে তাদের সাদৃশ্য নিশচয় পরিষ্কার নয়, তবু কতকটা ওইরকম। এখন তাঁর সামনে যাদের দেখছেন, তারা নিশ্চয় প্রাণবন্ত, তাঁর কাছেই যে তারা মাটিতে নাবছে।

সব সময় মনে রাখতে হবে, ইজেকিয়েল যা দেখছেন, তার ব্যাখ্যা দিচ্ছেন না, কেননা তা তাঁর ব্যাখ্যার অসাধ্য। তিনি যা দিচ্ছেন, সে শুধু তাঁর দর্শন এবং শ্রবণের অনুভূতির শ্রেষ্ঠ বর্ণনা। সে-বর্ণনা দিতে, সে-ঘটনার বিবরণ পেশ করতে, তাঁর হাতে যতটুকু উপায় ছিল, সে সবটুকুর সদ্ব্যবহার তিনি করেছেন। ১ নং এবং ২ নং ছবি দুটো দেখুন। পৃথিবীর উপরকার কোন কক্ষপথ থেকে উড্ডয়নের শেষ পর্যায়ে এ বর্ণনার মহাকাশযানটিকে চিনতে হলে যৎসামান্য কল্পনাও থাকা প্রয়োজন। তৃতীয় চিত্রটি প্রাচীন ব্যাখ্যার চিত্ররদপের একটি নিদর্শন।

মহাকাশযানটি মূলযান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে উড্ডয়ন শুরু করেছিল সম্ভবতঃ ২২০ নৌ-মাইল (Nautical mile = বিষুবরেখা বরাবর দ্রাঘিমার এক মিনিট - ৬০৮২৬৬ ফুট দূরত্ব) ওপর থেকে। পৃথিবীর বাতাবরণের ভেতর দিয়ে নাববার সময় তার বায়ুগতীয় বাধা (aerodynamic drag ) তার গতি হ্রাস করেছে, তারপর আরো নিচে নেবে আসার পর, স্বল্পকালের জন্যে রকেট-ইঞ্জিন চালু করে তার গতি আরো কমিয়েছে, যাতে বাকি পথটুকু নাবতে হেলিকপ্টারগুলোকে ব্যবহার করা যায়। উড্ডয়নের এই শেষ পর্যায়ে যখন রকেট-ইঞ্জিন চালু করা হয়েছিল, তখন সে-যান তাঁর নজরে পড়েছিল এবং তারই বর্ণনা তিনি দিয়েছেন।

তারপর যখন মাটি থেকে কয়েক ফুট মাত্র ওপরে ভাসতে ভাসতে মহাকাশযানটি নাববার উপযুক্ত একটি স্থান সন্ধান করছে তখন তিনি তাকে দেখছেন, আরো ভালো করে। অবতরণ কালে অল্পক্ষণের জন্যে নিয়ন্ত্রক রকেটগুলোর সক্রিয় হয়ে ওঠাটা তাঁর কাছে অদ্ভুত ঠেকেছে, তাইতার ব্যাখ্যা করেছেন, শূন্যে বিদ্যুৎ চমকের মত বলে। তারই ফলে তাঁর মনোযোগ আকৃষ্ট হয়েছে বিচিত্র 'প্রাণীদের' মাঝখানকার জায়গায়, দেখতে পেয়েছেন, গনগনে জ্বলন্ত কয়লার মত শক্তি-উৎপাদকের বিকিরকটিকে (radiator of the reactor)।

মহাকাশযান নেবেছে।
উড্ডয়নকালে হেলিকপ্টারের নিচের দিকে যেখানে চাকাগুলো লুকিয়েছিল, এখন সেখান থেকে তারা বেরিয়ে পড়েছে গোল ক্ষুরওলা খাড়া লম্বা পায়াগুলো এখন আর মাটি স্পর্শ করে নেই।

চাকা!
এই প্রথম সেই বিভ্রান্তিকর, বিচিত্র ঘটনার ভেতর তিনি আবিষ্কার করলেন এমন একটি বস্তু, যা তাঁর বিশেষ পরিচিত, যার ওপর তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারেন। দীর্ঘকাল ধরে সেগুলোকে পর্যবেক্ষণ করা এবং বারে বারে তাদের বিশেষ এবং দীর্ঘ বর্ণনা দেবার কারণ ওইটিই। বিশ বছর পরেও নতুন করে মহাকাশযানের বর্ণনা দিতে গিয়ে সেই চাকাই আবার কাজে লেগেছে। খুব ভালো করে কাছ থেকে তাদের দেখে তিনি আবার অবাক মেনেছেন।
#44
হয়রান ভাই এই লেখাটা পড়ে যা করেছিলেন মনে পড়লে হাসি পায় এখনও। নিয়মিত চালান না কেন?
#45
ইহুদীর ধর্মে বলা আছে - চোখের বদলে চোখ। তাদের উপর রকেট হামলা চালিয়ে তার বদলে মানবতা আশা করে মুসলিমজাতি।

তবে ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, সোমালিয়া বা অন্য কোনোখানেই মুসলমানের কাছে কেউ মানবতা আশা করে না।

23 July 2014